ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল|কান্সারের ঝুঁকি কমায় এই ১৫ টি ফল#
ফল সবারই প্রিয় খাদ্য কিন্তু সব ফল সবাই পছন্দ করে না। ব্যক্তি বিশেষে পছন্দনীয় ফলের তালিকা ভিন্ন হয়। কারো মিষ্টি ফল একদম অপছন্দ কারো আবার টক ফল ভালো লাগেনা। কিন্তু এই অপছন্দের ফলের তালিকায় যদি অত্যন্ত উপকারি ক্যান্সার প্রতিরোধকারী ফল থাকে তাহলে কিন্তু ফলটিকে গুণের জন্য আর অপছন্দের তালিকায় রাখতে পারবেন না।
ফল যেমন পুষ্টিগুণে ভর্তি তেমনি রোগপ্রতিরোধকারী উপাদান সমৃদ্ধ। আসুন আজ জেনেনিই মুখের রসনা মেটানোর পাশাপাশি ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল এর বিস্তারিত আলোচনা………….
আপনি আরো পড়তে পারেন ………………………….. ক্যান্সার কী? ক্যান্সার কিভাবে সৃষ্টি হয়? …………. ক্যান্সার রোগির মৃত্যুর লক্ষণ গুলো কি?….. ক্যান্সারের ২৫ টি লক্ষণ দেখে নিন#
কান্সারের ঝুঁকি কমায় এই ১৫ টি ফল
কান্সার দূরে রাখে যে ফল
যে ফল খেলে কান্সার হয় না
আপেল,ডালিম ও বেদানা,কিউই ফল,ড্রাগন ফল,অ্যাভোকাডো,বেরি জাতীয় ফল,করোসল বা সাওয়ারসপ,তরমুজ,আনারস,আঙ্গুর,কমলালেবু, চেরি,এপ্রিকোট বা খুবানি,পাম ফল,কলা,লাল ও হলুদ শাস যুক্ত ফল,
ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল
ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল এর বিস্তারিত আলোচনা………….
আপেল
আপেলের ম্যালিক এসিড ও পলিফেনলিক এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রস্টেট, শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।আপেল স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। আপেলের পেকটিন উপাদান কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিভারের ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেল বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। আপেলের পলিফেনলিক এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সৃষ্টকারী কার্সিনোজেন কে দেহ থেকে বের করে দেয়।
আপেল খেলে ১০ এর অধিক ক্যান্সার রোধ করা সম্ভব।আপেল থেকে তৈরি পানীয় সাইডার বা সিডার এন্টিঅক্সিডেন্ট এর বেশ ভালো উৎস। আপেলের মত নাশপাতি সমান উপকারি।
ডালিম ও বেদানা
ডালিম ও বেদানার রস এন্টিঅক্সিডেন্টের আধার। স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে ডালিম ও বেদানার প্রভাব প্রমাণিত। এই ফলের উপাদানগুলো কোষের সজীবতা ফিরিয়ে আনে ফলে ইভারগ্রিন বা চিরযৌবনা হতে চাইলে ডালিম খেতে পারেন। প্রতিদিন এক গ্লাস ডালিমের রস পান করলে ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি ভালো কাজ দেয়।শরীর থেকে ক্ষতিকর ফ্রিরেডিকেল দূর করে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এতে প্রচুর হিমোগ্লোবিন থাকে এটি লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ফলে রক্ত স্বল্পতা ভালো হয়। এটি রক্ত ক্যান্সারের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
কিউই ফল
এটি নিউজিল্যান্ডের জাতীয় ফল। এর উৎপত্তি চীন দেশে এবং চৈনিক নাম ইয়াং টাও বা চাইনিজ গুজবেরী। এর বাইরে সূক্ষ্ম কাটা থাকে ভেতরে সবুজ শাস আছে। এই ফলে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি,এক্টিনিডিন থাকে এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কিউই ফল কিডনিতে পাথর জমা হতে বাঁধা দেয় এটি মূত্রনালি ও মূত্রথলির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
হাঁপানি রোগে কিউই ফলের উপকারিতার কথা প্রমাণিত এটি শ্বাসনালী ও ফুসফুস ক্যান্সার রোধে ভূমিকা রাখে।
ড্রাগন ফল
ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফোরাস, ভিটামিন বি ২ ইত্যাদি উপাদান থাকে ড্রাগন ফলে। এই ফলে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে।এই ফল খেলে ক্যান্সার রোগ সৃষ্টিকারী কার্সিনোজেন দেহে বাসা বাঁধতে পারে না দ্রুত বের হয়ে যায়।
অ্যাভোকাডো
এভোকাডোতে থাকে phytochemicals ও carotenoids এই উপাদানগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করতে ভূমিকা রাখে।colon, stomach, pancreatic, and cervical cancer দূর করতে এভোকাডো সাহায্য করে।
বেরি জাতীয় ফল
ব্ল্যাক বেরি, ব্লু বেরি, স্ট্রবেরি, গোজীবেরি, রাস্পবেরি, চেরি, মালবেরি,কামু কামু,অ্যাকাই বেরি, সহ বেরি জাতীয় সকল ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট। ক্যান্সার নিরাময়ের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
বিভিন্ন ধরণের বেরি জাতীয় ফল….
করোসল বা সাওয়ারসপ
করোসল বা সাওয়ারসপ একটি ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল। Family:Annonaceae,Genus:Annona,Species:A. muricata. এই ফলটি ক্যামো থ্যারাপির কাজ করে থাকে।গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সাওয়ারসপ ফল কেমোথেরাপির চেয়ে দশ হাজার গুণ শক্তিশালী। অতিরিক্ত না খেলে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এর ফল ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন: সাওয়ারসপ, করোসল গুয়ানাবা, গুয়ানাভানা) ইত্যাদি।
তরমুজ
তরমুজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন,লাইকোপেন, থাকে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। তরমুজ প্রস্টেট,শুক্রাশয়, ডিম্বাশয়, মুত্রথলির ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
আনারস
সর্দিকাশি, জ্বর,মাথাব্যথা প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাময় করার জন্য আনারস প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ ফল। আনারসের ব্রোমেলিন এনজাইম এন্টিক্যান্সার উপাদান হিসেবে কাজ করে। ব্রোমেলিন দেহে প্রবেশ করা বিষাক্ত পদার্থ ধ্বংস করে ফলে এই বিষাক্ত পদার্থগুলো ক্যান্সার কোষ সৃষ্টির আগেই নিষ্ক্রয় হয়ে যায়। অকেজো কোষের মৃত্যু ঘটাতে সাহায্য করে ব্রোমেলিন।
আঙ্গুর
সবুজ ও কালো আঙ্গুরে থাকে পলিফেনলিক এন্টিঅক্সিডেন্ট এটি ক্যান্সার কোষের বিস্তার বন্ধ করতে ভূমিকা রাখে। ক্যান্সার কোষ যাতে ভালো কোষে শিকর প্রবেশ করিয়ে আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য প্রতিরক্ষা আবরণ তৈরি করে। আঙ্গুর শুকিয়ে কিসমিস বানানো হয় এতেও এন্টিঅক্সিডেন্ট অটুট থাকে। কালো আঙ্গুরের রস থেকে তৈরি করা হয় রেড ওয়াইন। রেড ওয়াইনে প্রচুর পলিফেনলিক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
পরিমিত মাত্রায় রেড ওয়াইন সেবন দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সবুজ আঙ্গুর থেকে হোয়াইট ওয়াইন তৈরি হয় এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট তুলনামূলক কম থাকে তাই এটি কম খাওয়া ভালো।
কমলালেবু
সুপরিচিত সাইট্রাস ফলের উত্তম উদাহরণ কমলালেবু। কমলালেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। এতে পলিফেনলিক এন্টিঅক্সিডেন্ট ও থাকে। প্রতিদিন তাজা কমলালেবু খেলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ফলে সুস্থ কোষ সহজে ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
কমলালেবু না পেলে জ্যুস পান করতে পারেন। মাল্টা কমলালেবু গোত্রের ফল এটি প্রায় একই রকম উপাদানে ভর্তি।
চেরি
চেরি একটি বিদেশী ফল। ইউরোপে সচারাচর দেখা গেলেও বাংলাদেশে চেরি প্রক্রিয়াজাত অবস্থায় পাওয়া যায়। চেরিতে আছে উচ্চ মাত্রার পলিফেনলিক এন্টিঅক্সিডেন্ট এটি এন্টিক্যান্সার উপাদান হিসেবে কাজ করে। চেরির জ্যুস আস্ত ফলের মত সমান উপকারি।
এপ্রিকোট বা খুবানি
এটি বিদেশী ফল। এই ফলে প্রচুর ডায়টরি ফাইবার,কপার,লৌহ থাকে। এটি রক্ত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রক্তের ক্যান্সার রোধ করতে এটি ভালো ভূমিকা রাখে। স্তন ক্যান্সার রোধে এই ফলের কার্যকারিতা আছে।
পাম ফল
