সৌন্দর্য কি ? সৌন্দর্যের উপাদান কি কি !

সৌন্দর্য কি ? সৌন্দর্যের উপাদান কি কি !

এটা খুবই সত্যি কথা যে, চাইলেই সুন্দর হওয়া যায় না। সৌন্দর্য হচ্ছে প্রকৃতির অবদান! তবুও সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা যায় সেজেগুজে থাকলে।প্রাচীন যুগ থেকে স্ত্রীয়েরা সেজেগুজে থাকতে খুবই ভালবাসতো। ওঁরা নিজেকে সাজিয়ে এক ধরনের আত্মসন্তুষ্টি অনুভব করে।

সৌন্দর্য-প্রসাধন নতুন কিছু নয়। শুরু থেকেই মহিলারা এসব জিনিষ ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু এটা সত্যি যে, প্রতি যুগে এর রূপ পাল্টে গেছে । যেমন ধরুন, প্রথমে কাজলের প্রচলন ছিল, বর্তমান যুগ হল আই- লাইনারের।

সৌন্দর্য কি ? সৌন্দর্যের উপাদান কি কি !

আপনি আরও পড়তে পারেন……. রূপচর্চার প্রসাধন সামগ্রী! মেকাপ করার কসমেটিক লিস্ট! ….. মেকাপ করার জিনিষ ! মেকাপ করতে কি কি দরকার? ….. ড্রেসিং টেবিল সাজানোর নিয়ম

সৌন্দর্যের বাস্তবিক অর্থ কি ?

প্রায়ই এটাকে সেজেগুজে থাকাকেই বোঝায়, কিন্তু এটা সৌন্দর্যের বাস্তবিক অর্থ নয়। সৌন্দর্য শুধুমাত্র সাজগোজ না হয়ে সুস্হ, শৃঙ্গারযুক্ত, সুন্দর চালচলন,ব্যবহার কুশলতার সম্মিলিত রূপ!

ভারত সংহিতা

এইসব জিনিষগুলোকে হাসিল করে আপনিও এক সুন্দরী নারী হয়ে উঠতে পারেন।এইসব জিনিষগুলোর মধ্যে যে কোন একটা জিনিষের অভাব আপনাকে সম্পূর্ণ সুন্দর হয়ে উঠতে দেবে না।

এই লেখায় সংক্ষেপে সেই সব ব্যাপারগুলোর ওপর দৃষ্টিপাত করা হচ্ছে, যাদের সম্মিলিত রূপই সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে।যেমন-

সৌন্দর্যের উপাদান কি কি !

স্বাস্হ্য

সুস্থ শরীরই হচ্ছে সুস্থ মস্তিস্কের নিবাসস্থল। সবার আগে নিজের শরীর এবং শরীরের অঙ্গুলোর সঠিক দেখাশোনা করতে শিখুন। নিয়মিত ব্যায়ামে মাংসপেশীগুলো ক্রিয়াশীল হয়ে উঠে শরীরকে সুডৌল এবং সুগঠিত করে তোলে।

আহার

সুস্হ শরীরের জন্য সত্তলিত আহার অত্যত আবশ্যক!তাহলেই আপনার শরীরের সঠিক বিকাশ সম্ভব হবে।

পরিচ্ছন্নতা

অপরিছন্নতা সকল অসুখের মূল। অসুস্থ শরীরকে কোনদিনও সুন্দর দেখায় না! প্রতিটি ঋতুতে আলাদা-আলাদাভাবে সৌন্দর্য- রক্ষা করা উচিত। নিয়মিত রূপে স্নান করাটাও স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত আবশ্যক।

ক্লান্তি

কাজ করতে-করতে শরীর আর মস্তিষ্ক অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন বিশ্রাম, ঘুম দ্বারা ঝান্তি দূর করে নেওয়া উচিত।
প্রাত্যহিক জীবনে সব কাজ সুচারুরূপে হতে থাকলে আপনার মস্তিষ্কের ওপর কোনরকম চাপ পড়বে না আর আপনি সর্বদা তাজা এবং সুস্হ হয়ে থাকতে পারবেন।

মেক-আপ

মেক-আপ সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু বেঠিক উপায়ে করা মেক-আপ শরীরকে কুৎসিত করে তোলে। কিন্তু মেক-আপ করার আগে মেক-আপ প্রসাধনের সম্বন্ধে বিস্তৃত জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এই বিষয়ে আপনি কোন সৌন্দর্য-বিশেষজ্ঞেরও পরামর্শ নিতে পারেন।

যদি আপনার বাড়ীর কাছাকাছি কোন বিউটি পালার না থাকে, তাহলে প্রসাধান সামগ্রীর সঙ্গে দেওয়া নির্দেশাবলী পড়ে তার ব্যবহার শুরু করুন। তা না হলে আপনার ক্ষতি হতে পারে। প্রসাধনের বাছাই রূপ অনুযায়ী করা উচিত। ফর্সা রংয়ের যুবতীদের হাল্কা শেডের পাউডার এবং স্বাভাবিক রং-এর লিপষ্টিক ভাল লাগে । যদি চুল খয়েরী রং-এর হয়, তবে খয়েরী রং-এর পেন্সিল দিয়েই ভ্রু রং করা উচিত!

চালচলন

চালচলন অন্যকে প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করে, তাই এই ব্যাপারে আপনাকে সতর্কতা নিতে হবে।ভাবলেশহীন মুখ অন্যের ওপর কোন প্রভাবই ফেলেনা। আপনার হাসি, কথা বলা, কানা সব কিছুই যেন স্ত্রী-সুলভ হয়। এটাই আপনাকে শোভা দেবে।

পোশাক

পোশাক দামী হোক বা সস্তা, প্রশ্ন হল আপনি পোশাক নিজের বয়স, ঋতু, শারীরীক গঠন অনুযায়ী পরেছেন কি না? সুতরাং পোশাক পরার সময় এই ব্যাপারটা যেন ভুলে যাবেন না। এই ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে পোশাক নির্বাচন করলে আপনাকে সাদামাটা এবং সস্তা পোশাকেও সুন্দর দেখাবে।

হাসি

হাসি হাসি মুখ অপরকে প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করে। মুখে মৃদু- মৃদু হাসি আপনাকে দ্বিগুণ সুন্দরী বানিয়ে তোলে।

ব্যবহার কুশলতা

এটাও এক ধরনের সৌন্দর্য। আপনি কতই সুন্দরী হোন না কেন, কিন্তু আপনি যদি নিজের ব্যবহার দ্বারা অপরের মন জয়
করতে না পারেন, তাহলে কেউই আপনার প্রশংসা করবে না। অন্যের সুখ-দুঃখকে নিজের সুখ-দুঃখ মনে করে ওদের সাহায্য করাটা এক অত্যত বড় গুন। যদি আপনি মানসিক দিক থেকে সুস্হ না হন, তাহলে আপনার মুখ আকর্ষনহীন লাগবে।
মানসিক অসুস্হতা প্রধানতঃ দুটি কারণে হয়-

  • ১.শারীরীক দুর্বলতা
  • ২.অপরিপক মস্তিষ্ক!

যদি আপনি দুর্বল হন, তাহলে আপনার মুখে খিটখিটে ভাব স্পষ্ট হয়ে উঠবে। সুস্হ ব্যক্তির মুখ সর্বদা কান্তিময় দেখায় যেটা এক ধরনের সৌন্দর্যও বটে।নিজের শারীরীক দুর্বলতার চিকিৎসা তখুনি করান। এতে আপনার মুখের ভাঁজ আর টেনশন শেষ হয়ে পড়বে এবং আপনি তাজা হয়ে উঠবেন।

মানসিক পরিপক্কতার অর্থ হল, সময়, স্হান এবং ব্যক্তি দেখে শিষ্টতাপূর্বক ব্যবহার করা। নিজের চেয়ে বড় বা ছোটদের প্রতি সঠিক ব্যবহার এবং নিজের বয়স অনুযায়ী গম্ভীরতার সঙ্গে নিজের মানসিক পরিপক্কতার পরিচয় দেওয়া।

সৌন্দর্য কি ? সৌন্দর্যের উপাদান কি কি !

ফ্যাশন এবং সৌন্দর্য

যুগ বদলানোর সঙ্গে-সঙ্গে ফ্যাশনও গিরগিটির মতন রং-রূপ বদলায়। ফ্যাশন আর যুগের প্রভাবে পড়ে সৌন্দর্যও নিজের মূল ব্যাপারটাকে সর্বদা একই রকম রাখতে পারেনা।

আজ থেকে কয়েক বছর আগেও পোশাকের যে ফ্যাশন ছিল, আজ তা নেই। প্রথমে চাপা সালোয়ারের খুব প্রচলন ছিল, এখন ঢিলেঢালা সালোয়ার পরা যুবতীরা নিজেদের আধুনিক হবার দাবী করে।আসলে আমরা বলতে চাই যে, বদলাতে থাকা ফ্যাশনকে নিশ্চয়ই নিজের জীবনে গ্রহণ করুন, কিন্তু নিজের আয়, স্থান এবং সময় দেখে।

অশ্বের মত ফ্যাশনের পেছনে ছোটা উচিত নয়। ফ্যাশন করতে গিয়ে আপনি যদি নিত্যনতুন পোশাক বানিয়ে পুরোনটা ফেলে দিতে থাকেন, তাহলে সেটা একদিন আপনার বাজেটের বাইরে চলে যাবে। তাই বাজেট দেখে কিছু নতুন ফ্যাশনের পোশাক তৈরী করে নিতে পারেন।

যদি স্লিভলেস ব্লাউজের ফ্যাশন চলতে থাকে, তাহলে আপনি আপনার পুরোন হাতাওয়ালা ব্লাউজের হাতা কেটে ফেলে স্লীভলেস মাউজ পরার শখ পূরণ করতে পারেন। আর যদি পরে কোনদিন আবার হাতাওয়ালা ব্লাউজের চল হয়ে পড়ে, তাহলে আপনি নিজের স্লীভলেস ব্লাউজের সঙ্গে প্রিন্টেড কাপড়ের হাতা জুড়ে, সেই কাপড় দিয়ে শাড়ীর আঁচল বানিয়ে নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলতে পারেন।

ফ্যাশন করতে গিয়ে নারীত্বের সীমা কোনদিনও লঙ্ঘন করতে যাবেন না। নগ্ন প্রদর্শন অপরের চোখে আপনার ইজ্জত কমিয়ে দেবে। সুতরাং, এমন পোশাক নির্বাচন করুন, যাতে আপনার গরিমা বেড়ে ওঠে।ফ্যাশনের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলাটা দোষের কিছুই নয়, কিন্তু সেই ফ্যাশনেবল পোশাক পরে আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে, সেটা কি দেখেছেন ?

যদি আপনার ভারী শরীরে বেলবটম, ম্যাক্সি, প্যান্ট ভাল না মানায়, তাহলে শুধুমাত্র ফ্যাশনেবল হতে গিয়ে এই পোশাক পরে নিজেকে তাপরের কাছে হাস্যাস্পদ করে তুলবেন না! সুতরাং, উচিত হল নতুন এবং পুরোন যুগের ভাল জিনিষগুলোকে গ্রহণ করে সর্বদা মাঝামাঝি রাস্তা নেওয়া। সব যুগেরই কিছু ভাল জিনিষ থাকে, সুতরাং সেই সব গুণগুলোকে নিজের মধ্যে গ্রহণ করে আমরা নিজেদের আরও বেশী সুন্দরী করে তুলতে পারি।

সারমর্মঃ সারাংশ হল যে, শারীরীক, মানসিক স্বাস্হ্য আর সৌন্দর্যের সঙ্গে প্রগতিশীল হলেই আপনি সত্যিকারের সর্বগুণসম্পন্ন নারী হতে পারবেন।

Tag: সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি সৌন্দর্য কি

Please click on one Add to help us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।