করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা|সঠিক তথ্য জানুন#

করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা|সঠিক তথ্য জানুন#

করোনাভাইরাস মহামারির এই সময়ে মানুষ আতঙ্কিত পরিবেশে বসবাস করছে। সবাই অজানা বিপদের আশংকায় ভয়ে জড়সড় হয়ে দিনাতিপাত করছে। প্রতিদিন ভাবে এই বুঝি আক্রান্ত হয়ে জীবনটা গেলো।

ভাইরাসটি নতুন হওয়ার জন্য আমরা কেউ এর সাথে পরিচিতি নই, তাই এই ভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পরেছে। গুজবে কান দিয়ে অনেকে মৃত লাশ পর্যন্ত কবর দিতে বাধা দিচ্ছে। সঠিক তথ্য জানা থাকলে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

তাই আসুন আজ জানাযাক করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সমূহ কি এবং এর সঠিক ব্যাখ্যা কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

কোভিড-১৯ ভ্রান্ত ধারণা।

আপনি আরো পড়তে পারেন…. বাড়িতে স্যানিটাইজার তৈরির নিয়ম

করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা|সঠিক তথ্য জানুন#
করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

প্রশ্ন ও উত্তরের মাধ্যমে আলোচনা করলে করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা খুব ভালো বুঝতে পারবেন।

গৃহপালিত প্রাণী কি করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে?

গৃহপালিত প্রাণী কি করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে?

ঘরের পােষা প্রাণী (যেমন- বিড়াল/কুকুর ইত্যাদি) নভেল করােনাভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয় এমন কোন প্রমাণ এখনাে পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তবে পােষা প্রাণীর সংস্পর্শে আসার পর সব সময় সাবান-পানি দিয়ে হাত ধােওয়া উত্তম।
এই অভ্যাসের সুবাদে পােষা প্রাণী থেকে মানবদেহে রােগ ছড়ায় এমন সব ব্যাকটেরিয়া, যেমন- ই-কোলাই, সালমােনেলা ইত্যাদি থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

শুধু কি বয়স্করাই করোনায় আক্রান্ত হবে, নাকি তরুণরাও ঝুঁকিতে?

যেকোন বয়সি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে।

যে কোন বয়সের ব্যক্তি নভেল করােনা ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হতে পারে।
বয়স্ক এবং যাদের আগে থেকে কোন অসুস্থতা (যেমন- অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হৃদরােগ)আছে, এমন ব্যক্তি করােনা ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হলে, তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব বয়সী মানুষকে ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা (যেমন-স্পর্শ স্বাস্থ্যবিধি, শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্যবিধি) মেনে চলতে পরামর্শ দিচ্ছে।

অ্যান্টিবায়োটিক কি করােনা ভাইরাস এর চিকিৎসা বা প্রতিরােধে কার্যকরী?

অ্যান্টিবায়োটিক কি করােনা ভাইরাস এর চিকিৎসা বা প্রতিরােধে কার্যকরী?

না, অ্যান্টিবায়ােটিক ভাইরাস-এর বিরুদ্ধে নয়, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী।
করােনা ভাইরাস এক ধরণের ভাইরাস বিধায় এর চিকিৎসা বা প্রতিরােধে অ্যান্টিবায়ােটিকের ব্যবহার করা উচিৎ নয়।

তবে, যদি কেউ নভেল করােনা ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তিনি ব্যাকটেরিয়া থেকে সহ-সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়ােটিক পেতে পারেন।

করােনা ভাইরাস এর চিকিৎসা বা প্রতিরােধে কোন ঔষধ আছে কি?

না, এখনাে পর্যন্ত নভেল করােনা ভাইরাস এর চিকিৎসা বা প্রতিরােধে কার্যকরী নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই।
কিন্তু, আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ উপশমের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত সহায়ক স্বাস্থ্য সেবা (সাপাের্টিভ কেয়ার) দিতে হবে।
সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা পরীক্ষাধীন, যা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তার সহযােগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এ সংক্রান্ত গবেষণা ত্বরান্বিত করার জন্য সহযােগিতা করছে।

চীন থেকে আসা কোন চিঠি বা পার্সেল গ্রহণ করা কি নিরাপদ?

হাঁ, নিরাপদ। ইতিমধ্যে পাওয়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা জানি যে মানবদেহের বাইরে এই করােনাভাইরাস বেশিক্ষণ বাঁচে না।
সুতরাং চীন থেকে আসা কোন চিঠি বা পার্সেল যদি কেউ গ্রহণ করেন তবে তিনি করােনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বেন না।

করােনাভাইরাস প্রতিরােধে নিউমােনিয়া ভ্যাকসিন কোন ভূমিকা রয়েছে কি?

না, করােনাভাইরাস জনিত নিউমােনিয়া প্রতিরােধে এটি কার্যকরী নয়। করােনাভাইরাস সম্পূর্ণ নতুন ধরণের ভাইরাস হওয়ায় এর জন্য আলাদা ভ্যাকসিন প্রয়ােজন হবে।
বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় গবেষকরা এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন।

রসুন খাওয়া কি করােনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরােধে কাজ করবে?

রসুন করোনা প্রতিরোধ করে না

করােনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রসুন কার্যকর- এমন কোন প্রমাণ এখনাে পাওয়া যায়নি।
তবে, রসুন একটি উপকারি খাবার, যার কিছু জীবাণুনাশক গুণাগুণ থাকতে পারে।

তিলের তেল মাখলে কি শরীরে করােনাভাইরাস প্রবেশ করবে না?

মাউথ ওয়াস দিয়ে গার্গল করোনা প্রতিরোধ করেনা

তিলের তেল করােনাভাইরাস কে ধ্বংস করে না। কিছু রাসায়নিক জীবাণুনাশক যেমন- ব্লিচ। ক্লোরিন-ভিত্তিক জীবাণুনাশক, ইথার দ্রবণ,৭৫% ইথানল, প্যারাসেটিক অ্যাসিড, ক্লোরােফর্ম ইত্যাদি কোন বস্তুর উপরিভাগ থেকে করােনাভাইরাস কে মেরে ফেলতে সক্ষম। এটি করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা।

মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গল করলে কি করােনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে?

মাউথ ওয়াস দিয়ে গার্গল করোনা প্রতিরোধ করেনা

মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে করােনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে এমন প্রমাণ এখনও পওয়া যায়নি।কোন কোন মাউথওয়াশ হয়ত কিছুক্ষণের জন্য আপনার লালায় থাকা অন্যান্য জীবাণুকে মেরে ফেলতে সক্ষম।
কিন্তু তার ফলে যে করােনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে তার নিশ্চয়তা নেই।

স্যালাইন দিয়ে নিয়মিত নাক পরিষ্কার করে কি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরােধ করা সব?

স্যালাইন দিয়ে নিয়মিত নাক পরিষ্কার করলে করােনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব এমন কোন নিশ্চিত প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
দেখা গেছে, স্যালাইন দিয়ে নিয়মিত নাক পরিষ্কার করলে সাধারণ ঠাণ্ডা থেকে দ্রুত উপশম হয়। কিন্তু এর ফলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরােধ হয় তা জানা যায়নি।

হ্যান্ড ড্রায়ার কি নতুন করােনাভাইরাস ধ্বংসকার্যকরী?

না, ‘হ্যান্ড ড্রায়ার নতুন করােনাভাইরাস ধ্বংসে কার্যকরী নয়। নিজের সুরক্ষার জন্য আপনি দুই হাত বারে বারে সাবান-পানি দিয়ে বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করুন।হাত পরিষ্কারের পর টিস্যু। পরিষ্কার কাপড়। উষ্ণ এয়ার ড্রায়ার দিয়ে হাত ভালভাবে মুছে শুকিয়ে ফেলুন।

আল্ট্রা-ভায়ােলেট জীবাণুনাশক ল্যাম্প কি নতুন করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে?

আল্ট্রা-ভায়ােলেট জীবাণুনাশক ল্যাম্প কি নতুন করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে পারে?

হাত বা শরীরের অন্য কোন অংশ জীবাণুমুক্ত করার জন্য আন্ট্রাভায়ােলেট ল্যাম্প ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
আল্ট্রা-ভায়ােলেট ল্যাম্পের ব্যবহারে ত্বকে সমস্যা তৈরী হতে পারে।

করােনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্তকরণে থার্মাল স্ক্যানার কতটুকু কার্যকরী?

থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়।করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ২-১৪ দিনের মাঝে অসুস্থতাজনিত উপসর্গ (যেমন- জ্বর, কাশি ইত্যাদি) দেখা যায়।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে যদি কারাে জ্বর আসে, তবেই থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে ঐ জ্বরাক্রান্ত ব্যক্তিকে সনাক্ত করা যায়। আক্রান্ত কিন্তু জ্বরের উপসর্গ নেই, এমন ব্যক্তিকে এক্ষেত্রে সনাক্ত করা সম্ভব নয়।

সারা গায়ে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন ছিটিয়ে কি নতুন করোনাভাইরাস মেরে ফেলা সম্ভব?

না, করােনাভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন সারা গায়ে ছিটিয়ে করােনাভাইরাস মেরে ফেলা সম্ভব নয়।
অ্যালকোহল বা ক্লোরিন জীবাণুনাশক হলেও যথােপযুক্ত নির্দেশনা ছাড়া এগুলাে
ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এ সকল পদার্থ চোখ-মুখ ইত্যাদিসহ কাপড়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ সকল জীবাণুনাশক ব্যবহারে সতর্ক হউন।

ঠান্ডা আবহাওয়া ও তুষারপাত করােনাভাইরাস-কে ধ্বংস করতে পারে কি?

তুষার বা ঠাণ্ডা করোনা ভাইরাসকে মারতে পারেনা

ঠান্ডা আবহাওয়া ও তুষারপাত করােনাভাইরাস-কে ধ্বংস করতে পারে এ কথা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। বাইরের আবহাওয়া বা তাপমাত্রা যেমনই হােক না কেন, মানবদেহের তাপমাত্রা ৩৬.৫৩ ও ৩৭° সেন্টিগ্রেড এর কাছাকাছি থাকে। এটিও করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

গরম পানি দিয়ে গােসল করােনাভাইরাস-কে প্রতিরােধ করতে পারে কি?

গােসলের পনির তাপমাত্রা যেমনই হােক না কেন, মানবদেহের তাপমাত্রা ৩৬.৫° ও ৩৭° সেন্টিগ্রেড এর কাছাকাছি থাকে। এটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারেনা।
অত্যন্ত গরম পানি দিয়ে গােসল করলে বরঞ্চ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এই ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল ঘন ঘন দুই হাত পরিষ্কার করা। এর ফলে অপরিষ্কার হাত জীবাণুমুক্ত হয় ও অপরিষ্কার হাতে নাক-চোখ-মুখ স্পর্শের কারণে যে সকল সংক্রমণ হয়, তা প্রতিরােধ করা যায়।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশে প্রস্তুতকৃত দ্রব্য সামগ্রী থেকে করােনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয় কি?

যদিও নােভেল করােনা ভাইরাস যে কোন পৃষ্ঠের উপরিভাগে পৃষ্ঠতলের ধরণ ভেদে
কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে; তথাপি ভ্রমণের পরে বিভিন্ন ধরণের পরিবেশ ও তাপমাত্রার সংস্পর্শে এসেছে এমন পৃষ্ঠতলে এই ভাইরাস বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
যদি আপনার কোন পৃষ্ঠের উপরিভাগ ভাইরাস সংক্রমিত বলে মনে হয়, তবে জীবাণুনাশক দিয়ে তা পরিষ্কার করে ফেলুন। সংস্পর্শে এলে দুই হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন বা অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড রাব দিয়ে পরিষ্কার করুন।

মশার কামড়ে কোভিড-১৯ ছড়ায় কি?

মশার কামড়ে কোভিড-১৯ ছড়ায় এমন কোন তথ্যপ্রমাণ এখনাে পর্যন্ত পাওয়া
যায়নি।নােভেল করােনা ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের রােগ সৃষ্টি করে এমন একটি নতুন ধরণের ভাইরাস যা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি,কাশি,সর্দি, থুথু ইত্যাদির মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়।

ভিটামিন COVID-19 নিরাময় করতে পারে কি?

