অপ্রয়োজনীয় চুল দূর করুন!শরীরের লোম তুলবেন কিভাবে!
অপ্রয়োজনীয় চুল বা অবাঞ্ছিত লোম
ত্বকের রোমকূপে চুল তো থাকেই, কিন্তু এর রং ত্বকের রং-এর মতই হয়। তাই দূর থেকে দেখা যায় না। দ্বিতীয়ত, এই সব চুল খুবই পাতলা এবং ছোট হয়।কিন্তু বেশ কিছু যুবতীর ঠোঁঠ, থুতনী, হাত এবং পায়েও বড়-বড় চুল হয়। এদের অনাবশ্যক চুল বলে।
এটা খুবই ধীরে-ধীরে বাড়ে। এইসব কালো রং-য়ের চুল দূর থেকেও খুবই কুৎসিত দেখায়। এতে মুখের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে পড়ে এবং সেই যুবতী এক প্রকারের হীনমন্যতার শিকার হয়ে পড়ে। সুতরাং, এই জিনিষের চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু এতে খুবই ধৈর্যের প্রয়োজন।

আপনি আরও পড়তে পারেন ………… ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক কিভাবে করবেন!
অপ্রয়োজনীয় লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়
অনাবশ্যক চুলকে তিন ভাবে দূর করা যায়।

১। ওয়াক্সিং এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় লোম দূর করা
এটা অনাবশ্যক চুল সরানোর সর্বোত্তম উপায়। এর প্রভাব অনেকদিন পর্যত্য থাকে। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর পর ওয়াক্সিং করাতে হয়। কারো চুল দেরীতে গজায়, কারও তাড়াতাড়ি। সেইমত অয়াক্সিং করাতে হয়। ওয়াক্সিং করানোর পর ত্বক খুবই কোমল হয়ে পড়ে। এই কোমল ভাব বেশ কয়েক সপ্তাহ থাকে।
ওয়াক্সিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী
ওয়াক্সিং এর উপকরণ | ওয়্যাক্স, তুলো,ট্যাল্কম পাউডার,এস্ট্রিজেন্ট,কটন স্ট্রিক্স,পাতলা লোহার পাত,কোল্ড ক্রীম। |
কোল্ড ওয়াক্সিং এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় লোম দূর করা
এই জিনিষটা স্টিকের আকারে পাওয়া যায়। এটা হল চিনি, জল, লেবুর রস আর গ্লিসারিনের মিশ্রণ। যদি ওয়্যাক্সের পাতলা পরত না লাগে, তাহলে হয় ওটাকে গরম করে নিন অথবা গরম জল ওয়্যাক্সের পাত্রে ঢেলে ওটাকে গলিয়ে নিন।এই উপায়ে একটু ব্যথা তো হয়, কিন্তু চুল গোড়া থেকে উপড়ে আসে আর পুনরায় গজাতে অনেক সময় নেয়। শীতকালে ওয়্যাক্সকে গরম জলে রেখে পাতলা করে নিতে হয়। আবার গরমের দিনে শিশিকে ফ্রিজে বা বরফের পাত্রে রেখে একটু গাঢ় করে নিতে হয়।
কোল্ড ওয়াক্সিং করার পদ্ধতি
তুলোকে এস্ট্রিজেন্টে ভিজিয়ে যেখানে চুল গজিয়েছে, সেই জায়গাটা পরিষ্কার করে নিন। এতে ত্বক পরিষ্কার হবে, ইনফেকশনও হবে না।অন্য একটা তুলো করে ট্যালকম পাউডার ঐ জায়গাটায় লাগান, এতে ত্বকের তেলতেলে ভাবটা সরে যাবে এবং ওয়্যাক্স থেকে ত্বকের রক্ষাও হবে।
লোহার ছুরী দিয়ে চুল গজাবার দিকে পাতলা করে ওয়্যাক্স ছড়িয়ে দিন। ওর ওপর সুতী কাপড় রেখে ওপর থেকে একটু চাপ দিন, এতে ওয়্যাক্স ছড়িয়ে পরবে। কাপড়ের নীচের অংশটা এক হাত দিয়ে ধরে অন্য হাত দিয়ে চুলের বিপরীত দিকে ওটাকে টেনে দিন।
চুল গোড়া সমেত কাপড়ের সঙ্গে উঠে আসবে।যদি কোন চুল তখনও থেকে গিয়ে যাকে, তাহলে ঐ জায়গায় একটু ওয়্যাক্স লাগিয়ে ওদেরও উপড়ে ফেলুন। ওয়্যাক্সিং-এর পর ঐ জায়গাটা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে নিন বা এস্ট্রিজেন্ট কোল্ড ক্রীম লাগান। অয়াক্সিং একটু-একটু জায়গা নিয়ে করা উচিত, নয়তো চুল থেকে যাবে এবং ব্যথাও বেশী হবে।
গরম ওয়াক্সিং এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় লোম দূর করা
একটু জায়গার অনাবশ্যক চুল হাটাবার জন্য এটা ব্যবহার করা হয়। এটা নিজের হাতে লাগাবেন না। কোন সোন্দর্য- বিশেষজ্ঞের অভ্যস্ত হাত দিয়েই লাগান। এই জিনিষটা হাতে-পায়ে ব্যবহার করা হয়। info
স্থায়ীভাবে মুখের লোম দূর করার উপায়
২। ব্লিচিং এর মাধ্যমে মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা

মুখের চুল ওয়্যাক্সিং করা খুবই মুশ্কিল হয়ে পড়ে। মুখে ওয়্যাক্সিং ভুলেও করতে যাবেন না। এত চুলকে ত্বকের রং-এর মত বা রংহীন করে তোলাটা আবশ্যক। এতে চুল হালকা ব্রাউন হয়ে পড়ে। ত্বকের রংও পরিষ্কার দেখা যায়। এতে হাল্কা জ্বলুনি হয়, কিন্তু ওয়্যাক্সিং করলে যেমন ব্যথা হয়, তেমন হয় না।
ব্লিচিং এর সামগ্রী
- ব্লিচিং পাউডার,
- হাইড্রোজেন প্যারোক্সাইড,
- তরল এ্যামোনিয়া,
- ট্যাঙ্কম পাউডার,তুলো,
- ব্রাশ,
- মগ,
- তোয়ালে,
- কোল্ড ক্রীম,
- মাথায় বাঁধার স্কার্ফ
ব্লিচিং করার পদ্ধতি
দু চামচ ব্লিচিং পাউডার নিয়ে এক চামচ হাইড্রোজেন প্যারোক্সাইড, ৩-৪ ফোঁটা এ্যামোনিয়া মিশিয়ে পেষ্ট বানান । সুগন্ধের জন্য একটু পাউডারও ঢেলে দিন। মাথায় স্কার্ফ বেঁধে নিন, নয়তো মাথার চুলও বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। ব্লিচিং ভ্রু, ঠোঁঠ আর চোখ বাদ দিয়ে বাকী মুখে লাগান।
বরফে তুলো ভিজিয়ে চোখের ওপর রাখুন, নয়তো চোখে জল চলে আসবে। ১৫- ২০ মিনিট পর পেষ্টকে ধুয়ে ফেলুন, তারপর গোটা মুখে কোল্ড ক্রীম মালিশ করুন। এতে ত্বক কোমল হবে।ব্রণযুক্ত মুখে ব্লিচিং করবেন না। জ্বলুনি হতে শুরু করলেই মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। কোন সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞাকে দিয়ে ব্লিচিং করালেই ভাল হয়।অবশ্য সব কিছু ভাল করে জানার পর আপনি নিজেও করতে পারবেন।
স্থায়ীভাবে লোম দূর করার উপায়
৩। ইলেক্ট্রোলাইসিস এর মাধ্যমে চিরতরে লোম দূর করা
অনাবশ্যক চুলের হাত থেকে স্হায়ী রূপে মুক্তি পাবার উপায় হচ্ছে এটা। এতে ডায়াথার মিনিডিল চুলের গোড়ায় পৌঁছিয়ে চুলের গোড়াকে দুর্বল করে তুলে একটা-একটা করে চুল উপড়ে ফেলা হয়। এটায় খরচ অনেক এবং সময় সাপেক্ষও বটে। এই জিনিষ সব জায়গায় হয়ও না। এই জিনিষ কোন যোগ্য লোকের হাত দিয়েই করানো উচিত, নয়তো ক্ষতি হতে পারে। অর্থাৎ আবার চুল গজাতে পারে, যার আর কোন চিকিৎসা থাকবে না।
Please click on one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।