বাংলা মোরাল স্টোরি! ঈশপের গল্প! পার্ট-৫

বাংলা মোরাল স্টোরি!ঈশপের গল্প! পার্ট-৫

প্রায় আড়াইশ’ গল্পের পঞ্চাশতমটি থাকছে এবারের পঞ্চকে। সমকালীন সমাজের সাথে কতটা প্রাসঙ্গিক এই গল্পগুলি সেই কৌতুহল থেকে কয়েকমাস আগে এদের ফিরে পড়তে আর সেই সাথে আমার অনুভব-এ অনুবাদ করতে শুরু করি। যত দিন গেছে তত অবাক হয়ে গেছি দেখে যে একের পর এক গল্পগুলি কি প্রবলভাবে আমাদের সময়ের কথা বলছে।

এই গল্পগুলিতে যাঁরা মন্তব্য করেছেন তাঁরাও বিভিন্ন সময়ে একই অনুভব-এর কথা জানিয়েছেন। এবারের পঞ্চক-ও সে অনুভব থেকে বঞ্চিত করবে না।অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা। ।ঈশপের নীতিগল্পগুলি, যত দিন যাচ্ছে, জীবনের চলার পথে আরো বেশী করে অনুভব করছি।প্রিয় সচলায়তনে ধরে রাখি তাদের নিজের মত করে।অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।

আপনি আরো পড়তে পারেন……. ঈশপের নীতিমূলক গল্প।মোরাল স্টোরি।পার্ট-১ ….. ঈশপের গল্প! বাংলা মোরাল স্টোরি! পার্ট-৩ … ঈশপের গল্প-পার্ট-২ঈশপের গল্প| বাংলা মোরাল গল্প!পার্ট-৪

বাংলা মোরাল স্টোরি!ঈশপের গল্প! পার্ট-৫
বাংলা মোরাল স্টোরি!ঈশপের গল্প! পার্ট-৫

বাংলা মোরাল স্টোরি! সিংহ আর তিমি

সমুদ্রের ধারে ধারে হাঁটছিল এক সিংহ। হাঁটতে হাঁটতে দেখে এক তিমি মাছ ঢেউ ফুঁড়ে মাথা উঁচু করে জল থেকে বের হয়ে এল। সিংহ তখন ঐ তিমিকে ডেকে তার সাথে একটা চুক্তি করতে চাইল যে আজ থেকে তারা একজোট হয়ে কাজ করবে। বলল যে সে নিজে হচ্ছে ডাঙ্গার সব জন্তুদের রাজা, আর, জলের প্রাণীদের রাজা হল তিমি।

তাই এই দুজনই একে অপরের সবচেয়ে বড় বন্ধু হওয়া উচিত। তিমি মহা খুশী হয়ে এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেল। কিছুদিন-এর মধ্যেই একদিন এক বুনো ষাঁড়-এর সাথে সেই সিংহের জোর লড়াই লেগে গেল। সিংহ তখন তিমিকে ডেকে তার সাহায্য চাইল। তিমির খুব ইচ্ছে ছিল সিংহকে সাহায্য করে। কিন্তু করবে কি করে! সে তো ডাঙ্গায় উঠতেই পারে না। সিংহ তার ফলে তিমিকে বেইমান বলে গালমম্দ করল।

তিমি জবাব দিলঃ “না, না, দোস্ত, আমায় দোষ না দিয়ে বরং এই প্রকৃতিকে দোষ দাও। সে আমায় জলের রাজা বানিয়েছে বটে, কিন্তু ডাঙ্গায় বাস করার ক্ষমতাটা দেয়নি! ”

নীতিকথা: নিজের নিজের সাধ্যের মধ্যে থাকো।

আমি বলিঃ যার কাছ থেকে কোন প্রকৃত উপকার সম্ভব নয় তার সাথে পারস্পরিক সাহায্যের চুক্তি অর্থহীন বোকামি ছাড়া কিছু নয়।

টীকাঃ Dolphin-এর বাংলা শুশুক। কিন্তু এই গল্পে তিমি-ই বেশী মানাচ্ছে বিবেচনায় শুশুক-এর বদলে তিমি ব্যবহার করেছি।

বাংলা মোরাল স্টোরি! ইঁদুরদের গলায় ঘণ্টা দেবে কে?

অনেক ইঁদুর মিলে একবার একটা সভা ডাকল। সে সভায় জোর আলোচনা চলল তাদের চরম শত্রু বিড়ালকে নিয়ে। আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল একটা উপায় বার করা যাতে আগে থাকতেই জানা যাবে কখন বিড়াল আসছে।

অনেকে মিলে অনেক কথা হল। সবচেয়ে বেশী পছন্দের রায় – বিড়ালের গলায় একটা ঘন্টা বেঁধে দিতে হবে। তা হলেই সে যখন কাছাকাছি আসবে, তার চলার সাথে সাথে ঘন্টার টুং টাং আওয়াজটা পাওয়া যাবে।

আর সেই আওয়াজ শুনে বিড়াল এসে পড়ার আগেই ইঁদুরেরা তাদের গর্তে পালিয়ে যেতে পারবে। মুস্কিল ঘটল যখন তারা ঠিক করতে বসল যে ঘন্টাটা বিড়ালের গলায় বাঁধবে কে। এই কাজটা করার জন্য শেষ পর্যন্ত আর কাউকেই পাওয়া গেল না।

নীতিকথা: প্রস্তাব যারা দিয়েছে, তাদেরই কাজটা করার সুযোগ দিয়ে দেখো।

আমি বলিঃ বড় বড় কথা বলা যত সোজা সেই কথাগুলো কাজে করে দেখান ততটাই কঠিন। বলে অনেকেই, করবার বেলা আর তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।

বাংলা মোরাল স্টোরি! উট আর তার আরবী মালিক

এক আরবী উট-চালক উটের পিঠে মাল-পত্র চাপিয়েছে। এবার যাত্রা শুরু হবে। শুরু করার আগে সেই লোক তার উটের কাছে জানতে চাইল যে সে কোন দিকে গেলে উটটা বেশী খুশী হবে – পাহাড়ের খাড়াই বেয়ে চড়তে না পাহাড়ের ঢালু বেয়ে নামতে।

বেচারা উট! কি আর করে সে! সাধারণ যুক্তিতে মনে যে প্রশ্নটা এল সেটাই করে বসলঃ “এমন কথা জিজ্ঞেস করেন কেন আমায়? মরুভূমির ভিতর দিয়ে চড়াই-উতরাই-ছাড়া যাওয়ার যে পথটা ছিল, সেই পথটা কি এখন বন্ধ হয়ে গেছে?”

নীতিকথা: (ঈশপ নিজে এই গল্পের আলাদা করে কোন নীতিকথা জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত নই। একটি সম্ভাব্য নীতিকথা যা পেয়েছি, তা এই রকমঃ) যে প্রশ্নের উত্তর বোঝাই যাচ্ছে সেটা করার কোন অর্থ হয়না।

আমি বলিঃ সাধারণ মানুষদের কাছে কিছু পছন্দর মধ্যে বেছে নেওয়ার ডাক দেয়ার সময় অনেক তথাকথিত বিজ্ঞজনই ব্যাখ্যা করতে ভুলে যান যে কেন আরো স্বাভাবিক পছন্দগুলিকে হিসাবের বাইরে রাখা হল।

বাংলা মোরাল স্টোরি!ঈশপের গল্প! পার্ট-৫
বাংলা মোরাল স্টোরি!ঈশপের গল্প! পার্ট-৫

বাংলা মোরাল স্টোরি! লড়াইবাজ মোরগেরা আর এক ঈগল

দুই লড়াইবাজ মোরগ ভয়ংকরভাবে একে অপরের সাথে আঁচড়ে-কামড়ে লড়ে যাচ্ছিল – তাদের লড়াইয়ের মাঠ-এর দখলদারী নিয়ে। একজন একসময় জিতল।

হেরো মোরগ মাথা নীচু করে এক নির্জন কোণায় গিয়ে লুকিয়ে পড়ল। বিজয়ী মোরগ উড়ে গিয়ে বসল এক উঁচু দেয়ালের উপর, ডানা ঝাপটাল কয়েকবার, তারপর গলা ছেড়ে কোঁকর-কোঁ করে ডেকে উঠল প্রবল বিজয়-উল্লাসে।

আকাশে উড়তে থাকা এক ঈগলের নজর পড়ল তার উপর, আর ছোঁ মেরে নেমে এসে শিকার করে নিয়ে গেল তাকে নিজের ডেরায়। হেরো মোরগ সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এল নিজের কোণা থেকে। এখন থেকে সে বিনা বাধায় তার রাজত্ব কায়েম করে নিল।

নীতিকথা: অহংকার ধ্বংস ডেকে আনে।

আমি বলিঃ একটা লড়াই জেতাই সব নয়, ক্রমাগত সতর্ক থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সেই জয়কে ধরে রাখতে লাগে।

বাংলা মোরাল স্টোরি! ছোট ছেলেরা আর কিছু ব্যাঙ

একদল ছেলে পুকুরের ধারে খেলা করছিল।পুকুরের জলে ভাসতে থাকা ব্যাঙগুলোর উপর চোখ পড়ল তাদের। ঢিল ছুঁড়ে ছুঁড়ে সেই ব্যাঙগুলোকে ঘায়েল করার খেলায় মেতে উঠল তারা।বেশ কিছু ব্যাঙ মারা গেল তাদের হাতে।

একসময় আর থাকতে না পেরে জলের উপর মাথা তুলে চিৎকার করে কেঁদে উঠল এক ব্যাঙ, “ছেলেরা, একটু দয়া করো। তোমাদের কাছে যেটা খেলা, আমাদের কাছে সেটা মৃত্যু।”

নীতিকথা: অনেক সময়ই আমরা যেটা খেলা খেলা করে করি অন্য কারো কাছে সেটা ভয়ানক বিপদ বয়ে আনে।

আমি বলিঃ ক্ষমতাশালীরা যখন বিবেচনাহীন হয় তখন তাদের যেমন-ইচ্ছে কাজ-এর ফলে সর্বনাশ হয়ে যায় নিরীহ অসহায় মানুষদের।

বাংলা মোরাল স্টোরি! কাঁকড়া আর তার মা

এক মা-কাঁকড়া এক দিন তার ছেলেকে বলল, “হ্যাঁ রে, তুই সবসময় এই রকম পাশের দিকে সরে সরে হাঁটিস কেন? সোজা হাঁটলে কত সুবিধা পেতি জানিস?” বাচ্চা কাঁকড়া বলল, “ঠিক বলেছ মা, তুমি যদি আমায় একবার দেখিয়ে দাও কি করে সোঁজা হাঁটতে হয়, আমি কথা দিচ্ছি, আমিও তার পর থেকে সোজা হেঁটে যাব।”

মা-কাঁকড়া অনেক রকম করে সোজা হাঁটার চেষ্টা করল, কোন লাভ হল না। ছেলের প্রতিবাদের পাল্টা জবাব দেবার আর সাধ্য হল না তার।

নীতিকথা: নির্দেশ দেওয়ার বদলে বরং উদাহরন দিয়ে দেখান উচিৎ।

আমি বলিঃ নিজে সন্ত্রাস আর ধ্বংসের পথ না ছেড়ে অন্যকে শান্তির পথে চলার ডাক দিলে সে ডাকে বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে কি?

বাংলা মোরাল স্টোরি!ঈশপের গল্প! পার্ট-৫
বাংলা মোরাল স্টোরি!ঈশপের গল্প! পার্ট-৫

বাংলা মোরাল স্টোরি! নেকড়ে আর ভেড়ার রাখাল

এক নেকড়ে এক পাল ভেড়ার পিছন পিছন ঘুরে বেড়াত। কিন্তু একটা ভেড়াকেও কোনদিন আক্রমণ করেনি। ভেড়াগুলোর রাখাল নেকড়েটাকে খুব নজরে নজরে রাখত, শত্রুকে যেমন রাখতে হয়।

শেষে, দিনের পর দিন নেকড়েটা যখন কোন ভেড়াকেই এমন কি একটু ছুঁয়ে দেখারও চেষ্টা করল না, রাখালের মনে হতে লাগল নেকড়েটা তার ভেড়াগুলোকে পাহারাই দিচ্ছে। মনে হল এই নেকড়ের জন্যই তার ভেড়াদের কোন বিপদ ঘটছেনা।

একদিন যখন তাকে একটা কাজে শহরে যেতে হল, সে নেকড়ের উপর-ই তার ভেড়ার পালের রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে গেল। এইবার সুযোগ পেয়ে নেকড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভেড়াগুলোর উপর আর সেগুলোর বেশীর ভাগকেই মেরে ফেলল। শহর থেকে ফিরে রাখাল দেখল তার ভেড়ার পাল প্রায় শেষ।
সে কপাল চাপড়ে বলল, “ঠিক-ই হয়েছে। আমার কাজের উপযুক্ত ফল পেয়েছি। কি করে আমি একটা নেকড়েকে বিশ্বাস করে তার হাতে আমার ভেড়াদের রেখে যেতে পারলাম?”

নীতিকথা: শয়তান মন তার শয়তানী কাজ করেই ছাড়বে – আজ হোক আর কাল।

আমি বলিঃপ্রশ্নহীন আনুগত্য আদায় করে সঙ্গীদের ভেড়ার পাল বানিয়ে তারপর মতলব-লুকিয়ে-বিশ্বস্ত-সেজে-থাকা খুনেদের হাতে তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব তুলে দিলে ঐ খুনেরাই সময় সুযোগমত দলকে গ্রাস করে নেয়, নেতৃত্বের তখন আর সেই বিপর্যয় আটকানোর সামর্থ্য থাকে না।

বাংলা মোরাল স্টোরি! একজন মানুষ ও একটি সিংহ

একটা সিংহ আর একজন লোক একসাথে বনের মধ্য দিয়ে গল্প করতে করতে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ঘুরতে ঘুরতে দুজনেই যার যার শক্তি আর ক্ষমতার কথা বলে নিজেকে অপরের থেকে বড় বলে দাবী করতে লাগল।

তর্ক-বিতর্ক চলতে চলতে একসময় তারা পাথরে খোদাই করা একটা মূর্তির পাশে এসে হাজির হল। মূর্তিটাতে দেখা যাচ্ছে একজন মানুষ একটা সিংহকে গলা টিপে মেরে ফেলছে। এই দেখে তর্ক করা লোকটা ঐ মূর্তির দিকে আঙ্গুল তুলে চেঁচিয়ে উঠল, “এই দেখো! দেখতে পাচ্ছ কত জোর আমাদের, এমনকি পশুদের রাজাকেও আমরা কি রকম হারিয়ে দিয়েছি!” সিংহটা তখন তাকে বলল, “মূর্তিটা ত বানিয়েছে তোমাদের মানুষদেরই কেউ। আমরা সিংহরা যদি জানতাম কি করে মূর্তি বানাতে হয়, তা হলে দেখতে ঐ মানুষটার জায়গা হয়েছে ঐ সিংহটার থাবার নীচে। ”

প্রাচীন বচনঃ গল্পে নিজেকে ততক্ষণই মহান রাখা যায় যতক্ষণ না অন্য কেউ সে গল্পটা বলে।

আমি বলিঃ যে জয়ের কথা লিখে রাখা হয়না সে জয় হারিয়ে যায়।

বাংলা মোরাল স্টোরি! এক ষাঁড় ও এক ব্যাঙ

এক ষাঁড়, এক পুকুরের ধারে জল খেতে খেতে পায়ের নীচে কিছু বাচ্ছা ব্যাঙকে চাপা দিয়ে চলে গেল। একটা ব্যাঙ থেঁতলে গিয়ে মরে গেল। একটু পরে ব্যাঙগুলোর মা এসে তাদের কাছে জানতে চাইল কি করে ঐ ব্যাঙটার অমন দশা হল। ব্যাঙরা বলল, “মা গো মা, একটু আগেই এখান দিয়ে একটা ইয়াব্বড় জন্তু চলে গেছে। বিশাল বিশাল চারটে পা তার।

ঐ রকম একটা পায়ের ভীষণ শক্ত খুরের নীচে চ্যাপ্টা হয়ে গিয়ে এ বেচারী মারা গেছে।” মা-ব্যাঙ তখন পেট-ভর্তি হাওয়া টেনে নিয়ে নিজেকে ভাল করে ফুলিয়ে বলল, “কত বড় সে জন্তুটা, এত বড়?” তাই দেখে তার এক ছেলে তাকে বলল, “মা, ওরকম হাওয়া-ভরা হয়ে ফুলে ওঠার কোন দরকার নেই।

যা বলছি শোনো, রাগ কোরো না। এই রকম হাওয়া টেনে ফুলতে থাকলে, আমার কোন সন্দেহ নেই যে ঐ দানবের মত জন্তুটার সমান হওয়ার বদলে খুব তাড়াতাড়ি-ই তুমি পেট ফেটে মারা পড়বে।

নীতিকথা : যা অসম্ভব তা পাওয়ার আশা করার কোন অর্থ হয়না, তার জন্য চেষ্টা করার ও তাই কোন সার্থকতা নেই।

আমি বলিঃ যে সব নিজের ঢাক পেটান লোকেরা নিজেদের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মহান করে দেখাতে থাকে তারা বোঝে না যে ঐ করতে গিয়ে তারা মহান ত হয়ই না বরং একসময় নিজেদের আরো খেলো করে ফেলে।

বাংলা মোরাল স্টোরি! পাখীরা, জন্তুরা এবং বাদুর

কোন এক সময় পাখীদের সাথে জন্তুদের জোর লড়াই চলছিল। একবার পাখীরা জিতছিল, একবার জন্তুরা। এক বাদুড়, যুদ্ধের ফল ঠিক কি হতে চলেছে বুঝতে না পারায় যখন যেদিকটা বেশী শক্তিশালী মনে হচ্ছিল সেই দিকে হাজির থাকছিল।

এক সময় যুদ্ধ শেষ হয়ে শান্তি এল। এদিকে যুদ্ধের সময় বাদুর-এর ছল-চাতুরি সবার-ই নজরে পড়েছিল। এবার সবাই মিলে তাকে শাস্তি দিল। দিনের আলোয় তার ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ হয়ে গেল।

সেই থেকে বাদুড় সারাদিন কোন অন্ধকার কোণায় গিয়ে লুকিয়ে থাকে আর রাতের আকাশে উড়ে বেড়ায় একেবারে একা একা।

নীতিকথা: ছল-চাতুরি করে সব দিক রাখতে গেলে শেষ পর্যন্ত কোথাও কারও সাথে আর জায়গা মেলে না।

আমি বলিঃ আন্দোলনের পর আন্দোলনে যারা ক্রমাগত অবস্থান বদল করে, একটা সময় সমাজে কারো কাছে তাদের আর কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।

Please Click On Just One Add To Help Us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।

Ishoper Golpo Bangla moral story

Info source: wikipedia

ট্যাগঃ বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি বাংলা মোরাল স্টোরি