ঈশপের নীতিমূলক গল্প।মোরাল স্টোরি।পার্ট-১

ঈশপের নীতিমূলক গল্প।মোরাল স্টোরি।পার্ট-১

ছোটবেলায় প্রথম যে বইটি পড়ে দুনিয়ায় টিঁকে থাকার রীতি-নীতি সম্পর্কে জানতে পারি সেটি ছিল ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর করা ঈশপ-এর গল্পের অনুবাদ – ‘কথামালা’। আমার বাবার আমাকে প্রথম উপহার যা আমার মনে পড়ে। বইটি হারিয়ে গেছে। গল্পগুলি রয়ে গেছে মনের ভিতর। যত বড় হয়েছি, গল্পগুলি তত বেশী করে অনুভব করেছি।

আবার কখনো কখনো সেগুলি থেকে অন্য রকমের মজা পেয়েছি। সম্প্রতি ইচ্ছে হচ্ছিল গল্পগুলি ফিরে পড়ার। ভাবলাম, আপনাদের-ও সঙ্গী করে নি-ই। ইংরেজী পাঠের অনুসারী বঙ্গানুবাদ করেছি, তবে আক্ষরিক নয়। সাথে ফাউ হিসেবে থাকছে আমার দু-এক কথা।

ঈশপের নীতিমূলক গল্প।মোরাল স্টোরি।পার্ট-১

আপনি আরো পড়তে পারেন……ঈশপের গল্প-পার্ট-২

ঈশপ কে ছিলেন?


বিশ্ব জুড়ে নীতিকথামূলক গল্পের ক্ষেত্রে ঈশপ এক অনন্য নাম। গ্রিসদেশের এই গল্পকথক প্রকৃতই ছিলেন একজন কথাশিল্পী। জীবজন্তুদের গল্পের চরিত্র হিসেবে উপস্থাপিত করে তিনি মানবজীবনের অনেক মূল্যবান এবং তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন।

জ্ঞানগর্ভ এবং নীতিগর্ভ সেইসব বক্তব্য পাঠকদের চেতনাকে আলোড়িত করে, গল্পগুলোর মাধ্যমে জীবনের কিছু গভীর পাঠ সম্পন্ন হয়। আবার এসব গল্পে বিনোদন এবং শিল্পিতারও কোন অভাব নেই। নীতিপ্রচার নিঃসন্দেহে ঈশপের উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু সেই উদ্দেশ্য গল্পের মধ্যে রসরিক্ত পরিণাম বরণ করে নি, বরং মনোরম কাহিনী বিন্যাসে এবং রসপরিচর্যায় গল্পগুলো আশ্চর্যভাবে শিল্পোত্তীর্ণ হয়েছে।

ঈশপ ছিলেন গল্পকথক। গল্পের পর গল্প সাজিয়ে তিনি তাঁর শ্রোতাদের শুনিয়েছেন এবং নীতিশিক্ষার অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে তাদের চেতনায় সঞ্চারিত করে দিয়েছেন। সেদিক থেকে ঈশপ ছিলেন সুমহান লোকশিক্ষক। লোকশিক্ষার এই পাঠমালার মূল্য ও আবেদন কোনদিনই ফুরাবে না ।

ঈশপ সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে। এমনকি একথাও বলা হয়েছে, ঈশপ নামে কোন সত্যিকারের ব্যক্তি ছিলেন না। এটি একটি কল্পিত নাম তৎকালে গ্রিসদেশে প্রচলিত সব নীতিকথামূলক গল্পই নাকি এই কল্পিত কথকের নামে প্রচার করা হয়েছে। তবে সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, খ্রিস্টজন্মের পাঁচশ বছর আগে তিনি গ্রিসদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইতিহাস একথাও বলে, ঈশপ ছিলেন একজন ক্রীতদাস।

তবে ক্রীতদাস হয়েও অন্তর্গত চেতনায় তিনি ছিলেন একজন মুক্ত মানব। ন্যায় ও অন্যায়, আদর্শ ও বাস্তবতা, ছদ্মবেশ ও প্রকৃত অবয়ব সম্পর্কে যে শিক্ষা তিনি তাঁর গল্পগুলোর মাধ্যমে প্রদান করেছেন, তা তাঁকে অমরত্বের আসনে অভিষিক্ত করেছে।

ঈশপের গল্প কী?

