সোরিয়াসিস রোগ কী?সোরিয়াসিসের কারণ,লক্ষণ,প্রকারভেদ ও চিকিৎসা!

Table Of Contents
  1. সোরিয়াসিস রোগ কী?সোরিয়াসিসের কারণ,লক্ষণ,প্রকারভেদ ও চিকিৎসা!

সোরিয়াসিস রোগ কী?সোরিয়াসিসের কারণ,লক্ষণ,প্রকারভেদ ও চিকিৎসা!

সোরিয়াসিস এক ধরনের চর্মরোগ। এতে চামড়ার ওপরের কোষগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে রূপালী রঙের আঁশ ও লাল রঙের শুকনো, চুলকানো ছোপ তৈরী করে যা কখনো কখনো phenomena) বেদনাদায়ক হতে পারে।

সোরিয়াসিস একটা দীর্ঘস্থায়ী (Chronic) রোগ। এটা কখনো কমে, কখনো বাড়ে। কোন ক্ষেত্রে এটা কেবল অস্বস্তিকর, আবার কোন ক্ষেত্রে এটা জীবন বিপর্যস্তকারী, বিশেষ করে যখন আর্থাইটিস সহযোগে হয়।

wikipedia
সোরিয়াসিস রোগ কী?সোরিয়াসিসের কারণ,লক্ষণ,প্রকারভেদ ও চিকিৎসা!

সোরিয়াসিস মানে কি?

ইংরেজি অর্থ- Psoriasis(a chronic skin disease characterized by dry red patches covered with scales) Psoriasis বিশেষ ধরনের চর্মরোগ, যা সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়।এটি একটি autoimmune disease। এ রোগের কারণে মৃত্যুও হয় না।বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা অ্যালার্জি বলে রোগটিকে দেখে।

আপনি আরও পড়তে পারেন …… উচ্চমাত্রার জ্বর,খিঁচুনি, নাক দিয়ে রক্ত-পরার প্রাথমিক চিকিৎসা …. চুলকাতে মজা লাগে কেন?

সোরিয়াসিস দেখতে কেমন

সোরিয়াসিস ছবি
সোরিয়াসিস ছবি

সোরিয়াসিস কী ছোঁয়াচে রোগ?

Psoriasis সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়।

সোরিয়াসিস শরীরের কোথায় হয়?

Psoriasis সাধারণত মাথায়, নাভিতে, হাতের কনুই এবং হাঁটুতে, পিঠের নীচে স্যাকরাম (Secrum) হয়। হাত ও পায়ের নখ আক্রান্ত হতে পারে। শরীরের ডান ও বাম পাশ সমানভাবে (Symmetrical) আক্রান্ত হয়।

সোরিয়াসিস কাদের হয়?

যে কোন বয়সে এ রোগ হতে পারে। তবে ৪ বৎসর বয়সের পূর্বে সাধারণতঃ এ রোগ হতে দেখা যায় না। মেয়েদের ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সে বেশী হয় এবং পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণত হয় না।মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা বেশী আক্রান্ত হয়।

সোরিয়াসিস কি চুলকায়?

হ্যাঁ Psoriasis হলে ত্বক চুলকায়।

সোরিয়াসিস এর কারণ কী?

Psoriasis পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই দেখা যায়। আমাদের দেশেও এ রোগ প্রচুর রয়েছে। এ রোগ কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। মহিলাদের চেয়ে পুরুষরা বেশী আক্রান্ত হয়।

মারাত্মক অবস্থার হাত পায়ের অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হতে পারে থাকে সোরিয়াটিক অর্থাইটিস (Psoriatic arthritis) বলে।

যদিও প্রত্যক্ষ কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না তবে অনেক সময় দেখা গেছে কতগুলো আনুসঙ্গিক কারণে এ রোগ খুব তাড়াতাড়ি হয় দেখা যায়।

  • সাধারণতঃ কোন জায়গায় আঘাত লাগলে।
  • টিকা নিলে।
  • কোন জন্তুতে কামড়ালে।
  • সামান্য সূঁচের খোঁচা লাগলেও এ রোগ বাড়তে পারে (Koebner phenomena)
  • অনেক সময় দেখা যায় অন্যান্য রোগে আক্রান্তের পর হঠাৎ এ রোগ দেখা দিয়েছে যেমন-
  • জ্বর
  • ইনফ্লুয়েঞ্জা
  • টনসিলাইটিস
  • স্নায়ুবিক দূর্বলতা
  • মানসিক দুশ্চিন্তা (Stress) ইত্যাদি।

মহিলাদের গর্ভাবস্থায় অথবা প্রসবের পর এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার এও দেখা গেছে, পুরাতন রোগী গর্ভাবস্থায় ভাল হয়ে যায় এবং প্রসবের পর আবার পূর্বের মতো রোগ দেখা দেয়। এ রোগ অনেক সময় বংশগত হতে পারে তবে এরূপ ইতিহাস কদাচিৎ পাওয়া যায়।

একজিমা ও সোরিয়াসিস এর পার্থক্য

এই রোগ দুটি আপাতদৃষ্টিতে দেখতে একই রকম মনে হয় তাই অনেকে পার্থক্য করতে পারে না। অনেক সময় হাতুরে ডাক্তার একজিমা ভেবে Psoriasis এর চিকিৎসা করে ফলে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আসুন একজিমা ও Psoriasis এর পদার্থগুলো দেখে নিন।

একজিমা ও সোরিয়াসিস এর পার্থক্য
একজিমা ও সোরিয়াসিস এর পার্থক্য
পার্থকের বিষয়একজিমাসোরিয়াসিস
আকৃতিছোট ছোট লাল ফুসকুড়ি একসাথে থাকে অথবা চাকার মত থাকে।মাঝখানে একটি ফাঁকা জায়গা রেখে বৃত্তাকারে একজিমা উঠতে পারে।ছোট ফুসকুড়ি চেপে চেপে ঘনভাবে উঠে,ফুসকুড়ির উপরের স্তরে সাদা পাতলা চামড়ার মত আস্তরণ থাকে।
রঙফুসকুড়ি লাল রঙেরফুসকুড়ির গোড়া লাল কিন্তু মাথার দিক সাদা
চুলকানিবেশি চুলকায় চুলকাতে আরাম লাগে অনেকে চুলকাতে চুলকাতে রক্ত বের করে ফেলে।কম চুলকায় চুলকালে বেশ জ্বলুনি হয়।

কোন ঔষধ খেলে সোরিয়াসিস কেন হয়?

গবেষণায় দেখা গেছে কিছু কিছু ওষুধ এ রোগ সৃষ্টি করতে পারে যেমন উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ (Beta blockers. Calcium channel blockars, ACE inhibitors etc.), ম্যালেরিয়ার ওষুধ, রক্তের চর্বি কমানোর ওষুধ(Lipid lowaring agent) লিথিয়াম ইত্যাদি।

সোরিয়াসিসের লক্ষণসমূহ বা উপসর্গ

Psoriasis র লক্ষণসমূহ ব্যক্তিভেদে একেক রকম। তবে নীচের যে কোনটাই থাকতে পারে

  • চামড়ার ওপরে সুক্ষ্ণ আঁশযুক্ত লালচে দানা দিয়ে শুরু রোগ লক্ষণ শুরু হয়।
  • লালচে দানার ওপর ধীরে ধীরে অনেকটা রূপালী রংয়ের আবরন পড়ে।
  • শুকনো, ফাটা চামড়া যা দিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
  • ত্বকের স্থানে স্থানে খসখসে লাল বা সাদাটে হতে পারে আবার ফেটেও যায়। ত্বক মাছের আঁশের মতো খসখসে হয়ে পড়ে।
  • চুলকানী, জ্বালাপোড়া বা খসখসে ভাব। মোটা, গর্ত হওয়া বা দাগ পড়া নখ।
  • ফোলা ও আটকে যাওয়া অস্থিসন্ধি।

Psoriasis র ছোপগুলো খুশকীর মত কিছু দাগ থেকে শরীরের বিশাল এলাকা জুড়ে থাকতে পারে। অধিকাংশ Psoriasis একটা সময় ধরে একইভাবে চলার পর, কিছু সপ্তাহ বা মাস পর পর বাড়ে কমে।

সোরিয়াসিস এর প্রকারভেদ

সোরিয়াসিস এর প্রকারভেদ

রোগের প্রকাশ ও উপসর্গ ভেদে Psoriasis কয়েক প্রকার যেমন-

সেবোরিক সোরিয়াসিস (Seborrheic like psoriasis)

এ ধরনের Psoriasis দেখতে মসৃণ ও লাল বর্ণের হয়। খোসাগুলো তুলনামূলকভাবে তৈলাক্ত ও নরম হয়।

ন্যাপকিন সোরিয়াসিস ( Napkin psoriasis )

