- বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!কেউ বিষ খেলে কি করবেন?
- বিষ খাওয়ার কারণ
- আত্মহত্যার জন্য যে বিষ খায় তার নাম
- বিষ কিভাবে শরীরে ঢোকে?
- বিষ খাওয়া রোগীর বিষক্রিয়ার লক্ষণ
- কিভাবে বুঝবেন কেউ বিষ খেয়েছে
- কেউ বিষ খেলে কী করবেন!
- বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা
- বিষ খাওয়া রোগীকে বমি করানোর পদ্ধতি
- কখন বিষ খাওয়া রোগীকে বমি করাবেন না
- ত্বক বা চামড়ায় বিষ লাগলে কি করবেন
- কোন বিষ খেলে কি প্রাথমিক চিকিৎসা দিবেন
- বিষ খাওয়ার পর দম বন্ধ হলে কি করবেন?
- বিষ খেলে মানুষ মরে কেন?
বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!কেউ বিষ খেলে কি করবেন?
নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা অথবা অন্য লোক দ্বারা শত্রুতাবশতঃ বিষ খাইয়ে বা প্রয়োগ করে হত্যা করার মত ঘৃণ্যতম অপরাধের ঘটনা নূতন নয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুগুলির মধ্যে বিষ একটি অন্যতম প্রধান কারণ। বিষ প্রয়োগে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বা মৃত্যু ঘটতে পারে।
সামান্য সাহায্য বা প্রাথমিক চিকিৎসার অভাবে অনেকে মারা যায়।সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে অনেক বিষ খাওয়া রোগী বেঁচে যেত। তাই আসুন আজ জেনে নেই বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!কেউ বিষ খেলে কি করবেন?
আপনি আরো পড়তে পারেন….. ফাঁসি দিলে মানুষ মরে কেন? … শিশু পানিতে ডুবে গেলে কি করবেন!পানিতে ডোবার প্রাথমিক চিকিৎসা! ….নাক দিয়ে রক্ত-পরার প্রাথমিক চিকিৎসা
বিষ খাওয়ার কারণ
- দুর্ঘটনা বশতঃ।
- আত্মহত্যার জন্য।
- অজ্ঞতা বা অসাবধনতা।
- অন্যকে হত্যার জন্য।বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে।
আত্মহত্যার জন্য যে বিষ খায় তার নাম
- ইঁদুর মারার ঔষধ।
- কিটনাশক ঔষধ।
- বিভিন্ন বিশোধক দ্রব্য।
- আরসেনিক।
- মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ।
- কড়া এসিড/ক্ষার।
- কেরোসিন/গ্যাসোলিন।
- ধুতুরা।
- বিভিন্ন বিষাক্ত গ্যাস।
- মাত্রাতিরিক্ত মদ, গাঁজা, ভাং ও হিরোইন ইত্যাদি।
বিষ কিভাবে শরীরে ঢোকে?
- খাওয়ার মাধ্যমে।
- ইনজেকশনের মাধ্যমে।
- গ্যাস জাতীয় বিষ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের ফলে বদ্ধ ঘরে একপ্রকার বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয় (কার্বন মনোক্সাইড) যার ফলে অগ্নিদগ্ধ না হয়েও এই বিষাক্ত গ্যাসের কারণে শ্বাসরোধ ও বিষক্রিয়া হয়ে ঐ স্থানে আটকে পড়া লোকের মৃত্যু ঘটতে পারে।
- গতীর অব্যবহৃত রূপ ও সেপটিক/সুয়ারেজ টেঙ্কের বিষাক্ত গ্যাস জনিত বিষক্রিয়ায়ও শ্বাসরোধের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
- ক্ষেতে/বাগানে কিটনাশক ঔষধ দেওয়ার সময় ত্বকের মাধ্যমে।
- দুর্ঘটনাজনিত বিষ খাওয়ার শিকার সাধারণতঃ শিশুরা হয়ে থাকে।এজন্য বিষাক্ত দ্রব্য, ঔষধ ইত্যাদি শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে রাখা উচিৎ।
বিষ খাওয়া রোগীর বিষক্রিয়ার লক্ষণ
বিষ খাওয়ার পর পেটে গিয়ে এটি রক্তের সাথে মিশে যায়। রক্তে মিশে যাওয়ার পর বিভিন্ন রকমের বিষক্রিয়ার রক্ষণ প্রকাশ পায়।
কিভাবে বুঝবেন কেউ বিষ খেয়েছে
বিভিন্ন অঙ্গে বিষ ক্রিয়া করে ফলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কোন অঙ্গে বিষ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা ছকের মাধ্যমে উপস্থাপন করছি…
আক্রান্ত অঙ্গ | লক্ষণ |
