পেগাসেস স্পাইওয়্যার কী?পেগাসাস ভাইরাস|এক ভয়ংকর স্পাইওয়্যারের কাহিনী!
বহুত ভাইরাসের নামই তো শুনলেন আজ অবধি। ইনফ্লুয়েঞ্জা, হেপাটাইটিস-বি, করোনা ভাইরাস ইত্যাদি। পেগাসেস ভাইরাস কি সেই জাতীয় ভাইরাস? “না”। এটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কোনো ভাইরাস না।
তবে মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি থেকে আরম্ভ করে তার সর্বস্ব হারিয়ে ফেলার কারণ হইতে পারে এই বিতর্কিত এবং ত্রাসজনক “পেগাসেস স্পাইওয়্যার”। চলুন, বিশদে জেনে নেয়া যাক, আদতে এই পেগাসেস স্পাইওয়্যার কী?
আপনি আরও পরতে পারেন… বিটকয়েন কী? কী কাজে ব্যবহৃত হয়?লাখপতি হওয়ার ধান্দা#
পেগাসেস স্পাইওয়্যার কী?
স্পাইওয়্যার হলো এমন একপ্রকার ম্যালওয়্যার যা অযাচিতভাবে আপনার ফোনে বা কম্পিউটারে হানা দিয়ে তথ্য চুরি থেকে আরম্ভ করে সর্বত্র তথ্য তাদের সার্ভারে ট্রান্সফার করে নিতে পারে এবং আপনি তার মাধ্যমে ভয়ংকরতম ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন।
সম্প্রতি আলোচিত ইসরায়েলের টেকনোলজি গবেষণা এবং সাইবারআর্ম প্রতিষ্ঠান NSO Group এর তৈরিকৃত “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” বিশ্বব্যাপী বিবিধ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের স্মার্টফোন(অ্যান্ড্রয়েড ফোন) এবং অ্যাপল আইফোনে খুব সহজেই অনুপ্রবেশ করে ফেলেছে।
শাব্দিক অর্থে পেগাসেস মানে পক্ষীরাজ বা উড়ন্ত অশ্ব হলেও ভয়ংকর ম্যালওয়্যার জন্য নামকরণ হিসেবে এর নাম “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” দেওয়া হয়।
এটি এমন একটি স্পাইওয়্যার যা কি-না কোনো ব্যক্তির ফোনে ঢুকে গেলে ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিয়ো, ব্যাংক কার্ড থেকে আরম্ভ করে যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নিতে সক্ষম। এতটাই ভয়ংকর একপ্রকার স্পাইওয়্যার।
“পেগাসেস স্পাইওয়্যার”-কেন্দ্রিক ইসরায়েলের সংগঠিত এই প্রকল্পের নাম “The Pegasus Project”। এই প্রকল্পের টার্গেটে সদ্য উন্মোচিত লিস্ট অনুযায়ী বিশ্বের ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানও রয়েছে।
পেগাসাস ভাইরাস কী?
পেগাসাস স্পাইওয়ার কে পেগাসাস ভাইরাসও বলে।
পেগাসাস ম্যালওয়ার কী?
পেগাসাস ভাইরাস কে অনেকে পেগাসাস ম্যালওয়ার নামেও ডাকে।
পেগাসাস সফ্টওয়ার কী?
