- কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার|যে খাবার খাবেন না কেমোথেরাপির সময়#
- কাঁচা শাকসব্জি
- বেশি মশলাযুক্ত খাবার
- তীব্র টক ফল
- তেলে কড়া ভাজা খাবার
- আগুনে ঝলসানো খাবার গ্রহণ করবেন না
- বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার
- বাসি ও ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার
- কম সেদ্ধ ডিম
- মার্কারি যুক্ত মাছ
- অপাস্তুরিত দুধ
- মধু ও মধু দিয়ে তৈরি খাবার
- এলকোহলযুক্ত পানিয়
- লাল মাংস
- লবণাক্ত খাবার
- বেশি চিনিযুক্ত খাবার
- আচার, জ্যাম,জেলি
- ক্যান্সার রোগী কি মাংস খেতে পারবে?
- ক্যান্সার রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে?
- ক্যান্সার রোগী কি মধু খেতে পারবে?
কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার|যে খাবার খাবেন না কেমোথেরাপির সময়#
ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। থেরাপি চলাকালে ক্যান্সার রোগীর দেহে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যায়। প্রথমত রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। জীবাণুমুক্ত বিশুদ্ধ খাবার পরিবেশন করা এই সময় খুব জরুরী।
থেরাপিতে ব্যবহৃত কেমোথেরাপিউটিক এজেন্টের প্রভাবে পরিপাকতন্ত্র অস্বাভাবিক আচরণ করে। ফলে বেশিরভাগ সময় রোগীর মাথাঘোরে,বমিভাব হয়,খাদ্যে অরুচি হয়,হজম ক্ষমতা কমে যায়। তাই খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার ছাড়া গুরুপাক খাবার এরিয়ে চলা উচিত।
কোন অঙ্গের ক্যান্সার হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে খাবার নির্বাচন করা উচিত। আসুন জানাযাক কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার সম্পর্কে।
আপনি আরো পরতে পারেন…. কেমোথেরাপির সময় ক্যান্সার রোগীর খাদ্য তালিকা .. কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি? ……… কেমোথেরাপি দিলে চুল পরে কেন? ……….. কেমোথেরাপি কী? কেমোথেরাপির ইতিহাস,কেন ও কিভাবে দেয়া হয়?
কাঁচা শাকসব্জি
ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ দেহের জন্য খুব উপকারী। এই উপাদানগুলো কাঁচা শাকসব্জিতে প্রচুর থাকে। উপকারের আশায় এই শাকসব্জি সেদ্ধ না করে কাঁচা অবস্থায় খাবেন না।কাঁচা শসা,পেপে,লেটুস পাতা,ধনেপাতা, গাজর,টমেটো সালাদ হিসেবে খাবেন না।
কাঁচা শাকসব্জি কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার। এর প্রথম কারণ হলো, কেমোথেরাপি চলার সময় রোগীর শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা হ্রাস পায় ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা পূর্বের তুলনায় অনেক কমে যায়। কাঁচা শাকসব্জির সাথে কোন জীবাণু পেটে ঢুকে গেলে খুব সহজে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে।
২য় কারণ, থেরাপি চলার সময় রোগীর পরিপাক করার ক্ষমতা কমে যায় ফলে কাঁচা খাবার হজম হয়না। হজমে ব্যাঘাত ঘটলে ডায়রিয়া হতে পারে। ডায়রিয়ার ফলে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হয়ে রোগির অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারে।
বেশি মশলাযুক্ত খাবার
খাবারে বেশি মশলা ব্যবহার করলে খাবার গুরুপাক হয়ে যায়। এই গুরুপাক খাবার রোগী হজম করতে পারেনা। এতে বমিভাব বৃদ্ধি পায়। পেট ফাঁপা, বুক জ্বলা,টক ঢেকুর উঠার মত সমস্যা বেড়ে যায়। ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এসময় মসলাযুক্ত খাবার গ্রহণে মুখ ও গলার ফুসকুড়ি বেড়ে যেতে পারে।
তীব্র টক ফল
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মুখ ও খাদ্য নালীর শুরুর অংশে প্রদাহজনিত ঘাঁ হলে তীব্র টক ফল না খাওয়াই উত্তম। কারণ ফলের এসিড সরাসরি উন্মুক্ত ক্ষতের সংস্পর্শে এসে যন্ত্রণাদায়ক জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে। অনেকসময় এসিডিক বিক্রিয়ার ফলে ঘাঁ বেড়ে যেতে পারে।
তেলে কড়া ভাজা খাবার
ডুবোতেলে ভাজা মুচমুচে খাবার যেমন- ফ্রাইড চিকেন, গবাদি পশুর ভাজা মাংস,চপ,পেঁয়াজু, বেগুনি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ইত্যাদি খাবার একদম খাবেন না। ভাজা খাবার হজম করার ক্ষমতা আপনার নেই।সামান্য ভাজা খাবার গ্রহণ আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এসিডিটি ও বদহজম বৃদ্ধির ফলে থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আরো খারাপ হতে পারে।
আগুনে ঝলসানো খাবার গ্রহণ করবেন না
