- চুলকানি সম্পর্কে অবাক তথ্য
- চুলকানি সম্পর্কে আশ্চর্যজনক তথ্য
- ১.আমরা দিনে কতবার চুলকাই
- ২.পশু-পাখির সংস্পর্শে চুলকানি সৃষ্টি হয়
- ৩। পোকার লার্ভা চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে
- ৪।গাছের সংস্পর্শে চুলকানি
- ৫।পতঙ্গের কামরে চুলকানি
- ৬. চুলকানির সংকেত পরিবাহিত হয় নিজস্ব স্নায়ু নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে
- ৭. চুলকানির সংকেত স্নায়ুর দ্বারা ধিরে পরিবাহিত হয়
- ৮. কাউকে চুলকাতে দেখলে নিজের চুলকাতে ইচ্ছা করে
- ৯. চুলকানির জন্য মগজে নির্দিষ্ট জায়গা আছে
- ১০. চুলকানো যখন চামড়া রক্ষার জন্যে ভালো
- ১১. চুলকালে যৌনতার সমান সুখ পাওয়া যায়
- ১২. কোন অঙ্গ চুলকিয়ে বেশি মজা পান
- ১৩. যত চুলকাবেন তত মজা বাড়বে সাথে চুলকানি বাড়বে
- ১৪. চুলকানি যখন মানুষিক রোগ
- ১৫.মানুষ মত অন্য প্রাণিরাও চুলকায়
- চুলকানি সম্পর্কে 15 টি আশ্চর্যজনক তথ্য
- "ডিলিউসরি প্যারাসাইটোসিস" কি?
- chulkani somporke mojar totho
চুলকানি সম্পর্কে অবাক তথ্য
চুলকানি সম্পর্কে চমকপ্রদ মজার তথ্য
বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে গিয়ে দেখবেন অনেক মহিলা পরিপাটিভাবে সাজগোজ করে এসেছে।হঠাৎ নতুন কাপরের খসখস শব্দ শুনে তার দিকে তাকালে দেখবেন মহিলাটি লজ্জা ভুলে তৃপ্তির সাথে বিভিন্ন অঙ্গে চুলকাচ্ছেন।
এই দৃশ্য দেখে আপনি লজ্জায় মুখ লুকালেও চুলকানোরত মহিলার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।এমন দৃশ্য দেখে আমরা প্রত্যকেই অভ্যস্ত। আমাদের মাথায় একরাশ প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে চুলকানি সম্পর্কে জানতে কিন্তু ঐ লজ্জার জন্যে কাউকে জিজ্ঞাসা করা হয়না।
আসুন যানাযাক চুলকানি সম্পর্কে মজার তথ্য…
আপনি আরো পড়তে পারেন – চুলকাতে মজা লাগে কেন?
চুলকানি সম্পর্কে আশ্চর্যজনক তথ্য
১.আমরা দিনে কতবার চুলকাই
আমরা দিনে প্রায় ৯৭ বার দেহের বিভিন্ন স্থানে চুলকাই।অনেক গবেষণার প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়,আমরা দিনে কমবেশি ১০০ বার চুলকাই।এখন চুলকানির তথ্য পড়তে গিয়ে হয়তো আপনার কোন অঙ্গ চুলকাচ্ছে সমস্যা নাই আরাম করে একচোট চুলকিয়ে নিন,
আপনার সামনে এখন কেউ নেই দেখার মত।
২.পশু-পাখির সংস্পর্শে চুলকানি সৃষ্টি হয়
গৃহপালিত পশু-পাখির লোমের সাথে আমাদের ত্বকের স্পর্শ লাগলে চুলকানি শুরু হয়।পশু-পাখির দেহ দেহ থেকে সংক্রামক জীবাণু বা বিষাক্ত পদার্থ আমের ত্বকে প্রবেশ করে ফলে চুলকানি শুরু হঢে যায়।
৩। পোকার লার্ভা চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে
গায়ে ঘন ও ছেঁদন ক্ষমতাযুক্ত শক্ত লোম বিশিষ্ট পোকার স্পর্শ ত্বকে লাগলে পোকার লোম ত্বকে বিদ্ধ হয় এবং বিষাক্ত পদার্থ আমাদের দেহে প্রবেশ করে ফলে তীব্র চুলকানির সৃষ্টি হয়।
যেমন- আঁচার পোকা বা নেড়ে পোকার জন্য ছোটবেলায় তিব্র চুলকানির যন্ত্রণা ভোগ করেছেন এমন লোকের সংখ্যা অনেক আছে।
৪।গাছের সংস্পর্শে চুলকানি
বিষাক্ত বৃক্ষ-লতার সংস্পর্শে শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যায়।এটার কারণ হলো,এই বৃক্ষ-লতা থেকে নিঃসরিত বিষ চামড়ায় লেগে গেলে আমাদের কোষে হিস্টামিন নির্গত হয়।হিস্টামিন ও বিষাক্ত পদার্থের বিক্রিয়ার ফলে চুলকানির সূত্রপাত ঘটে।
এই সংকেত সাথে সাথে সি-ফাইবার নামক বিশেষায়িত স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিস্কে প্রেরিত হয় ফলে আক্রান্ত স্থানে চুলকানির অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
এক্ষেত্রে উদাহরণ দিতে চাইলে যে গাছের নাম বলতে হয় তা সবার জানা।
কিংবদন্তি তুল্য গাছটির নাম হলো বিছাতু বা বিচুটি বা বিছুটী বা সসবড়ি।
এই গাছের পাতা বা ফলের চূর্ণ কারো ত্বকে একবার লাগলে আর রক্ষে নাই,কাপর খুলে পানিতে নামার মত অবস্থা হয়।
ছোটবেলায় ছেলেমেয়েরা শত্রু পক্ষের উপর এই অস্ত্র অনেক প্রয়োগ করেছে।
৫।পতঙ্গের কামরে চুলকানি
মশা,মাছি, পিঁপড়া, বোলতা,বিষডাই,মৌমাছি ইত্যাদি পতঙ্গ হুল ফোটালে এদের হুল থেকে বিষাক্ত পদার্থ আমাদের দেহে প্রবেশ করে ফলে চুলকানি শুরু হয়। প্রক্রিয়া টি ৪ নং পয়েন্টের মতই।
৬. চুলকানির সংকেত পরিবাহিত হয় নিজস্ব স্নায়ু নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে
১৯৯৬ সালের আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীগণ জানতো যে, একই স্নায়ুর মাধ্যমে চুলকানির সংকেত এবং চুলকানোর ফলে সৃষ্ট ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পৌছায়।স্নায়ুটির নাম হলো সি-ফাইবার।
কিন্তু ১৯৯৭ সালে এক গবেষণায় আবিষ্কৃত হয়, সি-ফাইবার শুধুই চুলকানির সংকেত পরিবহণ করে ব্যথার সংকেত পরিবহণের জন্যে আলাদা স্নায়ু তন্তু আছে। ভাবা যায় চুলকানি কত গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ?
৭. চুলকানির সংকেত স্নায়ুর দ্বারা ধিরে পরিবাহিত হয়
মানুষের দেহ ত্বকে কোন স্পর্শ লাগলে সেই স্পর্শের সংকেত স্নায়ুর মাধ্যমে ঘণ্টায় ২০০ মাইল বেগে পরিবাহিত হয়।পুড়ে যাওয়া,আঘাতের ব্যথা দ্রুত ব্যথা ৮০ মাইল বেগে পরিবাহিত হয়।কিন্তু চুলকানির সংকেত ঘণ্টায় দুই মাইল বেগে পরিবাহিত হয়।
অর্থাৎ চুলকানির গতি হাঁটার গতির চেয়েও কম। চিন্তা করুন এই অল্প স্পিডে চুলকানির সংকেত যায় তাতেই আমরা চুলকিয়ে হুশ পাইনা আরো বেশি গতি হলে কিযে হতো।হয়তো চামড়াই তুলে ফেলতাম।
৮. কাউকে চুলকাতে দেখলে নিজের চুলকাতে ইচ্ছা করে
একদল কুকুর চুলকাচ্ছে -এমন একটি ভিডিও আরেক দল কুকুরকে দেখিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।ভিডিওটি দেখেই ঐ কুকুরগুলো চুলকাতে শুরু করেছিল।মানুষের ক্ষেত্রও এমটা দেখা যায়।
দেখবেন কেউ প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে খসখস করছে এটা দেখে আরেকজন মনের অজান্তেই প্যান্টের পেছনে হাত দিয়ে ফেলেছে।
৯. চুলকানির জন্য মগজে নির্দিষ্ট জায়গা আছে
মস্তিস্কের একটি ক্ষুদ্র একটি অংশ চুলকানির সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রনকারী যার নাম হলো “সুপ্রাকিয়াসম্যাটিক নিউক্লিয়াস”।এটি চুলকানির সংক্রমণের জন্য দায়ী।বিজ্ঞানীদের এখনো কোনো ধারনা নেই যে কীভাবে মস্তিষ্ক একজনের চুলকানি দেখে আরেকজনকে চুলকাতে উৎসাহিত করে
১০. চুলকানো যখন চামড়া রক্ষার জন্যে ভালো
বিষাক্ত গাছ বা লতার স্পর্শে অথবা বিষাক্ত পোকার কামরের মাধ্যমে ত্বকে বিষাক্ত পদার্থ লেগে গিয়ে চুলকানি শুরু হলে চুলকিয়ে ত্বকের উপর থেকে সেই পদার্থ কিছুটা দূর করা যায়। তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।যখন কোন স্থান চুলকানো হয় তখন ঐ স্থানকে ঘিরে অবস্থিত রক্তের শিরা উত্তেজিত হয়। ফলে রক্তের শ্বেত কনিকা সক্রিয় হয়ে বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। কি ভাবছেন চেষ্টা করুন আর একবার।
১১. চুলকালে যৌনতার সমান সুখ পাওয়া যায়
চুলকানোর ফলে ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হয়।ক্ষতের কারণে ব্যথা সৃষ্টি হয় এই ব্যথা উপশম করে আনন্দদায়ক অনুভূতি সৃষ্টির জন্যে মস্তিষ্ক হতে সেরোটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয়। ফলে চুলকানোরসময় আনন্দানুভূতি সৃষ্টি হয়।
গোড়ালি চুলকালে এই পরিতৃপ্তি এতই বেশি হয় যে তা যৌনকর্মের সমান আনন্দানুভূতিভূত দেয়।হুম মশাই! এবার কি ভাবছেন?
১২. কোন অঙ্গ চুলকিয়ে বেশি মজা পান
আপনি যেটি চিন্তা করছেন তা ঠিক নয়, ওটার কথা ভুলে যান।২০১২ সালে ব্রিটেনে এক গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়,মানুষের গোড়ালি ও পিঠ চুলকানোর ঝোঁক সবচেয়ে বেশি এবংসেখানে চুলকালে তৃপ্তিও পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি।
অহ্ দাদা এখনি পিঠটা কারো কাছ থেকে চুলকিয়ে নিন!
১৩. যত চুলকাবেন তত মজা বাড়বে সাথে চুলকানি বাড়বে
যত চুলকাবেন তত হিস্টামিন ক্ষরিত হবে সাথে একই মাত্রায় সেরাটোনিন ক্ষরিত হতে থাকবে ফলে হিস্টামিনের প্রভাবে চুলকানি যত বাড়বে সেরাটোনিনের প্রভাবে অনন্দানুভূতি তত বাড়বে। এই চক্র ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।
এই চক্রের কারণে আপনি যত চুলকাবেন তত চুলকাতে ইচ্ছা করবে।খুব চেষ্টা করলেও চুলকানি থামাতে পারবেন না।এই চক্র সম্পর্কে সাবধান থাকুন।
কারণ বেশি চুলকালে চামড়ায় ক্ষত তৈরি হয়ে জীবাণুর সংক্রমণও হতে পারে।
১৪. চুলকানি যখন মানুষিক রোগ
“ডিলিউসরি প্যারাসাইটোসিস” হলো চুলকানির মানসিক রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত মানুষ কোন কারণ ছাড়াই বিভিন্ন অঙ্গ চুলকাতে থাকে। বেশিরভাগ সময় এই রোগিরা অনবরত মাথা চুলকায়।
১৫.মানুষ মত অন্য প্রাণিরাও চুলকায়
খসখস করে জোড়ে একচোট চুলকিয়ে হয়তো ভাবছেন আমার মত কে চুলকাতে পারে? তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন কারণ প্রাণিজগৎের অনেক প্রাণী আপনার মতই চুলকায়।
বেবুন,বানর,শিম্পাঞ্জি দলবেধে চুলকানির কর্মযজ্ঞ চালায়।
চুলকানি সম্পর্কে 15 টি আশ্চর্যজনক তথ্য
যত চুলকাবেন তত মজা বাড়বে সাথে চুলকানি বাড়বে,মানুষ মত অন্য প্রাণিরাও চুলকায়,”ডিলিউসরি প্যারাসাইটোসিস” হলো চুলকানির মানসিক রোগ,চুলকালে যৌনতার সমান সুখ পাওয়া যায়,
“ডিলিউসরি প্যারাসাইটোসিস” কি?
“ডিলিউসরি প্যারাসাইটোসিস” হলো চুলকানির মানসিক রোগ
chulkani somporke mojar totho
chulkani somporke obak tottho,chulkani somporke aschorgojonok totho,amazing fact about itching in bangla, itching fact in bangla,চুলকানি সম্পর্কে চুলকানি সম্পর্কে চুলকানি সম্পর্কে চুলকানি সম্পর্কে চুলকানি সম্পর্কে
Please Click On Just One Add To Help Us
মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।
All photo credit Goes to sutterstock.com