- চোখ ওঠা রোগ! চোখ উঠা লক্ষণ ও প্রতিকার!
- চোখ ওঠা রোগ
- চোখ ওঠা রোগ
- চোখ উঠা ইংরেজি কী?
- চোখ ওঠা রোগের ইতিহাস:
- চোখ ওঠা রোগের কারণ
- চোখ উঠা রোগের জীবাণুর নাম
- চোখ ওঠা কীভাবে ছড়িয়ে পরে?
- চোখ উঠা কতদিন স্থায়ী হয়?
- চোখ ওঠার লক্ষণ ও উপসর্গ
- চোখ ওঠা রোগের প্রকারভেদ
- চোখ উঠলে কী করবো?
- চোখ উঠলে যা করা উচিত নয়
- চোখ ওঠা রোগের চিকিৎসা
- চোখ ওঠার ড্রপের নাম
- Ovel Ts ও Ovel ডোজ
- চোখ উঠার অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ
- চোখ ওঠার মলম
- চোখ উঠার আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিৎসা
- চোখ উঠার হোমিও চিকিৎসা
- চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা
- চোখ উঠলে কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- নবজাতক ও ছোট শিশুদের চোখ উঠলে কি করবেন?
- কখন চোখ উঠলে শিশুকে ডাক্তার দেখাবেন?
- চোখ-ওঠার ফলে সৃষ্ট জটিলতা
- চোখ ওঠা প্রতিরোধ করার উপায় কী?
- চোখ ওঠার দোয়া আরবিতে|চোখ ওঠার আরবি দোয়া
- চোখ ওঠার দোয়া বাংলায়|চোখ ওঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ
- চোখ ওঠার দোয়া বাংলা অর্থ
- বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপের নাম কী?
- চোখ উঠা কত দিনে কমে?
- চোখ ওঠা রোগির চোখে তাকালে চোখ উঠে কী?
- চোখ উঠা কি করোনার লক্ষণ?
- চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে?
চোখ ওঠা রোগ! চোখ উঠা লক্ষণ ও প্রতিকার!
আমাদের চোখ অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। অনেকসময় চোখের ছোটখাটো সমস্যাও অবহেলার কারণে বিরাট ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চোখ ওঠা আমাদের দেশে খুব বেশি দেখা যায়।
চোখ ওঠা রোগ
সাধারণভাবে প্রচলিত কথায় চোখ ওঠা বলতে চোখ লাল হয়ে জ্বালা-যন্ত্রণা হওয়াকে বুঝায় কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গমাত্র। চোখ ওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস (conjunctivitis) রোগের ফলে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা-করা, চোখে বলুর মতো কিছু পড়েছে বলে মনে হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোণে পিঁচুটি জমা, চোখে চুলকানি হওয়া, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, আলোর দিকে তাকাতে সমস্যা হওয়া এবং দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
এই রোগটি সাধারণত এক চোখে শুরু হয় এবং পরে দুই চোখই অক্রান্ত হতে পারে।
আপনি আরো পড়তে পারেন….. ব্লাক ফাঙ্গাস রোগ কী? ব্লাক ফাঙ্গাস রোগের লক্ষণ কী? … চোখের অঞ্জনি কী?চোখে অঞ্জনি হওয়ার কারণ ও প্রতিকার!
চোখ উঠা ইংরেজি কী?
চোখ-উঠা /Noun/ Ophtalmia ; conjunctivitis. /প্রতিশব্দ/ অক্ষিপ্রদাহ;
চোখ ওঠা রোগের ইতিহাস:
১৯৭১ সালে মহামারী আকারে পশ্চিম বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছিলো। রোগটি পূর্ব বাংলায় চলা মুক্তিযুদ্ধের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসা বাঙালি শরণার্থীদের কারণেই ছড়িয়েছিলো বলে এর নাম দেয়া হয় ‘জয় বাংলা’ রোগ!
‘জয় বাংলা’র প্রকোপ ছিলো এতোটাই, যে সেসময় ৫০ লাখেরও বেশি লোক এই রোগে ভুগেছেন। তখনকার পত্রিকাগুলোর সংবাদ ঘাঁটলে এই সংখ্যা আরও বেশি বলেই জানা যায়।
চোখ ওঠা রোগের কারণ
চোখ ওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস হলো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ। এডেনোভাইরাস বা হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের আক্রমণে অথবা চোখের স্ক্লেরা নামের অংশের প্রদাহের কারণে এ রোগ দেখা দেয়।
ব্যাকটেরিয়া অক্রমণ অথবা অ্যালার্জিসহ বেশ কয়েকটি কারণে চোখ উঠতে পারে।
ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত চোখ ওঠা রোগ সাধারণত সোঁয়াচে হয়ে থাকে।
চোখ উঠা রোগের জীবাণুর নাম
এডিনো ভাইরাস,হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া।
চোখ ওঠা কীভাবে ছড়িয়ে পরে?
- সরাসরি হাতের স্পর্শ, বাতাস, এমনকি হাত মুখ ধোয়া ও অজু-গোসলের সময় পুকুর, নদী বা সুইমিংপুলের পানির মাধ্যমেও জীবাণু ছড়াতে পারে। কনজাংকটিভাইটিসে আক্রান্ত চোখে আঙুল বা হাত লাগালে হাতে লেগে থাকা জীবাণু রুমাল, তোয়ালে, গামছা, টিস্যু পেপার, কলম, পেন্সিল, বইয়ের পাতা, থাতা, টেবিল, চেয়ার, দরজার সিটকিনি, পানির কল প্রভৃতিতে লেগে থাকতে পারে। কোনো বস্তু এভাবে জীবাণু বহন করলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকে বলে ফোমাইট।
- রুমাল, তোয়ালে বা টিস্যু পেপার দিয়ে আক্রান্ত চোখ মুছলে এগুলোতে জীবাণু লেগে থাকে এবং এসব ফোমাইটের মাধ্যমে জীবাণু অন্যের চোখে ছড়িয়ে যেতে পারে। এভাবে একজনের চোখ উঠলে তা দ্রুত অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
- স্কুল বা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেকে একসঙ্গে থাকে বলে তাদের একজনের চোখ উঠলে খুব সহজেই রোগটি অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
- ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে চোখ উঠলে লক্ষ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে শুরু করে ৭-৮ দিন বা চিকিৎসা শুরু করার পর ২-৩ দিন পর্যন্ত এ রোগ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- ভাইরাসজনিত কারণে এ রোগ হলে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগে থেকে শুরু করে লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়াতে পারে। একে বলা হয় সংক্রমণের সময়কাল।
চোখ উঠা কতদিন স্থায়ী হয়?
শরীরে জীবাণু প্রবেশ করার ৫-৭ দিন পর চোখ ওঠার লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কনজাংকটিভাইটিস তেমন কোনো জটিল রোগ নয়। সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ রোগ ভালো হয়ে যায়।
চোখ ওঠার লক্ষণ ও উপসর্গ
- চোখ লাল হয়ে ফুলে ওঠে
- চোখে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
- চোখের ভেতর অস্বস্তি বোধ হয় এবং ব্যথা হয়।
- রোদে বা প্রখর আলোতে তাকাতে কষ্ট হয়।
- চোখ থেকে অতিমাত্রায় পানি পড়ে
- ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা দুটি একসাথে লেগে থাকে।
- চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে।
- অনেকসময় হলুদ রঙের পুঁজ সৃষ্টি হয়।
- সাধারণত ৭-৮ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো কমে আসে কিন্তু দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে থাকতে পারে।
- অনেকসময় মণি বা কর্নিয়াতে সাদা দাগ পড়ে, যা খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না।
চোখ ওঠা রোগের প্রকারভেদ
চোখ ওঠা রোগ সচারাচর ৩ ধরণের হয়-
১. ব্যাকটেরিয়াজনিত চোখ উঠা
ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা প্রদাহ সৃষ্টি হলে চোখ থেকে পুঁজের মতো ঘন পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাপড়িগুলো শক্ত এবং জড়সড় হয়ে আটকে থাকে
২. ভাইরাসজনিত চোখ উঠা
ভাইরাসের দ্বারা প্রদাহ সৃষ্টি হলে চোখ থেকে পানির মতো ঘন পদার্থ বের হয় এবং প্রায়শই যেকোনো একটি চোখ থেকে এরকম নিঃস ঘটে এবং মাঝেমধ্যে চোখের দুই পাতা যুক্ত হয়ে যায়
৩. অ্যালার্জিজনিত চোখ উঠা
অ্যালার্জির কারণে প্রদাহ সৃষ্টি হলে, চোখের চারপাশের ত্বক ফুলে ওঠে, চোখ ভীষণ চুলকায়, চোখে জ্বালাপোড়া হয় এবং পানি পড়তে থাকে, নাক দিয়েও পানি পড়ে এবং প্রচুর হাঁচি হয়
চোখ উঠলে কী করবো?
- আক্রান্ত চোখের যন্ত্রণা উপশমের উদ্দেশ্যে একটি পরিষ্কার, উষ্ণ এবং হালকা ভেজা কাপড় নিয়ে খানিকক্ষণ পরপর চেপে ধরে রাখা যেতে পারে। সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহারের পর কাপড়টি গরম পানি এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- কোনো শিক্ষার্থীর চোখ উঠলে তার বাসায়
- থাকা উচিত।এতে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সহপাঠীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে না।
- কালো চশমা ব্যবহার করলে চোখে কিছুটা আরাম বোধ করা যায়।
- আক্রান্ত চোখের যন্ত্রণা উপশমের উদ্দেশ্যে ওষুধের দোকান থেকে কৃত্রিম টিয়ারড্রপ কিনে ব্যবহার করা যেতে পারে। আক্রান্ত চোখে বেশি চুলকালে তা থেকে নিষ্কৃতি পেতে একটি ভেজা, ঠাণ্ডা কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক আইড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- অ্যান্টি-অ্যালার্জিক আইড্রপ ব্যবহার করে এবং অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ খেয়ে চোখের চুলকানি ও লালচে ভাব কমানো যেতে পারে।
চোখ উঠলে যা করা উচিত নয়
কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না
চোখ বেশি ডলাডলি করা যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে জোর করে চোখ খুলতে বলা যাবে না। ভেজা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে আস্তে আস্তে চোখ পরিষ্কার করলে চোখ খুলে যাবে।
চোখ ওঠা রোগের চিকিৎসা
সাধারণ ভাইরাসজনিত চোখ উঠার চিকিৎসায় তেমন কোন ঔষধ লাগে না। ৭-১৪ দিনে কোন চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদি কোন সমস্যা থাকে না।
চোখ ওঠার ড্রপের নাম
- ব্যাকটেরিয়াজনিত চোখ উঠার জন্য মক্সিফ্লক্সাসিন (Moxifloccacine) গেটিফ্লক্সাসিন (Getifloccacine) চোখের ড্রোপ ব্যবহার করা হয়। এটি এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ। চোখে অনেক পুঁজের কারণে চোখে ঠিকমতো খোলা না গেলে এই ড্রপ গুলো ব্যবহার করা যায়।
- চোখ উঠে চোখ খচখচ করলে Ovel Drop ব্যবহারে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। চোখের মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হলে Ovel Ts ড্রপ ব্যবহার করা ভালো।
Ovel Ts ও Ovel ডোজ
প্রথম দুই দিন দুই ফোটা করে দুই ঘন্টা পর পর দিবেন।আর পরে ৩/৭ দিন দুই ফোটা করে ৪ ঘন্টা পর পর দিবেন।
- এছাড়াও Moxivin (মক্সিবিন),floxalone eye drop ও ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যাকটেরিয়াজনিত চোখ উঠার জন্য মক্সিফ্লক্সাসিন (Moxifloccacine) গেটিফ্লক্সাসিন (Getifloccacine) চোখের ড্রোপ ব্যবহার করা হয়। এটি এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ। চোখে অনেক পুঁজের কারণে চোখে ঠিকমতো খোলা না গেলে এই ড্রপ গুলো ব্যবহার করা যায়।
চোখ উঠে চোখ খচখচ করলে Ovel Drop ব্যবহারে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। চোখের মধ্যে ক্ষত সৃষ্টি হলে Ovel Ts ড্রপ ব্যবহার করা ভালো।
Ovel Ts ও Ovel ডোজ
প্রথম দুই দিন দুই ফোটা করে দুই ঘন্টা পর পর দিবেন।আর পরে ৩/৭ দিন দুই ফোটা করে ৪ ঘন্টা পর পর দিবেন।
এছাড়াও Moxivin (মক্সিবিন),floxalone eye drop ও ব্যবহার করতে পারেন।
চোখ উঠার অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ
- হারপিস ভাইরাস, ভেরিসেলা দিয়ে আক্রান্ত হলে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ দেওয়া হয় যেমন – এসাইক্লোভির (Acyclovir),গ্যানসাইক্লোভির(Gancyclovir) ইত্যাদি।
- ব্যাকটেরিয়াজনিত চোখ উঠার অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের নাম- মক্সিফ্লক্সাসিন (Moxifloccacine) আই ড্রপ, গেটিফ্লক্সাসিন (Getifloccacine)
চোখ ওঠার মলম
চোখ উঠার আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিৎসা
হরিতকি বীজ চূর্ণ
চিনি ও পানির সাথে হরিতকী চূর্ণ সেবন করলে চোখ উঠা ভালো হয়।
চাকুন্দা বীজ চূর্ণ
চাকুন্দর বীজের গুঁড়া চোখের পাতার নিচে প্রলেপ দিতে হবে। প্রথম চাকুন্দা বীজ এর ভেতরের শাস পানিতে গুলিয়ে আসে দ্রবণ চোখে প্রয়োগ করলে রোগের উপশম হয়। আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রে এই বনৌষধি বীজ চোখ ওঠা রোগে ব্যবহৃত হয়।
জবা
জবাফুল বেটে চোখের ওপর এবং নীচের পাতায় প্রলেপ দিলে উপকার হয়। তবে ঔষধ প্রয়োগ করে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ফুলের রস চোখের ভিতর না
যায়।
চোখ উঠার হোমিও চিকিৎসা
চোখ ব্যথা, চোখের পাতা ফোলা, গরম জল পড়া, আলোতে তাকাতে অসুবিধা হয়, চোখ জ্বলে, ঘন পিঁচুটিতে চোখ জুড়ে থাকে এমন সমস্যায় রাসটক্স হোমিও ঔষধ ৬ বা ৩০ শক্তি মাত্রায় সেবন করতে হবে।
চক্ষু লাল হলে,ব্যথা সহ টনটন করলে, পিচুটিতে চোখ বন্ধ হলে “সিফিলিনাম” ২০০ শক্তি মাত্রার ডোজ সেবন করতে হবে।
চোখ ওঠা, সাথে ব্যাথা, আলো বা রোদ সহ্য করতে পারে না এমন হলে “বেলেডোনা” ৩ শক্তি মাত্রার ডোজ সেবন করতে হবে।
চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা
- লবণ জলের ভাপ চোখে দিতে পারেন এতে আরাম বোধ হবে।চোখের ব্যথা কমবে।
- অপরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধোয়া থেকে বিরত থাকুন।
- চোখের পাতা বেশি ফুলে গেলে ঠাণ্ডা হিম শীতল পানি দিয়ে চোখ ধৌত করতে পারেন।
- এক কাপ গরম দুধে ১ চামুচ হলুদ গুড়া দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এটা ইনফেকশন কমাবে।
- যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকুন।
চোখ উঠলে কখন ডাক্তার দেখাবেন?
- প্রদাহ যদি দৃষ্টিশক্তিকে প্রভাবিত করে কিংবা তীব্র ব্যথা হয় বা অতিরিক্ত তরল পদার্থ নির্গত হতে থাকলে।
- নিজে নিজে একসপ্তাহ যাবৎ পরিচর্যা করার পরও যদি অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে।
- ঘনঘন এই রোগে আক্রান্ত হলে
- যদি এই প্রদাহের লক্ষণগুলোর পেছনে সংক্রামক ঘা, ঠাণ্ডা লাগা বা অ্যালার্জির কোনো প্রভাব নেই বলে মনে হয়।
- যদি উজ্জ্বল আলোতে চোখে অস্বস্তি বোধ হয়। এবং চোখ লাল হয়ে ওঠে কিংবা দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে ওঠে তাহলেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে, কারণ তা ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়ার বা গ্লুকোমার লক্ষণ হতে পারে।
নবজাতক ও ছোট শিশুদের চোখ উঠলে কি করবেন?
- হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে।
- একটু বুঝতে শিখেছে এমন শিশুদেরকে কালো চশমা পরিয়ে রাখা যেতে পারে
- শিশুকে যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে রাখতে পারলে ভালো, কারণ বাইরের ধুলোবালি শিশুর চোখের অবস্থার অবনতি ঘটাতে পারে
কখন চোখ উঠলে শিশুকে ডাক্তার দেখাবেন?
- শিশুর বয়স ২ মাসের কম হলে এবং শিশুর চোখ থেকে ঘন হলুদ বা সবুজাভ হলুদ রঙের তরল পদার্থ বের হলে।
- শিশু বারবার চোখব্যথার কথা বললে।
- শিশুর দেখতে অসুবিধা হলে।
- শিশুর চোখের আকৃতিতে বিশেষ কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে।
- চোখের পাতা অতিরিক্ত ফুলে উঠলে কিংবা লাল হয়ে গেলে।
নবজাতকের চোখ ওঠা একটি বিশেষ সমস্যা, তাই এক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ওষুধপত্র দিলেও নবজাতকের চোখ ২-৩ দিন লাল অথবা ফোলা থাকতে পারে। যদি লালচে রঙ এবং ফোলা দীর্ঘসময় ধরে থাকে তখন অবশ্যই দেরি না-করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
চোখ-ওঠার ফলে সৃষ্ট জটিলতা
কিছুকিছু ক্ষেত্রে চোখ ওঠা থেকে অত্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যদিও এরকম অবস্থা খুব কমই ঘটে থাকে।
- চোখ ওঠা থেকে কর্নিয়ায় ঘা হলে কর্নিয়া ছিদ্র হয়ে চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে
- কর্নিয়া আক্রান্ত হয়ে কর্নিয়া করে পড়তে পারে এবং তার ফলে পুরো চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- চোখের পাতায় প্রদাহের ফলে পাতার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
- চোখে গনোরিয়া সংক্রমণ দেখা দিলে কর্নিয়া ফুলে যেতে পারে, যা সেরে গিয়েও কর্নিয়া ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে।
চোখ ওঠা প্রতিরোধ করার উপায় কী?
- অন্যের ব্যবহৃত চোখের প্রসাধনী এবং চোখের ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না।
- অন্যের রুমাল, তোয়ালে বা মুখ মোছার কাপড় ব্যবহার করা যাবে না।
- চোখ উঠলে নিজের চোখ স্পর্শ করে অন্যদেরকে সেই হাত দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না।
- কিছুক্ষণ পরপর হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
- অ্যালার্জি থাকলে অ্যালার্জি উদ্রেককারী বস্তু, যেমন পুষ্পরেণু, ধুলা, ছত্রাকযুক্ত বস্তু, এবং লোমশ প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা উচিত।
চোখ ওঠার দোয়া আরবিতে|চোখ ওঠার আরবি দোয়া
اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِىْ وَ شَرِّ بَصَرِىْ وَ شَرِّ لِسَانِىْ وَ شَرِّ قَلْبِىْ وَ شَرِّ مَنِيِّىْ
(মিশকাত, আবু দাউদ–১৫৫১)
চোখ ওঠার দোয়া বাংলায়|চোখ ওঠার দোয়া বাংলা উচ্চারণ
চোখ ওঠার দোয়া বাংলা অর্থ
প্রশ্ন ও উত্তর:
বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপের নাম কী?
মক্সিব্যাক আই ড্রপ ১ ফোটা করে ৪ বার চোখে দিন।ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী শিশুদের ঔষধ ব্যবহার করাই ভালো।
চোখ উঠা কত দিনে কমে?
চোখ উঠা ৩ দিনে কমে। এই সময়ে না কমলে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে কমে।
চোখ ওঠা রোগির চোখে তাকালে চোখ উঠে কী?
চোখ ওঠা রোগির চোখে তাকালে সুস্থ ব্যক্তির চোখও আক্রান্ত হয় না।আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের সাহায্যে ছড়ায়।
চোখ উঠা কি করোনার লক্ষণ?
চোখ উঠা কি করোনার লক্ষণ না এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অ্যালার্জিজনিত রোগ।
চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে?
ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসজনিত কনজাংটিভাইটিস উভয়ই অত্যন্ত সংক্রামক বা ছোয়াঁচে। তবে অ্যালার্জিজনিত কনজাংটিভাইটিস ছোঁয়াচে নয়।
চোখ ওঠা in English
Please Click On Just One Add To Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।