অনেকেই জীবনের কাছে পরাজিত হয়ে মৃত্যুকে বরণ করতে ছটফট করেন। জীবনের গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। আবার যাদের জীবন খুব সাজানো তারা মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য কতই না কসরত করেন। ভাবতে থাকেন এই আনন্দধামে আরো কটা দিন শ্বাস নিতে পারলে কতইনা ভালো হতো।
প্রবল পরাক্রমশালী রাজা বাদশাগণ মরণকে ফাঁকি দিয়ে অমর হওয়ার জন্য পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চষে বেড়ান অমরত্বদানকারী ঔষধের খোঁজে। কিন্তু বিধিবাম আজ পর্যন্ত কেউ এই ঔষধের খোঁজ পায় নি। হঠাৎ কারো নিকট আত্মীয় মারা গেলে সবাই ভাবে মানুষ মরে কেন? আজ আমরা সবাই জানবো এই প্রশ্নের উত্তর মানুষ মরে কেন?
আপনি আরো পড়তে পারেন…. মানুষ অমর হতে পারেনা কেন
মৃত্যু কী?
ধরুন একটি বৈদ্যুতিক ফ্যান বিদ্যুতের সাহায্যে ঘোড়ে, যখন বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ থাকে তখন এটি কাজ করতে পারে মানে এটি জীবন্ত কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি মৃত। ঠিক তেমনি যে শক্তির প্রভাবে প্রাণির দেহকোষগুলো সচল থাকে সেই শক্তি নষ্ঠ হলে বা আর উৎপাদন না হলে দেহ অচল হয়ে যায়। দেহের এই অচল অবস্থা কেই মৃত্যু বলে।জীববিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায়,
“মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়।”
উইকিপেডিয়া
একটি মানুষ ঠিক কখন মারা যায় তা নির্ণয় করা বেশ মুশকিল। বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানী বিভিন্ন অঙ্গের অকেজো হওয়াকে মৃত্যু বলেছেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কাজ না করলে তখন প্রাণিটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।যেমন-
মৃত্যুর হৃদপিন্ড বন্ধ মতবাদ
প্রাচীন কাল থেকে মানুষ মনে করে যে হৃদপিন্ড সচল না থাকলে প্রাণিটিকে মৃত বলে ধরে নেয়া যায়। কিন্তু আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মরনের পর প্রায় ১৫ মিনিট হৃদপিন্ডের কোষ বেঁচে থাকতে পারে। এই সময়ের মধ্যে হৃদপিন্ডকে আবার সচল করতে পারলে প্রাণির বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই শুধু হৃদপিন্ডের বন্ধ হওয়কেই মরন বলা যায় না।
মৃত্যুর মস্তিষ্ক অকেজো মতবাদ
মস্তিষ্ক দেহের সমস্ত ক্রিয়াকলাপের নিয়ন্ত্রণকর্তা। এটি বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হরমোন ক্ষরণ করে। আবার স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্ক অকেজো হলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঙ্গ নির্দেশনার অভাবে কাজ বন্ধ করে দেয়। একসাথে সবাই কাজ বন্ধ করে দিলে প্রাণির জীবনধারণ করা সম্ভব হয় না। তখন প্রাণির মরন ঘটে। আধুনিক গবেষণায় দেখা যায় যে হৃদপিন্ড মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই নিজের কাজ চালাতে পারে আর হৃদপিন্ড সচল থাকলে ফুসফুস সচল থাকে এর ফলে প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে। ব্রেইন ডেড মানুষের মস্তিষ্কের মরন হলেও দেহের মরন হয় না।
মৃত্যুর অক্সিজেন ঘাটতি মতবাদ
প্রাণির জীবন ধারণের জন্য দরকার শক্তি। প্রাণী শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে ATP। খাদ্য গ্রহণ করার পর তা হজম হয়ে রক্তে মিশে যায় এবং রক্তের মাধ্যমে কোষের ভেতর প্রবেশ করে। কোষে প্রবেশের পর এই খাদ্য অক্সিজেনের সাহায্যে ভেঙ্গে শক্তি বা ATP সৃষ্টি করে। যদি দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তবে শক্তি বা ATP সৃষ্টি হবে না। শক্তির অভাবে দেহের সব অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেবে ফলে জীবের মরন ঘটবে।
অনেক মতবাদ ঘাটাঘাটি করে এটা সবাই মেনে নিয়েছেন যে, প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা জীবের) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে।
মানুষ মরে কেন?
- স্বাভাবিকভাবে কোষের বয়স হয়ে গেলে কোষ আর বিভাজিত হতে পারে না তাই প্রাণির মরন ঘটে।
- বিভিন্ন রোগের কারণে দেহের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করলে তখন মানব দেহের মৃত্যু ঘটে।
- দুর্ঘটনার কারণে দেহের অভ্যন্তনিন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও মরন ঘটতে পারে।
তথ্যসূত্র: উইকিপেডিয়া
What iss death in bangla?
mrittu ki? manush more keno? manush more jaoar karon ki?manosh kokhon more jay?
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা