ক্যান্সার কী?ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা#

Table Of Contents
  1. ক্যান্সার কী?ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা#
  2. ক্যন্সার কোষ কিভাবে সৃষ্টি হয়?
  3. ক্যান্সারের প্রকারভেদ
  4. Cause of Cancer
  5. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে যেসব কাজে
  6. Symptoms of Cancer
  7. ক্যান্সার কিভাবে পরীক্ষা করা হয়?
  8. ক্যান্সারের চিকিৎসা কী?
  9. ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে?
  10. ক্যান্সার কি ভালো হয়?
  11. ক্যান্সার কি বংশগত?
  12. কার্সিনোজেন কী
  13. What is cancer in Bangla

ক্যান্সার কী?ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা#

বিভিন্ন রোগের নামের সাথে আমাদের সবার পরিচয় আছে।সারাজীবনে বিভিন্ন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয় মানুষ এসব রোগ আবার ভালোও হয়। তাই এসব রোগকে বলা হয় সাধারণ রোগ। কিন্তু নিরাময় করা কঠিন, এমন একটি মারণ রোগ হলো ক্যান্সার। ক্যানসার এর নাম শুনলেই আমাদের পিলে চমকে যায়। মনে হয় রোগী আর বাঁচবে না। কেউ আবার বলে ক্যানসার হলে এন্সার নেই।

সহজ উপস্থাপনার অভাবে আমরা অনেকেই ক্যান্সার সম্পর্কে ভালো জানিনা। আসুন আজ সহজভাবে আলোচনা করি ক্যানসার সম্পর্কে। আপনি পড়তে থাকুন….

ক্যান্সার কী? ক্যান্সার কিভাবে সৃষ্টি হয়?ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা:
ক্যানসার কি?

আপনি আরো পড়তে পারেন…… ক্যান্সার কেন হয়? …. ক্যান্সারের ২৫ টি লক্ষণ দেখে নিন# …. ক্যান্সার থেকে বাঁচবেন কিভাবে?

ক্যানসার সংক্ষিপ্ত তথ্য

ক্যানসার

রোগের নামঃ ক্যানসার
কোগের কারণঃ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন
রাসায়নিক কারণঃ কার্সিনোজেন
চিকিৎসা – কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি

ক্যান্সার কী?

কোষ বিভাজন ছাড়া জীবের অস্তিত্ব রক্ষাকরা প্রায় অসম্ভব। একটি সুনিয়ন্ত্রিত নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু অনেক সময় এই কঠোর নিয়ন্ত্রনের বেড়াজাল ছিন্ন করে খারাপ কোষ বিভাজিত হয়ে থাকে এর ফলে সৃষ্টি হয় অস্বাভাবিক কোষ বিভাজন। আর এই অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্টি হয় ক্যানসার।

অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিকর কোষের প্রভাবে যে রোগ হয় তাকে ক্যান্সার বলে।

উইকিপেডিয়া

ক্যন্সার কোষ কিভাবে সৃষ্টি হয়?

পুরাতন কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষ সৃষ্টি হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে কোষ বিভাজন। কোষ বিভাজনের প্রধান ধাপ ২ টি। প্রথম ধাপ হলো বিরতি দশা বা ইন্টারফেজ দশা। এই দশায় প্রায় ৯০% সময় ব্যয় হয়। ২য় ধাপ হলো বিভাজন দশা এই দশায় মাত্র ১০% সময় ব্যয় হয়।এখন প্রশ্ন হলো ইন্টারফেজ দশায় এত সময় ব্যয় হয় কেন? উত্তর সহজ করে ভাবি ধরুণ আপনি একটি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় প্রবেশ করবেন, এখানে ঢোকার সময় কিন্তু আপনি হুড়মুড় করে ঢুকতে পারবেন না।

কোষ চক্র ও চেকপয়েন্ট
কোষ চক্র ও চেকপয়েন্ট

বিভিন্ন চেকপয়েন্টে দাড়িয়ে থাকা প্রহরী আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করবে, চেক করে দেখবে যে আপনার ভিতরে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা আছে না নেই। যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি চেকপয়েন্ট পার হতে পারবেন না থাকলে পার হতে পারবেন না।ঠিক একই রকম কোষের মাঝে চেক পয়েন্ট আছে।কোষ বিভাজনের ইন্টারফেজ দশায় ৩টি চেকপয়েন্ট পার হতে হয় একটি কোষের বিভাজন ক্ষমতা অর্জন করার জন্য।

১ম চেকপয়েন্টে দেখা হয় কোষের প্রয়োজনীয় উপাদান,ডিএনএ গঠন ঠিক আছে কিনা? এই ধাপ পার হতে পারলে ২য় ধাপে প্রবেশ করে। ২য় ধাপে ডিএনএ রেপ্লিকেশন হয়ে নতুন ডিএনএ সৃষ্টি হয় এই নতুন ডিএনএ গুলোর গুণাগুণ যাচাই করা হয়। ভুল থাকলে প্রুফ রিডিং এর মাধ্যমে ঠিক করা হয়।ভুল সংশোধনের অযোগ্য হলে কোষকে আর বিভাজনের অনুমতি দেয়া হয় না। ২য় ধাপ পার হওয়ার পর ৩য় ধাপে আরএনএ পরীক্ষা করা হয়।

সব ঠিক থাকলে কোষটি বিভাজন ধাপে প্রবেশ করে। বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ সৃষ্টি করে। এভাবে সব ধাপ পার হয়ে কিছু সংখ্যক কোষ বিভাজনের অনুমতি পায়। যে কোষগুলো চেক পয়েন্ট পার হতে পারে না তারা কোনদিন বিভাজিত হয় না। নেক্রোসিস প্রক্রিয়ায় তাদের মেরে ফেলা হয়।কিন্তু কোন খারাপ কোষ যদি চেকপয়েন্ট ফাঁকি দিয়ে বিভাজিত হয় তখন এদের বৃদ্ধি অনিয়ন্ত্রিত ভাবে হতে থাকে এদের আর কন্ট্রোল করা যায়না।

ক্যান্সার কোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়া
ক্যান্সার কোষ সৃষ্টির প্রক্রিয়া

স্বাভাবিক কোষের চাইতে কয়েকগুণ বেশি হারে বিভাজিত হয়। একসময় কোন অঙ্গের সব ভালো কোষের জায়গা দখল করে অঙ্গটির মৃত্যু ঘটায়। এদের বৃদ্ধিহার বেশি হওয়ার কারণে খাদ্যের প্রয়োজন বেশি হয়। অতিরিক্ত খাদ্য সংগ্রহের জন্য এরা ভালো কোষের মধ্যে শিকর প্রবেশ করিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করে।

ভালো কোষ এদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না। এই অনিয়ন্ত্রিত কোষগুলোকে ক্যান্সার কোষ বলে। এর অপর নাম নিওপ্লাস্টিক কোষ।অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকা কোষগুলো সাধারণত ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা আকারে জমা হয়ে ফুলে উঠে একেই টিউমার বা নিওপ্লাসিয়া বলে।
এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে।

ম্যালিগন্যান্ট ও বিনাইন টিউমার
ম্যালিগন্যান্ট ও বিনাইন টিউমার

ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের কোষগুলো পার্শ্ববর্তী কোষকে ভেদ করে শিকর প্রবেশ করাতে পারে এদের কে ক্যানসার বলে। বিনাইন টিউমার নিরীহ এরা সাধারণত কোন ক্ষতি করে না।

ক্যানসার এর পর্যায় বা ধাপ

প্রিক্যান্সার পর্যায়

প্রি-ক্যান্সার
প্রি-ক্যান্সার

অনেক ক্যানসার প্রথমে বিনাইন টিউমার হিসাবে শুরু হয়, পরে তার মধ্যেকার কিছু কোষ পরিবর্তিত হয়ে ম্যালিগন্যান্ট হয়ে যায়। তবে সব বিনাইন টিউমার ভবিষ্যতে ক্যানসারে পরিবর্তিত হবেই তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিছু বিনাইন টিউমার ভবিষ্যতে ক্যানসারে পরিবর্তিত হবেই তার নিশ্চয়তা আছে এদের প্রি-ক্যান্সার বলে। এই পর্যায়ে থাকলে ক্যানসার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাময় করা যায়। রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে ৯০%।

মেটাস্টেটিক পর্যায়

যখন ক্যানসার কোষগুলি অন্যান্য ভালো কলাকে ভেদ করে ও রক্ত, লসিকাতন্ত্র (Lymphatic System) ইত্যাদির মাধ্যমে দূরবর্তী কলায় ছড়িয়ে যায় তখন একে মেটাস্ট্যাসিস পর্যায় বলে। এই ধাপের শুরুতে ক্যানসার সনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে ক্যানসারের হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা ৬০%।

চূড়ান্ত পর্যায়

ক্যানসার কোষগুলো যদি রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে অন্যকোন অঙ্গের ভেতর প্রবেশ করে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে তাহলে তাকে চূড়ান্ত পর্যায় বলে। এই ধাপ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম মাত্র ২০%।

ক্যানসার কোষ কিভাবে ছড়ায়?

ক্যান্সার কিভাবে ছড়িয়ে পরে
ক্যান্সার কিভাবে ছড়িয়ে পরে

একটি অঙ্গ থেকে ক্যানসার কোষ অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পরে রক্ত,লসিকা,টিস্যু ফ্লুইড এর মাধ্যমে।

ক্যান্সারের প্রকারভেদ

সাধারণত যে অঙ্গকে ক্যানসার আক্রান্ত করে সেই অঙ্গের নাম অনুসারে ক্যানসারের নামকরণ করা হয়।যেমন- ক্যানসার ফুসফুসে তৈরি হলে তাকে ফুসফুসের ক্যানসার বলে।

এছাড়াও আক্রমণের ধরণ অনুসারে ক্যানসারের প্রকারভেদ বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন-

কার্সিনোমা

ত্বকে বা টিস্যুতে শুরু হয় যা অন্যান্য অঙ্গকে প্রভাবিত করে।

সারকোমা

হাড়, কোমল হার,পেশী এবং রক্তনালীগুলির মতো সংযোগকারী টিস্যুতে শুরু হয়ে পরবর্তিতে অন্য অঙ্গকে প্রভাবিত করে।

লিউকেমিয়া

অস্থি মজ্জায় শুরু হয়ে শ্বেত রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায়।

লিম্ফোমা এবং মায়োলোমা

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অকেজো করে ফেলে।

Cause of Cancer

যেসব পদার্থের উপস্থিতির কারণে ক্যানসার কোষ সৃষ্টি গয় তাকে কার্সিনোজেন বলে। কার্সিনোজেন ছাড়াও অনেক শারীরবৃত্তিয় কাজের ভারসাম্য নষ্ট হলও এটি হতে পারে।

বার্ধক্য

বয়স বাড়লে দেহের কোষগুলোর সজীবতা কমেযায়, পুনরুজ্জীবিত হওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়,রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে ক্যানসার তৈরির উপাদান সহজে ক্যানসার কোষ সৃষ্টি করতে পারে।পরিসংখ্যানে দেখা যায় ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগেরই বয়স ৬০ বছরের ওপর।

আহার

ধূমপান বা মদ্যপানের সাথে ফুসফুস, মুখ ও কণ্ঠনালীর এবং যকৃৎ বা লিভারের ক্যানসারের যোগাযোগ রয়েছে। পান-সুপারি, জর্দা, মাংস, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ইত্যাদি খাবারের সাথেও ক্যানসারের যোগসূত্র রয়েছে।

লাইফ স্টাইল

বেশি পরিশ্রমী মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাই এদের তুলনায় যারা পরিশ্রম কম করে তাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

জেনেটিক কারণ

পরিবারের কারো যদি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থাকে তাহলে তার সন্তান সন্তুতির ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

পরিবেশ এবং পেশাগত কারণ

দূষিত পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রের কাজ করার উপাদানের কারণে ক্যানসার হতে পারে। যেমন-এসবেস্টস ধাতুর সংস্পর্শে আসার কারণে জমেসোথেলিওমিয়া ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।

রেডিও একটিভ পদার্থ

রেডিও একটিভ পদার্থের সংস্পর্শে আসলে ঐ পদার্থ থেকে বিকরিত তেজস্ক্রিয়তার কারণেও বিভিন্ন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে যেসব কাজে

  • দীর্ঘমেয়াদি তামাক এবং সিগারেটের ব্যবহার মুখ এবং ফুসফুসের cancer সৃষ্টি করতে পারে।
  • দীর্ঘ সময় ধরে মদ পান করা যকৃতের ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং অন্যান্য অঙ্গ ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
  • ত্বকে ক্রমাগত ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার কারণে, জিহ্বা, ঠোঁট, পিত্তথলি এবং মূত্রাশয়ের cancer সৃষ্টি করতে পারে।
  • বেশি পরিমাণে ওষুধ ও রাসায়নিক গ্রহণের ফলে পেট এবং লিভারের cancer হয়।
  • অল্প বয়সে যৌন মিলন করা এবং বহুগামিতার কারণে জরায়ুর মুখের cancer হয়।

Symptoms of Cancer

ধরণভেদে ক্যানসারের লক্ষণ আলাদা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো-

  • চরম ক্লান্তি বোধ হয়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
  • হঠাৎ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ওজন কমে যায়।
  • তরল খাদ্য ও কঠিন খাদ্য গিলতে সমস্যা হয়। গলায় খাবার আটকে যায়।
  • মাঝেমধ্যে ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
  • খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়,খেতে মন চায়না।
  • ত্বকের যে কোনও অংশে নীল দাগ সৃষ্টি হতে পারে।
  • ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ক্রমাগত কাশি বুকে ব্যথা হতে পারে।
  • ঘন ঘন জ্বর আসে।
  • রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সহজে রোগে আক্রান্ত হওয়া।
  • হাড়ের সংযোগস্থলে দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা।
  • ব্যথাবিহীন টিউমার সৃষ্টি হওয়।
  • স্তনে শক্ত চাকার বস্তুর উপস্থিতি।
  • বগলে শক্ত পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করা।
  • গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।

ক্যান্সার কিভাবে পরীক্ষা করা হয়?

প্রাথমিক অবস্থায় cancer সনাক্ত করা গেলে এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। তাই উপরের লক্ষণগুলো দেখে আপনার যদি মনে হয় আপনি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তাহলে আর দেরি করবেন না।দ্রুত ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন। সাধারনত ৩ ভাবে ক্যানসারের পরীক্ষা করা হয়।

ল্যাবরেটরি টেস্ট

বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা, রক্ত,প্রসাব,মল,লালা,সিমেন ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের উপস্থিতি সনাক্ত করা যায়।

ইমেজিং টেস্ট

এক্সরে,সিটি স্ক্যান, এমআরআই, পিইটি, ইউএসজি, হাড়ের ঘনত্ব ইত্যাদি স্ক্যান করার মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়।

বায়োপসি

কোন অঙ্গের cancer হয়েছে সন্দেহ হলে সেই অঙ্গের কিছু জীবন্ত টিস্যু কেটে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

ক্যান্সারের চিকিৎসা কী?

কি ধরণের এবং কোথায় cancer হয়েছে তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি। আবার ক্যান্সারের পর্যায়ের উপরেও নির্ভর করে চিকিৎসার ধরণ। সচারাচর দৃষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো হলো-

সার্জারি

আক্রান্ত অঙ্গকে সার্জারির মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। যদি Cancer কোষগুলো অন্য কোন অঙ্গে না ছড়িয়ে পরে তাহলে সার্জারি করে সফলতা পাওয়া যায়।

ক্যামোথেরাপি

বিভিন্ন কেমোথেরাপিউটিক এজেন্টের ব্যবহার করে চিকিতসা দেয়া হয়। এজেন্টগুলো অতিবৃদ্ধিপ্রাপ্ত Cancer কোষগুলোকে মেরে ফেলে। আপনি কেমোথেরাপি সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন এই লাল লেখার লিংকের উপর ক্লিক করে।………… কেমোথেরাপি কী? কেমোথেরাপির ইতিহাস,কেন ও কিভাবে দেয়া হয়?

রেডিও থেরাপি

উচ্চ শক্তির তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ প্রয়োগ করে Cancer কোষগুলোকে মেরে ফেলা হয়। বিস্তারিত লিংক- …… রেডিয়েশন থেরাপি কী? রেডিও থেরাপি কখন,কেন,কিভাবে দেয়া হয়?

অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন

লিউকেমিয়া হলে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় চিকিৎসা হিসেবে।

ইমিউনোথেরাপি

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই থেরাপি দেয়া হয়।

হরমোন থেরাপি

হরমোন থেরাপি প্রস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে?

না, বেশিরভাগ cancer ছোঁয়াচে নয়। একজনের দেহ থেকে ক্যান্সার কোষ অন্যজনের দেহে প্রবেশ করলেও বাঁচতে পারবে না।

ক্যান্সার কি ভালো হয়?

হ্যাঁ, কখন সনাক্ত করা হয়েছে এবং কোন ধাপে আছে তার উপর নির্ভর করে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা। প্রাথমিক ধাপে ধরা পরলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%

ক্যান্সার কি বংশগত?

বাবা বা মায়ের জনন কোষের মাধ্যমে ত্রুটিযুক্ত cancer কোষ সন্তানের দেহে প্রবেশ করতে পারে। মানে বুঝা যাচ্ছে এটি একটি কম মাত্রার বংশগত রোগ।

কার্সিনোজেন কী

যেসব পদার্থের উপস্থিতির কারণে cancer কোষ সৃষ্টি হয় তাকে কার্সিনোজেন বলে।

What is cancer in Bangla

what is cancer?cause of cancer,carcinogen ki? cancer ki? cancer keno hoy? cancer er medicine ki? info source: cancer.org, …………… cancer.net USA

Please Click on Just one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।