মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি কী? মৃগী রোগের কারণ,প্রকারভেদ ও চিকিৎসা!

সূচিপত্র-Table Of Contents
  1. মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি কী ?

মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি কী ?

মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা যা আমাদের মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকারিতার কারণে হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের নানা স্থান থেকে খিচুনীর সূত্রপাত হতে পারে। মস্তিষ্কের অবস্থানভেদে এই মৃগী রোগের ধরনও বিভিন্ন হয়। সর্বসাধারণের কাছে মৃগীরোগের স্বাভাবিক প্রকাশ হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে সারা শরীরের মাংসপেশী খিঁচতে থাকা ।

মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি কী? মৃগী রোগের কারণ,প্রকারভেদ ও চিকিৎসা!

সব খিঁচুনি কিন্তু মৃগী রোগ বা এপিলেপ্সি নয়। শরীরে কোনো সমস্যার কারণে খিঁচুনি হতে পারে। কিন্তু তা যদি সংশোধনযোগ্য হয় আমরা তাকে মৃগীরোগ বলবো না। উদাহরণস্বরূপ, শরীরে লবণের পরিমাণ কমে গেলে ধারাবাহিকভাবে খিঁচুনি হতে পারে, যা এপিলেপ্সি নয়। তেমনি শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলেও খিঁচুনি হয় যা এপিলেপ্সি নয়, কারণ এই খিঁচুনি লবণ বা গ্লুকোজের মাত্রা সংশোধন করলে ঠিক হয়ে যায়। সুতরাং, এপিলেপ্সি হচ্ছে কেবলমাত্র মস্তিষ্ক থেকে সৃষ্ট খিঁচুনি যা সাধারণত দীর্ঘসময় ধরে বার বার হয়ে থাকে। বিশ্বজুড়ে মৃগী রোগীর হার প্রতি হাজারে ৫ থেকে ১০ জন।

আপনি আরও পড়তে পারেন ……. শিশুর জ্বরজনিত খিঁচুনি! কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার! …. উচ্চমাত্রার জ্বর,খিঁচুনি, নাক দিয়ে রক্ত-পরার প্রাথমিক চিকিৎসা

মৃগীরোগের প্রকারভেদ

মৃগী রোগের প্রকারভেদ করা হয়ে থাকে রোগের প্রকাশ এবং মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক প্রবাহের ধরনভেদে । সার্বিকভাবে মৃগী রোগকে আংশিক বা অবস্থান নির্দিষ্ট এপিলেপ্সি (ফোকাল) এবং সামগ্রিক বা জেনারেলাইজড এপিলেন্সি এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

আংশিক বা অবস্থান-নির্দিষ্ট এপিলেপ্সি বা ফোকাল এপিলেপ্সি

শরীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য আমাদের মস্তিষ্কে বিশেষ বিশেষ নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে।এইসব নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের এপিলেপ্সি বা মৃগীরোগ হতে পারে। একারণেই একে অবস্থান-নির্দিষ্ট বা ফোকাল এপিলেপ্সি বলে । চেতনার তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে এই ফোকাল এপিলেপ্সিকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

সচেতন অবস্থার অবস্থান-নির্দিষ্ট এপিলেপ্সি

এই ধরনের এপিলেপ্সিতে চেতনার তারতম্য ঘটে না। রোগী সম্পূর্ণ সজাগ থাকে এবং তার স্নায়বিক অস্বাভাবিকতা সম্পূর্ণ বর্ণনা করতে পারে। এই জাতীয় এপিলেপ্সিতে সুনির্দিষ্টভাবে মাংসপেশীর সঞ্চালন, সংবেদনশীলতা, স্বয়ংক্রিয় স্নায়ু বা মনস্তাত্ত্বিক অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে মাংসপেশীর অস্বাভাবিক সঞ্চালনজনিত এপিলেপ্সিই বেশি পরিলক্ষিত হয়।