ফুসফুস | শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,গলার ভেতর ঘরঘর শব্দ হতে পারে। শ্বাস নেয়ার জন্য ছটফট করবে। Nervous(স্নায়ুতন্ত্র)- উত্তেজিত থাকবে,তীব্র যন্ত্রনায় ছটফট করবে, পাগলের মত আচরণ করবে, অসংলগ্ন কথা বলবে।তীব্র ঘুমে ঢলে পরবে। প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকতে পারে।খুবই দুর্বল লাগবে।অনেকে কোমায় চলে যেতে পারে। Skin(ত্বক)- ত্বকে চুলকানি সহ লাল গোটা গোটা ফুসকুড়ি বের হতে পারে।ঠোট,জিহ্বা,মুখ,আঙ্গুলের সামনের অংশ নীল হতে পারে। |
কিডনি | প্রচুর প্রসাব হতে পারে। নিজের অজান্তে প্রসাব বের হতে পারে। |
লালা ও ঘাম | মুখে প্রচুর লালা সৃষ্টি হবে গাল বেয়ে লালা গড়িয়ে পরতে পারে।নাক দিয়ে পানি পরতে পারে। প্রচুর ঘাম হবে। |
চোখ | চোখের মণি ছোট হয়ে যাবে।দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা হয়ে আসবে।চোখ দিয়ে পানি পরবে। |
পরিপাকতন্ত্র | বিষ গিলে খেলে তীব্র পেট ব্যথা হবে, বমি হতে পারে বারবার, পেটে খিঁচুনি হতে পারে। অনেকের পাতলা পায়খানা হতে পারে। |
হৃদপিন্ড(Heart) | হার্টের স্পন্দন ধীর গতির হবে। তবে অনেকে ভয় পেলে বা বেশি উত্তেজিত হলে উচ্চমাত্রায় হার্টের স্পন্দন দেখা যায়। বুকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্লাড প্রেশার কমে যাবে। |
পেশি | হাত পায়ের পেশিতে খিঁচুনি শুরু হতে পারে। বিষক্রিয়া বেশি হলে পেশি অবস হতে পারে। |
সতর্কতা : বিষক্রিয়ার লক্ষন নির্ভর করে রোগী কী ধরণের বিষ খেয়েছে তার উপর। সবার ক্ষেত্রে একই ধরণের লক্ষণ প্রকাশ নাও হতে পারে। অনেক রোগের কারণেও এমন লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে তখন নিশ্চিত না হয়ে কোন চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ নয়।(বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!)
কেউ বিষ খেলে কী করবেন!
বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা
- বিষ প্রয়োগ গুরুতর ঘটনা।অতিসত্বর হাসপাতালে নিতে হবে।
- রোগী কখন কি ও কতটুকু বিষ খেয়েছে জানার চেষ্টা করা এবং জানতে পারলে তা সংরক্ষণ করা। নিকটে কোন শিশি বোতল থাকলে সংরক্ষণ করতে হবে।
- রোগী যদি বমি করে তা সংরক্ষণ করা উচিৎ রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আলামত হিসাবে।
- রোগীর যদি জ্ঞান থাকে তবে দুধ বা পানি পান করতে দেওয়া উচিৎ।
- শ্বাস-প্রশ্বাস, নাড়ী ও রক্তচাপ দেখা প্রয়োজন।
- শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ থাকলে কৃত্রিম পদ্ধতিতে চালু করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
- শক প্রতিরোধ ও শক হয়ে থাকলে প্রতিবিধান করতে হবে।
বমি করানোর চেষ্টা করা উচিৎ।
বিষ খাওয়া রোগীকে বমি করানোর পদ্ধতি
গলার ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমি করানো
যদি রোগী সক্ষম হয় তবে রোগী নিজেই গলার ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে বমির চেষ্টা করলে ভাল হয়।নতুবা প্রাথমিক চিকিৎসাদাতা তা করবে।একাজটি সাবধানে করতে হবে সাহায্যকারীর আঙ্গুল ও রোগীর গলা অক্ষত রাখার জন্য।
পানীয় দ্বারা বমি করানো
যথেষ্ট পরিমাণ পানি, স্বল্প গরম লবন পানি, ডিমের সাদা অংশ, দুধ ইত্যাদি পান করিয়ে গলার ভিতর আঙ্গুল দিয়ে বমি করানো সহজ হয়। বমি করানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে বমি ফুসফুস বা শ্বাসনালীতে প্রবেশ না করে। সেজন্য রোগীর মাথা কিছু নীচের দিকে ও কাৎ করে রাখতে হবে।(বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!)
বমি করানোর পর কি করবেন
- বমি করানোর পর রোগী খেতে পারলেও কোন শক্ত খাবার দিবেন না।
- তাকে হালকা গরম লবণ পানি খাওয়ান।
- ১ গ্লাশ গরম দুধ খেতে দিন। পুদিনাপাতা বা তুলশি পাতার রস দিতে পারেন ২ চামচ।
- ২ টুকরা ২ ইঞ্চি মাপের কাঠের কয়লা ছোট ছোট টুকরা করে পানির সাথে খেতে দিন কারণ কয়লা পাকস্থলীতে থাকা বিষ শুষে নিতে পারে।
কখন বিষ খাওয়া রোগীকে বমি করাবেন না
- অজ্ঞান অথবা শকপ্রাপ্ত রোগী।
- যে সকল বিষে স্থানিক প্রদাহ (সদ্য পুড়া বা ক্ষত চিহ্ন, লালবর্ণ ও ফোলা ইত্যাদি ঠোঁটে, মুখে) সৃষ্টি করে যেমন এসিড, ক্ষার কেরোসিন/গ্যাসোলিন (পেট্রোলিয়াম) ইত্যাদি।
ত্বক বা চামড়ায় বিষ লাগলে কি করবেন
- যত দ্রুত সম্ভব যে স্থানে বিষ লেগেছে সেখানে প্রচুর পানি ঢালুন। ট্যাপ বা টিউবয়েলের নিচে অক্রান্ত স্থান রেখে বেশিক্ষণ ধরে পানি ঢালুন। ত্বক ঠিক থাকলে কচলে ধুয়ে ফেলুন।
- এসিড বা ক্ষার জাতীয় কেমিকেল ত্বকে লেগে কাপড় চামড়ার সাথে আটকে গেলে কোনভাবেই টানাটানি করে কাপড় তুলবেন না।
- ত্বকে কোন প্রকার লোশন বা মরম লাগাবেন না।
- চামড়া পুড়ে গেলে তা সরাবেন না।
কোন বিষ খেলে কি প্রাথমিক চিকিৎসা দিবেন
বিষের নাম | প্রাথমিক চিকিৎসা |
এসিড | বমি করানো নিষেধ। প্রচুর পরিমাণ পানি, দুধ ও ডিমের সাদা অংশ, খড়ি মাটি খাওয়াতে হবে এবং খাওয়ার পর রোগী যদি বমি করে তবে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। কারণ তখন কড়া এসিড দ্রবিভূত হয়ে দুর্বল হয়ে যায়। |
ক্ষার বা এলকালি | বমি করানো নিষেধ। প্রচুর পরিমাণ পানি, দুধ, ভিনেগার, লেবুর সরবত, কমলার রস ইত্যাদি খাওয়ানো উচিৎ। উক্ত দ্রব্যগুলি খাওয়ার পর যদি বমি করে তবে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। |
ঘুমের ঔষধ | বমি করাতে হবে। গরম চা, কফি ও প্রচুর পানি পান করাতে হবে। রোগীকে সজাগ রাখার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। শীঘ্র চিকিৎসকের পরামর্শ মত চিকিৎসা দিতে হবে। |
কিটনাশক ও ইঁদুর মারার ঔষধ | প্রচুর পানি পান করাতে হবে। বমি করাতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। |
গ্যাস জাতীয় বিষ | রোগীকে উদ্ধার করে মুক্ত বাতাসে নিতে হবে। পরিধানের কাপড় ঢিলা করতে হবে। প্রয়োজন হলে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হবে। |
কীট নাশক ঔষধ ছিটানো | ক্ষেতে/বাগানে ঔষধ দেওয়ার সময় খুব সাবধানে থাকতে হবে। এসময় নাকে ও মুখে হালকা করে গামছা বেঁধে নেওয়া উচিৎ এবং যাতে ঔষধ গায়ে না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি গায়ে লাগে তবে সাথে সাথে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। |
বিষ খাওয়ার পর দম বন্ধ হলে কি করবেন?
নিচের ছবির মত চেষ্টা করুন।
বিষ খেলে মানুষ মরে কেন?
আর্সেনিক বিষ রক্তবমি, ডায়রিয়া ও মারাত্মক পেটব্যথার সৃষ্টি করে, সায়ানাইড বিষ দেহকোষের শ্বসন বন্ধ করে দেয়, কিছু বিষ স্নায়বিক ক্রিয়া বন্ধ করে দেয় যার ফলে মস্তিষ্ক থেকে শ্বাস নেয়ার সংকেত প্রেরিত হয়না, কিছু কিছু বিষ মানুষের পেশিকোষ সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়, কিছু আবার দেহের রক্তকণিকা ধ্বংস করে দিয়ে অক্সিজেন পরিবহণে ব্যাঘাত ঘটায়।(বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!)
প্রতিরোধমূলক সতর্কতা :
- ১। যেকোন প্রকার বিষ প্রয়োগের রোগী হাসপাতালে অতিশীঘ্র নিতে হবে।
- ২। আত্মহত্যার প্রবণতা মানসিক রোগ। যথার্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ৩। জীবন হননকারী ঔষধ যত্রতত্র পাওয়া ও ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করতে হবে।
- ৪। যেকোন ঔষধ বা বিষ জাতীয় দ্রব্য শিশুদের হাতের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
- ৫। কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার বিধি সংশ্লিষ্ট প্রয়োগকারীদের পূর্বেই অবহিত করতে হবে।
- ৬।গভীর অব্যবহৃত কূপে এবং সেপটিক সুয়ারেজ টেংকে সাধারণ লোকের নামা উচিৎ নয়। যদি প্রয়োজন হয় তবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক অক্সিজেন মাস্কসহ নামবে।
তথ্যসূত্র: epu.gov
ট্যাগ: বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা (বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!) (বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!) (বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!) (বিষ খাওয়ার প্রাথমিক চিকিৎসা!)
Please Click On Just One Add To Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।