- কেমোথেরাপি কী? কেমোথেরাপির ইতিহাস,কেন ও কিভাবে দেয়া হয়?
- কেমোথেরাপি কিভাবে দেয়া হয়?
- বাংলাদেশে কোথায় কেমোথেরাপি দেয়া হয়?
- বাংলাদেশের কোন কোম্পানি Chemotherapy র ঔষধ তৈরি করে?
- কেমোথেরাপি দিলে কি মানুষ মরে যায়?
- কেমোথেরাপির দিলে কি সন্তান হয় না?
- কেমোথেরাপির জনক কে?
- সাপের বিষ দিয়ে কেমোথেরাপি তৈরি হয় কি?
- কেমোথেরাপির উপাদান কি?
- কেমোথেরাপির ঔষধের দাম কত?
- Chemotherapy র ঔষধের নাম কি?
- বাংলাদেশে Chemotherapy ঔষধ তৈরি হয় কি?
- What is Chemotherapy in Bangla?
কেমোথেরাপি কী? কেমোথেরাপির ইতিহাস,কেন ও কিভাবে দেয়া হয়?
মানুষ তার জীবদ্দশায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। বেশিরভাগ রোগই নিরাময়যোগ্য কিন্তু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে আর নিরাময় হয় না সহজে। তাই ক্যান্সার রোগকে বলে মারণ রোগ। এই রোগের ফলে কোষ বিভাজন অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। অনিয়ন্ত্রিত কোষগুলো অনবরত বিভাজিত হয়ে ভালো কোষের জায়গা দখল করে।
বিভিন্ন অঙ্গ ক্যান্সার কোষের আক্রমণে তার কার্যকরিতা হারিয়ে ফেলে ফলশ্রুতিতে মানুষের মৃত্যু ঘটে। খারাপ কোষগুলো বেছেবেছে চিকিৎসার মাধ্যমে ধ্বংস করা খুবই কঠিন কারণ এদের মারতে গেলে ভালো কোষেরও মৃত্যু ঘটে এদের সাথে। তাই সহজে ক্যান্সার থেকে মুক্তি মেলেনা।
ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য এখন পর্যন্ত যত চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তারমধ্য একটি সুপরিচিত পদ্ধতি হলো Chemotherapy। আসুন জেনেনেই কেমোথেরাপি কী? কেমোথেরাপির কিভাবে দেয়া হয়? সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য….
আপনি আরো পরতে পারেন… কেমোথেরাপির সাইড ইফেক্ট কি? ….. রেডিয়েশন থেরাপি কী? কেমোথেরাপি দিলে চুল পরে কেন?
কেমোথেরাপি কী?
Chemotherapy দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। chemo অর্থ রাসায়নিক পদার্থ এবং therapy অর্থ রোগের চিকিৎসা। তাহলে Chemotherapy এর পূর্ণরূপ দাড়ায় রাসায়নিক পদার্থের সাহায্যে রোগের চিকিৎসা। অনেকে একে সংক্ষেপে ‘chemo’ বলেও চালিয়ে দেয়।বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষের জন্ম এবং বৃদ্ধিকে বন্ধ করার একটি পদ্ধতিকে বলে কেমোথেরাপি।
এটি প্রয়োগ করলে ক্যান্সার কোষের খাদ্য সংগ্রহের পথ বন্ধ হয়ে যায় ফলে খাদ্যের অভাবে কোষটির মৃত্যু ঘটে। কোষের মৃত্যুর ঘটনাকে জীববিজ্ঞানের ভাষায় এপোপটোসিস বলে। অর্থাৎ বলাযায় Chemotherapy এপোপটোসিস প্রক্রিয়ায় ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে।
কেমোথেরাপি কেন দেয়া হয়?
ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেয়া হয়। কয়েকটি বিষয় চিন্তা করে এটি দেয়া হয় যেমন-
- ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য।
- কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য।
- ক্যান্সার কোষের বিভাজন রোধ করার জন্য।
- ক্যান্সার কোষে পুষ্টি সরবরাহ বন্ধ করার জন্য।
- রোগীর ব্যথা উপসম করার জন্য।
- বেঁচে থাকার সময় বৃদ্ধির জন্য।
কেমোথেরাপি কখন দেয়া হয়?