এতে মস্তিষ্কের একদিকের মাংসপেশী নিয়ন্ত্রণের যে নির্দিষ্ট স্থান বা মটর এরিয়া আছে সেখান থেকে মটর স্নায়ুকোষের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক প্রবাহ শুরু হয়। আস্তে আস্তে তা কিছুটা ছড়াতে পারে কিন্তু কখনোই তা মস্তিস্কের অপর পাশ আক্রান্ত করে না।

মস্তিষ্কের যে পাশ আক্রান্ত হয় শরীরে তার বিপরীত পাশের মাংসপেশীতে খিঁচুনি হয়। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় রোগীর কোনো এক দিকের হাত, পা বা মুখের মাংসপেশী বারবার ঝাঁকি খাচ্ছে।

হাত বা পায়ের কোনো অংশ থেকে খিঁচুনি শুরু হয়ে শরীরের একই পার্শ্বের বিভিন্ন মাংসপেশীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
একে জ্যাকসনিয়ান মার্চ বলে। কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত এই খিঁচুনি চলতে পারে।

খিঁচুনি বন্ধ হওয়ার পর আক্রান্ত অঙ্গ অসাড় বা প্যারালাইজড হয়ে পড়তে পারে কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত। একে টডস পালসি বলা হয়ে থাকে। যদিও বিরল, তবে এই ধরনের মৃগী রোগের স্থায়িত্ব কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনও থাকতে পারে যাকে অবিরাম আংশিক মৃগী রোগ বা এপিলেন্সিয়া পার্শিয়ালিস কন্টিনিউয়া বলে।

এছাড়া বোধের অস্বাভাবিক সংবেদনশীলতা (সেনসরি এপিলেপ্সি), দৃষ্টি বিভ্রম, ঘ্রাণের অস্বাভাবিক অনুভূতি, ভারসাম্যহীনতা (শারীরিক বা মানসিক) বা স্বয়ংক্রিয়া স্নায়ুতন্ত্রের অস্বাভাবিকতা নিয়েও ফোকাল এপিলেপ্সি প্রকাশ পেতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব এপিলেপ্সি নির্ণয় করা অত্যন্ত দুরূহ।

অবচেতন অবস্থান-নির্দিষ্ট এপিলেপ্সি

এই ধরনের ফোকাল এপিলেপ্সিতে কিছুক্ষণের জন্য রোগী স্বাভাবিক চেতনা হারালেও অজ্ঞান হয়ে পড়ে না। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় রোগী হঠাৎ করেই কিছু সময়ের জন্য অস্বাভাবিক আচরণ করছে।

এই সময়টিতে রোগী পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কোনো প্রশ্ন করা হলে উত্তর দেয় না। কোনো আদেশ পালন করতে পারে না।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এধরনের মৃগী রোগের শুরুতে রোগী শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এসময় রোগী অবচেতন অবস্থায় নানা ধরনের কার্যকলাপ করে থাকে, যেমন ক্রমাগত চিবুতে থাকা, ঢোক গেলা বা ঠোঁট দিয়ে শব্দ করা, হাতের আঙুল দিয়ে কিছু খুটতে থাকা, হাসা বা কান্না, এমনকি দৌড়াতেও পারে।

এই অস্বাভাবিক কার্যকলাপগুলো করার পরই রোগী মানসিকভাবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে তার কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে। সম্পূর্ণ চেতনায় আসার পর রোগী মৃগী রোগকালীন অস্বাভাবিক আচরণের কোনো কিছুই মনে করতে পারে না।

এধরনের মৃগীরোগের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো মৃগীরোগ-পূর্ববর্তী অনুভূতি, যাকে ‘অরা’ বলা হয়। মৃগীরোগ শুরুর একটু আগে রোগী সাধারণত অস্বাভাবিক কোনো গন্ধ, শব্দ, স্বাদ পেতে পারে বা দৃশ্য দেখতে পারে, এমনকি রোগীর কাছে পরিচিত জায়গা অপরিচিত বা অপরিচিত জায়গা পরিচিত মনে হতে পারে।

রোগী অস্বাভাবিক ভয় পেতে পারে বা তার কাছে পারিপার্শ্বিক ঘটনা, পরিবেশ, এমনকি নিজেকেও অবাস্তব ও অলীক মনে হতে পারে। এই অরার ধরন দেখে মস্তিষ্কে মৃগী রোগের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই মৃগীরোগের উৎপত্তিস্থল মস্তিষ্কের টেমপোরাল লোব-নামক স্থান, যা টেমপোরাল লোব এপিলেন্সি বা কমপ্লেক্স পার্শিয়াল সিজার নামেও পরিচিত।

আংশিক বা অবস্থান-নির্দিষ্ট ফোকাল এপিলেপ্সি

এই মৃগী রোগে মস্তিষ্কের দুই পাশই আক্রান্ত হয়। মস্তিষ্কের এক পাশ থেকে এটি শুরু হয়ে তৎক্ষণাত স্নায়ুকোষের এই অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক প্রবাহ পুরো মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ শরীরের উভয় পাশেই খিঁচুনির আলামত প্রকাশ পায়। নিম্নোক্ত বিভিন্ন ধরনের জেনারালাইজড এপিলেপ্সি দেখা যায়:

জেনারেলাইজড টনিক ক্লনিক মৃগীরোগ

শুরু থেকেই এই মৃগী রোগে শরীরের অধিকাংশ মাংসপেশী প্রবলভাবে খিঁচতে থাকে। সাধারণত হঠাৎ করেই কোনো পূর্ববর্তী আলামত বা অরা ছাড়াই খিঁচুনি হয়। তবে কিছু রোগীর খিঁচুনি শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকে নানারকম অস্বস্তিকর উপসর্গ হতে পারে যা থেকে রোগী বুঝতে পারে যে খিঁচুনি শুরু হবে। একে ‘প্রডম’ বলা হয়।

অরার মতো প্রড্রমের কোনো সুনির্দিষ্ট আলামত নেই। মৃগী রোগের শুরুতে রোগীর সারা শরীরের মাংসপেশীর একযোগে সংকোচন ঘটে এবং রোগী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়ক মাংসপেশী এবং স্বরতন্ত্রের মাংসপেশীর একযোগে সংকোচনের ফলে রোগীর গলা দিয়ে তীক্ষ্ণ শব্দ বেরিয়ে আসে।

চোখ উল্টে যায় এবং মুখ থেকে অতিরিক্ত লালা ঝরতে থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাস কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে ফলে রোগী অক্সিজেনের অভাবে নীলাভ হয়ে যায়। চোয়ালের মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে রোগীর জিহ্বায় কামড় লেগে জিহ্বা কেটে যেতে পারে।

স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের অত্যধিক সক্রিয়তার ফলে রোগীর হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। দশ থেকে ২০ সেকেন্ড পরে রোগীর শরীরের মাংসপেশী ক্রমাগত সংকুচিত ও শিথিল হতে থাকে। দেখে মনে হয় রোগীর সমস্ত শরীর ঝাঁকাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত এই খিঁচুনি চলতে থাকে। খিঁচুনি শেষ হলে রোগী অচেতন ও অসাঢ় হয়ে পড়ে থাকে।

মৃগী রোগ বা এপিলেপ্সির লক্ষণ
মৃগী রোগ বা এপিলেপ্সির লক্ষণ

এসময় নিজের অজান্তে রোগী মলমূত্র ত্যাগ করে ফেলতে পারে। কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রোগী ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে পায়। এই সময়টিতে রোগী আশপাশের জগৎ সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত থাকে এবং এরপর এই দ্বিধাগ্রস্ততা কেটে গেলে কয়েক ঘণ্টা ধরে রোগীর মাথায় বা শরীরের মাংসপেশীতে ব্যথা থাকতে পারে বা সে অস্বাভাবিক ক্লান্তিবোধ করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে মৃগীরোগ হলে বা রোগীর মস্তিষ্কে বয়সজনিত কোনো অস্বাভাবিকতা থাকলে মৃগীরোগ-পরবর্তী অবচেতন অবস্থা বা দ্বিধাগ্রস্ততা অনেক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।

এই টনিক ক্লনিক মৃগী রোগ যদি পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে একটানা চলে বা পাঁচ মিনিটের ভেতর একাধিক বার হয় এবং মৃগী রোগ চলাকালীন সময়ে রোগী অজ্ঞান থাকে তবে এ-অবস্থাকে টনিক ক্লনিক স্ট্যাটাস এপিলেপ্টিকাস বলে, যা একটি জরুরি অবস্থা।

অনুপস্থিতি বা অ্যাবসেন্স এপিলেপ্সি

শিশুদের মধ্যে এধরনের মৃগী রোগ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। মূলত ৫-১০ বছরের শিশু বা বয়ঃসন্ধির শুরুতে এই মৃগী রোগ শুরু হয়। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য রোগী তার পারিপার্শ্বিক জগৎ থেকে মানসিক যোগাযোগ হারায়। এই সময়টিতে রোগী যেন তার চারপাশের ঘটনা থেকে কয়েক সেকেন্ডের জন্য অনুপস্থিত থাকে।

একারণেই একে অনুপস্থিতি বা অ্যাবসেন্স এপিলেপ্সি বলে। রোগী অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায় না। এসময় রোগীর মধ্যে অবস্থান-নির্দিষ্ট বা ফোকাল এপিলেপ্সির মতো অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায়।

পার্থক্য হলো এই যে, এই মৃগী রোগে শরীরের দুই পাশেই আলামত থাকে যা ফোকাল এপিলেপ্সিতে থাকে একদিকে। রোগী ক্রমাগত চিবুতে থাকে বা অনবরত দু’চোখ পিটপিট করতে থাকে অথবা দুই হাতে মৃদু ঝাঁকি দিতে থকে। রোগীর কয়েক সেকেন্ডের অবচেতন অবস্থা মুহূর্তেই কেটে যায় এবং সে পুরোপুরি সজাগ হয়ে যায়।

টনিক ক্লনিক মৃগী রোগের মতো এক্ষেত্রে মৃগী রোগ-পরবর্তী কোনো অসাঢ়তা বা অবচেতনতা থাকে না। সারাদিনে অসংখ্য বার (এমনকি কয়েকশতবারও হতে পারে) এই ঘটনা চলতে থাকে। এই মৃগী রোগ এতই ক্ষণকালীন যে রোগী তার এই অস্বাভাবিকতা অভিভাবকের কাছে বলতে পারে না।বাবা-মা বেশিরভাগ সময় মনে করে শিশু যেন প্রায়ই খানিকক্ষণের জন্য অন্যমনস্ক হয়ে যায়। পড়াশুনার মান বা স্কুলের ফলাফল খারাপ হতে থাকে।

তবে আশার কথা হলো সন্দেহ হলে ইলেক্ট্রো এনসেফালোগ্রাম বা ইইজি পরীক্ষার মাধ্যমে অতি সহজেই এই অ্যাবসেন্স এপিলেপ্সি ধরা পড়ে এবং বিশেষ ধরনের ওষুধে এধরনের মৃগী রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে ।

ব্যতিক্রমী অ্যাবসেন্স এপিলেপ্সি

উপসর্গ একই হলেও কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে মৃগী রোগের শুরু বা শেষ অ্যাবসেন্স এপিলেপ্সির মতো হঠাৎ করে না হয়ে কিছু সময় ধরে হয়ে থাকে এবং অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে রোগীর শরীরে অস্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ পরিলক্ষিত হয়, যেমন চোখ পিটপিট করা, হাতের মৃদু ঝাঁকুনি, ইত্যাদি।

সাধারণত মস্তিষ্কের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে রোগজনিত অস্বাভাবিকতা থাকলে এই ধরনের এপিলেপ্সি হয় এবং এই ধরনের রোগী কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধীও হতে পারে। একারণেই অ্যাবসেন্স এপিলেপ্সির মতো ওষুধ দিয়ে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

জেনারেলাইজড টনিক ক্লনিক ও অ্যাবসেন্স ধরনের জেনারেলাইজড মৃগী রোগ ছাড়াও ক্ষণকালীন মাংসপেশীর শিথিলতা ও সংকোচনজনিত মৃগী রোগ রয়েছে যেগুলোকে যথাক্রমে টনিক, অ্যাটোনিক এবং মায়োক্লনিক এপিলেপ্সি বলা হয়।

মাংসপেশীর অস্বভাবিক সংকোচনজনিত মৃগীরোগ বা টনিক এপিলেপ্সি

এধরনের মৃগী রোগে শরীরের দুই পাশের হাত, পা বা উভয় অঙ্গেই মাংসপেশীর অস্বাভাবিক সংকোচন ঘটে এবং রোগী অচেতন হয়ে পড়ে। সাধারণত ২০ সেকেন্ডের কম সময় মাংসপেশীর এই সংকোচন স্থায়ী হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘুমের সময় এটি হয়ে থাকে। খিঁচুনি শেষ হওয়ার পর রোগী তন্দ্রাচ্ছন্নতা বা মানসিক দ্বিধাগ্রস্ততায় ভুগতে পারে।

ক্ষণকালীন মাংসপেশীর শিথিলতাজনিত মৃগীরোগ বা অ্যাটোনিক এপিলেপ্সি

এক্ষেত্রে খুবই অল্প সময়ের জন্য রোগীর শরীরের মাংসপেশী শিথিল হয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। ক্ষণিকের জন্য রোগীর সচেতনতায় ব্যাঘাত ঘটে কিন্তু মাংসপেশীর শিথিলতা কেটে যাওয়ার সাথে সাথেই রোগী পূর্ণ চেতনা ফিরে পায়। অর্ধ সেকেন্ড বা তারও কম সময়ের জন্য মাংসপেশীর শিথিলতা থাকলে রোগীর মাথা হয়তো সামনের দিকে হঠাৎ ঝুঁকে আবার ঠিক হয়ে যায়, যাকে হেড ড্রপ বলে।

কিন্তু এর বেশি সময় ধরে মাংসপেশীর শিথিলতা থাকলে রোগী আচমকা মাটিতে পড়ে যায়, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারণ এতে রোগী মাথায় মারাত্মক আঘাত পেতে পারে।

ক্ষনকালীন মাংসপেশীর সংকোচনজনিত মৃগীরোগ বা মায়োক্লনিক এপিলেপ্সি

মায়োরনাস বলতে বোঝায় হঠাৎ ক্ষণকালের জন্য (অর্ধ সেকেন্ড বা তারও কম) শরীরের কোনো অংশ বা সারা শরীরের মাংসপেশীর সংকোচন। পুরোপুরি ঘুমিয়ে পড়ার আগের তন্দ্রাচ্ছন্নতার সময়টিতে মায়োরনাস হতে পারে এবং এটিই স্বাভাবিক।

তবে যেসব রোগীর মস্তিষ্ক অস্বাভাবিকভাবে ক্রমশ শুকিয়ে যায় ( সেরেব্রাল এট্রফি) বা যাদের মস্তিষ্কে পূর্ববর্তী অক্সিজেনের ঘাটতি বা অ্যাসফিক্সিয়া হওয়ার ইতিহাস থাকে তাদের এই ধরনের মৃগী রোগ বেশি হয়।

উল্লেখ্য, এই অ্যাটোনিক বা মায়োনিক এপিলেপ্সিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট মৃগী রোগ সংবলিত সমষ্টিগত উপসর্গ বা এপিলেপ্সি সিন্ড্রোম দেখা যায়। এইসব এপিলেপ্সি সিডোমে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সাধারণত একাধিক ধরনের মৃগী রোগ দেখা যায়। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু এপিলেন্সি সিন্ড্রোম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

জুভেনাইল মায়োক্লনিক এপিলেপ্সি

বয়ঃসন্ধির সময় বা ১৪-১৫ বছর বয়স থেকে এই ধরনের মৃগী রোগের উপসর্গ প্রকাশ পেতে শুরু করে। প্রথম প্রথম সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রোগীর প্রায়ই মায়োরনিক মৃগী রোগের মতো শরীরের মাংসপেশীর ক্ষণকালীন সংকোচন ঘটে। কোনো কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এই মায়োরনাস-এর মাত্রা বেড়ে যায়।

বিশদভাবে রোগীর ইতিহাস নিলে দেখা যায়। রোগীর হাত, পা বা শরীর সকালের দিকে হঠাৎ করে ঝাঁকি দিয়ে ওঠে এবং হাত থেকে জিনিস পড়ে যায়। পরবর্তীতে এধরনের রোগীরা জেনারেলাইজড টনিক ক্লনিক মৃগী রোগে আক্রান্ত হয় এবং তখন এরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।

এধরনের রোগীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের অ্যাবসেন্স এপিলেন্সি থাকে। একারণে টনিক ক্লনিক মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে খুব যত্নসহকারে বয়ঃসন্ধির সময়কার এই মায়োক্লনিক এপিলেপ্সির আলামতের ইতিহাস নিতে হয়। এর কারণ হলো বিশেষ ধরনের মৃগী রোগের ওষুধ এই ধরনের মৃগী রোগে কাজ করে কিন্তু কিছু কিছু ওষুধে এই মৃগী রোগের প্রকোপ উল্টো বেড়ে যেতে পারে।

লেনক্স-জ্যাট সিন্ড্রোম

এটি অত্যন্ত মারাত্মক ধরনের মৃগীরোগ যা দুই থেকে ছয় বছর বয়সের মধ্যে শুরু হয়। লেনক্স জ্যাস্টট সিন্ড্রোম-এ আক্রান্ত শিশুর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মৃগীরোগ হয়ে থাকে, যেমন একই শিশুর অ্যাটোনিক, টনিক, অ্যাবসেন্স এবং টনিক ক্লনিক মৃগীরোগের আলামত থাকে।

এই শিশুদের অধিকাংশই ধীরে ধীরে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে। এই মৃগীরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত দুরূহ। একাধিক ওষুধেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ওষুধের পাশাপাশি কম শর্করা ও অধিক চর্বিযুক্ত খাবার এই মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

বয়সভেদে এপিলেপ্সির কারণ

বিভিন্নবয়সে এপিলেপ্সির কারণও বিভিন্ন।

শিশু জন্মের সময় প্রসবকালীন জটিলতা বা বিলম্বিত প্রসবের কারণে অক্সিজেনের অভাব বা বার্থ অ্যাসফিক্সিয়ার ফলে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি শিশুদের এপিলেপ্সি হওয়ার প্রধান কারণ।

Wikipedia

এছাড়া মস্তিষ্কের আবরণ (যাকে আমরা মেনিনজেস বলি) বা মস্তিষ্কে সংক্রমণজনিত মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, মস্তিষ্কের জন্মগত ত্রুটি, প্রভৃতি কারণে শিশুদের পরবর্তীকালে মৃগীরোগ হতে পারে।

জন্মের দুই মাস থেকে ১২ মাস-বয়সী শিশুদের মধ্যে সাধারণত বার্থ অ্যাসফিক্সিয়া বা মস্তিষ্কের অনুগত ত্রুটির কারণে ইনফেন্টাইল স্পাজম নামক মৃগীরোগ হয়ে থাকে। এই ধরনের মৃগীরোগে আক্রান্ত শিশুর শরীর থেকে থেকে ঝাঁকি দিয়ে ওঠে। সারা দিনে অসংখ্য বার এটি হতে থাকে। ধীরে ধীরে শিশু মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়তে পারে এবং প্রায় ৭৫% শিশুর পরবর্তীতে মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি দেখা দেয়।

ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর-বয়সী শিশুদের মধ্যে ৩% ৫%-এর জ্বরজনিত মৃগীরোগ বা ফেব্রাইল সিঙ্গার হয়ে থাকে। সাধারণত এই মৃগীরোগের ধরন টনিক ক্লনিক-এর মতো হলে, ১৫ মিনিটের কম সময় ধরে অব্যাহত থাকলে এবং জ্বরের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এটি হলে একে সাধারণ জ্বরজনিত খিঁচুনি বা সিম্পল ফেব্রাইল সিজার বলে। এর ব্যত্যয় ঘটলে, যেমন জ্বর শুরুর ২৪ ঘন্টা পর খিঁচুনি, ১৫ মিনিটের বেশি স্থায়িত্বকাল বা অবস্থান-নির্দিষ্ট বা ফোকাল মৃগীরোগের আলামত থাকলে তাকে যৌগিক বা কমপ্লেক্স ফেব্রাইল সিজার বলে।

ফেব্রাইল সিজারে আক্রান্ত ৩০% শিশুর দ্বিতীয়বার এবং ১০%-এর তিন বা তার বেশিবার ফেব্রাইল সিজার হয়ে থাকে। ফেব্রাইল সিজারে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৩%-এর পরবর্তী সময়ে মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে ফেব্রাইল সিজারে আক্রান্ত হওয়ার সাথে বার্ধ অ্যাসফিক্সিয়া, মস্তিষ্ক বা এর আবরণের সংক্রমণ কিংবা মস্তিষ্কের জন্মগত ত্রুটি থাকার কোনো সম্পর্ক নেই ।

পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে সাধারণত মেডিয়াল টেমপোরাল লোব এপিলেপ্সি, জুভেনাইল মায়োরনিক এপিলেপ্সি এবং লেনক্স-জ্যাস্টট সিন্ড্রোম এই তিন ধরনের মৃগীরোগের উপসর্গ প্রকাশ পেতে থাকে।

এছাড়া কিছু শিশুর মধ্যে সামগ্রিক বা জেনারালাইজড টনিক ক্লনিক মৃগীরোগ দেখা দিতে পারে, যার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না বা এগুলোর উপসর্গ উপরোক্ত তিন ধরনের এপিলেপ্সির সঙ্গে মেলেও না। একে অজানা কারণজনিত মৃগীরোগ বা ইডিওপ্যাথিক এপিলেন্সি বলে।

বয়ঃসন্ধিকালে বা ১৫-২০ বছর বয়সে যে মৃগীরোগের সূচনা হয় সেক্ষেত্রে কারণ হিসেবে প্রাধান্য পায় মাথার গুরুতর আঘাত, মস্তিষ্কে সংক্রমণ বা টিউমার, এবং ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।

বিশেষ করে মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে মাথার হাড় ভেঙে যাওয়া, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা আঘাত পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী অচেতন অবস্থা বা স্মৃতিভ্রম ঘটলে পরবর্তীতে মৃগীরোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৪০%-৫০% বেড়ে যায়।

পরিণত বা বৃদ্ধ বয়সে স্ট্রোক (মস্তিস্কে আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ বা রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত), মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় আঘাত এবং ক্রমশ মস্তিষ্ক শুকিয়ে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট অসুখ মৃগীরোগের প্রধান কারণ।

মৃগীরোগ নির্নয়

প্রাথমিকভাবে রোগীর সত্যিই মৃগীরোগ আছে কি না তা বোঝার জন্য রক্তের কিছু পরীক্ষা করা জরুরী কারণ বিপাকীয় বা মেটাবলিক কিছু অস্বাভাবিকতায় কিনি হওয়া খুবই স্বাভাবিক এর মধ্যে রক্তে লবণ বা ইলেক্ট্রোলাইটসের মাত্রা, গ্লুকোজ, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। কোনো ওষুধের বিষক্রিয়ার সন্দেহ থাকলে সেটিও পরীক্ষা করে দেখা উচিত। এছাড়া থাইরয়েড হরমোনের মাত্রাও পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

ইইজি বা ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম

মস্তিষ্কের শয়ুকোষের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক প্রবাহ নির্ণয়ে ইইজি করা হয়। এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের উপরিভাগের অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক প্রবাহ সবচেয়ে ভালো বোঝা যায়। কিন্তু মৃগীরোগের উৎস যদি মস্তিষ্কের গভীরে হয় তাহলে এই পরীক্ষায় তা ধরা না-ও পড়তে পারে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির মৃগীরোগের মধ্যবর্তী সময়ের ইইজি ৬০% ক্ষেত্রে স্বাভাবিক থাকতে পারে। ইইজির বিশেষ বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে সুনির্দিষ্ট কয়েক প্রকার মৃগীরোগ সনাক্ত করা সম্ভব যা রোগীর চিকিৎসায় অত্যন্ত জরুরি।

মস্তিষ্কের এমআরআই

মৃগীরোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক বা বৃদ্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এমআরআই করাতে হবে কারণ এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের দৃশ্যমান অস্বাভাবিকতা থেকে মৃগীরোগের শুরু হয়, যেমন স্ট্রোক, ব্রেইন টিউমার, ইত্যাদি। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে অ্যাবসেন্স এপিলেপ্সিতে এমআরআই করার প্রয়োজন নেই কারণ এতে সুনির্দিষ্ট ইইজি-র পরিবর্তন থাকে যা রোগ নির্ণয়ে যথেষ্ট।

মৃগীরোগের চিকিৎসা

মৃগী রোগ বা এপিলেপ্সির প্রাথমিক চিকিৎসা

মৃগীরোগের ধরন বা কারণ যাই হোক, এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী। একাধিক বার অজানা কারণে মৃগীরোগ হলে বা কারণ সংশোধনযোগ্য না হলে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মৃগীরোগের ওষুধ শুরু করতে হবে। তবে মাথায় মারাত্মক আঘাত, সংক্রমণ, স্ট্রোক বা টিউমারের কারণে মৃগীরোগ হলে প্রথমবার রোগের বহিঃপ্রকাশের
পরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ শুরু করা উচিত, কারণ বারবার মৃগীরোগ হওয়ার আশংকা
এসব ক্ষেত্রে অনেক বেশি।

ওষুধ শুরু করার পর টানা দুই বছর রোগী খিচুনিমুক্ত থাকলে ধীরে ধীরে (দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে) মৃগীরোগের ওষুধ বন্ধ করতে হবে। শতকরা ৬০-৭০ জন রোগীর ক্ষেত্রে এক ধরনের ওষুধেই মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রনে থাকে। তবে এক-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে একের অধিক ধরনের ওষুধ প্রয়োজন হয়।

মৃগীরোগের ঔষধ

মৃগীরোগের চিকিৎসায় প্রথম সারির ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনাইটোইন, কার্বমাজেপাইন, ভ্যালাইক এসিড, অক্সকাবাজেপাইন ও লেমোট্রিজিন। এইসব ওষুধে কাজ না হলে চিকিৎসকরা দ্বিতীয় সারির ওষুধের মধ্যে লিভেটাইরাসিটাম, টোপিরামেট ও জানিসামাইড ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া ইথোমক্সিমাইড, ক্লোনাজেপাম ও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

একাধিক ওষুধের সাহায্যেও অনিয়ন্ত্রিত মৃগীরোগের চিকিৎসা করা হয়। টেমপোরাল লোব এপিলেন্সি-র ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করে মস্তিষ্কের টেমপোরাল লোব-এর বিশেষ অংশ ফেলে দিলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মৃগীরোগ পুরোপুরি সেরে যায় ।

মৃগীরোগ প্রতিরোধের উপায়

মৃগীরোগ বা এপিলেন্সি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য ব্যাধি। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন মৃগীরোগ সম্পর্কে ধারণা। গণসচেতনতা এবং সামাজিক সহানুভূতিশীলতা রোগীকে চলার পথে হীনমন্যতামুক্ত ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করবে।

লেখক
ডাঃ মোঃ বদরুল ইসলাম ,আইসিডিডিআর,বি
ডাঃ তাহমিনা ইসলাম, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

Please Click on Just one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।