- সাজেক ভ্যালি, সাজানো এক অনিন্দ্যসুন্দর ভ্যালি#
সাজেক ভ্যালি, সাজানো এক অনিন্দ্যসুন্দর ভ্যালি#
শৈশব থেকেই আমরা ভ্যালি – নামটির সাথে অনেকেই কম-বেশি পরিচিত। নামটা শুনতেই যেন মনে হয়, ছুটে যাই ভ্রমণ করতে, কিছুটা এমন ভাবসাব! বহির্বিশ্ব ব্যতীত আমাদের এই অপরূপ সৌন্দর্যপূর্ণ-ছোট্টো সোনার বাংলাতেও ভ্যালিভিত্তিক সৌন্দর্য বিদ্যমান, যার অনবদ্য বদৌলত ‘সাজেক ভ্যালি’। চলুন, আজ সাজেক ভ্যালি’র জ্ঞানজগতে ঘুরে আসা যাক নিম্ন-আলোচ্য লেখার মাধ্যমে! প্রথমে জানা যাক ভ্যালি সম্পর্কে।
আপনি আরো পড়তে পারেন……. মাথা থেকে বাজে চিন্তা দূর করার উপায়
ভ্যালি কী:
‘ভ্যালি’ মূলত একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা পারিভাষিক অর্থ করলে দাঁড়ায়, উপত্যকা। মূলত উপত্যকা বা ভ্যালি হচ্ছে, দু’টি পাহাড় বা পর্বতের মধ্যবর্তী অবস্থিত সমতল অথবা অসমতল-প্রশস্ত-ঢালু ভূমি। মোদ্দাকথা, পর্বত আড়াআড়ি একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান ভ্যালি। এটি একটি দীর্ঘায়িত দুই পর্বতমধ্য গহ্বর।
কীভাবে একটি ভ্যালি সৃষ্টি হয়:
ভ্যালি বা উপত্যকা নদী, হিমবাহ উভয়ের ক্ষয়প্রাপ্তির জন্যই গঠিত হতে পারে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনার কারণে একটি ভ্যালি’র জন্ম হতে পারে। পর্বতের শীর্ষ হতে বরফগলা পানি কিংবা বৃষ্টির পানির স্রোত যখন পর্বতের ঋজু ঢাল বেয়ে অতি দ্রুতবেগে পতিত হতে থাকে, তখন পর্বত-শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে হাজারো বছর ধরে উপত্যকা বা ভ্যালি’র সৃষ্টি হয়।
আবার অনেকসময় হিমবাহ, অর্থাৎ বরফের নদী পর্বতশীর্ষ হতে ধীরে ধীরে নিচে নামাকালীন উঁচু-নিচু কিছু শিলাপাথরকে সরিয়ে বা চূর্ণ করে সমতল মাটির স্তর সৃষ্টি করে। এর প্রেক্ষিতে একটি উপত্যকা বা ভ্যালি’র জন্ম হয়। কখনও কখনও কোনো নদী তার গতিপথ বদলালে নদীর পুরনো অববাহিকাটি উপত্যকা হিসেবে সৃষ্টি হয়।বস্তুত এভাবেই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি, একটি ভ্যালি’র সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশে অবস্থিত কতিপয় কিছু ভ্যালি:
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছোটো-বড়ো নানাকিসিমের ভ্যালি অবস্থিত। আমাদের সোনার বাংলাতেও কিছু ভ্যালি’র দেখা পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ‘সাঙ্গু ভ্যালি’ এবং কাপ্তাই লেকে অবস্থিত ‘ভেঙ্গি ভ্যালি’, খাগড়াছড়িতে অবস্থিত ‘হালদা ভ্যালি’, রাঙামাটির ‘মাইনমুখী ভ্যালি’ এবং সুবিদিত ‘সাজেক ভ্যালি’, মৌলভীবাজারের ‘বালিশিরা ভ্যালি’, এবং কক্সবাজারের ‘নাপিতখালি ভ্যালি’ আমাদের সবারই কম-বেশি চেনা।
মূলত, আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় রাঙামাটির সুবিদিত ‘সাজেক ভ্যালি’। চলুন, জেনে নেয়া তার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে!
সাজেক ভ্যালি’র অবস্থান
সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার সর্বোত্তরে ভারতের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত একটি সুবিদিত পর্যটনকেন্দ্র। ৭০২-বর্গমাইল ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট সাজেক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত। সাজেক ইউনিয়ন রুইলুইপাড়া, হামারিপাড়া এবং কংলাকপাড়া — এই তিনটি পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত।
সাজেকে’র উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, এবং পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা অবস্থিত। রুইলুইপাড়া এবং কংলাকপাড়া সাজেক ভ্যালি’র পর্বতকে কেন্দ্র করে গঠিত দুইটি পাড়া। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রুইলুইপাড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ১৭২০ ফুট বা ৫২৫ মিটার, এবং প্রায় ১৮০০-ফুট বা ৫৪৯-মিটার উচ্চতায় অবস্থিত কংলাক পাহাড়ে কংলাকপাড়া অবস্থিত। মূলত, কংলাক সাজেকে’র সর্বোচ্চ চূড়া।
সাজেক ভ্যালির নামকরণ:
কর্ণফুলী নদী হতে উদ্ভূত সাজেক নদী’র নামানুসারেই মূলত সাজেক ভ্যালি’র নামটি এসেছে।
সাজেক ভ্যালি’তে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী:
সাজেক ভ্যালি’তে মূলত লুসাই, পাংখোয়া, এবং ত্রিপুরা আদিবাসী বসবাস করেন।
সাজেক-সৌন্দর্য:
সাজেকে’র রুইলুই পাহাড় হতে ট্র্যাকিং করার দরুন কংলাক পাহাড়ে গমন করা যায়। কংলাক পাহাড় সাজেকে’র সর্বোচ্চ চূড়া। কংলাকে যাওয়ার পথে মিজোরাম সীমান্তস্থিত বড়ো বড়ো পাহাড়-পর্বত, আদিবাসী তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাপন, চারিদিকে মেঘের আনাগোনা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। দৃষ্টিনন্দন এই ভ্যালি’র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জুড়ি নেই! সাজেকে’র ঈর্ষণীয় রূপ যে-কোনো পর্যটককেই মুগ্ধ করতে সক্ষম।
কোথাও ঝুমবৃষ্টি, আবার কোথাও প্রখর রৌদ্র! কোথাও নীল আকাশ, আবার কোথাও কালোমেঘের ভেলা! এই মেঘের জন্য সাজেক’কে অনেকে ‘মেঘের রাজ্য’ বলেন। সাজেক যাওয়ার পথে বাঘাইহাটে অবস্থিত হাজাছড়া ঝর্ণাটির সৌন্দর্য অনেক পর্যটক মূলরাস্তা হতে সামান্য ট্র্যাকিং করে গিয়ে উপভোগ করতে পারেন। বছরের সুনির্দিষ্ট সময়ে সাজেকে বসবাসরত আদিবাসীদের উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় তাদের সংস্কৃতির নানা উপকরণ পর্যটকবৃন্দ উপভোগ করতে পারেন।
সাজেক ভ্যালি থেকে রাঙামাটির অনেকটা অংশই দৃশ্যমান, তাই সাজেক ভ্যালি’কে ‘রাঙামাটির ছাদ’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। বর্তমানে সাজেকে’র সৌন্দর্য উপভোগ করতে দিন দিন পর্যটকদের ভিড় জমছে।
সাজেক ভ্যালি’তে যাতায়াত এবং নিরাপত্তা-ব্যবস্থা:
সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও খাগড়াছড়ি জেলাসদর হতে সেখানে যাওয়া বেশ সুবিধাজনক। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক ভ্যালি’র দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার, এবং দীঘিনালা থেকে দূরত্ব প্রায় ৪৯ কিলোমিটার। রাঙামাটি থেকে নৌপথে কাপ্তাই হয়ে এসে অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে সাজেক ভ্যালি’তে যাওয়া যেতে পারে। খাগড়াছড়ি শহর অথবা দীঘিনালা হতে স্থানীয় গাড়ি যেমন: জিপগাড়ি, সি.এন.জি, মোটরসাইকেল ইত্যাদিযোগে যাওয়াই বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম। পথিমধ্যে পড়বে ১০নং পুলিশ এবং সেনা-ক্যাম্প।
ভ্রমণরত সদস্যদের সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাজেকে যাওয়ার মূল অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। একে ‘আর্মি এসকর্ট’ বলা হয়ে থাকে। সেনাপক্ষ থেকে গাড়িবহরে পর্যটকদের গাড়িগুলোকে সনিরাপত্তায় সাজেকে পৌঁছে দেয়া হয়। দিনের দু’টি নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত সেনা-ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সাজেকে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না। মূলত, পর্যকটদের সর্বাধিক এবং সুনিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের জন্যই এই নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়। সাজেক ভ্যালিগামী জিপগাড়িগুলোকে স্থানীয়ভাবে ‘চাঁদের গাড়ি’ বলা হয়।
যাতায়াত-ভাড়া ও ভ্রমণ-খরচ:
অতিসহজে এবং সুলভভাবে রাজধানী শহর ঢাকা থেকে এসি/নন-এসি বাসযোগে রাঙামাটি অথবা খাগড়াছড়ি পা দেওয়া যায়। আবার, আর্থিকভাবে যথেষ্ট সচ্ছল ভ্রমণকারীরা আকাশপথে চট্টগ্রাম গিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বাসযোগে সাজেক যেতে পারেন। চাঁদের গাড়ি’তে খাগড়াছড়ি-সাজেক যাওয়া-আসা ৬০০০ টাকা, খাগড়াছড়ি-সাজেক যাওয়া-আসা ও ১ রাত্রিযাপন ৭৭০০ টাকা, খাগড়াছড়ি-সাজেক যাওয়া-আসা ও ২ রাত্রিযাপন ৯৬০০ টাকা।
খাগড়াছড়ি-সাজেক যাওয়া-আসা, ১ রাত্রিযাপন এবং রিছাং ঝর্ণা, আলুটিলা গুহা ও ঝুলন্তব্রীজ ভ্রমণে ৯০০০ টাকা। খাগড়াছড়ি-সাজেক যাওয়া-আসা ও ২ রাত্রিযাপন এবং রিছাং ঝর্ণা, আলুটিলা গুহা ও ঝুলন্তব্রীজ ভ্রমণে ১১৪০০ টাকা খরচ করতে হবে।
সাজেক-ভ্রমণে সতর্কতা:
সাজেক ভ্যালিগামী রাস্তা পাহাড়ি হওয়ায় পাহাড়িরাস্তায় গাড়ি-চালানো অভিজ্ঞতাহীন চালকদের নিয়ে না যাওয়াই শ্রেয়! এইক্ষেত্রে স্থানীয় জিপগাড়ি বা চাঁদের গাড়ি ভাড়া করে যাওয়ার পরামর্শ-প্রদান করা হয়। সাজেকের পানি আংশিক অপ্রতুল হওয়ায় সেখানে এখনও অবধি বিদ্যুৎ-সংযোগ নেই। সেজন্য, পর্যটকদের থাকার কটেজগুলোতে সোলার সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
সাজেক ভ্যালি’তে বসবাসরত আদিবাসীগণ অত্যন্ত বন্ধুসুলভ এবং অতিথিপরায়ণ হওয়ায় পর্যটকদেরকে তাদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করা এবং আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা এবং পোশাকাদি নিয়ে কোনোপ্রকার বিরূপ বা অসাংবিধানিক মন্তব্য না করার জন্য প্রশাসনিকভাবে অনুরোধ করা হয়। স্বনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেই পর্যটকদের বিজিবিপ্রদত্ত পরামর্শ এবং আদেশ-নিষেধগুলো মেনে চলা আবশ্যক।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সাজেক ভ্যালি’র ভূমিকা:
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পর্যটন-শিল্পের ভূমিকা অব্যক্ত। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে জানা যায়, বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের সম্মিলিত বার্ষিক ভ্রমণ-ব্যয় প্রায় ৫০-হাজার-কোটি টাকা। বাংলাদেশের পর্যটন-শিল্পের বিকাশ ক্রমবর্ধমান। প্রতি বছর ৫০ থেকে ৬০-লক্ষ দেশীয় পর্যটক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন। অর্থনীতিবিদদের মতে, পর্যটন-শিল্প থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপি অর্জন করা সম্ভব। সেই সুবাদে রাঙামাটির সুখ্যাত সাজেক ভ্যালি’ও পর্যটন-শিল্পখাতে কম ভূমিকা পালন করছে না! কক্সবাজারের পর রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি’তে পর্যটনে দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১.৫-হাজার পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন। সমুদ্রের পরে পাহাড়ের মেঘকন্যা সাজেক ভ্যালি-ই পর্যটকদের নিকট আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।
পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের সুনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন যথেষ্ট কঠোরতার সাথে নিরাপত্তা-প্রদান করে যাচ্ছে। সাজেক-পর্যটকদের অবকাশযাপনে বিজিবি’র মারিশ্যা জোনসহ স্থানীয় উদ্যোক্তারা অনেকেই স্থাপন করেছেন বেশকিছু রিসোর্ট। রাঙামাটির পার্বত্য জেলা-পরিষদও একটি ভালো মানের রিসোর্ট সেখানে নির্মাণ করেছে। প্রতিটি রিসোর্টে ১ থেকে ৩-হাজার টাকা অবধি বেডরুম ভাড়া দেয়া হচ্ছে। অপ্রতুল পানি থাকায় প্রতিটি রিসোর্টে পাহাড়ি ঝর্ণার পানি ব্যবহৃত হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে রিসোর্টগুলোতে পানি-সরবরাহ করা হয়।
রিসোর্টগুলোতে বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকায় সোলার সিস্টেম এবং জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের যথেষ্ট চাহিদাপূরণ করা হচ্ছে। ফলে, রিসোর্ট-মালিকদের ব্যয় বাড়লেও নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই। দিন-রাত পুলিশ, সেনা এবং বিজিবি’র টহল জোরদার রয়েছে। এভাবে ‘সাজেক ভ্যালি’ বাংলাদেশের পর্যটন-শিল্পের একটি অন্যতম অংশ হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে এবং পর্যটকদের চিত্তবিনোদনের সাথে সার্বিকভাবে ভূমিকা পালন করছে। নিশ্চয়ই, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের নিকট সাজেক ভ্যালি দেশের অর্থনীতির জন্য ভবিষ্যৎ-সম্ভাবনাময় একটি পর্যটনস্থল।
লেখক পরিচিতিঃ
এই লেখক জ্ঞান বিতরণকারী হিসেবে লেখাটি জমা দিয়েছেন,আপনিও লিখুন জ্ঞান বিতরণে সাহায্য করুন…..
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।