- প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার একেবারে নিরাময় করার জন্য এটি দেয়া হয়।
- ২য় ও ৩য় পর্যায়ের ক্যান্সার রোগীর ক্ষেত্রে ক্যান্সার কোষের বিস্তার রোধ করার জন্য দেয়া হয়। দীর্ঘমেয়াদী থেরাপি প্রয়োগ করে রোগীর রোগ সংক্রমণ বন্ধ করা যায়।
- ৪র্থ পর্যায়ের রোগীর ব্যথা ও শারীরিক জটিলতা হ্রাস করার জন্য দেয়া হয়।
- অনিরাময়যোগ্য ক্যান্সারের ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর সময় বিলম্বিত করা হয়।
- টিউমার কোষের বৃদ্ধি হ্রাস করার জন্য ব্যবহার করা হয়। টিউমার অপারেশনের আগে টিউমারের আকৃতি ছোট করা হয়। এরপর সহজে এটি অপসারণ করা হয়।
- অপারেশনের পরবর্তী সংক্রমণ রোধ করার জন্য এই থেরাপি দেয়া হয়।
কেমোথেরাপির ইতিহাস
২০ শতকের শুরু থেকে কেমোথেরাপির উপর গবেষণা চলে কিন্তু এর সফল প্রয়োগ শুরু হয় ঐ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন
নাইট্রোজেন মাস্টার্ড গ্যাস ব্যবহৃত হতো শত্রুকে ধ্বংসের রাসায়নিক অস্ত্র হিসেবে।
মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে মাস্টার্ড গ্যাস প্রবেশ করলে রক্তের শ্বেতরক্তকণিকা কমে যায়। পাশাপাশি কোষের মৃত্যুহার বেড়ে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে।৪০ এর দশকে আলফ্রেড গিলম্যান এবং লুইস গুডম্যান লিম্ফোমা রোগ(শ্বেত কণিকার সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধিজনিত রোগ) নিরাময়ের জন্য মাস্টার্ড গ্যাস নিয়ে ইঁদুরের ওপর গবেষণা করেন।
গবেষণায় দেখা যায়, মাস্টার্ড গ্যাসের প্রভাবে ইঁদুরের শ্বেতকণিকার সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আসে।গবেষণায় ভালোফলের পর তারা মাস্টার্ড গ্যাসের একটি লঘু মিশ্রণ তৈরি করেন এবং এর নাম রাখেন মাস্টিন।এই মাস্টিনই প্রথম কেমোথেরাপিউটিক ড্রাগস, যা কোনো মানুষের ওপর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়।
১৯৪৩ সালের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে লিম্ফোমা চিকিৎসায় সাইটোটক্সিক ওষুধ হিসেবে নাইট্রোজেন মাস্টার্ড গ্যাসের ব্যবহার জনপ্রিয় হতে শুরু করে।
সিডনি ফারবার নামের হার্ভাডের একজন প্যাথোলজিস্ট লক্ষ্য করেন যে ফলিক অ্যাসিডের প্রভাবে টিউমার কোষের বৃদ্ধি বেশ খানিকটা কমে যায়।তিনি গবেষণার ফলাফলে উদ্বুদ্ধ হয়ে folate analogues নামক ঔষধ তৈরি করেন। ঔষধটি ১৯৪৮ সালে অ্যাকিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা হয় এবং ব্যাপক সফলতা পাওয়া যায়।
এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তিনি আধুনিক কেমোথেরাপির জনক আখ্যা পান।১৯৫০ এর দিকে বিখ্যাত ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান Eli Lilly একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে এতে একটি তথ্য ছিলো যে,
Vinca rosea বা নয়নতারা ফুলের নির্যাস থেকে প্রাপ্ত উদ্ভিজ্জ অ্যালকালয়েড লিউকেমিয়া রোগ নিরাময়ে ভালোফল দেয়।