ন্যাপকিন Psoriasis সাধারণত ২ থেকে ৮ মাস বয়সী শিশুদের হয় যারা নিয়মিত ডায়াপার ব্যবহার করে। প্রস্রাবে ভেজা ডায়াপার বেশী সময় থাকলে এ ধরণের সোরিয়াসিস দেখা দিতে পারে।

গ্যাটেট সোরিয়াসিস ( Guttate psoriasis)

গ্যাটেট Psoriasis সাধারণত ৩০ বৎসর বয়সের আগে হয়। এতে ২ থেকে ৫ মি.মি. ব্যাসার্ধের পানির ফোঁটার মতো ক্ষত হয়। . শরীরের কিছু কিছু প্রদাহ বিশেষ করে Streptococcal pharyngitis এবং Severe upper respiratory infection এর পরে দেখা যায়।

প্লেক সোরিয়াসিস (Plaque psoriasis)

এটাই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। চামড়ায় লাল ছোপ যা শুকনো, উঁচু ও রূপালী আঁশ দিয়ে আবৃত। এটা চুলকায় বা ব্যথা করতে পারে। এটা শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে, এমনকি যৌনাঙ্গ ও মুখের ভেতরের নরম চামড়ায় এবং অস্থিসন্ধির কাছে । এ থেকে রক্তপাত হতে পারে।

মাথার সোরিয়াসিস (Psoriasis of scalp)

মাথায় রূপালী আঁশ দিয়ে ঢাকা লাল রঙের হয় এবং এর সাথে চুলকানী থাকে।

ইনভার্স psoriasis (Inverse psoriasis)

বগল, কুচকি, স্তনের নীচে ও যৌনাঙ্গের পাশে হতে পারে। এতে মসৃন, লাল, প্রদাহযুক্ত ত্বক দেখা যায়। মোটা ব্যক্তিদের বেশী হয় এবং ঘাম ও ঘষায় বাড়ে।

ইরাইথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস (Erythrodermic psoriasis)

খুব কম দেখা যায়। এতে সারা শরীরে লাল, ফুলে ওঠা র‍্যাশ দেখা যায় যা খুব জ্বালাপোড়া করে।

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস (Psoriatic arthritis)

ত্বকের Psoriasis র সঙ্গে যে কোন গিরায় ব্যথা হয় ও ফুলে যায়। এতে চোখে প্রদাহ হতে পারে।

পাস্টুলার সোরিয়াসিস (Pustular psoriasis)

কদাচিৎ হয়ে থাকে। সারা শরীর বা অল্প জায়গায় পুজ ভর্তি ফোড়া যা খুব দ্রুত হয়। এগুলো শুকিয়ে যায় এবং আবার ফিরেও আসতে পারে। এর সাথে জ্বর বা খুব চুলকানী হতে পারে।

সোরিয়াসিস রোগীদের জটিলতা

সোরিয়াসিস রোগীদের যে সব জটিলতা দেখা দিতে পারে,তা হলো-

  • ত্বক পুরু হওয়া ও ইনফেকশন
  • মানসিক অবসাদ ও বিষণ্ণতা
  • সামাজিক সমস্যা

সোরিয়াসিস রোগ নির্ণয় এর পরীক্ষা

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সোরিয়াসিস সহজেই সনাক্ত করা যায়। শারীরিক পরীক্ষা ও রোগের ইতিহাসই এর জন্য যথেষ্ঠ। কোন কোন ক্ষেত্রে ত্বকের বায়োপসি (Biopsy) লাগতে পারে।

সোরিয়াসিস এর আধুনিক চিকিৎসা

প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপয়ে এর চিকিৎসা করা যায়।

সোরিয়াসিস থেকে মুক্তির উপায়

সোরিয়াসিস থেকে মুক্তি পেতে নিচের নির্দেশনা ফলো করুন।

স্যালিসাইলিক এসিড

এটা মৃত কোষকে সরিয়ে দেয় ও আঁশ কমিয়ে দেয়। কর্টিকোস্টেরয়েড বা কোল টারের সঙ্গে ব্যবহার করলে এর ফলাফল বৃদ্ধি পায়।

কোল টার

সোরিয়াসিসের সবচেয়ে পুরনো চিকিৎসা। এর গন্ধ এবং শরীর ও কাপড়ে দাগ পড়ার জন্য এর ব্যবহার কম।

ময়েশ্চারাইজার

যদিও ময়েশ্চারাইজার সোরিয়াসিস কমায় না, কিন্তু চুলকানি বা শুকনো হওয়াকে কমায় বলে এর ব্যবহার আছে।

ফটোথেরাপী

এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করা হয়।

প্রাকৃতিক রোদ

প্রতিদিন নিয়ম করে অল্প পরিমান রোদ লাগালে উপকার হয়। কিন্তু বেশী কড়া রোদ ক্ষতি হতে পারে।

কৃত্রিম ফটোথেরাপী

যন্ত্রের সাহায্যে কৃত্রিম আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করা হয়। অল্প বা বেশী, দুই ধরনের সোরিয়াসিসের জন্যই এটা ব্যবহার করা যায়।

সোরিয়াসিস রোগের ওষুধ

সোরিয়াসিস রোগের ওষুধ প্রধানত তিন প্রকার। ত্বকে ব্যবহার করার ক্রিম,মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট ও ভিটামিন।

সোরিয়াসিস রোগের ক্রিম বা মলম

মৃদু ও মাঝারী সোরিয়াসিস ত্বকে মলম দিয়ে চিকিৎসা করা যায়। সোরিয়াসিস বেশী হলে এর সঙ্গে ফটোথেরাপী বা মুখের ওষুধ দেয়া হয়।

ত্বকের কর্টিকোস্টেরয়েড

সবচাইতে বেশী ব্যবহৃত ওষুধ যা মৃদু হতে মাঝারী সোরিয়াসিসের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এটা বিভিন্ন মাত্রার হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বক যেমন মুখ বা বেশী জায়গা জুড়ে কম মাত্রার কর্টিকোস্টেরয়েড দেয়া হয়। অল্প জায়গা বা কম মাত্রার কর্টিকোস্টেরয়েড কাজ না করলে বেশী মাত্রার কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বেশী মাত্রার কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করলে ত্বক পাতলা হয়ে যেতে পারে বা চিকিৎসা অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।

সোরিয়াসিস রোগের ট্যাবলেট

মুখে খাওয়ার ওষুধগুলোর মধ্যে সাধারনত: রেটিনয়েড, মেথোট্রিক্সেট, সাইক্লোসপরিন ইত্যাদি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী দেয়া হয়।

ভিটামিন ডি এনালগ

কৃত্রিম ভিটামিন ডি ত্বকের কোষের বৃদ্ধি হ্রাস করে। এগুলো একা বা অন্য ওষুধের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।

ত্বকের রেটিনয়েড

ভিটামিন ‘এ’ হতে পাওয়া যায়। এটা ব্যবহার করে রোদে বের হতে হলে সানস্ক্রীন ব্যবহার করতে হয়।

সোরিয়াসিস এর ইনজেকশন

Alerkim,Methotrexate,Triamcinolone Acetonide ইত্যাদি Injection Psoriasis ভালো করতে প্রয়োগ করা হয়।

সোরিয়াসিস ভালো করার সাবান

সোরিয়াসিস প্রতিরোধকারী সাবান
সোরিয়াসিস প্রতিরোধকারী সাবান

গোসলের সময় কিছু বিশেষ ধরণের সাবান ব্যবহার করলে রোগের প্রকোপ কমে।সাবানের নামগুলো চিত্রে দেখুন।

সোরিয়াসিস রোগ হলে করনীয়

  • প্রতিদিন গোসল করা ।
  • রোগাক্রান্ত এলাকা রাতে ঘুমাবার সময় ঢেকে রাখা।
  • অল্প সময়ের জন্য ত্বকে রোদ লাগানো। মদ্যপান পরিহার করা।
  • ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।

সোরিয়াসিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার

সোরিয়াসিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার
Psoriasis রোগীর নিষিদ্ধ খাবার
খাবারের নামনা খাওয়ার কারণ
লাল মাংস (গরু, খাসি, হাঁস)এগুলো ত্বকের এলার্জি তৈরি করতে পারে ফলে প্রচুর চুলকানি হবে আর চুলকালে ত্বকের ক্ষত বেড়ে গিয়ে মারাত্বক সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
দুগ্ধজাতীয় খাবারচুলকানি বৃদ্ধি করতে পারে।
রিফাইনড সুগার ও বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবাররোগের প্রকোপ বৃদ্ধি করে।চিনি শরীরে প্রদাহমূলক রিসেপ্টর বৃদ্ধি করতে পারে।
মরিচদীর্ঘমেয়াদি ক্রনিক প্রদাহ সৃষ্টি হবে।
টমেটো ও বেগুন জাতীয় সব্জিচুলকানি বাড়ে ত্বকে অস্বস্তি হয়।
বেশি লবণযুক্ত খাবারত্বকের প্রদাহ বৃদ্ধি পায়
গ্লুটেনযুক্ত খাবার (গম,বার্লি)Psoriasis র প্রকোপ বাড়াতে পারে। ধূমপান ও মদ্যপান রোগ বাড়তে পারে।

সোরিয়াসিস রোগীর খাদ্যতালিকা

সোরিয়াসিসের রোগীর খাদ্যতালিকা
Psoriasis রোগীর খাদ্যতালিকা
খাবারের নাম উপকারিতা
সাদা মাংসমুরগির মাংস,খরগোসের মাংস এই মাংসে চর্বি কম থাকে।
বাদামত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে দ্রুত রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডোদ্রুত রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
রসুনজীবাণুর সংক্রমণ রোধ করে।
মাছ ও মাছের তেলমেগা–৩ চর্বি আছে এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সবুজ পাতাওয়ালা শাক-সবজিএন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে দেহকে বিষ মুক্ত করে

সোরিয়াসিসের ঘরোয়া চিকিৎসা

  • জীবানুর সংক্রমন রোধে অ্যাভোকাডো তেল লাগাতে হবে।
  • ক্ষত নরম রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেল লাগাবেন।
  • জীবাণু ধ্বংস করতে নিমের তেল দিবেন ও নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে গোসল করবেন।
  • হালকা গরম পানিতে ১ চামচ লবণ মিশিয়ে সেই পানিতে গোসল করতে পারেন।কম ক্ষারীয় সাবান ব্যবহার করবেন।
  • অস্বস্তি কমানোর জন্যে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা চুলকাবেন না।
  • করলার তরকারি বেশি খাবেন।
  • প্রতিদিন কিছু সময় কোমল রোদে থাকবেন।
  • হালকা শরীর চর্চা করুন।

সোরিয়াসিস এর আয়ুর্বেদিক বা হার্বাল চিকিৎসা

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে সোরিয়াসিস এর চিকিৎসা করা যায়।

ভেষজ উদ্ভিদব্যবহার্য অংশ
নিমপাতার রস পান করা ও গোসলে ব্যবহার, নিম ফলের তেল ত্বকে ব্যবহার।
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীরস ত্বকে ব্যবহার।
হলুদহলুদ গুড়া গরম দুধের সাথে পান করুন।গোসলের আগে কাচা হলুদের রস গায়ে লাগান।
অনন্তমূল বা শারিবাবেটে খেতে হবে
খদিরবেটে খেতে হবে
পঞ্চতিক্তগুড়ুচী,নিমছাল,বাসকছাল,কন্টকারী ও পটলপত্র এদের একত্রে পঞ্চতিক্ত বলে।এদের চূর্ণ বা গুড়া করে খেতে হবে।
ত্রিফলাআমলকী,হরিতকী ও বহেড়া এদের একত্রে ত্রিফলা বলে।এদের চূর্ণ বা গুড়া করে খেতে হবে।

সোরিয়াসিস এর হার্বাল ঔষধ

ঔষধ কোম্পানির নামঔষধের নাম
দি একমিনিম এ (নিম্বাদিচূর্ন), ট্যাবলেট নিমগোল্ড (নিম), সিরাপ সাফকিন (সারিবাদ্যারিষ্ট)
স্কয়ারক্যাপসুল ইপ্রিম এবং ইপ্রিম প্লাস
ইনসেপ্টাফিমোরোজ
রেডিয়েন্টপিকনোজিনল
ইবনে সিনাচিরল,সেমিসোলিড শাহতারা, অয়েনমেন্ট ডারমারিশ
হামদর্দ ছাফীছাফী, অয়েনমেন্ট ডার্মাইড, ত্রিফলা চূর্ন, সেমিসোলিড শাহতারা, ওশবা, চুবচীনী
কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়, সাধনা, এপি, শক্তিখদিরারিষ্ট,পঞ্চতিক্তঘৃত গুগগুল,শারিবাদ্যারিষ্ট ,মানিক্য রস,মরিচাদি তেল,সোমরাজী তেল,বৃহৎ হরিদ্রা খন্ড।

তথ্যসূত্র- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড,উইকিপেডিয়া

Please Click On Just One Add To Help Us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।