ইসরায়েলের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান NSO Group কর্তৃক নির্মিত একটি তথ্য চুরি করার স্পাইওয়ার হলো পেগাসাস সফ্টওয়ার। এটি এন্ড্রয়েড ও আইফোনের অপারেটিং সিস্টেমে ঢুকে ব্যবহাকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।
পেগাসেস ভাইরাসের জন্ম ইতিহাস
আগেই জেনে এসেছেন যে, এটি ইসরায়েলের NSO Group এর নির্মিত এবং কোডকৃত একটি স্পাইওয়্যার যেটা ব্যক্তিবর্গের অনলাইন-ভিত্তিক এবং অফলাইন-ভিত্তিক সব ধরনের কার্যক্রম ট্র্যাক করতে পারে।
NSO এটি সংক্ষিপ্ত রূপ যার পূর্ণরূপ হলো নিভ, শ্যালেভ, অমরি (Niv, Shalev, Omri) এই প্রতিষ্ঠান নির্মাতা তিনজন ব্যক্তির নামে নামকরণ করা হয় NSO Group। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয়।
তৎকালীন এটি আরব মানবাধিকার প্রতিরক্ষক আহমেদ মনসুর তার আইফোনে একটি টেক্সট মেসেজ গ্রহণ করেন যেটি ছিলো গোপনীয় একটি লিংক।
সেই লিংকে ছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে অত্যাচার, নিপীড়ন সম্পর্কিত একটি তথ্য। আহমেদ মনসুর ত্রুটিযুক্ত পেয়ে তৎক্ষণাৎ সেটি সিটিজেন ল্যাবে পাঠান।
সিটিজেন ল্যাব সেটি নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করে যে, আহমেদ মনসুরের আইফোনে পাঠানো লিংকটি ছিলো মূলত একটি স্পাইওয়্যার যেটা তার ফোনের সকল প্রকার তথ্য লঙ্ঘন করা থেকে শুরু করে তার ফোনের ব্যক্তিগত যাবতীয় কার্যাবলি খুব সহজেই ট্র্যাক করতে সক্ষম।
২০২১ সালের জুলাই মাস নাগাদ বিখ্যাত মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর সাইবার সিকিউরিটি দল তদন্ত করে দেখে যে,
“পেগাসেস স্পাইওয়্যার” এটি প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে এবং বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের ফোনে অধিকতর আক্রমণ করছে, সাথে রাষ্ট্রীয় সকল প্রকার কার্যক্রম ট্র্যাক করছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তদন্ত অনুযায়ী “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” iOS 14.6 পর্যন্ত অনায়াসেই সিকিউরিটি লঙ্ঘন করে ফোন ব্যবহারকারীর সকল প্রকার তথ্য হাতিয়ে নিতে সক্ষম।
পেগাসাস ভাইরাস কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
২০১৬ সালের আগস্ট মাসে “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হয়।
পেগাসেস ভাইরাস কে আবিষ্কার করে?
ইসরায়েল ভিত্তিক NSO Group এর প্রতিষ্ঠাতা নিভ, শ্যালেভ, অমরি (Niv, Shalev, Omri) পেগাসাস ভাইরাস আবিষ্কার করে।
পেগাসেস স্পাইওয়্যার কাদের ফোনে আক্রমণ করে?
ইসরায়েলের তৈরিকৃত ত্রাসজনক “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” সাধারণ মানুষজনের ফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চেয়েও অধিকতর বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের ক্ষমতাশালী নেতা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এককথায় রাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের অ্যাপল আইফোনে আক্রমণ করে বসতে পারে।
পেগাসাস ভাইরাসের শিকার বিখ্যাত ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ
একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে যে ইসরাইলের তৈরি পেগাসাস নামের একটি সফটওয়্যার দিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ বড় বড় নেতা,সাংবাদিক সহ অন্তত ৫০ হাজার ফোন নম্বর হ্যাক করা হয়েছে।
যে ১৪ জন রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান পেগাসাসের টার্গেট হয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে,
তাদের মধ্যে আছে তিন জন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট- ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ, দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল রামাফোসা এবং ইরাকের বারহাম সালিহ।
১০ জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিন জন এখনও ক্ষমতায়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, মিসরের মোস্তফা মাদব উলি এবং মরক্কোর সাদ-এদিন আলওথমানি। টার্গেট হয়েছেন মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহামেদ।
পেগাসাস স্পাইওয়ার কাদের ফোনে আক্রমণ করে না?
