ঈশপের মোরাল স্টোরি! পার্ট-৬

ঈশপের মোরাল স্টোরি! পার্ট-৬

সমকালীন সমাজের সাথে কতটা প্রাসঙ্গিক এই গল্পগুলি সেই কৌতুহল থেকে কয়েকমাস আগে এদের ফিরে পড়তে আর সেই সাথে আমার অনুভব-এ অনুবাদ করতে শুরু করি। যত দিন গেছে তত অবাক হয়ে গেছি দেখে যে একের পর এক গল্পগুলি কি প্রবলভাবে আমাদের সময়ের কথা বলছে। এই গল্পগুলিতে যাঁরা মন্তব্য করেছেন তাঁরাও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্পে একই অনুভব-এর কথা জানিয়েছেন। আসুন, দেখা যাক এবারের পঞ্চক-এ কি পাওয়া গেল।

আপনি আরো পড়তে পারেন……. ঈশপের নীতিমূলক গল্প।মোরাল স্টোরি।পার্ট-১ ….. ঈশপের গল্প! বাংলা মোরাল স্টোরি! পার্ট-৩ … ঈশপের গল্প-পার্ট-২ … ঈশপের গল্প| বাংলা মোরাল গল্প!পার্ট-৪ ….. বাংলা মোরাল স্টোরি! ঈশপের গল্প! পার্ট-৫ …

ঈশপের মোরাল স্টোরি! পার্ট-৬

ঈশপের মোরাল স্টোরি! এক কয়লা-বানিয়ে আর এক ঊল পরিস্কার করা লোক

কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানালে তাকে বলে কাঠ-কয়লা। একটি লোক কাঠ-কয়লার ব্যবাসা করত। নিজের বাড়িতেই সে কাঠ-কয়লা বানিয়ে নিত।
আর একটি লোক ছিল যে ঊল-এর জামা-কাপড় বানানোর জন্য ঊল পরিস্কার করার কাজ করত।

সেও নিজের বাড়িতেই থেকেই ঊল কাচাকাচি করত।কাঠ-কয়লা বানানোর লোকটির সাথে একদিন ঊল-কাচিয়ে লোকটির পরিচয় ঘটল। এ-কথা সে-কথার পর কাঠ-কয়লা বানানো লোকটি তার নুতন বন্ধুকে তার নিজের বাড়িতে উঠে আসার প্রস্তাব দিল। বলল এতে দু’জনের-ই অনেক খরচ বেঁচে যাবে, দু’জনের-ই কত সুবিধা হবে।

ঊল-কাচিয়ে বলল, “অসম্ভব, আমার পক্ষে সেটা মোটেও সুবিধার হবে না। আমি যা কেচে-কুচে সাফ করব তোমার কাঠ-কয়লার গুঁড়োয় তা সাথে সাথে কালো হয়ে যাবে।”

নীতিবাক্য : এক রকমদের-ই এক সাথে থাকা চলে।

আমি বলিঃ যাদের সঙ্গে জুটিয়ে নিলেন তারা যদি খারাপ হয়, আপনি নিজে যতই ভাল হওয়ার চেষ্টা করুন, সমস্ত চেষ্টা বৃথা হয়ে যেতে একটুও দেরী হবে না।

ঈশপের মোরাল স্টোরি!ষাঁড় আর ছাগলের গল্প

এক বার এক ষাঁড় একটা সিংহের তাড়া খেয়ে পালাতে পালাতে একটা গুহায় গিয়ে ঢুকে পড়ল। ঐ গুহায় এর আগে একদল ছাগলচরিয়ে লোক থাকত। কয়েকদিন আগে তারা গুহা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় একটা ছাগল ঐ গুহায় রয়ে গিয়েছিল।

ষাঁড়টাকে গুহার মধ্যে দেখে সেই ছাগলটা শিং বাগিয়ে তেড়ে এল। ষাঁড়-এর শিং-এ শিং আটকে ষাঁড়টাকে সে ঠেসে ধরল। বাইরে সিংহটা তখন-ও পায়চারী করছে। ফলে ঐ ষাঁড় তখনকার মত হার মেনে নিল।

তারপর ছাগলটাকে বলল, “লড়ে নে যত পারিস। তা’ বলে ভাবিসনা যে তোকে আমি একটুও ভয় পেয়েছি। আমার ভয় ঐ সিংহটাকে। একবার ওটা এখান থেকে চলে যাক, দেখ তারপর কি দশা আমি করি তোর, তখন বুঝবি তুই কার জোর কতটা।”

নীতিবাক্য : অন্যের দুর্দশার সুযোগ নেওয়া অত্যন্ত নোংরা কাজ।

আমি বলিঃ বড় বিপদ সামলানোর সময় ধৈর্য্য ধরে রাখতেই লাগে। সেই সময় যে সব ছোট ছোট শত্রুরা সুযোগ নেয়, বড় বিপদ কেটে গেলে পর তাদের জন্য ব্যবস্থা নিতে আর বড় অসুবিধা হয় না।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! সিংহ আর ইঁদুরের গল্প

একদিন একটা ইঁদুর এক ঘুমন্ত সিংহের মুখের উপর দিয়ে ছুটে গেল। সিংহের ঘুম গেল ভেঙ্গে আর ভীষণ রাগে সে খপ করে ইঁদুরটাকে ধরে ফেলল। মুঠোর মধ্যে সে এবার ইঁদুরটাকে পিষে মেরে ফেলবে। ইঁদুরটা তখন খুব করুণ স্বরে তাকে মিনতি জানাল, “দয়া করে আমার প্রাণ বাঁচান, আমায় ছেড়ে দিন।

কোন একদিন আমি ঠিক আপনার এই দয়ার প্রতিদান দেব।” সিংহ হেসে উঠে তাকে ছেড়ে দিল। এর কয়েকদিন বাদেই সেই সিংহ একদল শিকারীর হাতে ধরা পড়ল। শিকারীরা শক্ত দড়ি দিয়ে মাটিতে গাঁথা খুঁটির সাথে সিংহকে বেঁধে রেখে দিল।

তার গর্জন শুনে তাকে চিনতে পারে সেই ইঁদুর তখন সিংহের কাছে এসে হাজির হল।কুটকুট করে তার ধারাল দাঁত দিয়ে সেই ইঁদুর সিংহের দড়ি কেটে তাকে মুক্ত করে দিল।তারপর তাকে বলল,”সেদিন আপনাকে আমার সাহায্য করতে পারার কথায় আপনি আমায় উপহাস করেছিলেন।

আপনি ভাবতেই পারেননি যে আমি কোনদিন আপনার দয়ার প্রতিদান দিতে পারব। এখন দেখলেন তো, তেমন তেমন সময়ে এমনকি একটা ইঁদুর ও এক সিংহের উপকারে আসতে পারে।”

নীতিবাক্য ভাল কাজ করার জন্য কেউই তুচ্ছ নয়।

আমি বলিঃ কার কাছ থেকে কখন কোন উপকার আসবে কেউ জানে না। তাই বুদ্ধিমান লোকেরা ছোট-বড় কাউকেই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য দেখায় না।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! পার্ট-৬

ঈশপের মোরাল স্টোরি! ঘোড়া আর গাধা

রাজপথ ধরে চলেছিল এক ঘোড়া। নিজের সুন্দর নকশাদার রেকাব, জিন, লাগাম এসব নিয়ে তার বিরাট গর্ব। চলতে চলতে সামনে পড়ল এক গাধা, পিঠে তার অনেক বোঝা।

ভারের চাপে গাধা চলেছে আস্তে, আস্তে। অহংকারে মটমট করা ঘোড়া তাকে বলল, “আমার খুরের এক লাথি মেরে কেন যে তোকে এখনো সরিয়ে দিচ্ছি না, জানি না।” গাধা শান্তভাবে চুপ করে রইল। শুধু মনে মনে ভগবানের কাছে উপযুক্ত বিচারের জন্য প্রার্থনা জানাল।

