হৃদপিন্ডের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম কেন?
এই কথা বেশ পরিচিত যে ক্যান্সার হলে এন্সার নেই। বেশিরভাগ ক্যান্সার শেষ পর্যন্ত মৃত্যু ডেকে আনে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ক্যান্সার নামক মরন ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় হার্ট বা হৃদপিন্ডের ক্যান্সার কম হয়। কিন্তু হার্টের প্রতি এই পার্সিয়ালিটি কেন?
আপনি আরো পড়তে পারেন… নিজ পরিবারের রক্ত নিলে মৃত্যু হতে পারে!!!
তিল বা আঁচিল কেন হয়? আঁচিল কি শরীরের জন্যে ক্ষতিকর?
হার্টের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম?
হৃদস্পন্দন বজায় রেখে আমাদের জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব কাঁধে রয়েছে বলেই কি অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে হৃদপিন্ডের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম?
মোটেই না। এর আসল কারণটা লুকিয়ে রয়েছে হৃদপিন্ডের একটি বিশেষ কোষ, কার্ডিওমায়োসাইটের মধ্যে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক, কোষ বিভাজন বা সেল সাইকেল কাকে বলে।
সেল সাইকেল কি?
জন্মের সময় মায়ের কোলে থাকা ছোট্ট বাচ্চাটা কিভাবে বড় হয়ে যায় ভাবতে গেলেই যে জিনিসটি সবার আগে বিবেচ্য তা হলো কোষ বিভাজন বা সেল ডিভিশন। সেল ডিভিশনের মাধ্যমে একটা কোষ থেকে দুটো, দুটো থাকে চারটে, চারটে থেকে আটটা এইরকম সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সেই কারণেই ছোট্ট শিশুটির চেহারা ও প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি হয়।
এই যে কোষ বিভাজন, এটা কিন্তু নেহাত ফেলনা ঘটনা নয়। রীতিমতো কড়া সার্ভিলেন্সে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এতটুকু এদিক ওদিক হবার যো নেই। ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করে বলা যাক। মনে করুন, আপনি এয়ারপোর্টে গিয়েছেন। আর যদি নাও বা গিয়ে থাকেন, কুছ পরোয়া নেই। আমি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
প্রথমে যেতেই এয়ারপোর্টের গেটে আপনার পরিচয় প্রমান করতে হবে বিভিন্ন ফটো আই-ডি প্রুফের মাধ্যমে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তবে আপনার ভিতরে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। এইবার আপনার লাগেজ ভেরিফিকেশনের পালা। সেটাও যদি ঠিক থাকে অর্থাৎ ওজন কত বা আপনি কিছু নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে যাচ্ছেন কিনা তা যাচাই করার পর আপনার দ্বিতীয় ধাপ সম্পূর্ণ হবে।
এইবার সব শেষে সিকিউরিটি চেকইন অর্থাৎ আপনি নিজের সাথে কিছু বেআইনি জিনিসপত্র রেখেছেন কিনা তা পরখ করার সময়। এই সমস্ত ধাপ যদি আপনি নিয়মমাফিক ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলেই প্লেনে চড়ার অনুমতি মিলবে নচেৎ নয়। কোষ বিভাজন ব্যাপারটাও একদম তাই।

কোষ বিভাজনের চারটি ধাপ। প্রথম ধাপ হলো কোষের মধ্যে থাকা DNA এর প্রতিলিপিকরণ বা রেপ্লিকেশনের জন্য প্রস্তুতিপর্ব। একে বলে G1 ফেস। অর্থাৎ রান্না করার আগে বাজার করার পর্ব আর কি। এরপর হলো আসল রান্নার পর্ব অর্থাৎ DNA রেপ্লিকেশন ফেস। একে বলে S ফেস। এই সময় একটি DNA থেকে দুটি নতুন DNA তৈরি হয়। এর পরবর্তী হলো G2 ফেস, যা কোষটির নিউক্লিয়াসের সামগ্রিক বিভাজনের প্রস্তুতি পর্ব। আর সবশেষ হলো M ফেস বা মাইটোটিক ফেস যখন কোষের নিউক্লিয়াসটি সম্পূর্ণ ভাবে বিভাজিত হয়ে দুটি নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি হয়।
ব্যাস, বাকি পরে রইল সাইটোপ্লাসম। শেষে তাও বিভাজিত হয়ে দুটো নতুন কোষ তৈরি হয়ে গেলে। এই যে G1, S, G2 এবং M চারটে ফেসের কথা বললাম, এই প্রতিটা ফেসের শেষে মোতায়েন করা রয়েছে এক একজন কড়া প্রহরী, ঠিক এয়ারপোর্টের মতো। এদেরকে বলা হয় চেক পয়েন্ট। তাদের প্রত্যেকের কাজ হল, প্রতিটা সেল সঠিকভাবে সমস্ত নিয়ম মেনে এই ধাপগুলো সম্পূর্ণ করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা।
DNA রেপ্লিকেশনের সময় আমাদের মতো সেলও কিন্তু careless mistake করতেই থাকে। কিন্তু তার জন্য রয়েছে খুব দক্ষ প্রুফ রিডিং সিস্টেম যা সেলের মধ্যে থাকা ভুল নিমেষে সংশোধন করে দেয়। কিন্তু তাও যদি ভুল থেকে যায়? অথবা এই যে এত দূষণ, এত ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ অথবা বিভিন্ন কেমিক্যালের কুপ্রভাবে যদি সেল নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে উপায়?
তাহলে কি সেই খারাপ সেল থেকেই জন্ম নেবে আরো দুটো খারাপ সেল? একদমই না। ওই যে চারজন প্রহরী আছে, তারা তখন ফিল্ডে নেমে পড়বে এবং বাজে সেল গুলো আর যখন সংশোধনের জায়গাতেই থাকবে না তখন তাকে ফাঁসির আসামিদের মতো মেরে ফেলা হবে। একে বলা হয় না নেক্রোসিস।
আর যদি বার্ধক্যজনিত কারণে সেলটির মৃত্যু ঘটে তখন বলা হয় এপোপটসিস (appoptosis)। মানে ওই স্বাভাবিক মৃত্যু আর অপঘাতে মৃত্যুর মতো ব্যাপারটা। কিন্তু কোনো কারণে যদি সেল এর ওই সিকিউরিটি সিস্টেমটা কাজ না করে তখনই হয়ে যায় বিপদ। আজেবাজে সমস্ত সেল G1, S, G2 সমস্ত ফেস পার করে বিভাজিত হয়ে আরো দুটো খারাপ সেল এর জন্ম দেয়। আর এই অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনই হলো টিউমার এবং ক্যান্সারের প্রধান কারণ।

তাহলে, বুঝতে পারলেন তো সেল সাইকেল আমাদের জীবনে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। পরেরবার থেকে মনখারাপ হলে, আপনার শরীরের এই লক্ষ কোটি সেলের কথা একবার মনে করবেন। ভাবুন তো, আপনাকে সুস্থ রাখার জন্য তারা অনবরত কত পরিশ্রম করছে।
হৃদপিন্ডের ক্যান্সার কেন হয় না?
এইবার ফিরে আসি মূল প্রশ্নে। আমাদের হৃদপিন্ডের সেল কার্ডিওমায়োসাইট খুব তাড়াতাড়ি টার্মিনালি ডিফারেনশিএটেড হয়ে যায়। অর্থাৎ অন্যান্য অঙ্গের সেলদের মতো এরা আর বিভাজিত হতে পারে না। সাইজে বৃদ্ধি পেলেও সাধারণত এদের সংখ্যা আর বৃদ্ধি পায় না, কিছু ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া। এবং এই ফেসকে বলা হয় G0 ফেস।
আর যেহেতু সেল সাইকেল নেই তাই চেকপয়েন্টও নেই। চেকপয়েনটের সমস্যাও নেই আর ক্যান্সারও নো চান্স। মানে এয়ারপোর্টও নেই, সিকিউরিটিও নেই, প্লেনও নেই আর প্লেন ক্র্যাশের সম্ভাবনাও নেই। এই কারণেই অন্যান্য অঙ্গে ক্যান্সার হলেও হৃদপিন্ডের ক্যান্সার খুবই বিরল।

Pacemaker santo
লেখাটি ভালো লাগলে আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুণ।জ্ঞান বিতরণে সাহায্য করুন। আপনি ভালো লিখতে পারলে এই ওয়েবসাইট এ লেখা পাঠান।লেখা মনোনীত হলে পুরস্কার পাবেন।
আপনার মাথায় উদ্ভট কোন প্রশ্ন ঘুরছে কিন্তু উত্তর পাচ্ছেন না। তাহলে দেরি না করে এই পোস্টের নিচে কমেন্ট বক্সে প্রশ্ন টি লিখুন।উত্তর পাবেন নিশ্চিত।
All photo credit Goes to sutterstock.com
where to buy viagra https://viagrapills100.com/ viagra without a doctor prescription
cost of viagra https://viagrapills100.com/ price of viagra
how much is viagra https://viagrapills100.com/ cost of viagra
paxil sleep paxil hair loss
order zithromax without prescription can you buy zithromax online
cheap viagra online where can i buy viagra over the counter
buy generic 100mg viagra online
buy viagra online canada over the counter viagra
cost of viagra
viagra over the counter walmart viagra without a doctor prescription
viagra 100mg price
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?
generic pills for ed generic drugs without doctor’s prescription
india pharmacy drugs: https://genericwdp.com/ generic drugs without doctor’s prescription
medications without a doctor’s prescription trusted india online pharmacies
generic tadalafil 40 mg: http://tadalafilonline20.com/ tadalafil gel