যৌন হয়রানি কী?যৌন হয়রানি বন্ধের উপায় ও শাস্তি!

যৌন হয়রানি কী?যৌন হয়রানি বন্ধের উপায় ও শাস্তি!

আপনি আরো পড়তে পারেন ….. পিরিয়ড বা মাসিক কী?মিনস্ কী?ঋতুস্রাব কেন হয়?

যৌন হয়রানি কী?

অনেক সময় কিশোর-কিশোরী বিশেষ করে মেয়েদরকে রাস্তাঘাটে, বাসে বা অন্যান্য স্থানে ছেলেদের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম অশোভন ও অস্বস্তিকর আচরণ, কথাবার্তা, মন্তব্য কিংবা শারীরিক স্পর্শের সম্মুখীন হতে হয়। একে যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন বলে।

যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন কিভাবে হয়?

যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন অনেকভাবেই হতে পারে। আজকাল তথ্য প্রযুক্তি যেমন- মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, ইউটিউব ইত্যাদি অপব্যবহার করেও অনেককে যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন করা হয়।

কেন মেয়েরাই যৌন হয়রানির ও নির্যাতনের শিকার হয়?

শিশুদের যৌন হয়রানি

নারী-পুরুষ যে কেউ যেকোনো সময় যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে। তবে শিশু, কম বয়সি মেয়ে বা ছেলে এই অবস্থার মুখোমুখি হয় বেশি। দেখা গেছে পরিচিত লোকজন, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনেরাই যৌন নিপীড়ন করে থাকে। সাধারণত যৌন নিপীড়নকারীরা শিশু বা কম বয়সি ছেলেমেয়েদের ভয়, প্রলোভন, চাপ বা হুমকি দেয় এ ধরনের ঘটনা কাউকে না বলার জন্য।

কিন্তু এ রকম হলে চুপচাপ না থেকে বা ভয় না পেয়ে অভিভাবক বা বড় কাউকে বলা উচিত এবং সেই সাথে সমবয়সি ও পরিচিতদেরও তার সম্বন্ধে বলে দেয়া উচিত যেন তারাও তার সম্বন্ধে সাবধান থাকতে পারে। মনে রাখবে যে যৌন নিপীড়ন করে সে-ই দোষী, যাকে করা হয় তার কোনো দোষ নেই।

যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন কি কোনো প্রতিকার নাই?

যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একা একা কারো সাথে মেলামেশা না করে বা বেড়াতে না গিয়ে কয়েকজন মিলে যাওয়া উচিত। এছাড়া যৌন নিপীড়ন করে এমন কারো সম্বন্ধে জানা থাকলে বা সে রকম সন্দেহ থাকলে তার সাথে একা গল্প করবে না, বা বেড়াতে যাবে না।

যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন শিকার হলে কি করা দরকার?

অনেক সময় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে অনেক মেয়ে বা ছেলে মানসিকভাবে কষ্ট পায়, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং স্বাভাবিক হতে পারে না। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ এ রকম ঘটনার শিকার হয় তবে এ অবস্থায় তাকে সান্ত্বনা দেবে, সমবেদনা জানাবে যেন সে এ অবস্থা থেকে নিজেকে সামলে নিতে পারে। সব সময় মনে রাখবে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন একটি ঘৃণ্য অপরাধ, যে যৌন নিপীড়ন করে সে-ই দোষী, তার সম্বন্ধে সবাইকে জানিয়ে দিতে হবে এবং নিজেদের সচেতন হয়ে চলতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সকল ধরনের যৌন নিপীড়নকারীদের জন্য দেশের প্রচলিত আইনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের শিকার ছেলেটি বা মেয়েটির দোষ নেই।

কীভাবে যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন থেকে নিজেকে রক্ষা করবে

  1. আগ বাড়িয়ে কেউ বেশি আপনভাব দেখালে, সাহায্য বা উপকার করতে আসলে ভেবে-চিন্তে তা গ্রহণ করবে।
  2. কাউকে ভালো লাগলে চট করে তার সাথে ভাব জমিয়ে ফেলবে না।
  3. অচেনা কোনো নারী বা পুরুষের সাথে একা চলাফেরা করবে না।
  4. কারো আচরণ বা কোনো কিছু অস্বস্তিকর মনে হলে তার সামনে কখনো একা যাবে না বা থাকবে না।
  5. বিপরীত লিঙ্গের সমবয়সি, বয়স্ক আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে, বিশেষ করে
  6. শারীরিক ঘনিষ্ঠতা থেকে সাবধানে থাকবে।
  7. একা একা চলাফেরা না করে যতদূর সম্ভব দল বেঁধে চলাফেরা করবে।
  8. কোনো দ্বিধা, প্রশ্ন বা সমস্যা দেখা দিলে মা-বাবার সাথে খোলাখুলি আলোচনা
  9. করবে।
  10. কেউ যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণ করলে বা এ অবস্থার মুখোমুখি হলে চুপচাপ না থেকে অভিভাবককে জানাবে।
  11. পরিচিত বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজন সবাইকে যৌন নিপীড়নকারীর কথা জানিয়ে দেবে যাতে সবাই তার কাছ থেকে সাবধানে থাকে।

যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়নের মুখোমুখি হলে কি করবে

  • তাকে জানিয়ে দাও যে, তুমি এসব পছন্দ করো না এবং ব্যাপারটি অন্য কাউকে বলে দেবে।
  • তোমার বড় ভাই-বোন বা বাবা-মাকে এ সম্পর্কে জানাও।
  • ঐ মানুষটির সাথে আর কখনো একা হবে না।
  • সে অন্য কাউকে বলে দেবে বলে ভয় দেখালেও তার কথায় বিশ্বাস করবে না।
  • এ ব্যাপারে নিজেকে কখনো দোষী ভাববে না।

যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়ন কেন করে?

তোমাদের মতো অনেক মেয়েদেরই এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। এ ধরনের আচরণ হচ্ছে এক ধরনের যৌন নিপীড়ন। যে কোনো ধরনের আচরণ, কথা বা শারীরিক ছোঁয়া- তা যার দ্বারাই হোক না কেন, যদি অস্বস্তিকর হয়, তবে তাকে যৌন নিপীড়ন বলা যেতে পারে। এ ধরনের যৌন নিপীড়ন যেকোনো জায়গায় যেমন- রাস্তাঘাটে, বাসে, কর্মক্ষেত্রে এমন কি বাসায়ও হতে পারে।

কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি

নৈতিকতাহীন অনেক শিক্ষিত মানুষও এ ধরনের নিপীড়ন করতে পারে। অনেক সময় নিকট আত্মীয় বা আপনজনও যৌন নিপীড়ন করতে পারে। অল্পবয়সি মেয়েরা এবং ছোট ছেলেরা যৌন নিপীড়নের শিকার বেশি হয়। যারা যৌন নিপীড়ন করে তারা অনেক সময় নানা ধরনের ভয় দেখায় যাতে এ ব্যাপারটা অন্যরা জানতে না পারে।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধা না করে অভিভাবক বা বড় যাদের সাথে সহজে কথা বলা যায়, তাদের জানানো উচিত। এটা কোনো মতেই চুপচাপ সহ্য করা উচিত নয়। যৌন নিপীড়ন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধের জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে।

যৌন হয়রানির শাস্তি কী?

যৌন হয়রানির শাস্তি

যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷

নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ এর ধারা ১০ এই

Info source: উইকিপেডিয়া

Tag:

Please Click on Just one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা