- মানুষের বিবর্তন কী? মানব বিবর্তনের ইতিহাস#
- মানুষ কি বানর থেকে এসেছে?
- ১. প্যারাপিথেকাস (Parapithecus) :
- ২. প্রােপ্লায়ােপিথেকাস (Propliapithecus) :
- ৩. Dryopithecus (ডায়ােপিথেকাস) :
- ৪. Ramapithecus (রেমাপিথেকাস) :
- ৫. Australopithecus (অস্ট্রোলােপিথেকাস) :
- Homo habilis(হোমো হ্যাবিলিস)
- Homo erectus (হােমাে এরিকটাস):
- Homo sapiens (হােমাে সেপিয়েন্স) :
- আধুনিক মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য:
মানুষের বিবর্তন কী? মানব বিবর্তনের ইতিহাস#
আধুনিক মানুষ বিজ্ঞানের জ্ঞান আয়ত্ব করে কত আশ্চর্যজনক কাজ করে চলেছে যেগুলি কল্পনা করলে মাথা ঘুরে যায়। আমাদের দাদা এবং বাবার দাদারা যা কল্পনা করতে পারে নি তা আমরা চোখের সামনে দেখছি। তাহলে আদিম মানুষ কি করতো? এ প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। কিন্তু উত্তর কোথায় পাবো? সমস্যা নেই ধৈর্য সহকারে বসুন আর এই লম্বা লেখাটি পড়ুন সব জানতে পারবেন।তাহলে আর দেরি নয় শুরু করা যাক আজকের আলোচনা মানুষের বিবর্তন কী? মানব বিবর্তনের ইতিহাস#
আপনি আরো পড়তে পারেন…….. পুরুষের বুকের হাড় মহিলার চেয়ে কম থাকে কি? হ্যালো শব্দের অর্থ কি জাহান্নামি?
মানুষের উৎপত্তি কোথা থেকে?
মানুষের উৎপত্তিস্থান
মানুষ সর্বপ্রথম কোথায় আবির্ভূত হয়েছিল সে সম্পর্কে আজও সঠিকভাবে কিছু বলা যায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে আদিম মানুষের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। সােলাে নদীর উপকূলবর্তী ত্রিনিল অঞ্চল থেকে জাভা মানুষের মাথার খুলি,দাঁত, উরুর হাড় আবিষ্কার হওয়ায় ধারণা করা হয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া ছিল মানুষের আদি জন্মভূমি ।
পরে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকা থেকেও বিলুপ্ত মানুষের কংকাল আবিষ্কৃত হয়েছে। উত্তর আফ্রিকা এবং ইউরােপ থেকেও মানুষের কংকাল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। ডারউইন মনে করতেন মধ্যে এশিয়ায় মানুষের বিবর্তন ঘটার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
এরূপ মনে করার যুক্তিসমূহ হলাে :
- ১।অন্যত্র মাইগ্রেশনের জন্য মধ্য এশিয়াই কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে বিবেচ্য। আদি মানুষের বিভিন্ন প্রজাতির অপসারী
- বিবর্তনের জন্য ইউরােপ খুবই ছােট পরিসর।
- ২।প্রাচীন যুগের নরসদৃশ এপের অধিকাংশ জীবাশ্ম মধ্য এশিয়া, চীন ও জাভা থেকে আবিস্কৃত হয়েছে। আর এরাই মানুষের সবচেয়ে কাছাকাছি।
- এশিয়াই সবচেয়ে পুরাতন সভ্যতার পাদপীঠ।
- ৩।প্রায় সবগুলাে গৃহপালিত প্রাণীর উৎসস্থল মধ্য এশিয়া।থায়ােসিন ও আর্লি প্রায়ােসিনে মধ্য এশিয়ার আবহাওয়ায় এমন পরিবর্তন ঘটে যায় যাতে মানুষের বৃক্ষচারী আদি পুরুষকে সমতল ভূমিতে বা গুহায় বসবাসের জন্য নেমে আসতে হয়েছিল ।
মানুষের উৎপত্তির সময়কাল:
প্রকৃত মানুষের উদ্ভব কখন হয়েছিল তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা খুবই কঠিন কাজ। তবে ধরা হয়, মানব উদ্ধারের সময়কাল ছিল থায়ােসিন যুগের পূর্বে নয় এবং আর্লি প্লায়ােসিন যুগের পরে নয়। অর্থাৎ সম্ভবত প্লায়ােসিন যুগে মানুষের আবির্ভাব ঘটে ছিল।
মানুষের বিবর্তনগত পরিবর্তন:
নরবানর সদৃশ জীব থেকে আধুনিক মানুষে পরিণত হতে যে সব বিবর্তনিক পরিবর্তন ঘটেছে তা নিম্নরূপ-
- ১. সামনের দুটি বাহু হাঁটার কাজ থেকে মুক্ত হয়ে এবং আকারে ছােট হয়ে হাতের রূপ নেয়। এভাবে চতুস্পদী স্বজন থেকে দ্বিপদী স্বভাবে উত্তরণ ঘটে।
- ২।সামনে ঝুঁকে থাকা বক্ৰদেহ ক্রমশ ঋজুদেহে পরিণত হয়েছে।
- ৩।হাতিয়ার তৈরির মধ্য দিয়ে হাতের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে।
- 8।খাদ্যাভ্যাস ও আবাসস্থলের পরিবর্তনের মাধ্যমে গৃহাবাসী থেকে গৃহবাসী এবং শক্ত খাদ্য থেকে নরম
- খাদ্যের প্রতি আসক্তি জন্মেছে।
- ৫।ছেদন দাঁত ক্রমশ ছােট হয়েছে।
- ৬।মগজের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বুদ্ধিবৃত্তিক উন্নয়ন ঘটেছে।
- ৭।সার্বিক সামাজিকতার উল্কর্ষ সাধিত হয়েছে।
- ৮।হাতের বুড়াে আঙ্গুলের পরিবর্তন ঘটে আকারে ধরার ক্ষমতা অর্জন এবং পায়ের বুড়াে আঙ্গুল অন্যান্যদের সাথে লেগে যাওয়ার ফলে পায়ের ভর করে দাঁড়ানাের ক্ষমতা অর্জন করেছে।
মানুষ কি বানর থেকে এসেছে?
বানর থেকে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভব হয়েছে এমন কথা প্রায় সব মানুষের মুখে শোনা যায়। বিভিন্ন জীবাশ্ম বা ফসিল পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা এসব বিষয় উদ্ঘাটন করেছেন।
মানুষের বিবর্তনের ধাপ:
নিম্নলিখিত ধারাবাহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক মানুষের উদ্ভব ঘটেছে।
১. প্যারাপিথেকাস (Parapithecus) :
মানুষের বিবর্তনের একেবারে প্রথমে ক্ষুদে একদল বানর জাতীয় প্রাণীদের দেখা গিয়েছিল যাদের Parapithecus নামকরণ করা হয়। এরা লম্বায় প্রায় ১ ফুট ছিল। প্রায় ৩৫ মিলিয়ন বছর পরে মিশরের ফায়ুম অঞ্চলে এরা বাস করত। এ সময় ঐ অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল বর্তমান ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মত
অলিগােসিন ইপােক এর শেষের দিকে এরা লম্বায় প্রায় তিনগুণ বড় হয়। তখন এদের নাম দেয়া হয় প্রােপ্লায়ােপিথেকাস।
২. প্রােপ্লায়ােপিথেকাস (Propliapithecus) :
মিয়ােসিন ইপােকে এরা মিশর থেকে ইউরােপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত হয়। এরা দেখতে গরিলা বা কেউ শিম্পাঞ্জির মত ছিল। বিভিন্ন স্থানে এদের বিভিন্ন নাম দেয়া হয়েছিল।কেনিয়ায় এদের প্রাে-কনসাল ইউরােপে প্লায়ােপিথেকাস এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এদের লিমনােপিথেকাস বলা হয়।১৯৪৮ সালে কেনিয়ার রুশিঙ্গা দ্বীপ (rushinga Island) নামক স্থান থেকে প্রােন সাল (Proconsul) দের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।
লুই লিকি ও তার স্ত্রী মেরী লিকি এটি আবিষ্কার করেন। এর জীবাশ্মের খুলির মগজের জন্য খালি যায় আয়তন ছিল ১০০ ঘন সেন্টিমিটার। এরা গাছের উপরে বসবাস করত। কখনও সমতল ভূমিতে নেমে আসত।এদের দেহে ঘন লােমে আবৃত ছিল। এরা কুঁজো হয়ে চলা ফেরা করত।
৩. Dryopithecus (ডায়ােপিথেকাস) :
১৯২৩ সালে ব্রাউন, গ্রেচারী এবং হেলসেন নামক তিনজন প্রত্নজীবতত্ত্ববিদ উত্তর ভারতের শিবালিক পাহাড় থেকে এর জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে আফ্রিকা থেকেও এদের জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়েছে। এদের মাথার খুলির ভেতরের আয়তন ১৭৫ ঘন সেন্টিমিটার। প্রায় ৩০ মিলিয়ন বছর পূর্বে মিয়ােসিন যুগে এরা বসবাস করত।
Dryopithecus থেকে তিনটি শাখার সৃষ্টি হয়। প্রথম শাখ। রূপ নিয়েছে-গরিলা, শিম্পাঞ্জি ও ওরাং ওটাং।দ্বিতীয় শাখা Giganto pithecus নামক নব বানর পরিণত হয়ে এশিয়ার উপত্যকায় বিচরণ করত। বর্তমানে এরা বিলুপ্ত ।তৃতীয় শাখা থেকে সৃষ্ট Ramapithecus যা অনেক গুলাে ধাপ পেড়িয়ে বর্তমান মানুষ হিসেবে পরিণত হয়।
৪. Ramapithecus (রেমাপিথেকাস) :
১৯৩৪ সালে ভারতের শিবালিক পাহাড় থেকে এদের জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়। এদের মগজের আয়তন ছিল ২০০ ঘন সেন্টিমিটার। এরা কখনাে বন থেকে বাইরে আসত এবং তৃণ ভূমি থেকে খাদ্য সংগ্রহ করত। এরা তৃণভােজী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রাণী ভক্ষণ করত। এরা সর্বপ্রথম মানব সদৃশ প্রাইমেট । এরা মিয়ােসিন সময়ে বর্তমান ছিল।
৫. Australopithecus (অস্ট্রোলােপিথেকাস) :
দক্ষিণ আফ্রিকার টং (taung) নামক স্থান থেকে রেমন্ড ভার্ট নামক একজন প্রত্নতত্ত্বজীববিদ ১৯২৪ সালে সর্ব প্রথম এদের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে জাভা (Java) থেকে ও এদের জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়। এদের ৬টি প্রজাতির জীবাশ্ম আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে। এদের মগজের আয়তন ছিল ৩০০-৪৫০ ঘন সেন্টিমিটার। এদের দাঁতের গঠন মানুষের মত ছিল এবং আকারে বড় ছিল।
এদের চোখের জ্বরে খা ছিল সামনের দিকে প্রলম্বিত। এরা খাড়া হয়ে হাঁটতে পারত এবং পাথর ভেঙে চোখা করে পশু শিকারে ব্যবহার করত। এরা গুহায় বাস করত বলে মনে করা হয়।
Homo habilis(হোমো হ্যাবিলিস)
জোনাথন লিকি ১৯৬১ সালে কেনিয়ার অলদুভাই গর্জ (Alduvai gorge) থেকে এদের জীবাশ্ম আবিস্কার করেন। প্রায় ১৭,৫ লক্ষ বছর পূর্বে এরা বসবাস করত। এদের মগজের আয়তন ছিল ৬৭০-৮০০ ঘন সেন্টিমিটার। এদের দাঁতের আকৃতি ও চোয়ালের সংযুক্তি অনেকটা আধুনিক মানুষের মত ছিল। এরা সােজা হয়ে দাঁড়াতে পারত। এরা দ্বিপদী ছিল। এরা পাথর দিয়ে যন্ত্রপাতি বানাত এবং কৃত্রিম গুহায় বসবাস করত।
Homo erectus (হােমাে এরিকটাস):
এরা সম্পূর্ণ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারত।ইউজেন দূরােয়া (Eugene Doubois) ১৮৮১ সালে জাভা থেকে এদের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে চীনে এদের জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয় চীনের পিকিং এর পাশ থেকে । এদের নাম দেয়া হয় Homo erectro pekiness.১৯৫০ সালে বিজ্ঞানী মায়ার এদের নামকরণ করেন Homo erectus.
ক)Homo eretus Javalensis :
এদের মগজ ধারণ ক্ষমতা ছিল ৯৪০ ঘন সেন্টিমিটার। উচ্চতা ৫ ফুটের মত এবং ওজন প্রায় ৭০ কেজির মত ছিল এদের চিবুক ছিল না কিন্তু অস্থি বিশিষ্ট ভ্ররেখা ছিল। এদের জাভা মানবও বলা হয় ।
(খ) Homo erectus pekinensis :
এদের মগজ ধারণ ক্ষমতা ছিল ৮৫০-১২০০ ঘন সেন্টিমিটার। এরা প্রায় পাঁচ লক্ষ বছর পূর্বে বসবাস করত এবং এরা আগুনের ব্যবহার জানত। এদের পিকিং মানবও বলা হয় ।
(গ) Homo heidel bergensis :
১৯০৭ সালে জার্মানীর হাইড্রেল বার্গ থেকে এদের জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়।মস্তিষ্কের আয়তন ছিল ৮০০-১২০০ ঘন সেন্টিমিটার। এদের নিয়ান্ডারথাল মানুষের পূর্বপুরুষ মনে করা হয়। প্রায় পাঁচ লক্ষ, বছর পূর্বে এরা বসবাস করত। এদের হাইডেলবার্গ মানবও বলা হয়।
(ঘ) ক্রোম্যাগনোন(Cro-Magnon)
এরা ফ্রান্সের উপত্যকায় বসবাসকারী গুহা মানব ছিল। এরা গুহার দেয়ালে চিত্রাঙ্কন করতো। গঠনের দিকদিয়ে এরা আধুনিক মানুষের কাছাকাছি ছিল।
Homo sapiens (হােমাে সেপিয়েন্স) :
এরা বতর্মান মানব গােষ্ঠীর পূর্বে পুরুষ এ বর্তমান মানুষ। এদের খুলির আয়তন বড় এবং হাত মুক্ত রেখে দৌড়াতে পারত। এ জীবীকা ও আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র তৈরি করত এবং সামাজিক জীবন যাপন করত। এরা দুটি প্রধান উপ প্রজাতি ছিল । যথা :
(১)Homo sapiens neanderthalensis :
এরা প্রায় ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে জীবিত ছিল। জার্মানির নিয়ান্ডার থ্যাল উপত্যকায় এদের জীবাশ্ম পাওয়া যায়।এরা এশিয়া ইউরােপ ও উত্তর আমেরিকায় বিস্তারলাভ করেছিল। এদের মস্তিষ্কের আয়তন ছিল ১৩০০-১৬০০ ঘন সেন্টিমিটার এরা লম্বায় ৫ ফুট ১ ইঞ্চি থেকে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত হত। এদের মাথা সামনের দিকে ঝুকে পড়ত ও হাঁটু সামান্য বেঁকে যেত। এরা আগুন জ্বালাত, হাতিয়ার তৈরি করত, গুহায় বসবাস করত এবং অনেকটা সামাজিক জীবন যাপন করত। এরা পােশাক সেলাই করে পড়তাে। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থান থেকে এদের জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়েছে।
(i) Homo sapiens sapiens :
এরা হচ্ছে বর্তমান মানুষ। এরা বিভিন্ন ভাবে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান রূপ লাভ করেছে। এদের মস্তিষ্কের আয়তন ১৪৫০-১৬০০ ঘন সেন্টিমিটার। এরা সামাজিক জটিল জীবন যাপন করে। প্রায় ৩০ হাজার বছর পূর্বে আধুনিক মানুষের উৎপত্তি ঘটেছে। ক্রমেই এই সভ্য মানুষের জীবন।যাত্রায় উন্নয়ন ঘটেছে। বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে মানুষের জীবন-যাত্রা ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর ও উন্নত হচ্ছে।
আধুনিক মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্য:
বৈশিষ্ট্যগত দিক দিয়ে মানুষ সর্বোন্নত প্রাণী। মানুষের এমন কিছু যা অন্য প্রাণীদের মধ্যে পাওয়া যায় না। মানুষের এসব বৈশিষ্ট্যকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
অঙ্গসংস্থানিক বৈশিষ্ট্য :
- ১. দুই পায়ে ভর করে খাড়া হয়ে চলা।
- ২.পায়ের তুলনায় হাত ছােট।
- ৩.মুখমণ্ডল তুলনামূলক ভাবে খাড়া।
- 8.ছেদন দাঁত ক্রমান্বয়ে ছােট হয়েছে।
- ৫. সুস্পষ্ট নাকের উৎপত্তি ঘটেছে।
- ৬. অস্থি গঠিত হয়ে সুস্পষ্ট থুতনির
- উৎপত্তি।
- ৭. করােটি আয়তন বৃদ্ধি। (প্রায়—১৩৫০ সি. সি.)
- ৮.বছরের যে কোন সময় যৌন কার্য সম্পন্ন করার ক্ষমতা অর্জন।
- ৯.দেহ তুলনামূলক লােম হীনতা
- ১০. বাকযন্ত্রের উচ্চতম বিকাশ।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য :
১.মানুষ নিজেদের মধ্যে স্পষ্ট উচ্চারণে ভাষা ব্যবহার করে ভাব প্রকাশ করতে পারে।
২. হাতিয়ার, যন্ত্রপাতি ও জটিল সংস্কৃতির অন্যান্য উপকরণ উদ্ভাবন করতে পারে।
৩.মানুষের টিকে থাকা মূলত সাংস্কৃতিক উপযােজনের উপর নির্ভরশীল।।
৪.প্রতীকী চিন্তা করার ক্ষমতা বিমূর্ত চিন্তা, প্রতিস্থাপক ও কার্যকলাপ।
৫.সমাজবদ্ধ হয়ে, জটিল সামাজিক জীবন যাপন সম্পন্ন করা।
Tag; মানুষের বিবর্তন মানুষের বিবর্তন মানুষের বিবর্তন মানুষের বিবর্তন মানুষের বিবর্তন মানুষের বিবর্তন মানুষের বিবর্তন
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।