কোলন ক্যান্সার,পাকস্থলীর ক্যান্সার, খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ঝলসানো খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়। এতে পুনরায় একই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে।
বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার
জরায়ুর ক্যান্সার, ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, কোলন,গলব্লাডার ও এন্ড্রমেট্রিয়ামক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপি চলার সময় বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।
বাসি ও ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার
ফ্রিজে রাখা বাসি ও ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া যাবে না। খুব মন চাইলে, খাবার ফ্রিজ থেকে বের করে স্কাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর অল্প আঁচে রান্না করে করতে হবে।
কম সেদ্ধ ডিম
কম সেদ্ধ ডিম,ডিম পোচ,ডিমের ওমলেট একদম নিষিদ্ধ। ভুলেও এই খাবার খাবেন না। কম সেদ্ধ ডিম দিয়ে তৈরি অন্যকোন খাবারও গ্রহণ করবেন না।
মার্কারি যুক্ত মাছ
উচ্চমাত্রার মার্কারি আছে এমন মাছ গ্রহণ করবেন না। এগুলো ক্যান্সার কোষের কেমোথেরাপি প্রতিরোধ প্রক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়। এরকম কিছু মাছ হলো-
Kingmackerel,Marlin,Orange,RoughyShark,Swordfish,Tilefish (from the Gulf of Mexico),Tuna (Bigeye, Ahi).যারা জাপানে থাকেন তারা সুসি ও শাসিমি খাবেন না।এটি কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার
অপাস্তুরিত দুধ
দুধকে আলট্রা হাই টেমপারেচারে ১ থেকে ২ সেকেন্ড সময় ১৩৮০ থেকে ১৫০০ সে. তাপমাত্রায় রেখে জীবাণুমুক্ত করা হয় এই প্রক্রিয়াকে বলে পাস্তুরাইজেশন। পাস্তুরাইজেশন এর ফলে দুধের জীবাণু ধ্বংস হয়।
অপাস্তুরিত দুধে প্রচুর জীবাণু থাকে এগুলো স্বাভাবিক মানুষ সহ্য করতে পারে তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে কিন্তু কেমোথেরাপি চলার সময় রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই এরা খুব সহজে জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়।
মধু ও মধু দিয়ে তৈরি খাবার
অশোধিত মধু ও মধু দিয়ে তৈরি খাবার খাবেন না। কারণ এতে botulism toxin থাকে এটি মারাত্মক ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং সৃষ্টি করতে পারে।
এলকোহলযুক্ত পানিয়
এলকোহল আছে এমন পানিয় গ্রহণ করবেন না। এতে শরীর বেশি দুর্বল হয়ে যাবে। এটি কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার
লাল মাংস
গরু,ভেড়া,ছাগল,মহিষ,শুকর ইত্যাদি পশুর মাংস লাল এই মাংস যতটা সম্ভব পরিহার করাই ভালো।
লবণাক্ত খাবার
প্রচুর লবণ ব্যবহার করে তৈরি ও সংরক্ষণ করা হয় এমন খাবার খাবেন না। যেমন – চিপস,সল্টেড ফুড,সল্টেড ফিশ ইত্যাদি।
বেশি চিনিযুক্ত খাবার
খাবারে চিনি বেশি থাকলে চিনির ক্যালরি দ্রুত ক্যান্সার কোষকে শক্তি যোগায় ফলে কেমোথেরাপির ঔষধ ক্যান্সার কোষকে মারতে বেশি সময় নেয়। তাইবলে আবার মিষ্টি খাওয়া একেবারে বন্ধ করবেন না। মিষ্টি খাবেন কিন্তু কম পরিমাণে খান।
আচার, জ্যাম,জেলি
এগুলু সংরক্ষণ করার জন্য প্রচুর প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে। প্রিজারভেটিভ ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
Question and Answer
ক্যান্সার রোগী কি মাংস খেতে পারবে?
হ্যাঁ, তবে লাল মাংস পরিহার করাই ভালো। সাদা মাংস খান।
ক্যান্সার রোগী কি ডাবের পানি খেতে পারবে?
হ্যাঁ, অল্প খেতে হবে।ডাবের জলে সাইটোকাইনিন হরমোন থাকে এটি কোষ বিভাজনে উদ্দিপনা যোগায় ও সাইটোপ্লাজম বিভাজনে সাহায্য করে।তাই ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বেড়ে যাবে বেশি ডাবের পানি খেলে।
ক্যান্সার রোগী কি মধু খেতে পারবে?
অশোধিত মধু না খাওয়াই ভালো এতে ডায়রিয়া হতে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন-
ড. এস,এম,ডেভিডসন
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ
কলরাডো,আমেরিকা
Foods to Avoid During Cancer Treatment in Bangla
Foods to Avoid During Chemotherapy in Bangla, Food Safety During Cancer Treatment in Bangla, cancer rogir nishiddo khabar, chemotherapy somoy nishiddho khabar, chemotherapy rogi je khabar khaben na, Info sourc: cancer.org cancer.net
Tag: কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার কেমোথেরাপির সময় নিষিদ্ধ খাবার
Please click on Just one Add to Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।