- হাঁচি কি?
- হাঁচির সংজ্ঞা
- হাঁচি সম্পর্কে অবাক তথ্য
- ১। হাঁচির গতি
- ২। হাঁচির মাধ্যমে জীবানু ছড়ায়
- ৩।হাঁচি দিতে কত সময় লাগে?
- ৪। হাঁচির চাপ
- হাঁচি কেন হয়?
- আলোর প্রভাবে হাঁচি হয়
- হাঁচি দেয়ার সময় কি ঘটে
- ১। হাঁচি দেয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যায়
- চোখ খুলে কি হাঁচি দেয়া সম্ভব?
- ২। হাঁচি দেয়ার সময় পেশি শক্ত হয়
- ৩।হাঁচি দিলে হৃদপিন্ড বন্ধ থাকে কি?
- মস্তিষ্কের কোষের উপর হাঁচির প্রভাব
- ১। নাক চেপে ধরা
- ২। নাক ঝাড়ুন
- ৩। উপরের ঠোঁটে হাল্কা চিমটি দিন
- ৪।জ্বিহবা ব্যবহার করুন
- ৫। ঝুঁকে অপেক্ষা করুন
- ৬। কাতুকুতু দিন
- ৭। দুই ভ্রুর মাঝে ধরুন
- ৮। কানে হাল্কা চাপ দিন
- হাচির মন্দ দিক
- হাচির ভাল দিক
- হাচি আটকালে বিপদ
হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ!…. আলোচনা শুরুর আগে একবার আরাম করে হাঁচি দিয়ে নিন “হ্যাচ্চো…হ্যাচ্চো… “। হুম অনেক হয়েছে এবার আসুন জানাযাক হাঁচি সম্পর্কে বিস্তারিত।
মানবদেহে যে সমস্ত অনৈচ্ছিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় তার মধ্যে আশ্চর্যজনক একটি কর্ম হলো হাঁচি।
আপনি আরো পড়তে পারেন…. ১ মিনিটে হেঁচকি বন্ধ করুন! ….. হেঁচকি বা হিক্কা কেন উঠে এটা থামাবেন কীভাবে?
হাঁচি কি?
হাঁচি হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সম্পর্কযুক্ত নিরাপত্তামূলক অনৈচ্ছিক শারীরিক ক্রিয়া।হাচি শ্বসনতন্ত্র সহ আরো কতগুলো অঙ্গের ছন্দোবদ্ধ ক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়
বিজ্ঞানীগণ মানুষের মস্তিষ্কে হাচি নিয়ন্ত্রণকারী একটি ক্ষুদ্র অংশ সনাক্ত করেছেন।একে হাচি কেন্দ্র নাম দেয়া হয়েছে। মানুষ সহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণিদের নাকের অভ্যন্তরীণ পর্দা বেশ স্পর্শকাতর কারণ এতে প্রচুর সংবেদি রোম থাকে।
কোন বহিরাগত পদার্থ বা দেহের তরল অভ্যন্তরীণ তরল পদার্থ নাকের অভ্যন্তরীণ পর্দায় উপস্থিত সংবেদী রোমের সংস্পর্শে আসলে নাকের ভেতরে সুড়সুড়ি লাগে। এই সংকেত মস্তিষ্কের হাচি কেন্দ্রে প্রেরিত হয়।
হাচি কেন্দ্র তখন ফুসফুস কে নির্দেশ দেয় প্রচুর বাতাস টেনে নিতে এই জন্য আমরা হাচি দেয়ার আগে বড় করে শ্বাস নেই। বাতাস টেনে নেয়ার পর ফুসফুস সব বাতাস তীব্রবেগে নাক ও মুখ দিয়ে বাইরে বের হয়ে আসে।
বাতাস বের হওয়ার সময় শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে বাধা পায় ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। শব্দ সহ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে আমরা হাচি বলি।সংক্ষেপে
হাঁচির সংজ্ঞা
নাকে সংবেদন সৃষ্টি হলে হঠাৎ করে প্রবল বেগে নাক এবং মুখ থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাতাসের নির্গমনই হলাে হাঁচি।
Wikipedia
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! হাঁচি](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/person-who-sneezes-infected-flu-260nw-291101879.jpg)
হাঁচি সম্পর্কে অবাক তথ্য
১। হাঁচির গতি
একটি হাচি দেবার সময় ঘন্টায় প্রায় ১০০ মাইল বেগে নাক দিয়ে বাতাস বেরিয়ে আসে। হাচির এই গতির কারণে নাক দিয়ে বেরিয়ে আসা তরল পদার্থ প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! হাঁচির গতি](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/হাঁচির-গতি-300x144.jpg)
২। হাঁচির মাধ্যমে জীবানু ছড়ায়
প্রায় ২০০০ থেকে ৫০০০ জীবাণুযুক্ত তরলপদার্থ নাক-মুখ দিয়ে হাচির মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যদি একজন অসুস্থ মানুষ হাচি দেয় তবে তার হাঁচির মাধ্যমে নিসৃত তরল কণাগুলি প্রায় ২০ লক্ষ বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম।
মানুষের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতার উপর এই ভাইরাস গুলোর আক্রমনের হার নির্ভর করে।
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! হাঁচির মাধ্যমে জীবানু ছড়ায়](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/3d-illustration-depicting-mechanism-allergy-260nw-1703740909-300x223.jpg)
৩।হাঁচি দিতে কত সময় লাগে?
একটি হাচি হওয়ার জন্যে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। চিন্তা করা যায়! এক সেকেন্ডে কিভাবে এত জটিল একটি কাজ সম্পন্ন হয়?
৪। হাঁচির চাপ
কোন মানুষ যদি নাক বন্ধ করে হাচি দেয় তাহলে 176mmHg বায়ু চাপের সমান চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিমাণ চাপ শ্রবণ শক্তি এবং চোখকে নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
- ৫। মস্তিষ্কের কোন রোগের জন্যেও অনবরত হাচি হতে পারে। সাধারণত মস্তিষ্কের মেডুলা অংশের কোন সমস্যা হলে অনবরত হাচি হয়। একধরণের মৃগীরোগের উপসর্গ হলো অনবরত হাঁচি হওয়া।
- ৬। শারীরিক মিলন শেষে হাচি হতে পারে। গবেষকেরা মনে করেন যে, আমাদের দেহে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র এধরণের হাচির জন্য দায়ী।
হাঁচি কেন হয়?
নাকের অভ্যন্তরে অবস্থিত চুল ঝাঁটার মত কাজ করে। আমরা যখন নাক দিয়ে বাতাস গ্রহন করি তখন নাকের চুলগুলি ধুলিকণা, ফুলের রেণু, ধাতব কণা ইত্যাদি পদার্থকে আটকে দেয় এবং সাথে ধরে রাখে।
নাকের চুল পার হয়ে যখন কোনো অস্বস্তিকর ধূলা, ফুলের রেণু, ঝালের গুড়া বা অন্য কোন উপাদান নাকের ভেতরে প্রবেশ করে তখন আমাদের হাচি হয়। ঝাঁঝাঁলো বা কড়া গন্ধ থেকেও হাঁচি হতে পারে।
আসলে আমাদের যেকোন বস্তুই যদি নাকের ভেতরে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি সৃষ্টি করতে পারে তবেই আমাদের হাঁচি হয়।
আলোর প্রভাবে হাঁচি হয়
উজ্জ্বল আলোতে গেলে কিছু মানুষের হাঁচি হয়। মানুষের চোখের আর নাকের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু পাশাপাশি অবস্থান করে। তাই উজ্জ্বল আলোতে চোখ উদ্দিপিত হলে নাকও উদ্দিপিত হয় এবং হাচি আসে।
সাধারণত ১৮% থেকে ৩৫% মানুষের হাঁচি হয় হটাৎ করে উজ্জ্বল আলোতে গেলে। বিজ্ঞানী উড বলেন, প্রতি ৩ জনে এক জনের হাচি হয় এই উজ্জ্বল সূর্যের আলোর জন্যে।
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! আলোর প্রভাবে হাঁচি হয়](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/warm-sun-rays-light-effects-260nw-672383116-300x215.jpg)
আলোর জন্যে হাচি দেয়াকে গ্রীক ভাষায় বলে “ফোটিক্স স্নীজইং”। এর অর্থ “আলোর জন্যে হাচি”। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো- “Autosomal Dominant Compelling Helio-Ophthalmic Outburst Syndrome”. যার বাংলা করলে দাঁড়ায়- “সূর্যালোকের জন্যে চোখের মূল স্নায়ুতে নিশ্চিত সুড়সুড়ির লক্ষণ”।
এখনে Helio অর্থ সূর্য আর Ophthalmic অর্থ চোখ। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক নামটাকে সহজে বলা এবং মনে রাখার জন্যে বিজ্ঞানী আর ডাক্তাররা একটি ছোট নাম ব্যবহার করেন। যা একো সিন্ড্রোম (ACHOO Syndrome) নামে পরিচিত।
অবশ্য আলোর সংবেদনশীলতা একটি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আর তাই এটা আরো একটি বিষয় আমাদের অভিভাবককে দোষ দেবার মতোন।
হাঁচি দেয়ার সময় কি ঘটে
হাঁচি দেয়ার সময় আমাদের শরিরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ধরণের আশ্চর্য ঘটনা ঘটে।যেমন-
১। হাঁচি দেয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যায়
হাঁচি দেয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যায় কেন? এটার সঠিক ব্যাখ্যা এখনো অজানা। আপনি হয়তো ভাবছেন হাঁচির বেগ ঘন্টায় ১২০ মাইল আর এই বেগে হাচি বের হওয়ার সময় চোখ খোলা থাকলে হয়তো চোখ কোটর থেকে বের হয়ে ছিটকে যাবে তাই হাচি দেয়ার সময় চোখ বন্ধ থাকে।
আপনি ঠিক ধরেছেন এমন ভুল ধারণা আপনার আগে অনেক বিজ্ঞানী করেছিল। আসলে ধারণাটি ভুল। আধুনিক গবেষণায় বলা হচ্ছে, হাচির নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র হলো মেডুলা অবলংগাটার একটি অংশ। নাকের ভেতরে উদ্দিপনা সৃষ্টিকারী বা সুড়সুড়ি দেয়ার মত কোন পদার্থ প্রবেশ করলে নাক থেকে এই সংকেত হাচি কেন্দ্রে প্রেরিত হয়।
মেডুলা অবলংগাটা থেকে উৎপন্ন কিছু স্নায়ু মুখের পেশির কাজ নিয়ন্ত্রন করে। হাচি দেয়ার পূর্ব মুহূর্তে মুখের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত পেশি ছাড়া বাঁকি সব পেশি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। চোখ যেহেতু নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে জড়িত নয় তাই চোখ বন্ধ হয়ে যায়। চোখের পাতা বন্ধ করতে কাজ করে ৬জোড়া চক্ষুপেশি।
হাচি দেয়ার সময় চোখ বন্ধ হওয়া একটি সংয়ক্রীয় প্রক্রিয়া। হাচির সময় সংঘটিত কতগুলো ধারাবাহিক জটিল কর্মপদ্ধতির একটি হলো চোখ বন্ধ করা।
অনেক বিজ্ঞানী আবার মতামত দিয়েছেন যে, হাচি দেয়ার সময় বাতাসে অনেক রোগ জীবানু ছড়িয়ে যায়। এই সব জীবানু যাতে চোখে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য চোখ সংয়ক্রীয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এটি এক ধরণের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা।
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! হাঁচি দেয়ার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যায়](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/young-man-holding-tissue-sneezing-260nw-606960875-300x215.jpg)
চোখ খুলে কি হাঁচি দেয়া সম্ভব?