ভিটামিন ডি এবং সি এবং জিংকের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস কার্যকর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জন্য ভাল এবং স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। COVID-19 এর চিকিতৎসা হিসাবে ভিটামিনের পরিপূরক ব্যবহার সম্পর্কে বর্তমানে কোনও গাইডেন্স নেই।
ভিটামিন করোনাভাইরাস এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য, রোগ নিরাময়ের জন্য নয়।

পানিতে গোসল করলে COVID-19 ভাইরাস সংক্রমণ করে কি?

পানিতে গোসল করলে করোনা আক্রমন করে না

COVID-19 ভাইরাস গোসলের সময় পানির মাধ্যমে সংক্রমণ করে না। আক্রান্ত ব্যক্তি একই পুকুরে গোসল করলে বা কাপর ধুলে সমস্যা নেই। তবে সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে ভাইরাসটি বাতাসের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা টি বেশ পরিচিত।

ধুমপান,মদপান,পান খেলে করোনাভাইরাস মরে কি?

না, এসব উপকরণ স্বাস্থ্যকর নয় এগুলি আপনাকে আরো অসুস্থ করবে। দয়াকরে এসব ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

5 জি মোবাইল নেটওয়ার্ক COVID-19 ছড়িয়ে দেয় কি?

করোনাভাইরাস রেডিও তরঙ্গ বা মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্যে চলাচল করতে পারে না। COVID-19 এমনও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে যেখানে 5G মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই।এটি করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা।

কাশি বা অস্বস্তি বোধ না করে ১০ সেকেন্ড বা তারও বেশি সময় শ্বাস ধরে রাখতে পারলে করোনা মুক্ত?

কাশি বা অস্বস্তি বোধ না করে ১০ সেকেন্ড বা তারও বেশি সময় শ্বাস ধরে রাখতে সক্ষম হওয়া মানে এই নয় যে আপনি কভিড -19 থেকে মুক্ত।COVID-19 এর সাধারণ লক্ষণগুলি হ’ল শুকনো কাশি, ক্লান্তি এবং জ্বর।
কিছু লোকের ক্ষেত্রে এই রোগের আরও মারাত্মক লক্ষণ হলো নিউমোনিয়া। আপনার দেহে রোগের ভাইরাস রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হলো পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা।
আপনি এই ১০ মিনিট শ্বাস ধরে রাখার মত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করলে বড় ভুল করবেন কারণ এতে অন্যরা আক্রান্ত হবে।

ডেক্সামেথাসোন কি সব কোভিড -19 রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা উচিৎ?

এটি হালকা লক্ষণযুক্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য কোনও সাহায্য করে না। ডেক্সামেথেসোন একটি কর্টিকোস্টেরয়েড যা এর প্রদাহ বিরোধী এবং ইমিউনোসপ্রেসিভ প্রভাবগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়।ভেন্টিলেটরগুলিতে COVID-19 রোগীর জন্য ডেক্সামেথেসোন প্রতিদিন ৬ মিলিগ্রাম করে ১০ দিন প্রয়োগ করলে কিছুটা উপশম হয়।

COVID-19 এর চিকিতৎসার ক্ষেত্রে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের ব্যবহার

হাইড্রোক্সেক্লোরোকুইন বা ক্লোরোকুইন, ম্যালেরিয়া, লুপাস এরিথেটোসাস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে কোভিড -১৯ এর সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

বর্তমান তথ্য থেকে দেখা যায় যে এই ওষুধটি হাসপাতালে ভর্তি COVID-19 রোগীদের মৃত্যুহার হ্রাস করে না, বা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় ভূমিকা রাখে না। হাইড্রোক্সাইক্লোরোকাইন এবং ক্লোরোকুইন ম্যালেরিয়া এবং অটোইমিউন রোগীদের জন্য সাধারণত নিরাপদ ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

তবে করোনার চিকিৎসায় এর ব্যবহার মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

tag: করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা

মাস্ক পরে ব্যায়াম করবেন না

তথ্য সূত্র… WHO(বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

Please click on Just one Add to Help Us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।