রূপচর্চার প্রসাধন সামগ্রী! মেকাপ করার কসমেটিক লিস্ট!

রূপচর্চার প্রসাধন সামগ্রী! মেকাপ করার কসমেটিক লিস্ট!

মেকাপ করার সময় কোন উপাদান ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে বা কোন প্রসাধনী ত্বকের জন্য উপযুক্ত সেটা জানা সবথেকে বেশি জরুরি।রূপচর্চাকারীর সৌন্দর্য-প্রসাধনের সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা উচিত। সঠিক জ্ঞান থাকলে সঠিক সৌন্দর্য প্রসাধন বেছে নিতে পারবে।নীচে কিছু সৌন্দর্য প্রসাধনের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যাক।

রূপচর্চার প্রসাধন সামগ্রী! মেকাপ করার কসমেটিক লিস্ট!

আপনি আরো পড়তে পারেন….. মেকাপ করার জিনিষ ! মেকাপ করতে কি কি দরকার? …… ড্রেসিং টেবিল সাজানোর নিয়ম …… সৌন্দর্য কি ? সৌন্দর্যের উপাদান কি কি !

রূপচর্চার কসমেটিক বা প্রসাধন পরিচিতি

রূপচর্চার জন্য মেয়েরা যেসব ক্রিম ও প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে সেগুলো একনজরে দেখে নেয়া যাক।মেকাপ করার কসমেটিক লিস্ট!

ক্লিনজিং মিল্ক

এটা দুধের মত তরল হয়। মুখে তুলোর সাহায্যে এই জিনিষ লাগানো হয়। এটা মুখে লাগাবার পর মুখের সব ময়লা উঠে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার হয়ে পড়ে। তেলতেলে ত্বকের পক্ষে এটা খুবই উপকারী।

ক্লিনজিং ক্রীম

এই জিনিষটা ভারতে পাওয়া যায় না। বিদেশে শুকনো ত্বকের যুবতীরা এর খুব ব্যবহার করে। এই ক্রীম আঙুল দিয়ে মুখে লাগাতে হয়।

স্কিন টনিক

এই তরল পদার্থকে ক্লিনজিং সিল্কের পর তুলোর সাহায্যে মুখে লাগানো হয়। এর মুখ্য কাজ হল খুলে থাকা রোমকূপদের বন্ধ করা। যাতে প্রসাধন ত্বকের ভেতর না ঢুকে পড়ে। প্রসাধন ত্বকের ভেতরে ঢুকে পড়লে ক্ষতি হতে পারে। এই জিনিষটা সাধারণ ত্বকের মুখেই লাগানো উচিত। এতে ত্বক স্নিগ্ধ এবং মোলায়েম থাকে। এই জিনিষটা বিভিন রঙে পাওয়া যায়।

স্ট্রিংজিন্ট লোশন

এই জিনিষটাও খোলা রোমকূপ বধ করে। প্রথম- প্রথম একটু জ্বালা করে । এই জিনিষ ব্রণও ভাল করে । তেলতেলে ত্বকের জন্য এই লোশন উপযুক্ত। তুলোর সাহায্যে এই লোশন মুখে লাগান ।

ময়েশ্চারায়জায়

এটা দেখতে সাদা ক্রীমের মত হয়। এই জিনিষ ক্রীম বা টিউবেও পাওয়া যায়। আঙুলের ডগায় নিয়ে এই জিনিষ মুখে লাগাতে হয়। শুকনো ত্বকের মুখে যেসব সাদা দাগ হয়, এই জিনিষ তা মিটিয়ে দেয়। এ মেক-আপকে চমকালো বানিয়ে তোলে।

কোল্ড ক্রীম বা নাইট ক্রীম

যদি আপনার ত্বক খুবই শুষ্ক হয়, তবে রাতে ঘুমোতে যাবার আগে এই ক্রীম মুখে এবং হাতে-পায়ে লাগান ৷ সকালে ত্বক শুকনো দেখবে না। হাতের তালুতে নিয়ে এই ক্রীম মুখে লাগান।

রূপচর্চার প্রসাধন সামগ্রী! মেকাপ করার কসমেটিক লিস্ট!

নারিশিং ক্রীম

এটাও কোল্ড ক্রীমেরই যত। ত্বককে পুষ্ট করে তোলে। কাজ করার পর হাত কোমল করে রাখে। এই জিনিষটা কিছুটা কম তৈলীয়, তাই গরমকালে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ক্রীম হাতের ডগা থেকে হাতের তালুতে নিয়ে মুখে লাগান ।

আই ক্ৰীম

এই জিনিষটা কোল্ড ক্রীমের চেয়ে কিছুটা গাঢ় হয়। চোখের চারপাশে লাগালে চোখের কোলে কালো ছোপ পড়ে না। এই জিনিষ ছোট কৌটোয় করে পাওয়া যায়। একটু-একটু করে ব্যবহার করলে অনেকদিন চলবে।

ফাউণ্ডেশন

এই জিনিষটা তরল, ক্রীম এবং স্টিক-তিন রকম রূপে পাওয়া যায়। মেক-আপ শুরু করার আগে ত্বককে সমতল বানানোর জন্য এই জিনিষটা ব্যবহার করা হয়। এই জিনিষ হাল্কা এবং গাঢ়-দু রকম শেডে পাওয়া যায়। এটা তুলো বা আঙুলের ডগা দিয়ে লাগানো হয় ৷

পাউডার

ফাউণ্ডেশনের পর মুখে পাউডার লাগানো হয়। পাউডার সাদা, গোলাপী, হাল্কা গোলাপী এবং ত্বকের রঙে পাওয়া যায়। পাফ দিয়ে হাল্কা ভাবে মুখে লাগাতে হয়। ফাউণ্ডেশন এবং পাউডারের শেড যেন একই রকমের হয়।

কম্প্যাক্ট

জমে থাকা পাউডারকে কম্প্যাক্ট বলে। বাইরে বেরোবার সময় এটা পার্সে রাখতে পারেন, পড়বে না। মাঝে-মাঝে এই জিনিষ মুখে লাগিয়ে আপনি মেক-আপকে অনেকক্ষন পর্যন্ত্য তরোতাজা করে রাখতে পারবেন। কিন্তু এটাও মনে রাখবেন যে, এই জিনিষ বারবার ব্যবহার করলে মুখে পাউডারের দাগও পড়ে যেতে পারে।

লিপষ্টিক দেয়ার সঠিক নিয়ম

ঠোঁঠেতে রং করার প্রসাধন লিপষ্টিক বিভিন রং-এ পাওয়া যায়। নিজের ত্বক, পোশাক এবং উপলক্ষ্য অনুযায়ী বেছে নিন। ব্যবহার করার পর এর ঢাকনাটা অতি অবশ্যই বন্ধ করবেন, নয়তো ভেঙে যেতে পারে।

ঢাকনা খুলে লিপস্টিককে একটু ওপর দিকে বের করে ঠোঁঠে লাগান। এটা জরুরী নয় যে, আপনি কমলালেবু রং-এর শাড়ী পরে আছেন বলে ঠোঁঠেও ঐ রং-এর লিপস্টিক লাগাতে হবে, কারণ কমলালেবু রংটা মুখে ভাল দেখায় না। তার পরিবর্তে আপনি ন্যাচারাল কালার ব্যবহার করতে পারেন। ঠোঁঠের ডান দিক থেকে শুরু করে ওপর দিকে লাগিয়ে বাঁদিক পর্যন্ত্য নিয়ে যান।

যদি আপনি ভাল ভাবে লিপস্টিক লাগাতে না পারেন, তাহলে লিপব্রাশ দিয়ে ঠোঁঠের বাইরের দিকটায় একটা লাইন টেনে ওর ভেতর-ভেতর লিপস্টিক লাগান। এর ফলে লিপস্টিক ঠোঁঠের বাইরে যাবে না। বাইরে ছড়িয়ে পড়া রং ঠোঁঠকে কুৎসিত করে তোলে।

লিপ গ্লস

এই লিপষ্টিক চমকালো হয়। আপনার লিপস্টিক সাধারণ হলে এর ওপর লিপ গ্লস লাগিয়ে আপনি ওটাকে চমকালো করে তুলতে পারেন। এই জিনিষ লিপস্টিকের ওপরই লাগাতে হয়। লাল, খয়েরী এবং গাঢ ব্রাউন-তিন রকমের রংয়ে পাওয়া যায়। যেহেতু এই জিনিষটা গাঢ় রং-য়ের হয়, সেইজন্য একমাত্র গাঢ় রংয়ের লিপষ্টিকের ওপরই এই জিনিষ লাগানো উচিত, হাল্কা লিপষ্টিকের ওপর নয়।

নেল পালিশ

নখে লাগাবার জন্য এই সৌন্দৰ্য্য প্রসাধন প্রায় সব রকম রং-য়ে পাওয়া যায়। আজকাল এই জিনিষ সাদা রং-এও পাওয়া যাচ্ছে। সাদা নেলপালিশ দিয়ে গাঢ় রংয়ের নেলপালিশকে হাল্কা করে দেওয়া যায়। এক পরত এই জিনিষ লাগিয়ে নেলপালিশকে শুকোতে দিন। তারপর দ্বিতীয় পরত লাগান।

শাড়ীর রং-এর সঙ্গে মিল রেখে নেলপালিশ নির্বাচন করুন। অবশ্য লাল রং সব রংয়ের পোশাকের ওপরই মানায়। কিন্তু লাল রং সর্বদা পায়ের নখে লাগানো উচিত। হাতে লালা রংয়ের নেলপালিশ তখনই লাগান, যখন আপনি লাল শাড়ী পরে আছেন।

হ্যাণ্ড লোশন

শীতকালে বা কাজ করতে-করতে যদি হাত ফেটে যায়, সেটা হ্যাণ্ড লোশন লাগালে ঠিক হয়ে যেতে পারে। এতে ত্বকও নরম থাকে। পায়ের ফটো ত্বকেও হ্যাণ্ড লোশন লাগানা যায়।

ডিওডোরেন্ট লোশন

বগলে ঘাম না আসতে দেবার জন্য এর ব্যবহার করা হয়। এটা এক ধরনের সুগন্ধিত তরল পরার্থ! স্নান করার পর বগল থেকে লোম তুলে ফেলে এই জিনিষ লাগান ।

শ্যাম্পু

শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে চুল চমকালো এবং জীবত হয়ে ওঠে। শ্যাম্পু কিছুটা হাতে নিয়ে চুলে লাগান আর তারপর জল দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পুতে চুলে ফেনার সৃষ্টি হয়। এরপর মাথা ধোবার জন্য কোন সাবানের প্রয়োজন হয় না।

পারফিউম

পারফিউম ছোট-বড় শিশিতে পাওয়া যায়। পারফিউম কানের পেছনে, গলায় আর কনুইতে লাগান। মৃদু-মৃদু সুগন্ধিত পারফিউমই ভাল জাতের পারফিউম।

চোখের মেকাপ করার কসমেটিক

গালে মেকাপ যতই করুন সাথে সাথে চোখের মেকাপ না করলে আপনাকে পারফেক্ট সুন্দর লাগবে না।তাই পারফেক্ট মেকাপ করতে চোখের জন্য যেসব উপাদান ব্যবহৃত হয় সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

হাইলাইটার

সাদা, চমকালো, কালো, স্লেট রংয়ের, ক্রীম বা পাউডারের রূপে পাওয়া যায়। উঁচু হয়ে থাকা ভ্রুয়ের নীচে লাগালে চোখ বড় দেখায়।

আই শ্যাডো

এই জিনিষ সবুজ, নীল, ব্রাউন, স্লেটী আর কালো রঙে পাওয়া যায়। ইচ্ছে করলে সাদাও কিনতে পারেন। চোখের পাতায় লাগানোই হচ্ছে একটা প্রসাধন। ক্রীম বা লোশনের রূপের আই শ্যাডো আঙুলের ডগা দিয়ে লাগানো হয় আর পাউডার শ্যাডো ব্রাশ দিয়ে লাগানো উচিত।

আই লাইনার

কালো, নীল, খয়েরী রঙের এই প্রসাধন তাই ল্যাশের ওপর লাইন দিয়ে লাগানো হয়। এই জিনিষ লোশন এবং ট্যাবলেটের রূপে পাওয়া যায়। এই জিনিষ আপনি পেন্টিং ব্রাশের সাহায্যে লাগাতে পারেন। ট্যাবলেট আকৃতির আই লাইনারের সঙ্গে ব্রাশ থাকে। আই লাইনার লাগালে চোখের আকার বেড়ে যায়।

মাসকারা

এই জিনিষ কালো, খয়েরী এবং নীল রং-এর হয়। এই জিনিষ ব্রাশ দিয়ে আই ল্যাশের ওপর লাগিয়ে ওদের ঘন এবং কালো করে তোলা হয়। এই জিনিষ ট্যাবলেটের আকারে পাওয়া যায়। চোখে লাগাবার আগে এর ওপর জল ঢেলে নেওয়া উচিত।

Tag: রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন রূপচর্চার প্রসাধন

Please click on one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।