মুখের ত্বকের প্রকারভেদ ! আপনার মুখের ত্বক কেমন?
ত্বক আপানার শারীরীক সৌন্দর্যের ভিত্তি! যদি ভিত্তিই দুর্বল হয়, তাহলে তার ওপর মজবুত বাড়ী কি করে গড়ে উঠবে ? সুতরাং, ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার দিকে আপনাকে নিয়মিত রূপে দৃষ্টি দিতে হবে—একমাত্র তাহলেই আপনার স্বাস্হ্য এবং সৌন্দর্য্য বজায় থাকবে।
বাচ্চাদের ত্বক অত্যন্ত কোমল হয়। যুবাবস্হায় পা রাখতেই হরমোনের জন্য শারীরীক পরিবর্তন হতে থাকে আর ব্রণ ইত্যাদি দেখা দেয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে মুখে নানারকম দাগও পড়তে থাকে। এই সব সমস্যা দূর করতে সবার আগে ত্বকের গঠন এবং ওর কাজের ব্যাপারে জেনে রাখা উচিত!
আপনি আরও পড়তে পারেন …… ব্রণ বা পিম্পল কি? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়!
মুখের ত্বকের গঠন
সাধারণত ত্বকের দুটো স্তর থাকে এগুলো হলো-এপিডারমিস এবং ডারমিস। ত্বকের ওপরের স্তরকে এপিডারমিস আর নীচের স্তরকে ডারমিস বলে। ত্বকের অসুখ এপিডারমিসের ওপর দেখাযায় যেমন ব্রণ,ফুসকুড়ি ইত্যাদি। কিন্তু অসুখের কারণ ডারমিসে লুকিয়ে থাকে । কারণ এটা নীচের স্তর, এর কুপ্রভাব থেকেই ত্বকের অসুখ হয়।
এপিডারমিস প্রতিদিন বদলাতে থাকে। এপিডারমিসের চারটে স্তর থাকে।সবচেয়ে নিচের স্তর যেখানে ময়লা সৃষ্টি হয়, ওই স্তর ডারমিসের সঙ্গে জুড়ে থাকে।মৃত কোষ ও বর্জ্য এপিডারমিসের নিচে জড় হয় এবং বাইরে চলে আসে এর সাথে যোগ হয় বাইরের ধুলাবালি। মরে যাওয়া ত্বক ও ময়লা ধীরে-ধীরে ত্বকের একদম ওপরে চলে আসে আর নিজে-নিজে ঝরে পড়ে। যখন ওপরের ময়লা ভরে গিয়ে বাইরে চলে আসে তখন নীচের ময়লা ওর জায়গা নিয়ে নেয়। এইরকম চলতে থাকে।
শারীরীক পরিচ্ছন্নতা দ্বারা ত্বকের ময়লা সহজেই মুছে ফেলা যায়। মাসে একবার সামুদ্রিক লবণ, বেসন আর কাঁচা পেঁপে দিয়ে ত্বক অবশ্যই পরিষ্কার করুন। এছাড়া কমপ্লেকশন ব্রাশ আর ঝামা দিয়ে ঘষলেও ত্বকেরর ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
বৃদ্ধাবস্হায় ত্বক অত্যন্ত শক্ত হয়ে পড়ে। এর কারণ হল যে, এই বয়সে মরে যাওয়া ত্বক নিজে থেকে ঝরে পড়ে না। এটা ওপরের স্তর হিসেবে জমতে থাকে। মরে যাওয়া ত্বক ঝরে না পড়ায় নতুন সেল তৈরী হয়না।এর ফলে ত্বক শক্ত হয়ে পড়ে। তেল গ্রন্থিও ক্রিয়াশীল থাকে না এতে ত্বকের কোমলতা বজায় থাকে না, ফলে ত্বক শক্ত হয়ে পড়ে।
ডারমিসে দু প্রকারের গ্রন্থি থাকে- (১) ঘাম সৃষ্টি করতে থাকা গ্রন্থি এবং (২) তেল সৃষ্টি করতে থাকা গ্রন্থি।
ঘাম সৃষ্টির গ্রন্থি শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক বানিয়ে রাখে আর তেল সৃষ্টির গ্রন্থি তেল সৃষ্টি করে, যা লোমকূপ দ্বারা শরীরের ওপরে এসে ছড়িয়ে পড়ে। যেসব অঙ্গে এই জিনিষটা হয় না, ওখানকার ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। লোমকূপের ছিদ্রে বাধা এলে জীবাণু সৃষ্টি হয় আর ব্রণ সৃষ্টি হয়।
মুখের ত্বকের প্রকারভেদ
ত্বকের ডার্মিস ও এপিডার্মিস স্তরের গঠন এবং তৈল গ্রন্থির তেল নিঃসরণ এর উপর ভিত্তি করে ত্বক ৪ ধরণের যথা-
- ১। সাধারণ ত্বক
- ২। শুষ্ক ত্বক
- ৩। তেলতেলে ত্বক
- ৪। মিশ্র ত্বক
১। সাধারণ ত্বক
এটা তেলতেলেও হয় না, আবার শুষ্কও হয়না। এটা দেখলে বা ছুঁলে খুবই মসৃণ এবং মোলায়েম মনে হয়। কখনো-কখনো দু-একটা ব্রণও বেরিয়ে আসে।যেসব মানুষের ত্বকের ডার্মিস স্তরে অবস্থিত তেল ক্ষরণকারী গ্রন্থি পরিমিত মাত্রায় তেল নির্গত করে তাদের ত্বক আদর্শ হয়।
২। শুষ্ক ত্বক
দেখতে এই ত্বক রুক্ষ, নীরস দেখায়, বিশেষ করে গাল আর চোখের আশপাশে। এমন কি যুবাবস্হাতেই গাল, চোখ আর ঠোঁঠের আশপাশে দাগ পড়ে যায়া শীতকালে এই ত্বক লাল হয়ে পড়ে, কিন্তু এই ধরনের ত্বকের একটা লাভ হল যে, এই ত্বকে ব্রণ হয়না।তৈল গ্রন্থির কম তেল নির্গত করার কারণে এমন ত্বক তৈরি হয়।
৩। তেলতেলে ত্বক
এইরকম ত্বকে তেলতেলে মসৃণ ভাব দেখা যায় আর মেক-আপ ভাল করে টিকতে পারে না। তেলতেলে ত্বকে ব্রণ খুব বেশী করে দেখা দেয়।তৈল গ্রন্থি বেশি মাত্রায় তেল ক্ষরণ করার কারণে ত্বক তেলতেলে হয়।
৩। মিশ্রিত ত্বক
কিছু লোকের ত্বক কিছুটা তেলতেলে আবার কিছুটা শুষ্ক হয়। ওদের ত্বকের দেখাশোনা বিশেষভাবে করতে হবে। নাকের পাশটা তেলতেলে হয় আর থুতনীর কাছটা হয় শুষ্ক! কপাল হয় তেলতেলে আর চোখের কাছটা শুষ্ক! এজন্য চোখের কোলে ভাঁজ পড়ে যায় আর থুতনী, কপাল আর নাকের আশপাশে ব্রণ বেরিয়ে আসে।
Tag: মুখের ত্বকের প্রকারভেদ মুখের ত্বকের প্রকারভেদ মুখের ত্বকের প্রকারভেদ মুখের ত্বকের প্রকারভেদ মুখের ত্বকের প্রকারভেদ মুখের ত্বকের প্রকারভেদ মুখের ত্বকের প্রকারভেদ
Please click on one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।