এই প্রকাশনার পর ষাটের দশকে হজকিন্স ডিজিজ চিকিৎসায় Madagascar periwinkle ফুলের নির্যাস থেকে প্রাপ্ত vinblastine এবং পেডিয়াট্রিক লিউকেমিয়া চিকিৎসায় Catharanthus roseus উদ্ভিদের নির্যাস থেকে প্রাপ্ত vincristine এর ব্যবহার শুরু হয়।
এরপর ঔষধবিদ্যার অগ্রগতির সাথেসাথে নতুন নতুন অনেক Chemotherapy ড্রাগ আবিষ্কৃত হয়েছে।বর্তমানে কম্বিনেশন Chemotherapy বেশ জনপ্রিয়।
Chemotherapyতে ব্যবহৃত ঔষধ
সাধারণত চার ধরনের ঔষধ Chemotherapy তে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এগুলো হলো:
১. Alkylating agents:
এটি টিউমারের ওপর প্রত্যক্ষ প্রভাব বিস্তার করে এর কোষ বিভাজনে বাধা দেয়। এতে টিউমার কোষ বিভাজন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
উদাহরণ- chlorambucil, cyclophosphamide, thiotepa এবং busulfan।
২. Antimetabolites:
এটি ভালো কোষের বৃদ্ধি ও সুরক্ষার জন্য অত্যাবশকীয় প্রোটিন তৈরি করে।
উদাহরণ- 5-fluorouracil (5-FU), 6-mercaptopurine (6-MP), cytarabine, capecitabine, fludarabine, gemcitabine, methotrexate, pemetrexed, pentostatin এবং thioguanine।
৩. Plant alkaloids :
এটি টিউমার কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজন ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। ফলে ক্ষতিকর কোষগুলো আর বেড়ে উঠতে পারে না।
উদাহরণ- actinomycin D, doxorubicin এবং mitomycin।
৪. Anthracycline:
এটি একধরনের অ্যান্টি-টিউমার অ্যান্টিবায়োটিক, যা DNA এবং RNA এর সংশ্লেষণকে বাঁধা দেয়, যাতে করে কোষগুলো বিভাজিত হতে না পারে৷ সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে এর মিল নেই।
উদাহরণ- doxorubicin, mitoxantrone, এবং bleomycin
কেমোথেরাপির প্রকারভেদ
ক্যান্সার কোষের ধরণ ও রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তিকরে থেরাপি কয়েক প্রকার হতে পারে। যেমন-
Adjuvant chemotherapy:
টিউমার অপারেশনের পর ক্যান্সার কোষের বাঁকিটুকু মেরে ফেলতে ব্যবহার করা হয়।
Neo-adjuvant chemotherapy:
সার্জারির আগে টিউমারকে সংকুচিত করতে এ থেরাপি ব্যবহার করা হয়।এর ফলে টিউমার অপসারণ সহজ হয়ে ওঠে।
induction chemotherapy
একিউট লিউকেমিয়ার মতো ক্যান্সার উপশম করতে এই থেরাপির প্রয়োজন পড়ে।
Consolidation chemotherapy
ক্যান্সার হতে আরোগ্য লাভ করলে সেই আরগ্যকাল দীর্ঘ করতে ব্যবহৃত হয়।
Maintenance chemotherapy
এই থেরাপিরও কাজ রোগের উপশমকে দীর্ঘস্থায়ী করা।
First line chemotherapy
যে নির্দিষ্ট ঔষধ প্রয়োগে ক্যান্সার কোষের ধ্বংস হওয়ার প্রমাণ আছে সেই ঔষধ প্রয়োগ করে থেরাপি দেয়া হয়।
Second line chemotherapy
First line chemotherapy ব্যর্থ হলে ঔষধ পরিবর্তন করে এই থেরাপি দেয়া হয়।
Palliative chemotherapy
রোগের উপসর্গগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, সেটি পর্যবেক্ষণ করাই এই থেরাপির কাজ।
কেমোথেরাপি কিভাবে দেয়া হয়?
রোগীর পছন্দ ও রোগের ধরণের উপর নির্ভর করে Chemotherapy কিভাবে দেয় হবে। সাধারণত ৩ ভাবে এটি প্রয়োগ করা হয়। Chemotherapy দেওয়ার ধাপগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজালে নিচের মত দেখায়।
কিভাবে কেমোথেরাপি দেয়া হয়
Total Time: 7 days
মেডিকেল টিম গঠন
ক্যান্সার চিকিৎসায় অভিজ্ঞ অনকোলোজিস্ট ও নার্স একত্রে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে। অনেকসময় একাধিক ডাক্তার একটি টিমে যুক্ত হোন তাদের নেত্রীত্ব দেন একজন সিনিয়র প্রফেসর।
মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণ
থেরাপি দেয়ার আগে রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয় সে থেরাপির সাইড ইফেক্ট সহ্য করতে পারবে কি না। পূর্বের থেরাপির রেকর্ড পর্যালোচনা করা হয়। চিকিৎসার অগ্রগতি ও ক্যান্সার কোষের ধ্বংস হওয়ার হার পর্যবেক্ষণ করা হয়। সিটিস্ক্যান, এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি,রক্ত,মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের বিস্তার ও প্রকৃতি সনাক্ত করা হয়।
রোগীর প্রস্তুতি
ডাক্তারদের পরীক্ষা করার পর সব ঠিক থাকলে রোগিকে থেরাপির পূর্বপ্রস্তুতি নিতে বলা হয়। রুটিন মাফিক চলা এবং খাবারের ডায়েট চার্ট দেয়া হয়। থেরাপি শুরুর পূর্বে কোন ঔষধ থাকলে তা খেতে বলা হয়।
ইনজেকশন
হাতের শিরা বা ধমনিতে সরাসরি ইনজেকশন পুশ করা হয়। অথবা ক্যানোলা লাগিয়ে স্যালাইনের মাধ্যমে দেহে ঔষধ প্রবেশ করানো হয়।
ট্যাবলেট
ট্যাবলেটের সাথে ঔষধ মেশানো থাকে সেটি পানি দিয়ে গিলে খেতে হয়। যেসব রোগীর ক্যান্সার কোষ প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বা তেমন ছড়ায় নি তাদের জন্য এই ট্যাবলেট থেরাপি বেশি ব্যবহার করা হয়।
ক্রিম
ক্রিমের সাথে ঔষধ মেশানো থাকে ক্রিমটি ত্বকের উপর মালিশ করা হয়। সাধারনত ত্বক ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্রিম ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়।
Estimated Cost: 100 USD
Supply:
- Diagnostic Centre
Tools:
- X-RAY Machine
Materials: Medicine
কোন ক্যান্সারে কোন কেমোথেরাপি
ক্যান্সারভেদে Chemotherapy আলাদা হয়। নিচের ছবির মাধ্যমে জেনে নিন কোন ক্যান্সারে কোন Chemotherapy দেয়া হয়।
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এই থেরাপির সাহায্যে যেহেতু ক্যান্সার কোষের সাথে ভালো কোষও কিছুটা মারা যায় সেহেতু এর প্রভাবে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখাযায়।
- চুল উৎপাদনের জন্য দায়ী গ্রন্থি থেরাপির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাই রোগীর চুল পরে যায়।
- যৌন ক্ষমতা কমে যায়।
- মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে।
- বমন করার ইচ্ছা বেড়ে যায়।
- ত্বক এবং নখ শুকিয়ে আসে।
- মেজাজ খিটখিটে থাকে।
- দ্রুত মনের অবস্থা পরাবর্তন হয়।
- খেতে ইচ্ছা করে না।
- মুখে ঘা হতে পারে।
- ওজন কমে যায়।
- ত্বকের লাবণ্যতা কমে যায়।
তবে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ১-২ মাসের বেশি স্থায়ী হয়না। থেরাপি বন্ধ হলে ধিরেধিরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে এবং স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়া যায়।
কেমোথেরাপি পরবর্তী যত্ন?
থেরাপি শেষ হলে রোগী যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কাটিয়ে উঠে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে সেজন্য বেশ কিছু পরামর্শ মেনেচলা উচিত।
- আমিষ বা প্রোটিনজাতীয় খাবার খেতে হবে।
- চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
- ভিটামিন সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক খাবার বেশি খেতে হবে কারণ এ সময় ভিটামিনের প্রয়োজন বেশি হয়।
- বেশিক্ষণ তীব্র সূর্যের আলোর নিচে থাকা যাবে না।
- পরিশ্রমী কাজ করবেন না।
- হারকা ব্যায়াম করুন।
- ধীরে ধীরে শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রা বৃদ্ধি করুন।
- ধূমপান,মদ্যপান,নেশার দ্রব্য গ্রহণ করবেন না।
কেমোথেরাপি কস্ট ইন বাংলাদেশ
ভারতে Chemotherapy করতে মোট ব্যয় INR 75000 থেকে INR 100000 অবধি হতে পারে। বাংলাদেশে এই খরচটা অনেক বেশি। লোভি ডাক্তারদের ফাঁদে পরে অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে যান।
বাংলাদেশে কেমোথেরাপি করতে কত খরচ হয়?
