খেজুরের রসের উপকারিতা কী?

খেজুরের রসের উপকারিতা কী?

শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধোয়ার পর এক গ্লাস হিম ঠাণ্ডা খেজুর রস পান করার ক্ষণিক পরে শুরু হয় দাঁতের কাঁপুনি ঠক্ ঠকা ঠক্ ঠক্ ঠক্। এই কাপকাপির আনন্দ গ্রামীন পরিবেশে বেড়ে উঠেছে এমন মানুষ ছাড়া শহুড়ে মানুষ খুব কমই পেয়েছে। তো অনেকে জানেন না খেজুর রসের কি উপকারিতা।

রসের উপকারিতা জানলে এবার থেকে প্রত্যেক শীতে নিয়ম করে প্রতিদিন এক গ্লাস রস খাবেন। তাহলে শুরু করাযাক খেজুর রসের উপকারিতা এর সাত কাহন…..

খেজুরের রসের উপকারিতা
খেজুরের রসের উপকারিতা

আপনি আরো পড়তে পারেন…. খেজুর গাছের রস হয় কেন শীতকালে?

খেজুর রসের পুষ্টিগুণ

খেজুর রসে ৩৫৮ কিলোক্যালরি শক্তি থাকে।

carbohydrate(শর্করা)85.83%
মিশ্রিত চিনি3.95%
অশোধিত চর্বি(crude lipid)1.15%
অশোধিত আমিষ(crude protein)1.08%
আঁশ বা ফাইবার(crude fibre)0.18%
ash0.46%
potassium(80mg/100gm)
sodium(18.23mg/100gm)
calcium(4.76mg/100gm)
magnesium(2.23mg/100gm)
Vitamin B3(12.3mg/100gm)
Vitamin C(12.75mg/100gm)

খেজুরের রসের উপকারিতা

প্রকৃতির এনার্জি ড্রিংকস খেজুর রস

খেজুর রসে সরল শর্করা বা ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকে প্রায় ১৫-২০%। এই মিশ্রিত শর্করার সাথে প্রচুর খনিজ লবণ ও মিনারেল থাকে। এত উপকারী উপাদান একসাথে উত্তম অনুপাতে মেশানো থাকে ফলে এটি যেকোন কৃত্রিম এনার্জি ড্রিংকস এর চাইতে বেশি ভালো ও স্বাস্থ্যকর। এক গ্লাস খেজুরের রস পান করলে নিমিষেই এনার্জি পাওয়া যায়। রসের গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ দু্রত রক্তে মিশে গিয়ে শক্তির অভাব দূর করে।

রক্ত স্বল্পতা দূর করে খেজুর রস

রসে লৌহ বা আয়রন সুপ্ত অবস্থায় থাকে যদি রস জ্বাল করে গুড় বা লালি তৈরি করা হয় তবে এতে প্রচুর আয়রন থাকে। রক্তস্বল্পতা দূর করতে প্রতিদিন এক টুকরা গুড় বা এক চামুচ লালি খাওয়া উচিৎ। বাংলাদেশে খেজুর গুড়ের পিঠা খাওয়া বেশ প্রচলিত তাই বিপুল জনগোষ্ঠীর মোটামুটি ১/৫ অংশ এই শীতকালে রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রক্ষা পায়।

পেশিকে মজবুত করে

পেশির স্বাভাবিক কার্যকারিতা সচল রাখতে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।খেজুরের রসে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকে তাই রস বা গুড় পেশীকে শক্তিশালী করে। পেশির অসারতা দূর করতেও এটি কাজ করে। স্নায়ুকোষ পরস্পর যুক্ত থাকে নিউরন নামের সংযোগ স্থলে। এই স্থান দিয়ে অনুভূতির সংকেত চলাচল করে।পটাশিয়াম ও সোডিয়াম স্নায়ু সংকেত চলাচলে প্রধান ভূমিকা রাখে।

ক্লান্তিভাব দূর করে

ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতির কারণে আমাদের অবসন্ন বা ক্লান্তি ভাব আসে।রসে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম এটি পান করলে ক্লান্তি ভাব দূর হয় এবং দেহের সজীবতা ফিরে আসে।

