অর্গাজমের উপকারীতা কী? অর্গাজমের ১০ টি আশ্চর্য উপকারীতা !!

Table Of Contents

অর্গাজমের উপকারীতা কী? অর্গাজমের ১০ টি আশ্চর্য উপকারীতা !!

যৌন ক্রিয়া শুধুই আনন্দ পাওয়ার জন্য নয় এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। যৌন মিলনের সময় অর্গাজম হলে তার উপকারিতা সাধারণ যৌন মিলনের উপকারিতার চেয়ে অনেক বেশি। অর্গাজমের ফলে মানব শরীরে ও মনে নানাবিধ উপকার হয়। আসুন আজ জেনে নেই অর্গাজমের উপকারিতা সম্পর্কে।

আপনি আরও পড়তে পারেন……….. অর্গাজম কী? অর্গাজমের লক্ষণ কী? ….. অর্গাজমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? Side Effects of Orgasm !!

অর্গাজমের মানসিক উপকারিতা

অর্গাজমের শারীরিক উপকারিতা বৈজ্ঞানীকভাবে প্রমাণিত। এর ফলে যেসব উপকারিতা দেখাযায় সেগুলো হলো-

পুরুষের মেন্টাল স্ট্রেস কমায় অর্গাজম

আনন্দদায়ক ও উত্তম অর্গাজমের ফলে মানসিক চাপ বা মেন্টাল স্ট্রেস কমে। অনেক ক্ষেত্রে অর্গাজম যেকোন উপায়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পুরুষের মানসিক স্ট্রেস কমায়। এই প্রশান্তি মন থেকে অনেক উদ্বেগ নিমিষের মধ্যে হাওয়ায় মিলিয়ে দেয়। পুরুষের রাগ কে শীতল করে।

নারীদের মন ভালোরাখে অর্গাজম

অর্গাজমের ফলে মন হালকা ও উৎফুল্ল হয়। মুড ভাল হয়। অর্গাজমের কালে পশ্চাৎ পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে প্রোল্যাকটিভ ও অক্সিটক্সিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এটি মুড ভাল করতে কাজ দেয়। দীর্ঘদিনের অবসাদ কাটাতে ভাল অর্গ্যাজম জরুরি।

সঙ্গিনীর প্রতি আকর্ষণ বাড়ায় অর্গাজম

যৌন ক্রিয়ার সময় অর্গাজম ঘটলে নাড় তার সঙ্গীর প্রতি আবেগঘন দৃষ্টিতে তাকায় ও মন উজার করে ভালোবাসতে চায়। পার্থিব সুখের কারণে সঙ্গীকে হারাতে চায়না। সারাজীবন তার জন্য নিজেকে সপে দিতে চায়। পুরুষ তার সঙ্গিনীর জন্য সব করতে প্রস্তুত থাকে।

পরকীয়ার সম্ভাবনা কমায় অর্গাজম

অধিকাংশ পরকীয়ার ঘটনা ঘটে থাকে সঙ্গীর যৌন অক্ষমতার কারণে। যে দাম্পত্য জীবনে নারী ও পুরুষ উভয়ে যৌন তৃপ্তি পায়না সেই সংসারে সব সময় ঝগড়া লেগেই থাকে। এসব কারণে একটি ভালো অর্গাজম পরকীয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে কমিয়ে দেয়।

স্ত্রীকে বস করতে সাহায্য করে অর্গাজম

একজন সফল পুরুষ যদি অধিকাংশ সময় যৌন ক্রিয়ার মাধ্যমে স্ত্রীকে অর্গাজম উপহার দেয় তাহলে সেই পুরুষের স্ত্রী সবসময় স্বামীর প্রতি অনুগত থাকে।

অর্গাজমের শারীরিক উপকারিতা

অর্গাজমের নানাবিধ শারিরিক উপকারিতা বহু গবেষনার দ্বারা প্রমাণিত। যেমন-

প্রসাব ধরে রাখার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে

যেসব নারীদের অধিকাংশ সময় অর্গাজম প্রাপ্ত হয় তাদের তলপেটের পেশি শক্তিশালী হয় ফলে বেশি বয়সে নারীদের কমন সমস্যা প্রসাব ধরে রাখতে না পারার সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়। জরায়ু নিচে নেমে আসার সমস্যার সম্ভাবনা কমে।

রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়

অর্গ্যাজম ভাল হলে জনন তন্ত্রের রক্তপ্রবাহ বাড়ে। ফলে এই জনন অঙ্গের সজীবতা বাড়ে। মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল স্বাভাবিক হয়। শারীরিক ও যৌন স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপনার হার্টের ভালো থাকা জড়িয়ে রয়েছে। বয়স্ত পুরুষ ও মহিলাদের কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায় নিয়মিত অর্গাজম।

স্লিম হতে সাহায্য করে

অর্গ্যাজমের পুরো প্রক্রিয়াটি শরীরের জন্য খুব ভাল এক্সারসাইজ। সঙ্গমকালে ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে। ক্যালরি বার্ন হলে দেহ থেকে অতিরিক্ত চর্বি দূর হয়ে যায় ফলে দেহ স্লিম হয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে

যৌন তৃপ্তি পেলে মহিলাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। মুখে বয়সের ছাপ অনেক দেরিতে পড়ে। ত্বকের জেল্লা বাড়াতে দারুণ উপকারী নিয়মিত অর্গাজম।

ঘুম ভাল হয় অর্গাজমের কারণে

অর্গ্যাজমের কারণে দেহে এনডরফিন হরমোন উৎপাদন হয় যা ঘুম ভাল হতে সাহায্য করে। শরীরে হ্যাপি হরমোন অক্সিটোসিন নির্গত হয় অর্গাজমের পর। ফলে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ কমিয়ে ভালো ভাবে ঘুমোতে সাহায্য করে অর্গাজম।

ব্যথা কমায় অর্গাজম

মাইগ্রেনের ব্যথা, মানসিক চাপ থেকে মাথার যন্ত্রণা, যে কোনও ধরনের সার্জারির ব্যথা কমাতে অর্গ্যাজমের ভূমিকা রয়েছে।

আয়ু বাড়ায় অর্গাজম

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অর্গ্যাজমের চরম সুখ যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের করোনারি আর্টারি ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। অকালে মৃত্যু হয় না।

মস্তিষ্কে রক্তস‍ঞ্চালন বৃদ্ধি করে অর্গাজম

মস্তিষ্কে রক্তস‍ঞ্চালন বাড়ানোর জন্য দারুণ উপকারী অর্গাজম। এর ফলে অনেক বেশি মনোযোগ বাড়ে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে অর্গাজম

অর্গাজম শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় অর্গাজমের ফলে।

পিরিয়ড স্বাভাবিক রাখে অর্গাজম

ঋতুচক্র স্বাভাবিক করার জন্যও দারুণ কাজে আসে নিয়মিত অর্গাজম। বহু গবেষণায় এমন দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত অর্গাজম হয় এমন মহিলাদের ঋতুচক্র অপেক্ষাকৃত বেশি স্বাভাবিক ও সহজ ভাবে হয়। পিরিয়ডের সময় ক্র্যাম্প কমানোর জন্যও কাজে আসে অর্গাজম।

Please Click On Just One Add To Help Us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।