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! চোখ খুলে কি হাঁচি দেয়া সম্ভব?](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/man-allergy-sneezes-covers-nose-260nw-1666861051-300x215.jpg)
এক কথায় উত্তর দিলে জবাব টি হবে হ্যাঁ! কেউ জোর করে চোখ খুলে হাঁচি দিতে পারবে। কারণ চোখের অনৈচ্ছিক পেশি হাচি কেন্দ্রের নির্দেশ মান্য করে বন্ধ হয় কিন্তু আপনি যদি চোখের ঐচ্ছিক পেশি গুলোকে নিয়ন্ত্রন করে চোখ খুলে রাখেন তাহলে সমস্যা কোথায় চোখ খোলা রেখে হাচি দিতে।
কি ভাবছেন? এবার থেকে চোখ খোলা রেখে হাচি দেবেন? তাহলে এই মতামত গুলো পড়ুন, হাচি দেয়ার সময় চোখ আপনাআপনি বন্ধ না হলে, ধরে নিতে হবে যে ক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হবার কথা তা স্বাভাবিকভাবে ঘটেনি।
এই ধরণের হাচি স্বাভাবিক না বরং অস্বাভাবিক হাচি। এমন হাচি যে ব্যক্তি দেয় তার মানসিক রোগী বলে সনাক্ত করা হয়। চোখ প্রায় খোলা রেখে ছোট-ছোট করে হাচি দেয়াটাকে বিজ্ঞানীরা মানসিক রোগের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
২। হাঁচি দেয়ার সময় পেশি শক্ত হয়
হাঁচি দেয়ার আগে নাক দিয়ে প্রচুর বাতাস একবারে ফুসফুসে প্রবেশ করে এটা বুকের মাংস পেশিকে শক্ত করেদেয়। ডায়াফ্রাম প্রথমে একস্ট্রিম পর্যায়ে সংকুচিত হয় তাই পেটের পেশি শক্ত হয়ে যায়।
হাত, পায়ের পেশি সংকুচিত হয়ে যায় এর ফলে আপনি যতই দৌড়ান না কেনো হাঁচি দেয়ার অবশ্যই থেমে যান।আমাদের দেহের অ্যাবডোমিনাল বা পেটের পেশি, বুকের পেশি, ডাইআফ্র্যাম বা বক্ষ-উদরের মধ্যে উপস্থিত পেশি, স্বরযন্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী পেশি এবং কণ্ঠের পেছনের পেশি একটি হাচি সম্পন্ন হতে সাহায্য করে থাকে।
৩।হাঁচি দিলে হৃদপিন্ড বন্ধ থাকে কি?
অনেককে বলে থাকে যে হাঁচি দেবার সময় হৃদপিন্ড বন্ধ থাকে। কিন্তু একথা মোটেও ঠিক নয়। বরং হাচির জন্য আমাদের বুকের ভেতরে যে বাতাসের চাপের পরিবর্তন হয় তার জন্যে আমাদের দেহে রক্তের পরিবহনের গতি বেড়ে যায়, যা কিনা আমাদের হৃদপিন্ডের ছন্দের পরিবর্তন করে থাকে।
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! হাঁচি দিলে হৃদপিন্ড বন্ধ থাকে কি?](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/human-heart-man-holds-his-260nw-532509823-300x215.jpg)
মস্তিষ্কের কোষের উপর হাঁচির প্রভাব
এ কথা শোনা যায় যে- হাঁচি দিলে ব্রেনের কোষ মারা যায়। এ সম্পর্কে বিশিষ্ট্য স্নায়ু বিজ্ঞানী ডাক্তার রিচার্ড কোললার বলেন যে, “একথা সত্য নয়”। তিনি বলেন যে, “হাচি দিলে আমাদের ব্রেনের খুলির মধ্যে কিছুটা চাপের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু এই চাপের পরিমান খুবই সামান্য এবং চাপটা এতোটাই হাল্কা যে এটি আমাদের ব্রেনের কোষকে ধংস করার মতো যথেষ্ট নয়। যারা কয়েকটি হাঁচি দিয়ে সহজেই কাবু হয়ে যায় তাদের ব্রেনে হাচির চাপ পড়ার জন্যে মাথাব্যথা হবার সম্ভাবনা থাকে”। হাচির জন্যে যে ব্রেন কোষ নষ্ট হয়ে যায়, এই ধারণাটা এসেছে ব্রেন স্ট্রোকের কাছ থেকে।
কারণ ব্রেন স্ট্রোকের জন্য ব্রেনে অনেক চাপ পড়ে এবং ব্রেন কোষ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু হাঁচি দেবার জন্যে ব্রেনে খুবই সামান্য চাপ সৃষ্টি হয় যা ব্রেন কোষকে নষ্ট করতে পারে না, বরং হাঁচির জন্য অল্প সময়ের জন্যে খুব সামান্য মাথাব্যথা হতে পারে।
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! হাঁচি থামানোর উপায়](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/anatomy-illustration-showing-nasal-cavity-260nw-185811236.jpg)
টানা হাঁচি থেকে মুক্তির উপায়
হাচি দেয়া ভালো তবে অনবরত হাচি আসলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বারবার বিরতিহীন হাচি আসতে থাকলে তা বন্ধ করার চেষ্টা করা উচিৎ। বিরক্তিকর হাঁচি বন্ধ করার জন্য নিচের কাজ গুলো করুন…. ঘন ঘন হাঁচি হলে করণীয়
Total Time: 5 minutes
১। নাক চেপে ধরা
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! নাক চেপে ধরুন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/নাক-চেপে-ধরুন-300x199.jpg)
নাকের ডগা চেপে ধরুন এবং টেনে প্রসারিত করুন। তবে যেন সেটা ব্যথাদায়ক না হয়। এভাবে নাকের তরুণাস্থি প্রসারিত করলে হাচি থামবে।
২। নাক ঝাড়ুন
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! নাক ঝাড়ুন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/নাক-ঝারুন-300x200.jpg)
যখন আপনার মনে হবে যে হাচি আসছে তখন রুমান বা টিস্যু নিয়ে নাক ঝাড়ুন। এটা প্রথমেই আপনার সাইনাস্কে পরিষ্কার করে দিবে যা কিনা হাচির কারণ হতে পারে।
৩। উপরের ঠোঁটে হাল্কা চিমটি দিন
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! উপরের ঠোঁটে হাল্কা চিমটি দিন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/উপরের-ঠোটে-চাপ-দিন-300x200.jpg)
বৃদ্ধা এবং তর্জনী আঙুল দিয়ে উপরের ঠোঁটে চিমটি দিয়ে উপরে নাকের দিকে টানুন।
৪।জ্বিহবা ব্যবহার করুন
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! জ্বিহবা ব্যবহার করুন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/জিহ্বা-চেপে-ধরুন-300x200.jpg)
জ্বিহবা দিয়ে উপরের পাটির মাঝ বরাবর দুটি দাঁতের পেছনের দিকে চাপ দিন। জোরে চাপ দিন যাতে করে মুখের ভেতরে চোয়ালের উপরেও চাপ পড়ে এবং এতে করে আপনার নাকের ভেতরে চুলকানো বন্ধ হয়ে যাবে।
৫। ঝুঁকে অপেক্ষা করুন
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! ঝুঁকে অপেক্ষা করুন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/জিহ্বা-বের-করুন-300x200.jpg)
ঘরে টেবিলের কাছে যেয়ে ঝুঁকে যান এবং টেবিলের ১ ইঞ্চি বা ২•৫ সেন্টিমিটার উপরে মাথা এনে জ্বিহবা বের করুন। হাচি আসা স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে। এটা ৫-৭ সেকেন্ড সময় নেবে।
৬। কাতুকুতু দিন
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! কাতুকুতু দিন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/কাতুকুতু-দিন-300x200.jpg)
যখন আপনার হাচি আসছে তখন জ্বিহবার অগ্রভাগ দিয়ে মুখের ভেতরে উপরের দিকে তালুতে কাতুকুতু দিন। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার হাচি দেবার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে, এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে থাকুন। এটা ৫-১০ সেকেন্ড সময় দেবে।
৭। দুই ভ্রুর মাঝে ধরুন
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! দুই ভ্রুর মাঝে ধরুন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/ভ্রুরুর-মাঝখানে-চাপ-300x200.jpg)
এটা এমন একটা স্থান যেখানে চাপ সৃষ্টি করলে যেমন মাথাব্যথা কমে তার সাথে আবার হাচি হবার সম্ভাবনাও কমে যায়।
৮। কানে হাল্কা চাপ দিন
![হাঁচি কেন হয়? হাঁচির ভালো মন্দ! কানে হাল্কা চাপ দিন](https://kotokisuojana.com/wp-content/uploads/2020/11/কান-চেপে-ধরুন-264x300.jpg)
আপনার যদি মনে হয় যে হাচি আসছে তবে কানে লতি হাত দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়ান। অনেক মানুষের সামনে হাচি থামাতে বা আড়াল করতে, এটা মনে হতে পারে যে আপনি আপনার কান নিয়ে খেলছেন।
Estimated Cost: 2 USD
Supply:
- Hand
Tools:
- Tongue
Materials: Feather
হাচির মন্দ দিক
রোগ জীবাণু ছড়ানোই হচ্ছে হাচির মন্দ দিক। তাছাড়া নাক-মুখ ধরে হাচি জোর করে ঠেকাতে গেলে মন্দ দিকটা ভাল মতো টের পাওয়া যায়।
তাই হাচি একটা হোক কিংবা দশটা হোক ঠেকিয়ে রাখার চেয়ে দিয়ে দেয়া ভাল। হাচির সব মন্দ দিকগুলি একনজরে দেখা যাক।
- ১। ঘাড়ের বা কোমরের জয়েন্টে ব্যথা থাকলে হাচির কারণে টান লেগে তা বাড়তে পারে। অবশ্য দাঁড়িয়ে হাঁচি দিলে এই টানটা বেশি লাগে। তাই বসে হাচি দিন।
- ২। চোখের সাদা অংশের রক্তনালী ছিড়ে যেতে পারে। ফলে চোখের সাদা অংশে দাগ হতে পারে।
- ৩। কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। অনেক সময় শ্রবণশক্তি কমে যায়। কান দিয়ে গরম বাতাস বের হতে পারে, কান গরম হয়ে যায়।
হাচির ভাল দিক
হাচি আপনার দেহকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করে। কারণ, এর মাধ্যমে আমাদের দেহ থেকে বিভিন্ন জীবাণু বের হয়ে যায়। সব ধরণের একটা বা কাঁপুনি, কাশি, হেঁচকি ওঠা আর হাই তোলার মতো হাচি-ও ইছানিরপেক্ষ ক্রিয়া। কিন্তু এদের মধ্যে ..
হাচি আমাদের দেহের জন্য উত্তম।
- ১। নাকে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস হাচির মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায়।
- ২।হাঁচির ফলে আমাদের নাকের ভেতরের ময়লা এবং জীবাণু বের হয়ে নাক পরিষ্কার হয়ে যায় এবং আমরা নিঃশ্বাস নিতে আরাম বোধ করি।
- ৩। আমাদের দেহের ভেতরে বিভিন্ন জীবণু, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য উপাদান যেমন মশা, মাছি বা অন্যান্য পোকা-মাকড়ের প্রবেশকে প্রতিরোধ করে হাচি।
- ৪। আবার হাচির ফলে আমাদের ব্রেন বেশ সক্রিয় হয় এবং
- ৫। আলস্য দূর হয়ে দেহ বেশ ঝরঝরা হয়ে যায়।
হাচি আটকালে বিপদ
স্বাভাবিক হাচি আসলে আটকানোর চেষ্টা করবেন না। হাচি জোর করে আটকালে হার্ট এটাক পর্যন্ত হতে পারে। অনেক সময় পেশির বৈকল্য দেখা দিতে পারে। ডায়াফ্রাম পেশির কাজ জোর করে বন্ধ করলে হাচির পরিবর্তে হেঁচকি উঠতে পারে।
Hachi ki? Hachi keno hoy?
Sneeze ki? sneeze keno hoy? fact about hachi, hachi debar somoy chokh bondho hoy? Hachi atkale bipod, brain er upor hachir provab, hachir valo dik, hachir mondo dik? hachi atkanor upay,
Please Click On Just One Add To Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।
All photo credit Goes to sutterstock.com and getty image