হাড় মজবুত করে

খেজুর রসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যালসিয়াম। এটি হাড় ও পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাড়ের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম এর অভাব দূর করে খেজুর রস।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রসে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। দেহের ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেয়।

ভিটামিনের অভাব দূর করে

রসে ভিটামিন বি-৩ থাকে এটি রক্ত উৎপাদন ও ইমিউন সিস্টেম কে সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোষের বর্জ্য পদার্থ দূর করে।সর্দিকাশির হাত থেকে বাঁচায়।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

রসের মিষ্টি স্বাদের কারণ অশোধিত চিনি এটি ধিরে ধিরে রক্তে মিশে যায় ফলে দেহে চর্বি কম জমে। কিন্তু সাধারণ চিনি দ্রুত রক্তে মেশে তাই চিনির খুব ভালো বিকল্প হতে পারে খেজুরের রস। রসে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম থাকায় এটি বিপাক ক্ষমতা বাড়ায় ফলে অতিরিক্ত চর্বি দেহে কম জমে এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

রসে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে এটি মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং মল নরম করে ফলে রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। খেজুর গুড় একই কাজ করে। এটি অনিদ্রা দূর করতেও সাহায্য করে।

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

রস আমাদের হজমে অংশগ্রহণকারী এনজাইম গুলির ক্ষরণ ও কাজের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়।খাওয়ার পর সামান্য পরিমাণ রস বা গুড় খেলে হজম তাড়াতাড়ি হবে।

খেজুর রসের অপকারিতা

খেজুর রসের অনেক উপকারিতার কথা জানলেন তাহলে এবার অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

খেজুর রসের অপকারিতা

খেজুর রসের অপকারিতা

যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের খেজুর রস না খাওয়াই ভালো কারণ এর ভেতর থাকা চিনি ডায়াবেটিস এর সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

কিডনি রোগী খেজুর রস পান করলে সমস্যা হতে পারে। রসের পটাসিয়াম কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করে।

রক্তের সমস্যা আছে এমন রোগীর রস না খাওয়া উচিৎ।

হাপানী বা অ্যাজমা আছে এমন রোগীর ঠাণ্ডা রস পান করা উচিৎ নয় এতে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।

বাদুড় রস পান করে রসের হাড়ি থেকে আর বাদুড়ের মুখ থেকে বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পরে রস পান করার মাধ্যমে।

খেজুর রস খাওয়ার আগে কিছু সাবধানতা

Warning

খেজুর রস খাওয়ার আগে কিছু সাবধানতা

খুব সকালবেলা সূর্যের তাপ বেড়ে যাওয়ার আগেই রস পান করা উচিৎ। ফাঙ্গাস বা ছত্রাক বাতাসে ভেসে রসের সাথে মিশে যায় এবং সূর্যের তাপে গরম হওয়া রসকে ফারমেন্ট করে ফলে প্রথমে এলকোহল বা মদ তৈরি হয় পরে আরো ফারমেন্টেশনের কারণে ভিনেগার তৈরি হয়। এধরণের রস পান করলে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
রসের হাড়ি অবশ্যই যেন জাল বা কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে এই বিষয়টি খুব মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করতে হবে। বাদুড় হাড়ির ভিতর মুখ ঢুকিয়ে রস খায়। এ থেকে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খেজুরের রস ফুটিয়ে খাওয়া বেশি নিরাপদ।

Khejur rosher upokarita o Opokarita

khejur rosher pustigun, khejur rosher upokarita, khejur rosher opokarita, Benefits of date pulm juice in bangla badur khejur rosh khele ki hoy? khejur rosh kokhon na khaoa valo? bangladeshe khejur rosh khaoar por ki ki rog soray? .. …. ….. ….. …… jjj

Tag: খেজুরের রসের উপকারিতা …… খেজুরের রসের উপকারিতা …… খেজুরের রসের উপকারিতা ….. খেজুরের রসের উপকারিতা …. খেজুরের রসের উপকারিতা ….. খেজুরের রসের উপকারিতা ….

Please Click on Just one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।