বেশীদিন যায়নি তার পর যেদিন শ্বাসকষ্টের রোগ ধরা পড়ায় ঐ ঘোড়াকে তার মালিক গ্রামের খামারবাড়িতে পাঠিয়ে দিল। সেখানে তার কাজ জুটল ময়লা ফেলার গাড়ি টানা। ঐ অবস্থায় একদিন আবার তার সাথে সেই গাধার দেখা। গাধা তখন তাকে টিপ্পনী কেটে বলল, “কি হে অহংকারী, কোথায় গেল তোমার ঐ সব কারুকাজ করা সাজ-সজ্জা! যা নিয়ে অত নাক সিঁটকয়েছিলে এখন নিজেই তো দেখছি সেই অবস্থায় নেমে এসেছ!”

নীতিবাক্য : যে জিনিস নিজের অধিকারে নেই তা নিয়ে অহংকার করা বোকামী।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! বুড়ো শিকারী কুকুর

এক শিকারী কুকুর তার যৌবনকালে খুব শক্তিশালী ছিল। কোনদিন বনের কোন জানোয়ারের কাছে সে হার মানে নি। পরে যখন সে বুড়ো হয়ে গেছে, একদিন শিকারের সময় সে একটা শূয়োরের পিছু ধাওয়া করল।

ছুটতে ছুটতে শূয়োরটা যখন নাগালের মধ্যে এসে গেল, কুকুরটা ভীষণ সাহসের সঙ্গে তার একটা কান কামড়ে ধরল। কিন্তু এতদিনে তার দাঁত ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছে, কামড়ের আর সেই জোর নেই। শূয়োরটা পালিয়ে গেল। কুকুরের মালিক দৌড়ে এসে দেখে শিকার হাতছাড়া হয়ে গেছে। ভীষন বিরক্ত হল সে।

যাচ্ছেতাই করে বকাবকি করল তার কুকুরকে। কুকুরটা তখন তার মালিকের দিকে মাথা উঁচু করে তাকাল, তারপর বলল, “আমার কোন দোষ ছিল না মালিক। আমার ইচ্ছা বা চেষ্টা কোনটার-ই কোন কমতি করিনি আমি।

কিন্তু আমার শরীরের ক্ষমতার উপর আমার কোন হাত নেই। আজকে আমি কি করে উঠতে পারিনি তার জন্য আপনি আমায় দোষ দিচ্ছেন। অথচ, এতদিন ধরে যা করে এসেছি সেটা মনে রেখে আমাকে আপনার প্রশংসাই করার কথা ছিল।”

নীতিবাক্য : শারীরিক অক্ষমতার কারণে কাউকে দোষ দেওয়া উচিত নয়।

আমি বলিঃ আগে সে কত কাজ করেছে সেটা মনে রাখে কাজটা যে করেছে সে নিজে। কাজের ফল যে ভোগ করে সে ঐ লোকের প্রাপ্য ঠিক করে এখন তার কাছ থেকে কি পাওয়া যাবে সেই হিসাবের উপর।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! এক কাক ও জলের কলসী

একটা কাকের একদিন খুব জলতেষ্টা পেয়েছিল। মনে হচ্ছিল যেন আর থাকতে পারছেনা। এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে একটা জলের কলসী নজরে আসায় সেটার কাছে উড়ে চলে এল। এসে দেখে কলসীতে জল এত নীচে রয়েছে যে সেটা তার নাগালের বাইরে। খুব দুঃখ হল তার। নানা ভাবে নানারকম চেষ্টা করল সে জলের মধ্যে ঠোঁট নিয়ে যেতে, কিছুতেই কিছু হল না।

তখন সে একটা উপায় আবিষ্কার করল। এদিক ওদিক যেখান থেকে যত পারে নুড়ি পাথর কুড়িয়ে আনল। তার পর একটা একটা করে সেই নুড়ি পাথরগুলো কলসীর মধ্যে ফেলতে লাগল। একটু একটু করে জলের তল উপরে উঠতে থাকল। একসময় চলে এল তার নাগালের মধ্যে। এইবার জল খেয়ে প্রাণ রক্ষা হল তার।

নীতিবাক্য : প্রয়োজন-ই আবিষ্কারের কারণ।

আমি বলিঃ প্রয়োজন বোধ করলে উপায় বের হতে পারে। সাফল্য আসে তাদেরই যারা সেই উপায়টাকে নিয়ে ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে পারে।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! পার্ট-৬

ঈশপের মোরাল স্টোরি! কাঁটাঝোপ চিবোনো গাধার গল্প

সেবার ভাল ফসল হয়েছে। এক গাধা চলেছে ক্ষেতের দিকে। পিঠে নিয়ে চলেছে নানা রকমের খাবারের বোঝা। গাধার মালিক চাষী আর তার ক্ষেতমজুরদের জন্য। যেতে যেতে রাস্তার একপাশে কিছু কাঁটাঝোপ দেখে গাধা সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ল।

তারপর মনের সুখে ঐ কাঁটাগাছগুলো চিবোতে চিবোতে ভাবতে থাকলঃ “কত রকমের খাদ্য বয়ে নিয়ে চলেছি আমি। ভোজনরসিক লোকগুলো ঐ সব খাবার খেয়ে কি আহ্লাদ-ই না করতে থাকবে! কিন্তু আমায় দেখো! এই তেতো কাঁটা গাছের ঝাড়-ই আমার কাছে স্বাদে-গন্ধে সবদিক থেকে পরম তৃপ্তিদায়ক!

বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো আর দামী খাবারের থেকেও সুস্বাদু। যার যা খেতে মন চায় খাক, আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার এই রকম রসে টসটসে কাঁটাগাছ। এই পেলে আমার আর কিছু চাই না।”

নীতিবাক্য : যার যা রুচি। এক-এর কাছে যা বিষ, অন্যের কাছে তা অমৃত। একজন যা ফেলে দেয়, আরেকজন তা মাথায় তুলে নেয়।

আমি বলিঃ যত ভাল খাবারই সামনে ধর, গাধারা কাঁটাঝোপ চিবোতেই পছন্দ করবে। যত যুক্তির সমাহারই সাজিয়ে দাও, জেগে-ঘুমানো মূর্খরা অবাস্তব গাল-গল্প বিশ্বাস করতেই বসে থাকবে।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! নেকড়ে ও সিংহের গল্প

একটা নেকড়ে একদিন একটা ভেড়া চুরি করে নিজের ডেরায় নিয়ে যাচ্ছিল। পথে এক সিংহ তার কাছে থেকে ভেড়াটা কেড়ে নেয়। নেকড়ে তখন একটু তফাতে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করলঃ “আপনি অন্যায্যভাবে আমার কাছ থেকে আমার জিনিষ কেড়ে নিলেন।”

সিংহ দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে গর্জন করে বললঃ “আচ্ছা, ভেড়াটা তোর নিজের কাছে থাকাটা খুব ন্যায়সম্মত হত বলছিস? কোন বন্ধুর কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলি বুঝি ওটা? না কি কিনেছিলি কোথাও থেকে? এই দু’ভাবের কোনটাতেই যদি না পেয়ে থাকিস, তা হলে ওটা তোর হয় কোন হিসাবে?”

নীতিবাক্য : এক চোর আরেক চোর-এর থেকে কোন অংশে ভাল নয়।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! এক রাজপুত্র আর এক সিংহের ছবি

এক রাজার ছিল একটি মাত্র ছেলে। রাজপুত্র শিকারে যেতে খুব ভালবাসত। রাজা একদিন স্বপ্ন দেখলেন, কেউ তাকে সাবধান করে দিচ্ছে যে রাজপুত্র একটা সিংহের হাতে মারা যাবে। রাজার মনে ভয় ধরে গেল – স্বপ্ন যদি সত্যি হয়ে যায়!

