- ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার|১৫টি খাবার খাবেন না#
- ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ ১৫টি খাবার
ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার|১৫টি খাবার খাবেন না#
ক্যান্সার রোগীর দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে খারাপ ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে পরে পরিপাকতন্ত্র ও বাদ যায় না। এতে হজম ক্ষমতা কমে যায়। আবার কেমোথেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজম ক্ষমতা কমে যায়। এসময় দেহের জন্য ক্ষতিকর খাবার এরিয়ে চলা উচিত। নিষিদ্ধ খাবার গ্রহণের ফলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিহার বেড়ে যাবে।
আসুন আজ নিজে জেনেনিই কোনগুলো ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার……
আপনি আরো পড়তে পারেন …… ক্যান্সার রোগীর পথ্য: ……. ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল ….. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় ২০ খাবার#
ক্যান্সার রোগীর যে খাবার খাওয়া উচিত নয়
ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার কোনটি?
কাঁচা সব্জি, অধিক মশলাযুক্ত খাবার,খুব টক ফল,ডুবোতেলে ফ্রাই করা খাদ্য,পোড়া খাবার,বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার,বাসি ও ঠাণ্ডা খাবার ইত্যাদি।
ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ ১৫টি খাবার
রান্না না করা সব্জি
সব্জিতে প্রচুর ভিটামিন,খনিজ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে। শরীর সুস্থ রাখতে এই উপাদানগুলো অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু কাঁচা সব্জি খেলে হজম করতে সমস্যা হবে। ক্যান্সার রোগীর হজম ক্ষমতা কম থাকে। কেমোথেরাপি দিলে এই ক্ষমতা আরো কমে যায়। তাই কাঁচা সব্জি খাবেন না। কাঁচা শসা,পেপে,লেটুস পাতা,ধনেপাতা, গাজর,টমেটো সালাদ হিসেবে খাবেন না। কাঁচা সব্জির সাথে দেহে জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে।
ক্যান্সার রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই সহজে জীবাণু আক্রমণ করতে পারে।হজমে ব্যাঘাত ঘটলে ডায়রিয়া হতে পারে। ডায়রিয়ার ফলে রোগির অবস্থা সংকটাপন্ন হতে পারে।
খাবার | সমস্যা |
কাঁচা সব্জি | ডায়রিয়া |
অধিক মশলাযুক্ত খাবার
অধিক মশলা দিয়ে খাবার রান্না করলে তা হজম করা কঠিন। এরকম খাবার খেলে পেট ফাঁপা, বুক জ্বলা,টক ঢেকুর উঠার মত সমস্যা বেড়ে যায়। মুখ ও গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ক্ষত বেড়ে যেতে পারে।(ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার)
খাবার | সমস্যা |
অধিক মশলাযুক্ত খাবার | পেট ফাঁপা, বুক জ্বলা,টক ঢেকুর |
খুব টক ফল
মুখ ও খাদ্য নালীর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী বেশি টক ফল খেলে মুখ গহ্বর ও খাদ্যনালীতে জ্বলুনি হতে পারে।তাই বেশি টক ফল না খাওয়াই উত্তম। ফলের এসিড সরাসরি উন্মুক্ত ক্ষতের সংস্পর্শে এসে যন্ত্রণাদায়ক জ্বলুনি সৃষ্টি করতে পারে। অনেকসময় এসিডিক বিক্রিয়ার ফলে ঘাঁ বেড়ে যেতে পারে।
ডুবোতেলে ফ্রাই করা খাদ্য
কালো করে ভাজা মাছ,চিকেন ফ্রাই,গরুর চাপ,মিট বল,বেগুনি, পেঁয়াজু, চিপস,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সামুচা ইত্যাদি ডুবোতেলে ভাজা মুচমুচে খাবার না খাওয়াই ভালো। এই খাবার হজমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এবং এসিডিটি বাড়ায়।লিভার ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে ভাজা খাবার। কেমোথেরাপি নিলে এই খাবারগুলো একদম নিষিদ্ধ।
পোড়া খাবার
চিকেন গ্রিল,বারবিকিউ বিফ,স্মোকড মাংস খাওয়া যাবে না।কোলন ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, খাদ্যনালির ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের এসব খাবার পুনরায় একই ক্যান্সারে আক্রান্ত করতে পারে।ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার এর মধ্যে এটি অন্যতম।
বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার
জরায়ুর ক্যান্সার, ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, কোলন,গলব্লাডার ও এন্ড্রমেট্রিয়ামক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপি চলার সময় বেশি ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।
