খনা কে ছিলেন:
খনা, বা ক্ষণা ছিলেন জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী নারী; যিনি বচন রচনার জন্যেই বেশি সমাদৃত। কথিত আছে তার আসল নাম লীলাবতী।
খনার বচন কী?
মূলতঃ খনার ভবিষ্যতবাণীগুলোই ‘খনার বচন’ নামে বহুল পরিচিত।
আপনি আরো পড়তে পারেন……. মাথা থেকে বাজে চিন্তা দূর করার উপায়
কৃষিক্ষেত্রে খনার বচন:
প্রথম অধ্যায়
(শস্যগণনা, হালগণনা, শস্য রোপণ ও কর্তনের সময় নিরূপণ, আলিবন্ধন প্রণালী, বন্যা গণনা, বৃষ্টি গণনা, বৎসর গণনা, ধান্যাদি গণনা, মড়ক গণনা)
১.
খনা
শ্রাবণের পুরো ভাদ্রের বারো।
এর মধ্যে যত পারো।।
ব্যাখ্যা– :
সমস্ত শ্রাবণ আর ভাদ্রের দ্বাদশ।
ধান্যাদি রোপিবে এই কয়েক দিবস।।
২.
ষোলো চাষে মূলা।
তার অর্ধেক তুলা।।
তার অর্ধেক ধান।
বিনা চাষে পান।।
ব্যাখ্যা– :
চষিবে মূলার ক্ষেত্র ষোল দিন ধরি।
তুলার অষ্টাহ মাত্র ধান্যের দিন চারি।।
পানের জমিতে নাহি ধরিবে হাল।
যথাকালে ফলাফল পাবে চিরকাল।।
৩.
খনা
শুভক্ষণ দেখে ক’রে যাত্রা।
পথে যেন না হয় অশুভ বার্তা।।
আগে গিয়া কর দিক্ নিরূপণ।
পূৰ্ব্বদিক্ হ’তে হল চালন।।
যা কিছু আশা পূরবে সকল।
নাহি সংশয় হবে সফল।।
ব্যাখ্যা– :
যে দিন প্রথমে হাল চালনে যাইবে।
শুভক্ষণ দেখি গৃহ হ’তে বাহিরিবে।।
পথিমধ্যে অশুভ সংবাদ যদি পাও।
তখন গৃহেতে পুনঃ ফিরিয়া আসিবে।।
আবার তেমনি শুভক্ষণ দেখি যেও।
দিক নিরূপণ করি হাল চালাইও।।
পূর্বদিক হতে হাল চালনা করিবে।
এইরূপে কর কার্য সুফল ফলিবে।।
৪. থোর তিরিশে। বোড়ামুখো তেরো জেনো।। ফুলোবিশে। বুঝেসুঝে কাটো ধান্য।। ব্যাখ্যা– : কাটিবে থোড় জন্মিলে ত্রিশ দিন পরে। ফুলিলে কুড়িটি দিন রেখ মনে করে।। শির নত হ’লে তের দিন পরে কাটো। অন্যথায় হবে হানি যত তায় খাট।।
৫.
খনা
পূর্ণিমা অমায় যে ধরে হাল।
তার দুঃখ হয় চিরকাল।।
তার বলদের হয় বাত।
ঘরে তার না থাকে ভাত।।
খনা বল আমার বাণী।
যে চষে তার হবে হানি।।
ব্যাখ্যা– :
পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় না ধরিবে হাল।
যদি ধরো তবে দুঃখ রবে চিরকাল।।
অধিকন্তু বাতে পঙ্গু হইবে বলদ।
বৃথায় এ কার্য না হবে ফলদ।।
৬. আষাঢ়ে কাড়ান নামকে। শ্রাবণে কাড়ান ধানকে।। ভাদ্দরে কাড়ান শীষকে। আশ্বিনে কাড়ান কিস্ কে।। ব্যাখ্যা– : আবাদের যোগ্য কথা কাড়ান বলি তায়। বৃষ্টিপাতে ভূমিতে কাড়ান আনায়।। আষাঢ়ে কাড়ানে ধান্য জন্মে না সর্বত্র। কিঞ্চিৎ আবাদ তাহে হয়ে থাকে মাত্র।। শ্রাবণের কাড়ানে প্রচুর জন্মে ধান। শীঘ্র মাত্র জন্ম হ’লে ভাদ্রতে কাড়ান।। আশ্বিনে কাড়ান একেবারেই নিষ্ফল। কোন কার্য তাহে যাতে নাহি দেয় ফল।।
৭.
থেকে বলদ না বয় হাল।
তার দুঃখ সৰ্বকাল।।
ব্যাখ্যা– :
মায়া করে যে বলদে না খাটাইতে চায়।
যাহার বলদ সদা ব’সে বসে খায়।।
চিরকাল দুঃক তার নিত্য অন্নাভাব।
যেহেতু জমিতে তার কর্ষণ অভাব।।
৮.
বাড়ীর কাছে ধান গা।
যার মার আছে ছা।।
চিনি বা না চিনি।
খুঁজে দেখে গরু কিনিস্।।
ব্যাখ্যা– :
বাটির নিকট তব থাকিবে যে জমি।
তাহাতেই চাষকর্ম করিবেক তুমি।।
ফসল যা পাবে চুরি দেখিবারে পাবে।
দূরে হ’লে কেবা তথা চৌকি দিয়া রবে।।
খুঁজি দেখি ঘাতে-ঘোতে গরু যদি কিনো।হইবে নিশ্চয় লাভ চিন বা না চিন।।
৯.
কোল পাতলা ডাগর গুচ্ছি।
লক্ষ্মী বলেন ঐখানে আছি।।
ব্যাখ্যা– :
মোটা মোটা গুছি দেয় রাশি রাশি।
ফাঁক ফাঁক রাখ যত ফল বেশী বেশী।।
১০.
আঁধার পরে চাঁদের কলা।
কতক কালো কতক ধলা।।
উত্তর ভঁচো দক্ষিণ কাত।
ধারায় ধারায় ধান্যের ধাত।।
চাল ধান দুই সস্তা।
মিষ্টি হবে লোকের কথা।।
ব্যাখ্যা– :
কৃষ্ণপক্ষ অবসানে যে চন্দ্র উদিবে।
প্রথম প্রথম যাহা দেখিবারে পাবে।।
কিয়দংশ অন্ধকারাচ্ছন্ন কিছু আর।
নিম্ন দক্ষিণে আর হবে সে বৎসরে।।
সে বৎসর ধান্যের না রবে দিকপাশ।
মিষ্টভাষী হবে নর পাবে শস্য পাস।।
১১.
ডেকে ডেকে খনা গান।
রোদে ধান ছায়ায় পান।।
ব্যাখ্যা– :
রৌদ্রপীঠ জমিতে জন্মায় যত ধান।
ছায়াময় স্থানে তত জন্মিবে পান।।
১২.
এক অঘ্রাণে ধান।
তিন শ্রাবণে পান।।
ব্যাখ্যা– :
এক অগ্রহায়নে ধান্য ঠিক হয়।
তিন শ্রাবণের কমে পান নয়।।
১৩. কার্তিকের জল উননা। ধান জন্মে দুনো।। ব্যাখ্যা– : কার্তিক মাসেতে যত জল অল্প হবে। ধান গাছে ধান তত অধিক ফলিবে।।
১৪.
অঘ্রাণে পৌটী।
পৌষে ছেউটী।।
মাঘে নাড়া।
ফাগুনে ফাঁড়া।।
ব্যাখ্যা– :
কাটিলে অগ্রহায়ণে ধান মিলে ষোল আনা।
পৌষে এসে ছ-আনা দাঁড়াবে আছে জানা।।
মাঘে নাড়া মাত্র অবশিষ্ট থাকিবেক।
ফাল্গুনে নিশ্চয় সব নষ্ট হইবেক।।
১৫.
শীষ দেখে বিশ দিন।
কাটতে মাড়তে দশ দিন।।
ব্যাখ্যা– :
যেদিন ধানের শীষ উদগত হইবে।
বিশ দিন পরে তার কর্তন করিবে।।
মাড়িবার জন্য আর দশদিন দাও।
তারপর গোলা পূর্ণ করে তুলে নাও।।
১৬.
শনি রাজা মঙ্গল পাত্র।
চষো খোড়ো কেবল মাত্র।।
ব্যাখ্যা– :
শনি রাজা যে বর্ষে মঙ্গল মন্ত্রী আর।
সে বর্ষে না দেখি আশা ধান জন্মিবার।।
১৭.
বাপ বেটাই চাই
তদভাবে সোদর ভাই।। ।
ব্যাখ্যা– :
পরের সাহায্যে যে কৃষক চাষ করে।
তাহার লাভের আশা বৃথাই সংসারে।।
আপনার ভাবি পর কভু কি খাটিবে।
বাপ বেটা হলে তারা যেরূপ করিবে।।
অপরের চেয়ে যদি ভাই ভাই মিলে।
তাহাতে বরং কিছু সুফলও ফলে।।
১৮.
বাঁধো আগ আলি।
রোপ তবে শালী।।
যদি ফল ফলে।
গালি পেড়ো খনা বলে।।
ব্যাখ্যা– :
বাধিলে উত্তমরূপে আলি সারি সারি।
শালী ধান্য তাহে যদি দাও যত্ন করি।।
যথাকালে ফল তার প্রচুর পাইবে।
মিথ্যা যদি হয় খনা গালি তবে খাবে।।
১৯.
আষাঢ়ের পঞ্চদিনে।
রোপন করে যে ধানে।।
সুখে থাকে কৃষিবল।
সকল আশা হয় সফল।।
ব্যাখ্যা– :
আষাঢ়ের পাঁচদিন মধ্যে রোও ধান।
সে চাষার কষ্ট কোথা খুশী সদা প্রাণ।।
সকল আশা সকল হয় তো তাহার।
অফুরন্ত ধান চাল গোলায় যাহার।।
২০.
আউশ ধান্যের চাষ।
লাগে তিন মাস।।
ব্যাখ্যা– :
রোপনের তিন মাস মধ্যে আ’শ।
জন্মে শেষ হয় তার যত কিছু চাষ।।
২১.
ভাদ্রের চারি আশ্বিনের চারি।
কলাই রোবে যত পারি।।
ব্যাখ্যা– :
ভাদ্রের শেষ চারি দিবস তথা আর।
আশ্বিনের প্রথম চারি সঙ্গে তার।।
এই অষ্টদিন মধ্যে বুনিবে কলাই।
প্রশস্ত সময় এই শুন সবে ভাই।।
২২.
সরিষা বুনে কলাই মুগ।
বুনে বেড়াও চাপড়ে বুক।।
ব্যাখ্যা– :
এক ক্ষেত্রে সর্ষপ কলাই বুনিয়া দিতে পারি।
অথবা সর্ষপ মুগ যাহা ইচ্ছা করি।।
উভয় ফসল একসঙ্গে পাওয়া যাবে।
মনের আনন্দে চাষা বুক বাজাইবে।।
২৩.
আশ্বিনের উনিশ কার্তিকের উনিশ।
বাদ দিয়ে মটর কলাই বুনিস।।
ব্যাখ্যা– :
আশ্বিন মাসের শেষ উনিশটি দিবস।
চৈত্রের প্রথম আট— এই ষোড়শ।।
রোপণ করিবে তিল মিটিবেক আশ।
অন্যথায় হায় হায় করো বারো মাস।।
২৪.
ফাল্গুনের আট চৈত্রের আট।
সেই তিল দায়ে কাট।।
ব্যাখ্যা– :
ফাল্গুন মাসের শেষ আটটি দিবস।
চৈত্রের প্রথম আট —- এই ষোড়শ।।
রোপণ করিবে তিল মিটিবেক আশ।
অন্যথায় হায় হায় করে বারো মাস।।
২৫.
খনা
খনা বলে, চাষার পো।
শরতের শেষে সরিষা রো।।
ব্যাখ্যা– :
শরতের শেষভাগে সর্ষপ বপন।
মনে যেন থাকে ভাই খনার বচন।।
অপর ঋতুতে যদি বপন করিবে।
ফসল উচিত মত তাতে নাহি পাবে।।
২৬.
সাত হাতে তিন বিঘতে।
কলা লাগাবে মায়ে পুতে।।
লাগিয়ে কলা না কাট পাত।
তাতেই কাপড় তাতেই ভাত।।
ব্যাখ্যা– :
সাত হাত অন্তরেতে এক এক।
এক চারা রোপে দেখ।।
তিন বিঘত পরিমিত গর্ত হবে।
তবে তো কলার গাছ তার ফল দিযে।।
২৭.
থাকে যদি টাকা করবে গো
চৈত্র মাসে ভুট্টা রো।।
ব্যাখ্যা– :
চৈত্র মাসে ভুট্টা যেই করিবে রোপন।
তার অন্নাভাব নাহি হয় কদাচন।।
টাকা করিতে সাধ যদি থাকে চিতে।
রোপণ করহ গিয়া চৈত্র মাসেতে।।
২৮.
দিনে রোদ রাত জল।
দিন দিন বাড়ে ধানের বল।।
ব্যাখ্যা– :
দিনে রৌদ্র রাত্রে বৃষ্টি হয়।
করিবে ধানের গাছ খুব তজোময়।।
২৯.
আউশের ভূঁই বেলে।
পাটের ভুঁই আঁটালো।।
ব্যাখ্যা– :
আউশ ধানের জমি বেলে ভাল।
পাটের জমি ভাল শুধু হইলে আঁটালো।।
৩০.
মানুষ মরে যাতে।
গাছলা সারে তাতে।।
পচা সরায় পাছলা সারে।
গোঁধলা দিয়ে মানুষ মরে।।
ব্যাখ্যা– :
পচা গোবরের গন্ধে পীড়া হয়।
বিলক্ষণ তেজ কিন্তু গাছ তার পায়।।
ফলবান হয় বৃক্ষ পচলার সারে।
কিন্তু আশ্চর্য নর তাহাতেই মরে।।
৩১.
বৈশাখের প্রথম জলে।
আশুধান দ্বিগুণ ফলে।।
খনায় বলে শুন ভাই।
তুলায় তুলা অধিক পাই।।
ব্যাখ্যা– :
প্রথমে বৈশাখে যদি বৃষ্টি ভাল হয়।
প্রচুর আউস ধান জন্মিবে নিশ্চয়।।
কার্তিকেতে বৃষ্টি হইলে তুলা ভাল হবে।
খনার উক্তি কভু আর না ভাবিবে।।
৩২.
কোদালে মান তিলে হাল।
কাতেনকাকার মাসেকাল।।
ছায়ের লাউ, উঠানে ঝাল।
কর বাপু চাষার ছাওয়াল।।
ব্যাখ্যা– :
মান গাছ করিতে যদ্যপি সাধ থাকে।
কোদাল পাড়িয়া পাট কর সে জমিতে।।
জন্মিবে তিল হল-চালনা না হলে।
অতএব তার পাট করহ লাঙ্গলে।।
শ্বেত তিল আশ্বিন কার্তিকে বুনিবেক।
মাঘ ফাল্গুনে কৃষ্ণ তিল ছড়াবে।।
বাঁশবনে লাউ উঠানেতে ঝাল।
জনমে উত্তম ফল জেনো চিরকাল।।
৩৩.
সরষে ঘন, পাতলা রাই।
নেঙ্গে নেঙ্গে কাপাস যাই।।
কাপাস বলে, কোষ্ঠা ভানু।
জ্ঞাতিপানি না যেন পাই।।
ব্যাখ্যা– :
সর্ষপ বুনিতে হবে খুব ঘন ঘন।
রাই কিন্তু ফাঁক ফাঁক বুনা চাই জেনো।।
কার্পাস এমন ভাবে বপন করিবে।
দাঁড়াইয়া যেন তাহা তুলিতে পারিবে।।
ডিঙ্গাতে পারে যেন আবশ্যক মতে।
পাট ও কার্পাস নাহি বুনো এক ক্ষেতে।।
কারণ কোষ্টার জল লাগিলে কাপাস।
আর না রবে তো আশ।।
৩৫.
খাটে খাটায় লাভের গতি।
তার অর্ধেক কাঁধে ছাতি।।
ঘরে বসে পুছে বাত।
তার ঘরে হা ভাত হা ভাত।।
৩৬.
মাছের জলে লাউ বাড়ে।
ধেনো জমিতে ঝাল বাড়ে।।
ব্যাখ্যা– :
লাউগাছে মাছ ধোয়া জল উপকারী।
ঝাল গাছে ধান পচা উপকারী।।
৩৭.
যে বার গুটিকাপাত সাগর-তীরেতে।
সৰ্ব্বদা মঙ্গল হয় কহে জ্যোতিষেতে।।
নানা শস্যে পরিপূর্ণ বসুন্ধরা হয়।
খনা কহে মিহিরকে নাহিক সংশয়।।
ব্যাখ্যা– :
হইলে গুটিকাপাত সমুদ্রের তীরে।
একত শস্য হয় যে ধরায় নাহি ধরে।।
অতএব এইরূপে হবে যে বৎসর।
শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরা রবে নিরন্তর।।
৩৮.
বাঁশ বনে বুনলে আলু।
আলু হয় গাছ বেড়ালু।।
ব্যাখ্যা– :
বাঁশবন ধারে যদি আলু পোঁতা যায়।
আলু খুব বাড়ে তার গাছ তেজ পায়।।
বড় আলু খেতে চাও পোঁত বাঁশ বনে।
রাখহ বিশ্বাস ভাই খনার বচনে।।
৩৯.
চাল ভরা কুমড়া পাতা
লক্ষ্মী বলেন আমি তথা।।
ব্যাখ্যা– :
লাউ কুমড়ার গাছ বাড়ীতে যাহার।
অভাব তরকারীর না রবে তাহার।।
অধিকন্তু বেচিলে দু’পয়সা পায়।
সচ্ছল সংসার তার সুখে দিন যায়।।
৪০.
পান পেতে শ্রাবণে।
খেয়ে না ফুরোয় রাবণে।।
ব্যাখ্যা– :
রোপিলে শ্রাবণে পান এত পান ধরে।
রাক্ষসেরা খেলে নাহি ফুরাইতে পারে।।
Info Source: Wikipedia
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।