রাজা তখন ছেলের জন্য একটা প্রাসাদ বানিয়ে দিলেন। এখন থেকে রাজপুত্র এই প্রাসাদের মধ্যেই থাকবে, বনে জঙ্গলে আর যাবে না। আর, জন্তু-জানোয়াররাও এই প্রাসাদের মধ্যে আসতে পারবে না।

রাজপুত্রের যাতে মন ভাল থাকে তাই ঐ প্রাসাদের দেয়ালগুলো নানা রকম জন্তু-জানোয়ারের ছবি দিয়ে সাজিয়ে দেওয়া হল। সব প্রমাণ আকারের, একেবারে জীবন্ত দেখতে। ঐ ছবিগুলোর মধ্যে একটা সিংহের ছবিও ছিল।

রাজপুত্র যখন সেই ছবিটা দেখল, নিজের বন্দীদশার দুঃখ তার মনের মধ্যে একেবারে উথলে উঠল। সিংহটাকে বলল সে, “সমস্ত জন্তুদের মধ্যে তুই হচ্ছিস সবার চেয়ে নচ্ছাড়। ঘুমের মধ্যে দেখা আমার বাবার একটা মিথ্যে স্বপ্নের ভিতর ঢুকে এলি তুই।

আর তার ফলে, চার দেয়ালের ঘেরাটোপে বন্দী থাকা কোন মেয়ের মত, আমি এই প্রাসাদের মধ্যে আটকা পড়ে গেলাম। বল, কি শাস্তি এখন দেব আমি তোকে?” এই বলে সে একটা কাঁটা-গাছের ডাল ভেঙ্গে নিতে গেল – ওটা থেকে একটা বেত বানিয়ে তাই দিয়ে আচ্ছা করে এই ছবির সিংহটাকে পিটবে সে।

ভাঙ্গতে গিয়ে ডালটা থেকে পট করে একটা কাঁটা ফুটে গেল তার আঙ্গুলে। কাঁটা ফোটার জায়গাটা ফুলে উঠল, এমন ব্যথা হল সেখানে যে রাজপুত্র অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। ভয়ংকর জ্বর এল তারপর। সেই জ্বর আর সারল না। কয়েকদিনের মধ্যে ঐ জ্বরের ঘোরেই মারা গেল সেই রাজপুত্র।

নীতিবাক্য : সাহস করে বিপদের মোকাবিলা না করে তার থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে পার পাওয়া যায়না।

ঈশপের মোরাল স্টোরি! গাছ ও কুড়ালের গল্প

একটা লোক একদিন জঙ্গলে গিয়ে গাছেদের কাছে প্রার্থনা জানাল তাকে যেন কেউ একটা হাতল দেয় তার কুড়াল-এ লাগানোর জন্য।গাছেরা রাজী হল।সবাই মিলে একটা ছোট জিওল গাছকে দান করে দিল লোকটাকে।

সেই লোক তখন ঐ জিওল গাছটাকে উপড়ে নিয়ে তার থেকে একটা হাতল বানিয়ে তার কুড়াল-এ লাগিয়ে নিল। আর, তারপর-ই ঝপাঝপ কুড়াল চালিয়ে একটার পর একটা পুরান বড় বড় গাছ কেটে নামিয়ে নিতে লাগল।

এক বুড়ো শাল গাছ এই ভাবে নিজের জনদের ধ্বংস হতে দেখে বিলাপ করে পাশের গাছটিকে বলল, “প্রথম কাজটাতেই আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমরা যদি তখন জীওল গাছটার বাঁচার অধিকার ছেড়ে না দিতাম তা হলে আজ নিজেদের বাঁচার অধিকারও হয়ত রক্ষা করতে পারতাম।

আর তখন হয়ত, আর ও বহুকাল এখানে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম।”

নীতিকথা : অন্যের অধিকার লুট হয়ে যেতে দিলে নিজের অধিকার হারিয়ে যাওয়ার ও বিপদ ঘনিয়ে আসে।

Info source: wikipedia

Ishoper Golpo Bangla moral story

ট্যাগ – ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি ঈশপের মোরাল স্টোরি

Please Click on Just one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা