মশা সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য তথ্য

মশা সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য তথ্য

মশক নিয়ে অনেক মজার প্রবাদ আছে, যার মধ্যে বিখ্যাত একটি হলো “মশক মারতে কামান দাগানো “। রাতে এরা বিনামূল্যে মশক সঙ্গীত শুনিয়ে আমাদের মনোরঞ্জন করে।তবে যে যাই বলুক মানব জাতির আদি হতে এখন পর্যন্ত একনম্বর ভয়াল শত্রু হলো মশককূল।আপনি শুনলে হয়তো অবাক হবেন যে শুধুমাত্র এনোফিলিস মশকীর প্রত্যক্ষ প্রভাবে প্রতিবছর প্রায় দশলাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

তাহলে আসুন মশাই গুনগুন গান করে মশক রাজ্যে প্রবেশ করি। জেনে নেই মশা সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য তথ্য।

আপনি আরও পড়তে পারেন…. উটের বিস্ময়কর অজানা তথ্য

মশা সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য তথ্য

মশা সম্পর্কে ১০ টি আশ্চর্য তথ্য মনদিয়ে পড়ুন সত্যি অবাক হবেন সাথে আনন্দও পাবেন।

মশা রক্ত খায় কেন?

মশা রক্ত খায় কেন?

পুরুষ প্রণির মতো স্ত্রী মশকীও গাছের কাণ্ডের রস বা ফুলের মধু পান করে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু ডিম গঠন করার জন্য স্ত্রী মশকীর মানুষের রক্তের প্রয়োজন পড়ে। স্ত্রীরা রস ও মধু খেয়ে শক্তি পায় কিন্তু মশকীর ডিম তৈরি করার জন্য যে প্রোটিন বা অ্যামাইনো অ্যাসিড গুলোর দরকার হয় শুধু মানুষের রক্ত থেকেই পাওয়া যায়।
তাই মশার বউ স্ত্রী মশকী রক্ত থেকে প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি সংগ্ৰহ করে নেয়ার জন্য মানুষের গরম গরম তাজা রক্ত পান করে।

মৃত মানুষকে মশা কামড়ায় না কেন?

মৃত মানুষকে মশা কামড়ায় না কেন?

জীবিত মানুষের রক্ত গরম থাকে কিন্তু মৃত মানুষের রক্ত ঠাণ্ডা, মশকী গরম রক্ত পান করে তাই মশককূল মৃত মানুষকে কামড়ায় না। মৃত্যুর পর যতক্ষণ লাশের রক্ত গরম থাকে ততক্ষণ এরা কামড় দেয়। এরা কার্বনডাইঅক্সাইড এর উপস্থিতি নির্ণয় করে মানুষের কাছে যায়। কার্বনডাইঅক্সাইড জীবিত মানুষের নিঃশ্বাসের সাথে বের হয় কিন্তু মৃত মানুষের নিঃশ্বাস পরেনা তাই মৃত মানুষদের কাছে মশককূল যায় না।

মশা কয়দিন বাচেঁ?

মশা কয়দিন বাঁচে?

একটি পুরুষ সদস্য গড়ে ১০ /২০ দিন এবং স্ত্রী ৩ থেকে ১০০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

মশার প্রজাতি কয়টি?

এদের প্রায় ৩,৫০০ প্রজাতি আছে। এর মধ্যে অল্প কিছু প্রজাতিই কেবল মানুষসহ অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীকে কামড়ায়।

মশা কাকে বেশী কামরায়?

মশা কাকে বেশী কামরায়?

a) এরা সবচেয়ে বেশী আক্রমণ করে গর্ভবতী মহিলাদের কে।কারন এদের নিঃশ্বাসে সাধারণ মানুষ অপেক্ষা ২১ শতাংশ বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ও দেহের তাপমাত্রাও সাধারনের চেয়ে ১.২৬ ডিগ্রী বেশি।
b) এর পরেই বেশি আক্রমণ করে শিশুদের।
c)যারা ব্যায়াম বেশী করেন তাদের কে ও অতি সহজে মশককূল খুঁজে বের করে ফেলে।
d)যদি ও কেউ কেউ বলেন O+ রক্তের মানুষকে বেশী আক্রমণ করে , কারণ হিসেবে বলে,এদের রক্তে ল্যাক্টিক এসিডের মাত্রা একটু বেশী থাকে তাই বেশী কামরায় , কিন্তু অনেক সময় তা সঠিক নয়।
e)আবার যারা বিয়ার জাতীয় মদ্য পান করেন তাদেরকে ও এরা বেশী পছন্দ করে।
f)আধুনিক বিজ্ঞানে প্রমাণিত যাহারা অতিরিক্ত লবন জাতীয় বা পটাসিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করেন তাদের কে ও এরা একটু বেশী আক্রমণ করতে দেখা যায় ।
g)কিছু কিছু ক্ষেত্রে এদের আকৃষ্ট করার জন্য গাঢ় কিছু রঙ ও দায়ি ( কালো, নীল আর লাল ) তাই এ সব গাঢ় রঙের কাপড় যারা পরিধান করেন তাদের কে ও এরা একটু বেশী আক্রমণ করে, এটা প্রায় প্রমাণিত সত্য।

পুরুষ মশা কি খায়?

পুরুষরা রক্ত চোষার মত হুল নেই তাই তারা নির্ভর করে কচি পাতার রস ও ফুলের মধুর উপর ! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও তা সত্যি ! মশাও ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে !

মশা কিভাবে মানুষকে খুজে পায়?

মশা কিভাবে মানুষকে খুজে পায়?

এরা চক্ষু দিয়ে কম দেখলেও তাদের গন্ধ শোষণের ক্ষমতা খুভ বেশী । রক্ত চোষা স্ত্রী সদস্যরা ১৩৫/১৬০ ফুট দূর থেকে বুজে নিতে পারে কোথায় তার খাবার আছে।বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে এর কারণ, আমরা প্রশ্বাস ছাড়ার সময় যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য দুর্গন্ধ ( এমানো বা ঘামের ইউরিক এসিড ) জাতীয় পদার্থ বাতাসে ছাড়ি, এবং অক্সিজেন গ্রহন করি, মসা তার ভারসাম্যতার উপর নির্ভর করেই প্রাণী কোথায় আছে অতি সহজেই বুজে নিতে পারে।

মশার-উড়ার-গতি কত?

একটি মশক ঘণ্টায় প্রায় ১-১.৫ মাইল বেগে উড়ে যেতে সক্ষম !

মশা শব্দ করে কেন?

কেবলমাত্র স্ত্রী মশকী মানুষকে কামড়ায়। মানুষের রক্ত ভালো প্রোটিনের উৎস, আর স্ত্রী মশকীর সেটা দরকার পরে তার ডিমের কুসুম তৈরি করার জন্য।আর পুরুষ সদস্যরা আপনার চারপাশে থেকে আপনাকে ব্যতিব্যস্ত রাখবে যাতে স্ত্রীটি নির্বিঘ্নে রক্ত শুষে নিতে পারে। ওফ! কি প্রেম পুরুষের হৃদয়ে!!!!

মশা কতবার ডানা ঝাপটায়?

একটি মশক সেকেন্ডে প্রায় ৩০০-৬০০ বার ডানা ঝাপটাতে পারে। আর অতি অল্প সময়ে এতবার ডানা ঝাপটানোর দরুনই আমরা গুনগুন শব্দ শুনতে পাই।

Amazing fact about mosquito in bangla

Mosha 10 ojana tottho. Moshar ojana , mosha ki khay ? mosha manush ke kamor dey keno?

Please click on Just one Add to Help Us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।