এটি বিদেশি ফল। ফলের উপর পানিরোধি চকচকে আবরণ থাকে। এই ফলের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হলো anthocyanins এটি দেহ থেকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত ফ্রিরেডিকেল দূর করতে সাহায্য করে। মুখগহ্বর ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে পাম ফল বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। শুকনো পাম ফল কে প্রুনস বলে এটি কালো রঙের হয়। প্রুনস তাজা ফলের মতই সমান উপকারি।
কলা
সব ধরণের কলাতে পলিফেনলিক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এটি এন্টিক্যান্সার উপাদান হিসেবে কাজ করে। পরিপাকতন্ত্র সম্পর্কিত ক্যান্সারে এই ফলটি ভালো প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। প্রতিদিন অন্তত একটি কলা খাওয়া উচিত।
লাল ও হলুদ শাস যুক্ত ফল
যেসব ফলের খোঁসা ছড়ালে লাল বা হলুদ শাস বের হয় সেসব ফলে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই ফলগুলো শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধ নয় আরো অনেক রোগ থেকে সুরক্ষাদেয়। যে সময় এই ফলগুলো প্রাকৃতিকভাবে পাকে এবং বাজারে পাওয়া যায় তখন প্রতিদিন যতটা খেলে সহ্য করতে পারেন ততটা খেতে পারেন।
সতর্কতা:
বেশি লাভের আশায় বিশেষ কোন ফল বেশি করে খাবেন না এতে মারাত্মক শারীরিক জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।কোন ফলই ফেলনা নয়, সব ফলেই কোন না কোন উপকারি উপাদান আছে। তাই কোন ফল কে অবহেলা করবেন না। অনেক খবরের পত্রিকা নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য সব ফলেই ক্যান্সার উপাদান খুঁজে পায়। আসলে বেশিরভাগ ফলেই এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাই এগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কোন বিশেষ ফল খেয়েই যদি ক্যান্সার নিরাময় করা যেত তাহলে দুনিয়ার কোন মানুষের ক্যান্সার হতো না। তবে নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে উপরে বর্ণিত ফলগুলো খাবার টেবিলে রাখা যায় তাহলে খুব ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন-
ড. এস,এম,ডেভিডসন
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ
কলরাডো,আমেরিকা
Q&A
কোন ফল কান্সার প্রতিরোধ করে?
কিউই ফল,ড্রাগন ফল,অ্যাভোকাডো,করোসল বা সাওয়ারসপ ফল কান্সার প্রতিরোধ করে ।
কি ফল খেলে কান্সার হয় না?
করোসল বা সাওয়ারসপ খেলে কান্সার হয় না ।
Info Source: webmd cancersupport cancer.org
Cancer preventing fruits in bangla
15 fruits that prevent cancer, cancer protirodh kore jesob Fol, kon fol khele cancer hoy na, je fol cancer dur kore
Tag:ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল… ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল… ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল… ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল…. ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল…. ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল….. ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল…. ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল….ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল….ক্যান্সার রুখে দেয় এই ১৫ টি ফল
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।