হাসপাতালভেদে বাংলাদেশে Chemotherapy র মিনিমাম খরচ ১-২ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশে কোথায় কেমোথেরাপি দেয়া হয়?
জেলা সদরের কোন হাসপাতাল যেখানে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বসেন সেখানে থেরাপির বিষয়ে পরামর্শ পাওয়া যায়।থেরাপির ঔষধ কিনে নিয়ে গেলে তারা বিনামূল্যে থেরাপির ব্যবস্থা করে দেয়। অনেক ক্লিনিক গুলোতেও আজকাল বেশ ভালো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তবে এটা বেশ ব্যয়বহুল। যে হাসপাতাল গুলোতে কেমোথেরাপি দেয়া হয় তার একটা ছোট তালিকা দিলাম..
- Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University
- Dhaka Medical College Hospital
- National Institute of Cancer Research & Hospital
- Shaheed Suhrawardy Medical College & Hospital
- Sir Salimullah Medical College & hospital
- Chittagong Medical College & Hospital
- Faridpur Medical College Hospita
- Khulna Medica College Hospital
- M Abdur Rahim Medical College Hospital
- Mymensingh Medical College Hospital
- Mymensingh Medical College Hospital
- Rangpur Medical College Hospital
- Rajshahi Medical College Hospital
- Sylhet MAG Osmani Medical College Hospital
- Shahid Ziaur Rahman Medical College Hospital
বাংলাদেশের কোন কোম্পানি Chemotherapy র ঔষধ তৈরি করে?
বাংলাদেশের কোম্পানি বিকন ফার্মা Chemotherapy র ঔষধ তৈরি করে। তাদের তৈরিকৃত ঔষধগুলো বিশ্বমানের। বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। ছবিতে তাদের ঔষধগুলোর নাম দেখুন…..
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
কেমোথেরাপি দিলে কি মানুষ মরে যায়?
না, কেমোথেরাপি দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়। তবে খুবই বয়স্ক বা দুর্বল রোগী ক্যামোথেরাপির ঔষধের প্রভাবে মারা যেতে পারে।
কেমোথেরাপির দিলে কি সন্তান হয় না?
ক্যামোথেরাপির সাইড ইফেক্ট হিসেবে প্রায় ৬ মাস পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা ও মহিলার ডিম্বাণু উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায় তবে থেরাপি শেষ হওয়ার ১ মাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যায়। অনেক সময় ক্যামোথেরাপির রোগীর গর্ভধারণের কথা শোনা যায়। এটা নির্ভর করে কি ধরণের ক্যামোথেরাপি ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর।
কেমোথেরাপির জনক কে?
ক্যামোথেরাপির আধুনিক জনক সিডনি ফারবার। প্রথমে থেরাপির ধারণা আবিষ্কার করেন আলফ্রেড গিলম্যান এবং লুইস গুডম্যান।
সাপের বিষ দিয়ে কেমোথেরাপি তৈরি হয় কি?
না, সাপের বিষ দিয়ে ক্যামোথেরাপি তৈরি হয় না। তবে যৌগিক উপাদানের অংশ হিসেবে সাপের বিষের কোন উপাদান থাকতে পারে।
কেমোথেরাপির উপাদান কি?
chlorambucil, cyclophosphamide, thiotepa এবং busulfan। ইত্যাদি।
কেমোথেরাপির ঔষধের দাম কত?
ক্যান্সারের ধরণের উপর নির্ভর করে ক্যামোথেরাপির ঔষধের দাম। সাধারণত থেরাপির ঔষধের দাম ১০০০-৫০০০০ টাকার মধ্যে হয়।
Chemotherapy র ঔষধের নাম কি?
নামগুলো ছবিতে উপরে দেখুন। actinomycin D, doxorubicin এবং mitomycin।
বাংলাদেশে Chemotherapy ঔষধ তৈরি হয় কি?
হ্যাঁ, বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানি বিকন ফার্মা বিশ্বমানের Chemotherapy র ঔষধ তৈরি করে।
What is Chemotherapy in Bangla?
What is chemotherapy and how does it work in bangla, step of chemotherapy process, Ingredient of chemotherapy, chemotherapy ki? kemotherapi kivabe dey? kemotherapir price koto? bangladeshe kemotherapy.
Please click on Just one Add to Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।