উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস
শ্রেণিবিন্যাস কী
বিচিত্র ধরনের জীবকুল কে সাদৃশ্যের ভিত্তিতে একসাথে এবং বৈসাদৃশ্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে পৃথক দলে স্থাপনের নীতিমালায় পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ কে বা প্রাণী কে কিংডম, বিভাগ, শ্রেণি, বর্গ, গোত্র, গণ,প্রজাতি প্রভৃতি দলে বা উপদলে বিন্যস্ত করার পদ্ধতিকে বলা হয় শ্রেণীবিন্যাস।
শ্রেণিবিন্যাসের প্রকারভেদ
শ্রেণীবিন্যাস মূলত ৪ ধরনের যথা-কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস, প্রাকৃতিক শ্রেণীবিন্যাস,জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাস এবং আধুনিক শ্রেণিবিন্যাস।
১।কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতিঃ
উদ্ভিদের স্বরূপ অথবা দুই-একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদজগতের যে শ্রেণিবিন্যাস করা হয় তাকে কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি বলে।
কৃত্রিম শ্রেণিবিন্যাস এর উদাহরণঃ
থিওফ্রাস্টাস ও লিনিয়াস এর শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি।
২।প্রাকৃতিক শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতিঃ
বিভিন্ন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ গোষ্ঠীর মধ্যে সামগ্রিক অঙ্গসংস্থানিক সাদৃশ্যের উপর নির্ভর করে যে শ্রেণীবিন্যাস করা হয় তাকে প্রাকৃতিক শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি বলে।জাতীজনি
প্রাকৃতিক শ্রেণিবিন্যাস এর উদাহরণঃ
মাইকেল এডানশন, ল্যামার্ক,বেনথাম ও হুকার এর শ্রেণীবিন্যাস।
৩।জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাসঃ
বিভিন্ন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদ গোষ্ঠী কে তাদের উৎপত্তিগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে বিবর্তন ধারা অনুযায়ী আদি হতে আধুনিক ক্রমধারায় সাজিয়ে যে শ্রেণীবিন্যাস করা হয় তাকে জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি বলে।
জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাস এর উদাহরণঃ
অ্যাঙ্গোলার-প্রান্টল,হ্যাচিনসন,বেসি এর শ্রেণীবিন্যাস।
৪।আধুনিক শ্রেণীবিন্যাসঃ
উদ্ভিদের যাবতীয় বৈশিষ্ট্য, কোষ, কোষ অঙ্গাণু,জীব বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার আধুনিক তথ্য ব্যবহার করে তৈরি শ্রেণীবিন্যাস কে আধুনিক শ্রেণীবিন্যাস বলা হয়।
আধুনিক শ্রেণীবিন্যাস এর উদাহরণ
হুইটেকার ও মারগুলিস এর শ্রেণীবিন্যাস।
মারগুলিস এর শ্রেণীবিন্যাসঃ
হুইটেকার এর শ্রেণিবিন্যাসঃ
পাঁচ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস /পাঁচজগৎ শ্রেণিবিন্যাসঃ
Five kingdom Classification
থিওফ্রাস্টাস, লিনিয়াস বা বেনথাম ও হুকার এর শ্রেণীবিন্যাসে ব্যাকটেরিয়া অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অনুজীব কে অন্তর্ভুক্ত করে পরে একাধিক শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে। হুইটেকার একটি ফাইভ কিংডম/ পাঁচজগৎ /পাঁচরাজ্য শ্রেণিবিন্যাস’ পদ্ধতি প্রস্তাব করেন 1969 খ্রিস্টাব্দে।
তিনি সব কোষীয় জীবকে মনেরা, প্রোটিস্টা, ফানজাই, প্লান্টি এবং অ্যানিমেলিয়া এ পাঁচটি কিংডমে বিভক্ত করেন। পরবর্তীকালে মারগুলিস হুইটেকার এর শ্রেণীবিন্যাস কে পরিবর্তিত ও বিস্তারিত করেন। তিনি জীব জগতকে দুটি সুপার কিংডমে এবং পাঁচটি কিংডমে বিভক্ত করেন। নিচে মারগুলিস এর শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতির একটি সংক্ষিপ্ত ছক উপস্থাপন করা হলো।
![উদ্ভিদের শ্রেণিবিবিন্যাস।শ্রেণিবিন্যাস এর প্রকারভেদ। মারগুলিস এর শ্রেণিবিন্যাস](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/09/M-1-1024x1024.jpg)
![উদ্ভিদের শ্রেণিবিবিন্যাস।শ্রেণিবিন্যাস এর প্রকারভেদ। মারগুলিস এর শ্রেণীবিন্যাস](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/09/m-2-1024x1024.jpg)
![উদ্ভিদের শ্রেণিবিবিন্যাস।শ্রেণিবিন্যাস এর প্রকারভেদ। মারগুলিস এর শ্রেণীবিন্যাস](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/09/M-3-1024x1024.jpg)
Whittaker, Margulis classification in Bangla
Five kingdom classification in Bangla
আরও পড়ুন :সাপ কি জিহ্বা দিয়ে শোনে? আনারস ও দুধ একসাথে খেলে কি মৃত্যু হয়?
Please Click On Just One Add To Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।