ঈশপের নামে প্রচলিত ও প্রচারিত নীতিমূলক গল্প কে ঈশপের গল্প বলে। ঈশপের গল্পসংখ্যা অনেক। সেসব গল্প থেকে কোটি আসল আর কোনটি নকল তা খুঁজে বের করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আসল-নকলের দুঃসাধ্য অনুসন্ধানপাঠ স্থগিত রেখে প্রচলিত সব গল্পকেই এই বইয়ে গ্রথিত করে দেওয়া হল। আশা করি, পাঠকদের ভাল লাগবে।

নীতিমূলক গল্প কী?

যেসব গল্পে বিভিন্ন উপমার সাহায্যে নীতিকথা শেখানো হয় তাকে নীতিমূলক গল্প বলে।

মোরাল স্টোরি কী?

নীতিমূলক গল্প কে ইংরেজিতে মোরাল স্টোরি বলে।

রাখাল সাজা নেকড়ে|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

ধরা খাওয়ার ভয়ে এক নেকড়ে কিছুতেই ভেড়ার পালের কাছ ঘেঁষতে পারে না। তখন জামা-কাপড় চাপিয়ে সে এক রাখাল সেজে নিল। এইবার সে সোজা চলে এল ভেড়াগুলোর পাশে। আসল রাখাল তখন ঘুম লাগাচ্ছে আর ভেড়াগুলো নিশ্চিন্তে ঘাস খাচ্ছে। মুস্কিলটা হল ভেড়া পাকড়াতে গেলে অন্ততঃ কোন একটাকে দলছুট করা দরকার! নেকড়ে-রাখাল তাই আসল রাখাল-এর মত হুস-হাস আওয়াজ করে ভেড়াগুলোকে এদিক ওদিক ভাগানোর তাল করল।

তাতে লাভ হল এই – গলা দিয়ে নেকড়ের হাউ-হাউ বেরিয়ে এল। ব্যাস, রাখাল গেল জেগে। পিটুনির চোটে নেকড়ে শেষ।

নীতিশিক্ষাঃ ছদ্মবেশ ধরে কাজ করতে গেলে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবেই (আর সব পণ্ড হবে)
আমি আরো বলিঃ মুখ খুলতে দিলেই ধরা পরবে কার ছাল গায়ে কে এসেছে।

জলের ধারের শিঙেল হরিণ|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

মাঠের ধারে দিঘীর জলে নিজের ছায়ায় বাহারী শিং-এর রূপ দেখে দেখে এক শিঙেল হরিণ একেবারে মুগ্ধ। কিন্তু মেজাজ খিঁচড়ে দিল তার কুচ্ছিৎ দেখতে কাঠি কাঠি পা-গুলো। এমন সময় এক সিংহ এসে হাজির সেই জলের ধারে।

হরিণ তখন একটু আগে দুচ্ছাই করা ঐ পাগুলোরই ভরসায় দে দৌড়, দে দৌড়। বেঁচে গিয়েওছিল প্রায়। মারা পড়ল জঙ্গলে ঢুকে গাছপালায় শিং জড়িয়ে গিয়ে। সিংহের হাতে মরতে মরতে হরিণ আফশোষ করল – “কী হতভাগা আমি! বুদ্ধুর বুদ্ধু! যে পাগুলো আমায় বাঁচাতে পারত সেগুলোকেই গাল পাড়ছিলাম, আর যে শিংগুলো নিয়ে এত গর্ব করছিলাম সেগুলোর জন্যই শেষে মারা পড়লাম।”
নীতিশিক্ষাঃ আসলেই যা দামী, প্রায়ই তার ঠিকমত কদর হয় না।

শেয়াল ও মুখোশ|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

এক শেয়াল একবার এক নাটুয়ার বাড়ি ঢুকে পড়ল। মাল-পত্তর ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে পেয়ে গেল একটা মুখোশ। মানুষের মুখের এক চমৎকার নকল। শেয়ালটা থাবা দিয়ে ঐ মুখোশ নাড়াচাড়া করতে করতে বলে উঠল – “কি সুন্দর মাথা একটা। কিন্তু কোন দাম নেই এর কারণ এটার ভিতরে এক ছটাকও মগজ নেই। ”

নীতিশিক্ষাঃ বুদ্ধি ছাড়া সুন্দর মুখের দাম সামান্যই।
আমি আরো বলিঃ শিল্পের দাম বুঝলে শেয়াল তো মানুষ-ই হয়ে যেত!