বাসি ও ঠাণ্ডা খাবার
বাসি খাবার গ্রহণ করলে জীবাণু দিয়ে সহজেই আক্রান্ত হবেন। আবার রেফ্রিজারেটর থেকে খাবার বের করে ঠাণ্ডা অবস্থায় খেলে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাবে।
কম সেদ্ধ ডিম
কম সেদ্ধ ডিম,ডিম পোচ,ডিমের ওমলেট না খাওয়াই ভালো। কমসেদ্ধ ডিমে জীবাণু থাকতে পারে।
মার্কারি যুক্ত মাছ
টুনা,হেরিং,ম্যাকরেল,মার্লিন ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছে বিপদজনক মাত্রার মার্কারি আছে। এগুলো দেহে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি করতে পারে। যারা কেমোথেরাপি নিচ্ছেন তারা এসব মাছ খেলে কেমোথেরাপির কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। মার্কারি ক্যান্সার কোষকে কেমোথেরাপি প্রতিরোধী করে তোলে ফলে থেরাপি তেমন কাজে আসেনা।ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার এর মধ্যে এটি অন্যতম।
কাঁচা ও কম সেদ্ধ দুধ
কাঁচা ও কমসেদ্ধ দুধে প্রচুর জীবাণু থাকে এগুলো স্বাভাবিক মানুষ সহ্য করতে পারে তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে কিন্তু ক্যান্সার রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তাই এরা খুব সহজে জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়।
মধু ও মধু দিয়ে তৈরি খাবার
অশোধিত মধু ও মধু দিয়ে তৈরি খাবার খাবেন না। কারণ এতে botulism toxin থাকে এটি মারাত্মক ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং সৃষ্টি করতে পারে।
মদ
মদ পান করা থেকে বিরত থাকুন। মদের উপাদান ইথানল কার্সিনোজেনিক পদার্থ। এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে উদ্দিপনা যোগায়। লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী মদপান করলে লিভার নষ্ট হয়ে মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে মদ শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দেয়।
লাল মাংস
গরু,ভেড়া,ছাগল,মহিষ,শুকর ইত্যাদি পশুর মাংস লাল এই মাংস যতটা সম্ভব পরিহার করাই ভালো। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী লাল মাংস বেশি খেলে ক্যান্সারের বিস্তার বেড়ে যেতে পারে।
লবণাক্ত খাবার
চিপস,সল্টেড ফুড,সল্টেড ফিশ ইত্যাদি খাবারে লবণ বেশি থাকে। এরকম খাবার দেহের জন্য ভালো নয়। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী এ ধরণের খাবার গ্রহণ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
চিনি খুব দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং ক্যান্সার কোষকে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। এই সহজলভ্য শক্তির কারণে ক্যান্সার কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় কেমোথেরাপির ঔষধ এই দ্রুত বর্ধনশীল ক্যান্সার কোষকে মারতে ব্যর্থ হয়। তাই চিনিযুক্ত খাবার কম খান,একেবারে খাবেন না তা নয়।
আচার, জ্যাম,জেলি
বাজারে কৌটাজাত আচার,জ্যাম,জেলি বিক্রি হয়। এগুলো সংরক্ষণ করার জন্য প্রচুর প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে। প্রিজারভেটিভ ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। বাড়িতে তৈরি আচার বেশি পুরাতন হলে না খাওয়াই ভালো। বেশি পুরাতন খাবারে আলফা টক্সিন তৈরি হতে পারে। এই টক্সিন লিভার ড্যামেজ করে দেয়। ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার এর মধ্যে এটি অন্যতম।
Info Source: webmd cancersupport cancer.org
পরামর্শ দিয়েছেন-
ড. এস,এম,ডেভিডসন
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ
কলরাডো,আমেরিকা
Prohibited food for cancer patient inBangla
Most harmful foods to eat as a cancer patient in Bangla,What cancer patients should not eat,Foods to avoid during cancer, cancer rogir nisidho kabar,cancer rogir je khabar khaoa uchit noy
Tag: ক্যান্সার রোগীর যে খাবার খাওয়া উচিত নয় ক্যান্সার রোগীর নিষিদ্ধ খাবার কোনটি ক্যান্সার হলে যে খাবার খাবেন না যে খাবার ক্যান্সার রোগীর জন্য ক্ষতিকর যে খাবার খেলে ক্যান্সার রোগীর বিপল হতে পারে
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।