ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক কিভাবে করবেন!

ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক কিভাবে করবেন!

ফেসিয়ালের অর্থ হল মুখের মালিশ। এর দ্বারা আকর্ষণহীন ত্বকও আকর্ষক হয়ে ওঠে। ফেসিয়াল দ্বারা রক্তপ্রবাহ ঠিক হয়ে উঠলে মুখের কান্তিও ফিরে আসবে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে মুখে ভাঁজ পড়ে যায়। কিন্তু ফেসিয়াল করলে এই ভাঁজ অনেক দেরীতে পড়বে। ৪০ বছর বয়সের পর মুখের মালিশ অনিবার্য হয়ে ওঠে। নিয়মিত ফেসিয়াল করলে সবচেয়ে ভাল হয়।

যদি কারও ত্বক খুবই খারাপ হয় আর সে ত্বকের প্রতি যত্ন না নেয়, তাহলেও এই ধরনের ত্বক ৬-৭ বছর লাগাতার ফেসিয়াল করলে সম্পূর্ণভাবে ঠিক হয়ে পড়ে।

আপনি আরও পড়তে পারেন …… শুষ্ক ত্বকের যত্ন কিভাবে নেবেন …. তেলতেলে ত্বকের যত্ন নেয়ার নিয়ম! …… মুখের ত্বকের প্রকারভেদ ! 

ফেসিয়াল করতে কি কি লাগে

  • ক্লিনজিং মিল্ক, এস্ট্রিজেন্ট, স্কিন টনিক, ক্রীম
  • তুলো, ব্ল্যাক হেড রিমুভার, ডেটল,
  • হেডব্যাণ্ড, বিউটি প্যাক, গোলাপজল আর মগ।

ফেসিয়াল করার নিয়ম

ফেসিয়াল করার আগে প্রথমে হাত ভাল করে ধুয়ে নেওয়া উচিত। এরপর চুলকে হেডব্যাণ্ড (স্কার্ফ) দিয়ে বেঁধে নিন, সামনের দিকে একটা তোয়ালে ছড়িয়ে দিন। যাতে কাপড় খারাপ না হয়। ক্লিনজিং মিল্ক লাগিয়ে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন, তারপর ক্রীম লাগিয়ে ভাল করে মালিশ করুন।

তেলতেলে ত্বকে পণ্ডস লেমন ক্রীম আর শুষ্ক ত্বক চার্মিস কোল্ড ক্রীম ব্যবহার করা উচিত। যদি আপনার মুখে ব্রণ থাকে, তাহলে মালিশ করবেন না, করলেও ব্রণের জায়গাগুলো বাদ দিয়ে করবেন। মালিশে ব্রণ ফেটে যেতে পারে এবং মুখে বরাবরের জন্য দাগ পড়ে যেতে পারে। মালিশ প্রথমে ঘাড় থেকে শুরু করুন। এই সময় হাতের অগ্রভাগ বাইরের দিকে এবং ওপর দিকে রাখুন। ঘাড়ের পর থুতনী, ঠোঁঠে গাল, নাক, চোখ, কপাল এবং সব শেষে ভ্রু মালিশ করুন। মনে রাখবেন, মািিলশের সময় যেন ত্বকে জোর না পড়ে। এর জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় হওয়া উচিত।

ফেস প্যাক করার পদ্ধতি

এতে ত্বক সুস্হ এবং কোমল হয় আর রক্তসঞ্চার ঠিকঠাক বজায় থাকে। এটা হচ্ছে ত্বকের পক্ষে সর্বোত্তম টনিক। যদি এটা সপ্তাহে নিয়ম করে এক বা দুবার লাগানো যায়, তাহলে ত্বক দারুণ হয়ে ওঠে।

কোথাও যাবার আগে ফেস প্যাক লাগালে ত্বক চমকদার হয়ে ওঠে, ওর ওপর মেক-আপ করাও সহজ হয়ে পড়ে এবং মেক-আপ অনেকক্ষণ টিকেও থাকে।

এমনিতে তো বাজারে তৈরী ফেস প্যাক পাওয়া যায়, যাতে নির্দেশানুযায়ী জল মিলিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু আপনি নিজেও ফেস প্যাক তৈরী করতে পারেন। নীচে ত্বক অনুযায়ী কিছু ফেস পাকে তৈরীর বিধি দেওয়া হল। সব ফেস প্যাক সব রকমের ত্বকের অনুকূল হয় না। সুতরাং নিজের ত্বক অনুযায়ী ফেস প্যাক বেছে নিন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

  • (১) একটা ডিমের হলুদ অংশে এক চামচ বাদাম রোগন মিশিয়ে মুখ আর ঘাড়ে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, তারপর গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • (২) অলিভ অয়েলের একটা ফোঁটা দু-চামচ ময়দায় মিলিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিন। আধ ঘন্টা পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রেখে বৃষ্টির জল বা গোলাপজলে ধুয়ে ফেলুন।

সাধারণ ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

  • (১) দু-চামচ ময়দায় দুধ মিশিয়ে ফোটান। ওতে কিছুটা গোলাপজল ফেলে মুখে গরম-গরম লাগান। ১৫ মিনিট পর গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
  • (২) একটু আটায় জল মিশিয়ে হাল্কা আঁচে পাঁচ মিনিট রাখুন। এক চামচ মধু মিশিয়ে গরম-গরম মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম জল আর সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।
  • (৩) এক চামচ মধুতে আমলা তেলের কয়েকটা ফোঁটা মিশিয়ে মুখে আর গলায় লাগান। ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক কোমল হবে আর মুখে ভাঁজ পড়বে না।

তেলতেলে ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

  • (১) ট্যাল্কম পাউডার, কর্নফ্লাওয়ার সমান মাত্রায় নিয়ে ওতে একটু জল মেশান। এই পেস্ট মুখে আর গলায় ২০ মিনিট ধরে লাগান। এরপর এস্ট্রিজেন্টে ভেজানো তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • (২) ডিমের সাদা অংশটাকে ভাল করে ফেটিয়ে পুরো মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে এস্ট্রিজেন্ট লোশন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
  • (২) শশা পিশে ওতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর এক চামচ গোলাপ জল মেশান । একে কাপড়ের দুটো টুকরোর মাঝে রেখে মুখে লাগান। ১৫- ২০ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করে নিন।

ফেস প্যাক নির্দিষ্ট সময়ের বেশী মুখে লাগিয়ে রাখবেন না। চোখের চার পাশে ফেস প্যাক লাগাবেন না। চোখের ওপর ঠাণ্ডা জলে তুলো ভিজিয়ে রাখা উচিত।

Tag: ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক ফেসিয়াল ও ফেস প্যাক

Please click on one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।