মেয়ে থেকে ছেলে হয় কিভাবে?
অনেক সময় খবর শোনা যায় ছেলে থেকে হঠাৎ মেয়েতে রূপান্তরিত হয়েছে বা মেয়ে থেকে হঠাৎ ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। এমন সংবাদ শোনার পর সবার এই ঘটনাকে অলৌকিক বলে মনে হয়। অনেকে না বুঝে বেশি পাকনামো করে কেউ এটার ভুল ব্যাখ্যা দেয়। আসুন আজ জীববিজ্ঞানের আলোকে সঠিক ব্যাখ্যা জানি……
আপনি আরো পড়তে পারেন…… সতীত্ব বা কুমারীত্ব কি? ….. পিরিয়ড বা মাসিক কী? মিনস্ কী? ঋতুস্রাব কেন হয়?
ছেলে ও মেয়ে শিশু কিভাবে হয়?
প্রথমে জানতে হবে সন্তান ছেলে বা মেয়ে হয় কেন। পুরুষ মানুষের শুক্রাশয় বা অণ্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হয়। শুক্রাণু ২ ধরণের একটি X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট্য অপরটি Y ক্রোমোজোম বিশিষ্ট্য। মেয়েদের ডিম্বাশয়ে শুধু X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট্য এক ধরণের ডিম্বাণু তৈরি হয়।
X ও Y ক্রোমোজোম হলো সেক্স ক্রোমোজোম এগুলো সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে মানে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা নির্ধারণ করে।
X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট্য শুক্রাণু যদি X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট্য ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তবে মেয়ে সন্তান হবে আর Y ক্রোমোজোম বিশিষ্ট্য শুক্রাণু যদি X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট্য ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তবে ছেলে সন্তান হবে।
মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার কারণ
কি ভাবছেন XY ক্রোমোজোম একসাথে থাকলেই ছেলে হবে? তাহলে দিল্লি বহুদূর একটু থামুন আর দেখুন……
XY ক্রোমোজোম বিশিষ্ট বাচ্চা মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় ২ মাস বয়সে Y ক্রোমোজোম সক্রিয় হয়ে শুক্রাশয় ও পুং লিঙ্গ সৃষ্টি করতে থাকে।শুক্রাশয় টেস্টোস্টেরন নামক পুরুষ হরমোন ক্ষরণ করে।
মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে এর মধ্যে ২য় জোড়া ক্রোমোজোমে SRD5A2 জিন থাকে। এই জিন steroid 5-alpha reductase2 এনজাইম তৈরি করে। এই এনজাইম টেস্টোস্টেরন হরমোন কে সঠিকভাবে কাজ করতে নির্দেশনা দেয় ফলে শুক্রাশয় ও পেনিস সঠিকভাবে বিকশিত হয়।
এই এনজাইম তৈরি না হলে টেস্টোস্টেরন হরমোন সঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা ফলে Y ক্রোমোজোম থাকা সত্ত্বেও বাচ্চার পেনিস ও অণ্ডকোষ বিকশিত হয় না। পেনিস ও অণ্ডকোষ স্বাভাবিক ছেলেদের মত দেহের বাইরে না এসে দেহের ভেতরে সুপ্ত ও ক্ষুদ্র অবস্থায় থাকে থাকে তাই সন্তানের ক্রোমোজোম ছেলে হলেও সন্তান X ক্রোমোজোমের প্রভাবে মেয়ে হিসেবে বেড়ে উঠে।মানে সে বাইরে থেকে দেখতে মেয়ে কিন্তু ভেতর থেকে পুরুষ।
X ক্রোমোজোম ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণ করে ফলে দেহে যোনি তৈরি হয়।এই যোনী অপরিণত অনেকটা নকল যোনির মত। এর মানে সে সত্যিকার মেয়েও নয়।এদের মেয়েদের মত স্তন থাকে। দেখুন এই মেয়েদের প্রজনন অঙ্গ কেমন হয়…….