ভালুক আর শেয়াল|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

এক ভালুক-এর খুব ইচ্ছা সবাইকে জানায় কি বিরাট পরোপকারী আর দয়ালু স্বভাব তার। এই নিয়ে বক্তালি করতে গিয়ে সে জানাল যে সমস্ত পশুপাখীর মধ্যে সে-ই মানুষকে সবার চেয়ে বেশী সম্মান দ্যায় কারণ সে কখন-ও কোন মরা মানুষ নিয়ে টানাটানি করে না।

এক শেয়াল সে সব শুনে মুচকি হেসে ভালুকটাকে বলে, “হুঁঃ! সবসময় জ্যান্ত মানুষ খাওয়ার বদলে তুমি যদি মরা মানুষ খেতে সেটাই বরং তাদের পক্ষে ভাল হত।”

নীতিশিক্ষাঃ না মরলে দ্যায় না, অমন সম্মান দেওয়ার কোন মানে হয় না।
আমি আরো বলিঃ শিয়ালের উস্কানিতে মরা সেজেও আর ভালুকের হাত থেকে বাঁচা যাবে না!

নেকড়ে ও ভেড়ার গল্প|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

ঘুরতে ঘুরতে এক নেকড়ে একটা দলছুট ভেড়াকে একলা পেয়ে গেল। নেকড়ের ইচ্ছে হল বেশ মহত্ব দেখায়। ভেড়াটার উপর কোন হামলা না চালিয়ে বরং কিছু যুক্তি-তক্ক দিয়ে সেটাকে বুঝিয়ে দেওয়া যাক যে ভেড়াটাকে খাওয়ার ব্যাপারটা নেকড়ের হক-এর মধ্যেই পড়ে।

সে ভেড়াটাকে বলল
“এই যে মশায়, গেল সনে আপনি আমাকে বিস্তর অপমান করেছিলেন।”
ভেড়াটা ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলল “কিন্তু, আমার তো গত বছর জন্মই হয়নি!
”নেকড়েটা তখন বলে, “হতে পারে। কিন্তু, আমার মাঠের ঘাস খাও তুমি”
“না হুজুর,” ভেড়া উত্তর দ্যায়, “ঘাস খেতে কেমন তাই আমি জানি না এখনো।”

নেকড়ে ছাড়ে না, “তুই আমার কুয়ো থেকে জল খাস। ”
“না, না,” আর্তনাদ করে ওঠে ভেড়াটা, “আমি এখনো এক ফোঁটা জল ও মুখে দিইনি। আমি ত এখনো শুধু মা’র দুধ খাই! ”

“হুম! আমার সব অভিযোগ-এর তুই ভালই জবাব দিয়ে দিয়েছিস। কিন্তু, তা বললে তো আর আমার পেট চলবে না।” এই বলতে বলতেই ভেড়াটার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে শয়তান নেকড়ে তাকে টুকরো টুকরো করে খেয়ে ফেলল।

নীতিশিক্ষাঃ অত্যাচারী সবসময়ই অত্যাচার করার জন্য কিছু না কিছু কারণ খুঁজে বার করে ফেলে।
আমি আরো বলিঃ যারা কোন কথা শুনবে না ঠিক করেই রেখেছে, তাদের সাথে যুক্তি-তর্কে গিয়ে ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই।

এক চোখ-নষ্ট হরিণ-এর গল্প|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

এক হরিণ-এর একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দেখতে না পাওয়া বিপদ-এর হাত থেকে বাঁচতে সে সমুদ্রের ধারের মাঠে ঘাস খেয়ে বেড়াত। তার ভাল চোখটা সে ফিরিয়ে রাখত ডাঙ্গার দিকে যাতে কোন শিকারী বা শিকার ধরা কুকুর এলে দূর থেকেই তাকে দেখতে পেয়ে যায়। সমুদ্রের দিক থেকে সে কোন বিপদের ভয় করত না।

তাই তার নষ্ট চোখটা সে ঐ দিকে রেখে রেখে চরে বেড়াত। একদিন সমুদ্রে সেই এলাকা দিয়ে নৌকা বেয়ে যাচ্ছিল কিছু লোক। তারা হরিণটাকে দেখতে পেয়ে অনায়াসে তাক করে তাকে মেরে ফেলল।মরার সময় হরিণটা বলে গেল, “কি দুর্ভাগা আমি! ডাঙ্গার দিক থেকে যাতে বিপদে না পড়ি তার জন্য কত ব্যবস্থা নিলাম, এমনকি এই সাগরের ধারে চলে এলাম, ভেবেছিলাম বেঁচে গেলাম, উল্টে আরো সহজে মারা পড়লাম।”

প্রাচীন বচনঃ যে দিক থেকে সবচেয়ে কম সন্দেহ করা যায়, অনেক সময় সেদিক থেকেই বিপদ ঘনিয়ে আসে।
আমি বলিঃ অন্ধ বিশ্বাস পতন ঘটায়। যুক্তি দিয়ে সবসময় সবদিকে নজরদারী জারী রাখতে লাগে।

কুকুর, মোরগ আর শিয়াল-এর গল্প|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

এক কুকুর আর তার সাথী এক মোরগ। দু’জনে মিলে ঘুরতে বেড়িয়েছিল। ঘুরতে ঘুরতে রাত হয়ে গেল। তখন তারা আশ্রয়ের জন্য ঘন বনের মধ্যে চলে এল। মোরগ চড়ে বসল এক গাছের অনেক উঁচু একটা ডালে আর কুকুর সেই গাছের নীচে তার বিছানা পেতে নিল। ভোর হলে, যেমন সে রোজ করে, মোরগ ডেকে উঠল কোঁকড়-কো করে।

সেই আওয়াজ শুনে এক শিয়ালের মনে হল সকালের নাস্তাটা আজ মোরগের মাংসে সেরে ফেললে খাসা হয়। শিয়াল তখন ঐ ডালটার নীচে চলে এল আর নানাভাবে মোরগের মিষ্টি গলার আওয়াজের সুখ্যাতি করে তার সাথে দোস্তি পাতাতে চাইল।

“আপনি রাজী থাকলে,” বলল সে মোরগকে, “আজকের দিনটা আপনার সাথে কাটাতে পারলে আমার খুব ভাল লাগবে।”

মোরগ বলল, “মশায়, এক কাজ করেন, একটু এগিয়ে এই গাছের গোড়ায় চলে যান। আমার মালপত্র যে টানে সে ঐখানে ঘুমিয়ে আছে। তারে ডেকে তোলেন, সে আপনাকে এখানে আসার জন্য দরজা খুলে দিবে।”

শিয়ালকে ঐদিকে আসতে দেখেই কুকুর একেবারে লাফ দিয়ে উঠল আর শিয়ালের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলল।

প্রাচীন বচনঃ অন্যদের যারা ফাঁদে ফেলতে চায়, প্রায়ই তারা নিজেরাই নিজেদের ফাঁদে পড়ে যায়।
আমি বলিঃ চেনা শয়তান যখন ভাল কথা বলে মন ভোলায়, জেনে রেখো সে তোমায় ডোবানোর ফন্দী আঁটছে।

ইঁদুর, ব্যাঙ, আর বাজপাখীর গল্প|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

এক ইঁদুর, এমনই কপাল খারাপ তার, এক ব্যাঙ-এর সাথে জিগরী দোস্তি পাতিয়ে বসল। ব্যাঙটা একদিন, মাথায় নষ্টামি বুদ্ধি চাপলে যা হয়, ইঁদুরটার এক পায়ের সাথে নিজের এক পা আচ্ছা করে বেঁধে ফেলল।

তারপর টানতে টানতে তাকে নিয়ে চলল সে নিজে যেই পুকুরে থাকত সেখানে। পুকুর-পাড়ে পৌঁছে, হঠাৎ সে ঝপাং করে দিল লাফ, ইঁদুর-সুদ্ধ সোজা জলে গিয়ে পড়ল। জলে পড়ে সেই ব্যাঙের সে কি মাতামাতি! সাঁতরাচ্ছে, ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর করে ডাকাডাকি করছে, যেন এক বিরাট কাজ করে ফেলেছে সে। ইঁদুরটা কি কষ্ট যে পেল! খানিকক্ষনের মধ্যেই জলে ডুবে, দম আটকে মারা গেল বেচারা।

তার শরীরটা জলে ভাসতে থাকল। তখনো ব্যাঙের পা-এর সাথে তার পা বাঁধা। উড়তে উড়তে এক বাজপাখীর নজরে পড়ল সেই জলে-ভাসা ইঁদুর। ছোঁ মেরে নেমে এসে ইঁদুরটা নিয়ে সে উঠে গেল ঐ-ই-ই উঁচুতে। ইঁদুরের পায়ে পা বাঁধা থাকায় সেই ব্যাঙ-ও তখন বাজ-এর থাবায় বন্দী। এর পর ইঁদুরের সাথে সাথে ব্যাঙটা-ও চলে গেল বাজ-এর পেটে।

প্রাচীন বচনঃ যেমন কাজ তার তেমন ফল।
আমি বলিঃ যে পাজী সে হয়ত ছাড়া পাবে না, কিন্তু তার হাতে নিজেকে ছেড়ে দ্যায় যে হতভাগা সে মারা পড়বে সবার আগে।

এক কুকুর আর ঝিনুক-এর গল্প|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

এক কুকুর খুব ডিম খেতে ভালবাসত। একদিন সে একটা অয়স্টার বা দুই-খোলের ঝিনুক কুড়িয়ে পায়। ঝিনুকটাকে ডিম ভেবে মুখখানা এত্তবড় হাঁ করে সে ওটাকে গিলে ফেলল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়ানক পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে সে আর্তনাদ করতে থাকে, “এমন বুদ্ধু আমি, গোল দেখলেই ভাবি ডিম, আমার এইরকম চরম কষ্টই পাওয়া উচিত।”

প্রাচীন বচনঃ হড়বড়িয়ে কাজ করে, পস্তাতে হয় পরে পরে।
আমি বলিঃ হড়বড়াং – চিৎপটাং – মন্তব্য লাফাং – ডুপ্লি ঘ্যাচাং – কপাল চাপ্রাং – ঠাং-ঠাং-ঠাং

এক নেকড়ে আর ভেড়া চড়ানো রাখালেরা|ঈশপের নীতিমূলক গল্প

রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এক নেকড়ে। একটা বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সে দেখে বাড়ির মধ্যে ভেড়া চড়ানো রাখালের দল রাতের খাবার সারছে গাদা গাদা মাংস দিয়ে। নেকড়েটা তাই দেখে সেই রাখালদের ডেকে বলল, “এই কাজটাই যদি আমি করতাম, চ্যাঁচামেচি করে তোমরা দুনিয়া মাথায় তুলে ফেলতে।”

প্রাচীন বচনঃ লোকেরা নিজেরা যা করে সেটাই অন্য কেউ করলে তখন তাকে দোষ দিতে থাকে।
আমি বলিঃ নিজের বিশ্বাসটাই শুধু ঠিক বলে যারা জাহির করে, তারাই অন্য লোকেরা একই রকম করলে সেই লোকেদের মুখ বন্ধ করে দিতে চায়।

Bangla moral story|Ishoper Golpo

Mangla moral story bangla nitikotha mulok golpo bangla kids moral story

Info source: wikipedia

Tag: ঈশপের নীতিমূলক গল্প ঈশপের নীতিমূলক গল্প ঈশপের নীতিমূলক গল্প ঈশপের নীতিমূলক গল্প ঈশপের নীতিমূলক গল্প ঈশপের নীতিমূলক গল্প ঈশপের নীতিমূলক গল্প

Please Click On Just One Add To Help Us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।