ড্রেসিং টেবিল সাজানোর নিয়ম
মেক-আপের জন্য সৌন্দর্য প্রসাধনের মতই ড্রেসিং টেবিলও জরুরী! এর ওপর আপনি সব রকমের প্রসাধন সামগ্রী সাজিয়ে রাখতে পারবেন। মেক-আপ করতে বসে আপনাকে প্রসাধন সামগ্রী হাতড়িয়ে বেড়াতে হবে না, আপনার সময়ও নষ্ট হবে না। এক জায়গায় গুছিয়ে রাখলে শিশিও ভাঙবেনা আর আপনার ফালতু খরচও বেঁচে যাবে।
ড্রেসিং টেবিল কিভাবে সাজাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
আপনি আরো পড়তে পারেন…… মেকাপ করার জিনিষ ! মেকাপ করতে কি কি দরকার? …… রূপচর্চার প্রসাধন সামগ্রী! মেকাপ করার কসমেটিক লিস্ট! …… সৌন্দর্য কি ? সৌন্দর্যের উপাদান কি কি !
ভালো ড্রেসিং টেবিলের বৈশিষ্ট্য
মেক-আপ করার জন্য যে দামী ড্রেসিং-টেবিল কিনতে হবে, তার কোন মানে নেই। একটা ড্রয়ার আর ভাল আয়নাই আপনার প্রয়োজন মেটাতে পারে। ড্রয়ারে সব জিনিষ ধরে যাবে আর আয়নাটা মেক-আপ করার সময় কাজে আসবে।
ড্রেসিং টেবিল কেনার সময় এর ড্রয়ার ভাল করে দেখে নেবেন, ওতে যেন দরকারী সব জিনিষ এসে যায়। ড্রয়ারের মধ্যে যদি খোপ বানানো থাকে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা! ওতে সব জিনিষ ঠিকভাবে রাখা যায়।ড্রেসিং টেবিলের ওপরটা আর বাইরেটা যেন খুব সহজেই সাফ করা যায়। এটা কাঁচ বা সানমাইকার তৈরী হওয়া উচিত।
ড্রেসিং টেবিল কোথায় রাখবেন
স্হান এবং সুবিধা অনুযায়ী আপনি ড্রেসিং টেবিলকে বাড়ীর ভেতরে যে কোন জায়গায় রাখতে পারেন। এমনিতে, বেডরুমই হচ্ছে সবচেয়ে উপযুক্ত স্হান। হঠাৎ করে বাড়ীতে অতিথি এসে পড়লে আপনি নিজের বেডরুম থেকে তৈরী হয়ে বাইরে অতিথির সামনে আসতে পারবেন
আলোর সুব্যবস্থা
সবার আগে এটা দেখে নিন যে, যেখানে আপনি মেক-আপ করতে বসেছেন, ওই জায়গাটায় পর্যাপ্ত আলো আছে কি না ? যদি ড্রেসিং টেবিলের আয়নার পেছন থেকে ভালোমতন আলো আসে, তাহলে তো খুবই ভাল হয়, এত আয়নায় মুখ দেখার সময় মুখ অন্ধকারে থাকবে না ! অনেক সময় রাতের বেলাও মেক-আপ করতে হয়। এজন্য ড্রেসিং টেবিলের ওপর একটা ল্যাম্প রেখে নিন বা আয়নার ঠিক ওপরে একটা বাল্ব লাগিয়ে নিন। পর্যাপ্ত আলোয় মেক-আপ ঠিকমতন হতে পারে।
ড্রেসিং টেবিলের প্রসাধন লিস্ট
খুব বেশী ব্যবহার হওয়া প্রসাধন ডান দিকে আর মাঝে- মাঝে ব্যবহার হওয়া প্রসাধান বাঁ দিকে বা ড্রয়ারের ভেতরে রাখা উচিত। সামনের দিকটা একদম খালি রাখুন। মেক-আপ করার সময় এই জায়গাটার ব্যবহার সবচেয়ে বেশী হয়। জায়গাটা খালি রাখলে আপনার হাত লেগে কোন প্রসাধন সামগ্রী পড়ে যাবেনা।
সাজসজ্জা
পরিষ্কার-পরিচ্ছন ড্রেসিং টেবিল দেখতেও খুব সুন্দর লাগে। মেক-আপ করে নেবার পর আর এমনিতেও দিনের মধ্যে কম পক্ষে দু বার ভিজে কাপড় দিয়ে ড্রেসিং টেবিল পরিষ্কার করুন। এর সঙ্গে- সঙ্গে ওতে রাখা বিভিন্ন জিনিষের ওপর জমে থাকা ধূলো-মাটি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। ড্রেসিং টেবিলের সানমহিকার রং আর ডিজাইন বেডরুমে রাখা খাটের সঙ্গে মেলানো হওয়া উচিত। ব্রাশ, চিরুনী আর পাউডার পাফ একই রং-এর কিনুন। একই রকম রং হলে আপনার বেডরুমের সৌন্দর্য আরও বেড়ে উঠবে।
আয়না
ড্রেসিং টেবিলের আয়না খুবই কাজে আসে। আয়নাটা যেন ভাল হয়, তাহলে ত্বক আর মেক-আপের সূক্ষ্ম ত্রুটি আপনার চোখে পড়বে আর আপনি তৎক্ষনাত সেগুলোকে দূর করতে পারবেন।
আজকাল তিন-আয়নাযুক্ত ড্রেসিং টেবিলের খুব প্রচলন হয়েছে । এটা উপযোগীও বটে। চুলের খোঁপা বাঁধার সময় আপনি নিজের খোঁপা খুব সহজেই দেখতে পাবেন এই আয়নায়।এছাড়াও ঘাড়ের পেছনের ভাংশের দাগও পরিষ্কার দেখা যাবে, যেটা আপনি হাল্কা মেক-আপ করে ঢেকে দিতে পারবেন।
বসার টুল
ড্রেসিং টেবিলে রং-এর সঙ্গে ম্যাচ করা রং-এর টুল বানিয়ে নিন। টুলটা যেন ড্রেসিং টেবিলের উচ্চতার অনুপাতে উঁচু হয়। এতে আপনার বসতে সুবিধা হবে। যদি ঘরে জায়গা থাকে, তাহলে টুলকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে রাখুন, নয়তো যেখানে জায়গা হবে, সেখানে রাখুন।
পাশের দেওয়াল
যদি আয়না দেওয়ালে টাঙাতে হয়, তাহলে এটা যেন খুব উঁচু বা খব নীচু না হয়। নীচে টাঙানো হলে বাচ্চারা আয়না নোংরা করে দেবে বা ভেঙেও ফেলতে পারে। দেওয়ালে আয়না এমন উচ্চতায় টাঙানো উচিত যে, আপনি দাঁড়ালে আয়নায় আপনার পা পর্যন্ত্য দেখা যায়, যাতে তৈরী হতে কোনরকম অসুবিধা না হয়।
বাচ্চাদের উৎপাত থেকে রক্ষা
ছোট বাচ্চারা বাড়ীর জিনিষপত্র নষ্ট করে দেয়। তাই ড্রেসিং টেবিলের ওপর কোন প্রসধান সাজিয়ে রাখবেন না। ড্রয়ারে রাখা প্রসাধন সামগ্রী সুরক্ষিত থাকবে, বাচ্চারা ওগুলো নষ্ট করতে পারবেনা। ড্রয়ারে যদি ছোট একটা তালার ব্যবস্হা করে নেওয়া যায়, তাহলে আপনার অনুপস্হিতিতেও আপনার প্রসাধন সামগ্রী সুরক্ষিত থাকবে।
Tag: ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো ড্রেসিং টেবিল সাজানো
Please click on one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।