ডিপ্রেশন কী? ডিপ্রেশনের কারণ,লক্ষণ ও মুক্তির উপায়!
আমাদের সবারই নানা কারণে কখনো কখনো মন খারাপ হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এই মন খারাপের মাত্রা অনেক তীব্র হয় এবং কোনো কারণ ছাড়াই সপ্তাহ, মাস এমনকি বছর জুড়েই থাকে।
মন খারাপের এই বিষয়টিকে আমরা ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা বলে থাকি । তবে ডিপ্রেশন শুধুমাত্র মন খারাপ নয় বরং এটি এমন এক মারাত্মক অবস্থা যা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের তুলনায় যারা ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতায় ভোগে তাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকির সম্ভাবনা চার গুণ বেশি থাকে। বিষণ্নতা যেকোনো বয়সে হতে পারে, কিন্তু এটি প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও ইদানীং ডিপ্রেশনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিষণ্নতার হার পুরুষদের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ, বিশেষ করে গর্ভধারণের ঠিক পূর্বে, গর্ভধারণের সময় এবং গর্ভধারণের পরে ।
এসময় সাধারণত ১০-১২% নারী বিষণ্নতায় ভোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে মানুষের কর্মক্ষমতা হারানোর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হবে বিষণ্নতা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এটি হবে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা।
আপনি আর পড়তে পারেন …… মাথা থেকে বাজে চিন্তা দূর করার উপায়
ডিপ্রেশন কী?
ডিপ্রেশন একটি ভয়াবহ মানসিক ব্যাধি যা সাধারণত মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ নিউরোট্রান্সমিটার ও নিউরোপেপটাইডের ভারসাম্যহীনতার ফলে দেখা দেয়।
উইকিপেডিয়া
বিষণ্নতা একজন মানুষের অনুভূতি, চিন্তাধারা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম, যেমন ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ও স্বাভাবিক জীবনযাপনকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করে।
পরের পৃষ্ঠায় বর্ণিত লক্ষণগুলো কারোর মধ্যে কমপক্ষে দু’সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকলে বুঝতে হবে সে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত।
ডিপ্রেশনের কারণ
বিষণ্নতা একটি জটিল রোগ, কারণ এর সাথে জৈবিক, মানসিক এবং সামাজিক বিষয়গুলোর সম্পৃক্ততা আছে । গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদী বেকারত্ব, অবমাননাকর ঘটনা, যেকোনো ধরনের সম্পর্কে অবিশ্বাস, দীর্ঘমেয়াদী বিচ্ছিন্নতা বা নিঃসঙ্গতা, দীর্ঘমেয়াদী কাজের চাপ, ওষুধের প্রতিক্রিয়া, ইত্যাদি ডিপ্রেশনের জন্য দায়ী।
পারিবারিক ইতিহাস
কখনো কখনো পরিবারে বাবা মা বা নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিষণ্নতা থাকলে তা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যেও বংশানুক্রমিকভাবে আসতে পারে। জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি এবং কিছু ব্যক্তিগত বিষয় এক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
ব্যক্তিত্ব
যারা অকারণে বা তুচ্ছ বিষয়ে বেশি দুশ্চিন্তা করে, যাদের আত্মসম্মানবোধ কম এবং যারা অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে, পরশ্রীকাতর ও ব্যক্তিগত সমালোচনার প্রতি সংবেদশীল তাদের বিষণ্নতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি।
গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা
যারা অনেক দিন ধরে দীর্ঘমেয়াদী কঠিন রোগে ভুগছেন তাদের বিষণ্নতায় ভোগার আশঙ্কা থাকে।
মাদকদ্রব্য বা অ্যালকোহল গ্রহণ
অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য সেবন বা অ্যালকোহল গ্রহণ বিষণ্নতার কারণ হতে
পারে। আবার বিষণ্নতায় ভোগার কারণে মানুষ মাদকদ্রব্য বা অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়তে পারে।
ডিপ্রেশনের লক্ষণ
- অনেকদিন ধরে মন খারাপ বা কোনো কারণ ছাড়াই কান্নাকাটি করা।
- খাবারে অরুচি, অনিদ্রা, ওজনের পরিবর্তন।
- রাগ, খিটখিটে মেজাজ, অকারণে দুশ্চিন্তা,অস্থিরতা।
- কোনো কাজে মনোযোগ না-থাকা। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না-পারা।
- স্মরণশক্তি কমে যাওয়া।
- হতাশা, নিজের প্রতি উদাসীনতা ও অযত্ন।
- কাজের উদ্যম কমে যাওয়া, দুর্বলতা।
- অপরাধবোধ।
- নিজেকে তুচ্ছ মনে হওয়া।
- আগে যেসব কাজে আনন্দ পেতেন সেসব।
- কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
- সমাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখা।
- মৃত্যু বা আত্মহত্যার চিন্তা করা।
- কোনো কারণ ছাড়াই ব্যথা, যন্ত্রণা, ইত্যদি।
অনুভব করা যারা ডিপ্রেশনে ভুগছে তাদের সবার মধ্যে উপরোক্ত সব ধরনের লক্ষণ থাকবে তা নয়, অনেকের মধ্যে কিছু কিছু লক্ষণ দেখা যায় আবার অনেকের মধ্যে একসাথে অনেকগুলো লক্ষণও থাকতে পারে।
ডিপ্রেশনের প্রকারভেদ
মানসিক,শরীরিক ও পরিবেশের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে ডিপ্রেশন কয়েক প্রকার যেমন-
পারসিস্টেন্ট ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার
এটি ডিসথাইমিয়া নামেও পরিচিত। এ ধরনের ডিপ্রেশন কমপক্ষে দুই বছর পর্যন্ত থাকে।
এ ক্ষেত্রে বিষণ্ণতার লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার পর মিলিয়ে যায় এবং দুই মাসের মধ্যে আবার ফিরে আসে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞরা একে মাইন্ড বা হালকা ডিপ্রেশন বলে থাকেন।
মেজর বা বড় ধরনের ডিপ্রেশন
এটি খুবই মারাত্মক। এর ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম, যেমন ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, ইত্যাদি মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। বড় ধরনের এই বিষণ্নতায় মানুষ জীবনে একবার অথবা বারবার আক্রান্ত হতে পারে।
সাইকোটিক ডিপ্রেশন
বিষণ্নতার সাথে একজন মানুষের মধ্যে যখন অন্যান্য মানসিক সমস্যা, যেমন ভুল বিশ্বাস/বিভ্রম, বাস্তবতার সাথে অসম্পৃক্ততা, গায়েবী আওয়াজ শোনা বা এমন কিছু দেখা যা অন্য কেউ শোনেও
না দেখেও না (হ্যালুসিনেশন) ইত্যাদি থাকে তখন তাকে সাইকোটিক ডিপ্রেশন বলা হয়।
এ ধরনের রোগীরা প্যারানয়েড স্বভাবের হয়, অর্থাৎ তারা মনে করে সবাই তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বা তাদের ক্ষতি করতে চায় অথবা খুব খারাপ কোনো ঘটনা তার জীবনে ঘটতে যাচ্ছে ।
অ্যান্টিন্যাটাল এবং পোস্টন্যাটাল ডিপ্রেশন
মহিলারা গর্ভকালীন সময়ে (অ্যান্টিন্যাটাল) এবং সন্তান প্রসবের পরবর্তী সময়ে (পোস্টন্যাটাল) ডিপ্রেশনে ভুগতে পারে।
প্রায় ১০% মহিলা গর্ভকালীন সময়ে ডিপ্রেশনে ভোগে। প্রসবের পর প্রথম তিন মাসে এই হার ১৬% পর্যন্ত হতে পারে।
সিজনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার
এই মানসিক সমস্যা ঋতুর সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই বিষণ্নতার কারণ পরিষ্কার নয়, কিন্তু ধারণা করা হয় বিভিন্ন ঋতুতে আলোর পরিমাণের ওপর এটি নির্ভরশীল।
এই বিষণ্নতায় কোনো এক ঋতুতে বিষণ্ণতা শুরু হয় আবার ঋতুর শেষে তা ঠিক হয়ে যায়। শীতের শুরুতে বিষণ্নতার শুরু এবং শীতের শেষে মন ভালো থাকাটা এধরনের বিষণ্নতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ায় শীতপ্রধান জায়গাতে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে এধরনের বিষণ্নতা বেশি দেখা যায়।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার
বাইপোলার ডিজঅর্ডারে যারা ভোগে তারা কখনো বিষণ্নতায় ভোগে আবার কখনো তাদের মন খুব ভালো থাকে বলে মনে হয়। এধরনের মন ভালো থাকাকে সাধারণত ম্যানিয়া বলে।
এই দু’টি অবস্থা পর্যায়ক্রমে হয় এবং এর মাঝামাঝি সময়ে মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক থাকে।
ম্যানিয়াকে বিষণ্ণতার ঠিক উল্টো অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা যায়, অর্থাৎ হঠাৎ যখন কারো খুব বেশি আনন্দ হয়, কর্মক্ষমতা কমে যায়, খুব দ্রুত কথা বলে, ঘুম কমে যায়, কাজের প্রতি মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে এবং তার মধ্যে হতাশার মতো লক্ষণগুলো দেখা যায় তখন সে ম্যানিয়ায় আক্রান্ত বলে ধরে নেওয়া যায়।
ডিপ্রেশন এবং আত্মহত্যা
আমেরিকায় বছরে প্রায় ৩০,০০০ আত্মহত্যার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আত্মহত্যার কারণ Depression। বিষণ্নতার ফলে তরুণদের মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে এবং এর একটি অন্যতম কারণ হতে পারে আত্মহত্যা।
আমেরিকায়১৫-২৪ বছর বয়সীদের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ আত্মহত্যা। তবে দুঃখের বিষয়, বাংলাদেশে । এ-বিষয়ক কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই।
ডিপ্রেশনের চিকিৎসা এবং থেরাপি
যত তাড়াতাড়ি Depression র চিকিৎসা শুরু করা যায় ততই ভালো এবং তা কার্যকর হয়। ওষুধ, সাইকোথেরাপি অথবা ওষুধ এবং সাইকোথেরাপি মিলিয়ে বিষণ্নতার চিকিৎসা করা হয়।
ডিপ্রেশনের থেরাপি
যদি এসব চিকিৎসা কাজ না করে তখন ইলেকট্রোকনভালসিভ থেরাপি বা অন্যান্য ব্রেইন স্টিমুলেশন থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। তবে যেকোনো চিকিৎসাই হোক না কেন তা অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ রেজিস্টার্ড চিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানীর দ্বারা হতে হবে।
ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় সাইকোথেরাপি
কাউন্সেলিং বা পরামর্শ Depression এ আক্রান্ত রোগীর জন্য অনেক উপকারী। এই প্রক্রিয়ায় একজন কাউন্সিলর রোগীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে আলাপ করে তার সমস্যাগুলো বুঝে সেই অনুযায়ী পরামর্শ দিয়ে তাকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেন।
ডিপ্রেশনের ওষুধ
Depression র চিকিৎসায় অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এগুলো মস্তিস্কের চাপ নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক পদার্থগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
এধরনের ওষুধ কাজ করতে সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে এবং অনেক সময় মুড ঠিক হওয়ার আগে ঘুম, রুচি এবং মনোযোগ-সংক্রান্ত সমস্যা ঠিক হয়ে আসে; তাই ওষুধ কাজ করছে না এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে ওষুধগুলোকে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
অনেক সময় একাধিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ব্যাবহারেরও প্রয়োজন হয়। ওষুধ খাওয়া শুরু করলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তা বন্ধ করা যাবে না।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট শুরু করার পর একটু ভালো বোধ করলে অনেকে ওষুধ খাওয়া নিজে থেকেই বন্ধ করে দেয় এবং বিষণ্নতা আবার ফিরে আসে।
সাধারণত ওষুধ শুরু করার ৬-১২ মাসের মধ্যে চিকিৎসক যদি মনে করেন ওষুধ বন্ধ করতে হবে তবে তিনি ধীরে ধীরে আপনার ওষুধের ডোজ কমিয়ে তারপর বন্ধ করবেন। হঠাৎ ওষুধ বন্ধ করলে উইথড্রয়াল সিন্ড্রোম দেখা দিতে পারে।
বিষণ্ণতা কীভাবে এড়ানো যায়?
- দুঃশ্চিন্তা কেন করছেন তা খুঁজে বের করুন।
- বিষণ্ণতার কারণ টি কে সমাধান করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন।
- সমস্যা সমাধানের অযোগ্য হলে বিকল্প পধে নিজেকে পরিচালিত করুন।
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়!
নিচের টিপসগুলো আপনাকে বা আপনার কাছের মানুষকে ডিপ্রেশনের হাত থেকে বাঁচাতে পারে:
- কাজে ব্যস্ত থাকা এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা।
- জীবনের বাস্তবসম্মত লক্ষ্য ঠিক করা।
- প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানো এবং বিশ্বস্ত বন্ধু তৈরি করা।
- কোনো সমস্যা থাকলে তা কাছের মানুষ, বিশ্বস্ত, প্রিয় এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে জানেন বা বোঝেন এমন কারোর কাছে খুলে বলা।
- জীবনে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে তা সহজভাবে মেনে নেওয়া।
- নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করা।
- নিজের প্রতি আস্থা রাখা।
- কেউ ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তাকে কখনোই একা রাখবেন না।
- ডিপ্রেশন মানুষের মনের একটি অবস্থা। তবে সঠিক চিকিৎসায় রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে।
- আপনার যদি মনে হয় আপনি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত, তাহলে নেতিবাচক চিন্তা না করে বরং মনকে শক্ত রাখবেন।
মনে রাখবেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মনোবিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যা আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
লেখক
ডাঃ আসমা বিনতে আজিজ, আইসিডিডিআর,বি
Please Click On Just One Add To Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।