মাদক কত প্রকার ও কি কি?
মাদক সেবনকারী চোখে দেখেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুস্কিল। বিভিন্ন মাদকসেবী বিভিন্ন দরণের মাদক সেবন করে থাকেন। মাদক কত প্রকার তা অনেকে জানেন না। আজ জেনেনিই মাদকের প্রকারভেদ সম্পর্কে।
আপনি আর পড়তে পারেন ….. এলএসডি কি? …….. ডিএমটি মাদক সব নেশার বাপ! … কোন মাদক দেহে কতদিন থাকে?
মাদকের সংজ্ঞা
মাদক-এর আভিধানিক অর্থ ঔষধ। যে সমস্ত প্রাকৃতিক দ্রব্য বা রাসায়নিক দ্রব্য গ্রহণ করার ফলে একজন মানুষের মনের অনুভূতি ও চিন্তা চেতনা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে অস্বাভাবিক অবস্থায় রূপান্তরিত হয় অর্থাৎ মন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে, তাকেই মাদক বলে।
Dictionary Britannica
মাদকের প্রকারভেদ
উতসভেদে মাদক আনেক ধরণের হয়। যেমন….
১) অপিওইডস (Opioids):
আফিম বা পপি ফল থেকে তৈরি করা হয় অপিওইডস মাদক। এ ধরণের মাদক বিভিন্ন ভাবে কাচা আফিম প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয়। আফিম থেকে প্রথমে মরফিন তৈরি হয়। মরফিন বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে উৎপন্ন করে হেরোইন। মরফিন থেকে কোডেইন ও উৎপন্ন করা যায়।
অপিওইডস মাদকের উদাহরণ-হেরােইন,মরফিন, কোডেইন।
২) মেথামফেটামিন (Methamphetamine):
এটি ল্যবরেটরিতে তৈরিকরা কৃত্রিম মাদক। এর রাসায়নিক নাম N-methylamphetamine। এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর সরসরি প্রভাব বিস্তার করে ফলে ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে মস্তিষ্কে তীব্র নেশার সৃষ্টি হয় এবং আনন্দের অনুভূতি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এধরণের মাদক যৌন অনুভূতি বৃদ্ধি করে যৌন উন্মাদনা সৃষ্টি করে।
ডাক্তারগণ ওজন কমানোর ঔষধ হিসেবে এটি ব্যবহার করেন। ১৮৮৭ সালে লেজার এডেলেনু অ্যামফেটামাইন সংশ্লেষ করেছিলেন, যার নাম ছিল ফিনাইল আইসোপ্রোপাইল্যামিন।এটি রূপান্তর করে মেথামফেটামাইন তৈরি করা হয়। ১৮৯৪ সালে জাপানি রসায়নবিদ নাগাই নাগায়শি ইফেড্রিন থেকে মেথামফেটামাইন সংশ্লেষ করেন। এই ধরণের মাদক বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে স্নায়ুবিষ হিসেবে এটি মস্তিষ্কের মধ্য অঞ্চলের স্নায়ুগুলো ধ্বংস করে দেয়।
উদাহরণ- এটি মুলত ইয়াবা-এর মূল উপাদান।মেথামফেটামিন ও ক্যাফেইন মিশ্রিত করে ইয়াবা তৈরী করা হয়।( মাদকের প্রকারভেদ )
৩) ক্যানাবিওনিডস (cannabionids):
Cannabis sativa প্রজাতির বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদের বিভিন্ন উপপ্রজাতি থেকে প্রাপ্ত মাদক কে ক্যানাবিওনিডস বলে। এটির নেশা সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো হলো টেটরাহাইড্রোক্যানাবিনল(THC), ক্যানাবিডিওল, ক্যানাবিনল, টেটরাহাইড্রোক্যানাবিভারিন।গাঁজা, মারিজুয়ানা, হাশিস,চরস, ভাং ইত্যাদি নামে পরিচিত এই মাদক। গাঁজা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে নেশার উন্মাদনা সৃষ্টি করে। ( মাদকের প্রকারভেদ )
৪) বেনজোডায়াজেপাইনস(Benzodiazepines):
এটি ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা ঘুমের ঔষধ। বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেললে নেশার সৃষ্টি করে।উদাহরণ-ডায়াজেপাম, ক্লোনাজেপাম, মিডাজোলাম।
৫) অ্যালকোহল:
কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্যের ফার্মেন্টেশন থেকে উৎপন্ন হয় অ্যালকোহল। এটিও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব বিস্তার করে নেশার উদ্রেক করে।
উদাহরণ- সব ধরনের মদ,বিয়ার,ওয়াইন,চোলাই মদ। ( মাদকের প্রকারভেদ )
৬) হেলুসিনেটিং মাদক
যেসব মাদক গ্রহন করার পর তীব্র হেলুসিনেশন তৈরি হয় তাকে হেলুসিনেটিং ড্রাগ বা মাদক বলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও পরিচিত মাদক হলো এলএসডি ও ডিএমটি। এছাড়াও PCP,ম্যাজিক মাশরুম,আয়াহুয়াসকা,ডেক্সোমেথরফেন, কিটামিন এই মাদকের তালিকাভুক্ত। ( মাদকের প্রকারভেদ )
মাদকের প্রকারভেদ এর ছক
মাদকের শ্রেণী | মাদকের নাম |
১।অ্যামফেটামিন | মেথামফেটামিন,অ্যামফেটামিন |
২।বারবিট্রেটস | ফেনােবারবিটাল,সেকোবারবিটাল,পেন্টোবারবিটাল,বাটালবিটাল |
৩।বেঞ্জোডিয়াজেপাইন | অ্যামােবারবিটালডায়াজেপাম,লােরাজেপাম,অক্সাজেপাম,টেমাজেপাম |
৪।ক্যানাবিওনিডস | আলপ্রেজোলামমারিজুয়ানা,হাশিস,ক্যান্নাবিস |
৫।কোকেন | কোকেনমেথডােন, ইডিডিপিকোডিন, মরফিন,হেরােইন,অক্সিডােডন,অক্সিমােরফোন,হাইড্রোকডােন,হাইড্রোমেরফোন |
৬।মেথডােন | পিসিপি |
৭।হেলুসিনেটিং ড্রাগ | এলএসডি, কেটামিন,মেসকালিন,Ecstacy,DMT |
Madoker prokerved
madok koto proker
Tag: . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. .. … .. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. . . .. . . . . . . .. .. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. . . . .. . . . . . .. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .. . . .. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।