সাধারণ মানুষের ফোনে এটি আক্রমণ করে না বললেই চলে কারণ সাধারণ মানুষ রাষ্ট্রীয় বা সরকারি ব্যক্তিগত কার্যকলাপের আওতামুক্ত।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাশালী ব্যক্তিবর্গ তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আইফোন ব্যবহার করায় অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চেয়ে আইফোনেই “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” ভাইরাস অনুপ্রবেশের শঙ্কা অধিকতর।
কোন দেশ পেগাসেস ম্যালওয়ার এর ঝুঁকিমুক্ত?
এনএসও কোম্পানিকে একটা নিয়ম মেনে চলতে হয় যাকে ‘গোল্ডেনরুল’ বলা হয়। তা হলো ইসরাইলে,রাশিয়া এবংযুক্তরাষ্ট্রে এটা ব্যবহার করা যায় না।
কোন মোবাইল ফোনে আক্রমণ করে পেগাসেস স্পাইওয়্যার?
মূলত অ্যাপল আইফোন এই সফ্টওয়ার নির্মাতাদের প্রধান টার্গেট। যদিও আইফোনের সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক শক্তিশালী।
কিন্তু এই স্পাইওয়্যার এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে, অনায়াসে অ্যাপলের সিকিউরিটি ব্রিচ করে ঢুকে যেতে পারে এবং কোনো
প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের রাষ্ট্রীয়, দলীয়, আন্তর্জাতিক যাবতীয় পরিকল্পনা, কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে সক্ষম। এন্ড্রয়েড ফোনেও আক্রমণ করে এটি।
ফোনে পেগাসেস স্পাইওয়্যার কিভাবে ঢুকে পরে?
হোয়টসএপ, ইউটিউব ভেনসেড, স্প্যাম মেসেজ ইত্যাদির মাধ্যমে ঢুকে পরে।
ফোনে পেগাসেস স্পাইওয়্যার কিভাবে আক্রমণ করে?
“পেগাসেস স্পাইওয়্যার” এর এইক্ষেত্রে কোনো বিশেষ প্রয়াস বা মাধ্যমের প্রয়োজন নেই বললেই চলে।
কারো ছদ্মবেশে সামান্য একটা মিসড কল বা টেক্সট মেসেজ বা লিংক পাঠানোর মাধ্যমেই সেটি তৎক্ষণাৎ উক্ত ব্যক্তির ফোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাতিয়ে নিতে পারে।
ফোন ব্যবহারকারীর সেই মিসড কলটি রিসিভ করা বা টেক্সট মেসেজটি পড়ারও প্রয়োজন নেই।
নজরদারি চালনার জন্য ফোনে শুধু মেসেজ বা মিসড কলটি ছদ্মবেশে ঢুকলেই যথেষ্ট।
আবার যদি সেই ব্যক্তি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী হন তবে প্লে-স্টোর ব্যতীত অন্য কোনো third-party সফটওয়্যার সোর্স থেকে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করেন বা “Youtube Vanced” এর মতো ওয়েবসাইট থেকে ভিডিয়ো দেখতে উদ্যত হন,
তবে তদ্দ্বারা তার ফোনেও খুব সহজেই “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” এর উপক্রম দেখা দিতে পারে।
অনুরূপভাবে, কোনো আইফোন ব্যবহারকারী যদি তার ফোনের “Apple App Store” ব্যতীত অন্য যে কোনো third-party লাইসেন্সযুক্ত সফটওয়্যার সোর্স থেকে অ্যাপ ইনস্টল করেন তাহলেও তার আইফোনে সিকিউরিটি সিস্টেম লঙ্ঘন হয়ে “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” এর উৎপত্তি ঘটতে পারে।
আরো ভয়ংকর বিষয় হলো, এই স্পাইওয়্যার আক্রমণের শিকার ফোনের মালিক কোনোভাবে বুঝেও উঠতে পারবে না যে তার ফোনে “পেগাসেস” নামক একটি স্পাইওয়্যার অযাচিতভাবে অনুপ্রবেশ করেছে।
এই ভাইরাসের কোডিং প্রসেস এতটাই শক্তিধর।
এমনিভাবে, এই স্পাইওয়্যার কোনো ব্যবহারকারীর ফোনে ঢুকে যাওয়ার সবচাইতে বেশি সম্ভাবনা হলো যদি ফোন ওয়াই-ফাই (Wireless Fidelity) ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে।
যেহেতু, মোবাইল ডেটা কিনে ব্যবহার করতে হয় সেহেতু, “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” মোবাইল ডেটার সাথে সংযুক্ত ডিভাইসে অনুপ্রবেশ করলে ব্যবহারকারী অতিশয় বুঝে ফেলতে পারবে যে, তার ফোনে কোনো না কোনো গড়বড়ি হয়েছে।
কেননা, মোবাইল ডেটা খরচ হলে বুঝা যায় যেটা ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে বুঝতে পারা সম্ভব না।
ভয়ংকর এই স্পাইওয়্যার ব্যক্তির ফোনের মাত্র ৫ শতাংশ জায়গা নিয়ে তার কাজ করে এবং ব্যক্তি কোনোভাবে বুঝে উঠতেও পারে না।
তথ্য বা ব্যক্তিগত কার্যক্রম হাতিয়ে নেওয়ার পরে সাথে সাথে ট্রান্সফার করতে না পারলে স্পাইওয়্যার সেটা ফোনের এনক্রিপ্টেড বাফারে রেখে দেয় এবং পরবর্তীতে সেটা যখন ইচ্ছেমতো ট্রান্সফার করে নিতে পারে অথবা ব্যক্তিটির যাবতীয় কার্যকলাপ নজরদারিতে রাখতে পারে।
এইভাবেই মূলত “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” কোনো রাষ্ট্রের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিবর্গের ফোনে প্রচ্ছন্নভাবে আক্রমণ করে বসে সর্বাঙ্গীণভাবে সেই রাষ্ট্রের যাবতীয় কার্যকলাপে ক্ষতির সম্মুখীন করে তোলে।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কি কি ক্ষতি করতে পারে ?
এই ভাইরাসের আক্রমণের ফলে ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে নিজের ব্যক্তিগত কার্যকলাপ, ছবি, অডিও, ভিডিও, কল রেকর্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব সব পৌঁছে যাবে গুপ্তচর হ্যাকারদের হাতে।
পেগাসেস স্পাইওয়্যার এর আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় কী?
আদতে এখনও এরকম কোনও সফটওয়্যার বা কোনও মাধ্যম উন্মোচিত হয়নি যেটি কি-না “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” এর হাত থেকে ফলপ্রসূ এবং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম গড়ে তুলতে সক্ষম।
টেকনোলজি গবেষকদের এই স্পাইওয়্যার প্রতিহত করার জন্য শনাক্তকরণ ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা ক্রমবর্ধমান। এটি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর ব্যক্তিগত কার্যকলাপে অনুপ্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করতে পারে।
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কোনো ফোন ব্যবহারকারীর ফোনে এই ভয়ংকরতম ভাইরাস প্রবেশ করলে সেই ফোন ভেঙ্গে ফেলা বা ব্যবহার বন্ধ করার বিকল্প আর কোনো মাধ্যম নেই “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” থেকে বাঁচতে।
ফোনের ফ্যাক্টরি রিসেট করা যেতে পারে তবে সেটা কার্যকর না-ও হতে পারে।
অ্যাপলের এনক্রিপ্টেড সিকিউরিটি সিস্টেম লঙ্ঘন করে যেই ত্রাসজনক ভাইরাস কোনো রাষ্ট্রকে বিবিধ ক্ষতির সম্মুখীন করতে তুলতে পারে, সেই ভাইরাস শনাক্ত বা প্রতিহত বা প্রতিরোধ মতো কোনো সোর্সের এখনও দেখা মেলেনি সর্বজনীনভাবে।
আর এটি সংক্রমক কোনো স্পাইওয়্যার না যে এক ফোন থেকে আরেক ফোনে অথবা এক সিস্টেম থেকে আরেক সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারবে.
আক্রান্ত ফোনের-ই শুধু যাবতীয় তথ্যাবলী এবং ব্যক্তিগত কৃতকার্য হাতিয়ে ফেলতে সক্ষম।
সুতরাং, এই ভয়ংকর “পেগাসেস স্পাইওয়্যার” এর হামলা থেকে বাঁচতে ফোন ব্যবহারকারীদের অতিমাত্রায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং ফোন এগুলোর দ্বারা আক্রান্ত হলে তৎক্ষণাৎ ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে কিংবা ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে দিতে হবে।
পাশাপাশি কোনো third-party সোর্স বা স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল না করাই শ্রেয়।
এছাড়া, পেগাসাস স্পাইওয়্যার এর উপক্রম থেকে মুক্তি পাবার কোনো বিকল্প ব্যবস্থার আজ অবধি সৃষ্টি হয়নি।
পেগাসাস স্পাইওয়ার থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় কি?
মোবাইলকে ভাইরাসেরর আক্রমণ থেকে বাঁচানোর উপায়
Total Time: 5 minutes
গুগল প্লেস্টোর ব্যবহার করুন
এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারী কোন এপ ডাউনলোড করতে চাইলে শুধু প্লেস্টোর থেকে এপ ডাউনলোড করবেন।
এপ স্টোর ব্যবহার করুন
এপল আইফোন ব্যবহারকারী শুধু এপ স্টোর থেকে এপ ডাউনলোড করবেন।
স্প্যাম মেসেজ এরিয়ে চলুন
বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার দিয়ে হ্যাকাররা স্প্যাম মেসেজ পাঠায় এগুলো এরিয়ে চলুন। এসব মেসেজ বা ইমেইলের লিংকে ভুলেও ক্লিক করবেন না। এরা ভুয়া অফার দেয়।
ফোন রিসেট করুন
প্রত্যেক মাসে একবার ফোন হার্ড রিসেট দিন।
থার্ড পার্টি এপ ইনস্টল করবেন না
প্লেস্টোর বা এপস্টোরের বাইরে কোন এপ ব্যবহার করবেন না।
Estimated Cost: 7 USD
Supply:
- mobile
Tools:
- Apps
Materials: Antivirus Software
পেগাসাস ভাইরাসের দাম কত?
২০১৬ সালে প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস এর তথ্যমতে NSO গ্রুপ পেগাসাস সফটওয়্যারের মূল্য নিয়ে থাকে ৫ লাখ ডলার।১০টি আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক করতে সাড়ে ৬ লাখ ডলার খরচ হয়।
৫টি ব্ল্যাকবেরি হ্যাক করতে ৫ লাখ ডলার ব্যয় হয়। ৫০ টি ফোন হ্যাক করতে ৫ লাখ ডলার দিতে হতো এবং অতিরিক্ত ১০০ ফোন টার্গেট করতে ৮ লাখ ডলার।
এছাড়াও এনএসও মোট মূল্যের ১৭ শতাংশ নিত বার্ষিক ব্যবস্থাপনা ফি হিসেবে। সৌদি আরবের সঙ্গে এনএসও’র ৫৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছিল।
tag: Pegasus Spyware description in bangla, Pegasus Spyware ki? Pegasus virus ki?
এই লেখাটি একজন স্বেচ্ছাসেবক অবদানকারী লিখেছেন।আপনিও লেখুন। মানুষের মাঝে জ্ঞান ছড়িয়ে দিন। নিজের পরিচিতি ও সম্মান বৃদ্ধি করুন। বোনাস হিসেবে একটি লেখা জমা দিয়ে ২০ টাকা বিকাশে বা নগদে নিন।
Please click on Just one Add to Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।