উত্ত্যক্ত করা কী?
বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের কিছু দৈহিক পরিবর্তন ঘটে যা তাদেরকে পুরুষদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। তোমরা হয়তো জানো যে, ছেলেরা, এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষরাও রাস্তাঘাটে মেয়েদের কিংবা মহিলাদের উত্ত্যক্ত করে থাকে। কোনো কোনো সময় মেয়েরাও ছেলেদের উত্যক্ত করে থাকে। উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে এক ধরনের যৌন নিপীড়ন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী উত্ত্যক্ত করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
![উত্ত্যক্ত করা কী? উত্ত্যক্ত করা প্রতিরোধের উপায়! উত্ত্যক্ত করা কী? উত্ত্যক্ত করা প্রতিরোধের উপায়!](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2022/09/উত্ত্যক্ত-করা-কী-উত্ত্যক্ত-করা-প্রতিরোধের-উপায়-300x169.webp)
আপনি আরো পড়তে পারেন….. যৌন হয়রানি কী?
কেউ উত্ত্যক্ত করলে কি করবো?
তুমি যদি মেয়ে হও, রাস্তাঘাটে কেউ তোমাকে উত্ত্যক্ত করলে ভয় পাবার কিছু নেই। যদিও ব্যাপারটা খুবই অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর। তারপরও নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে চলাই এ ক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ। স্কুল থেকে ফেরার পথে কিংবা অন্য কোথাও আসা-যাওয়ার সময় কয়েকজন মিলে একসাথে চলার চেষ্টা করো। এ ধরনের পরিস্থিতি কৌশলে মোকাবেলা করাই ভালো, যাতে উত্ত্যক্তকারী আরো বেশি প্রতিশোধ পরায়ন না হয়ে উঠতে পারে। যদি সমস্যা গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে তোমার মা-বাবা এবং শিক্ষকদের জানাতে পারো। প্রয়োজনে আইনের সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
কিভাবে উত্ত্যক্ত করে?
![উত্ত্যক্ত করা কী? উত্ত্যক্ত করা প্রতিরোধের উপায়! শিশুদের যৌন হয়রানি](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2022/09/শিশুদের-যৌন-হয়রানি-300x157.webp)
আজকাল মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে (যেমন ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদি) তরুণ ছেলেমেয়েদের প্রায়ই উত্ত্যক্ত করা বা যৌন হয়রানি করা হয়। এ সকল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে গোপনে বা জোর করে কোনো কোনো উত্ত্যক্তকারী নানারকম আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও ধারণ করে ও ছড়িয়ে দেয় অথবা ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে।
উত্ত্যক্ত করা প্রতিরোধের উপায়!
মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে কেউ যেকোনো রকম উত্ত্যক্ত করলে নিজের মধ্যে চেপে না রেখে সাথে সাথে মা-বাবা বা অভিভাবককে জানাবে। তা না হলে এর পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। তাদের না জানানোর ফলে তোমার বাবা-মা ভুল বুঝতে পারেন।
এমনকি তুমি তাদের সন্দেহের কারণও হতে পারো। বিষয়টি জানলে তারা তোমাকে সঠিক পরামর্শ দেবেন। প্রয়োজনে নিরাপত্তার দায়িত্বও নেবেন। মনে রেখো, তোমার বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে ফেইসবুক/টুইটার ব্যবহার করা বেআইনি।
তুমি যদি ছেলে হও, হতে পারে তোমার বন্ধুরাই বিভিন্নভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছে এবং তোমারও তাদের সাথে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। মনে হতে পারে যে, এতে দোষের কিছু নেই, এটা কেবল মজা করা। কিন্তু সবারই জানা প্রয়োজন যে, সরাসরি অথবা মোবাইল বা ইন্টারনেট-এর মাধ্যমেই হোক কাউকে উত্ত্যক্ত করা অত্যন্ত খারাপ কাজ।
এ ধরনের আচরণ কখনো কখনো যৌন নিপীড়ন এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের পর্যায়ে যেতে পারে যা আইনের দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এ ধরনের কাজ থেকে তুমি যেমন বিরত থাকবে, তোমার বন্ধুদেরও বিরত রাখবে।
উত্ত্যক্ত করার শাস্তি কী?
![উত্ত্যক্ত করা কী? উত্ত্যক্ত করা প্রতিরোধের উপায়! উত্ত্যক্ত করার শাস্তি কী?](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2022/09/যৌন-হয়রানির-শাস্তি-300x157.webp)
যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ এর ধারা ১০ এই
Info source: উইকিপেডিয়া
Please Click On Just One Add To Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।