A- এটা হলো অপরিণত শুক্রাশয়, B- এটা নকল যোনী।
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরের ধাপ
কি বুঝলেন এতক্ষণ? এবার আসল ধামাকা দেখানোর পালা শুরু….. এই নারীরূপী পুরুষ মেয়াটার বয়স যখন ১২ বছর হয় তখন তার দেহে সুপ্ত থাকা Y ক্রোমোজোম সক্রিয় হয়ে উঠে এবং অপরিণত শুক্রাশয়ের লিডিগ কোষ হঠাৎ প্রচুর টেস্টোস্টেরন হরমোন ক্ষরণ করতে থাকে।
এই হরমোনের প্রভাবে অপরিণত শুক্রাশয় পরিণত হতে থাকে এবং দেহের বাইরে বের হয়ে আসতে থাকে। যোনির একটি অংশ হলো ক্লাইটোরিস এটা লম্বা হয়ে পেনিসে পরিণত হতে থাকে। এসব পরিবর্তন ধিরে ধিরে চলতে থাকে। যখন টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে যায় তখন হঠাৎ করে মেয়েটি তার দেহে প্রজনন অঙ্গের পরিবর্তন দেখতে পায়।
পেনিস ভেতর থেকে বের হয়ে দেহের বাইরে আসে।দেহের ভেতর থেকে অণ্ডকোষ দুই পায়ের মাঝে বের হয়ে আসে। ঘুম থেকে উঠে মেয়েটি দেখে তার যোনি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে সেখানে নতুন করে পেনিস তৈরি হয়েছে।
এরপর কয়েক মাসের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে তার স্তন ছোট হতে থাকে,দাড়ি-গোঁফ গজায়,পেশি শক্ত হতে থাকে, কণ্ঠ পরিবর্তন হয়। প্রায় ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে তার দেহ থেকে সমস্ত নারী বৈশিষ্ট্য হারিয়ে পূর্ণাঙ্গ পুরুষে পরিণত হয়। সে সারাজীবন পুরুষ হিসেবেই কাটাবে। নারী থেকে পুরুষ হওয়ার এই প্রক্রিয়াকে ভেরিলাইজেশন বলে।
এই রূপান্তরের ধাপগুলো বিজ্ঞানী প্রাডা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং রূপান্তরের একটি স্কেল আবিষ্কার করেন। দেখুন কিভাবে স্ত্রী জননতন্ত্র ধীরে ধীরে পুং জননতন্ত্র পরিণত হয়….
এটা হলো ১ম ধাপ নারী জননাঙ্গ ও যোনি এটা ধীরে ধীরে পুরুষের পেনিসে পরিণত হচ্ছে।
নতুন পুরুষ হওয়া ছেলেটির প্রস্টেট গ্রন্থি ঠিকমত বেড়ে না উঠায় তার প্রসাব করতে বেশ কষ্ট হয়। কিন্তু বিশেষ ধরণের ঔষধ প্রয়োগ করে খুব সহজে এই সমস্যা দূর করা যায়।
মেয়ে থেকে রূপান্তরিত ছেলে কি সন্তান জন্ম দিতে পারবে?
উত্তর হলো অবশ্যই পারবে, সে স্বভাবিক পুরুষের মতই সন্তান জন্ম দিতে পারবে।তবে টেস্টোস্টেরন হরমোন কম ক্ষরণ হলে অনেকে টেস্টটিউব বেবি ছাড়া সরাসরি সন্তান নিতে পারবে না।
TAG: মেয়ে থেকে ছেলে হয় ,মেয়ে থেকে ছেলে হয় ,মেয়ে থেকে ছেলে হয় ,মেয়ে থেকে ছেলে হয় .মেয়ে থেকে ছেলে হয় .মেয়ে থেকে ছেলে হয় .মেয়ে থেকে ছেলে হয় .মেয়ে থেকে ছেলে হয় .মেয়ে থেকে ছেলে হয় .মেয়ে থেকে ছেলে হয়
Please Click on Just one Add to help us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।
এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা।