সিগারেট খাওয়ার নিয়ম| ধূমপানের ভদ্রতা!

সূচিপত্র
  1. সিগারেট খাওয়ার নিয়ম| ধূমপানের ভদ্রতা!

সিগারেট খাওয়ার নিয়ম| ধূমপানের ভদ্রতা!

অনেক ধুমপায়ী ব্যক্তি ভদ্রতার তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে ধুমপান করেন। এতে ধুমপায়ী ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমাজের চোখে তিনি বাজে লোক বলে পরিচিতি পান। কর্পোরেট লাইফে ভদ্রতার দাম অনেক বেশি এখানে ধুমপানের ভদ্রতা একটি বড় মাপের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের মানদণ্ড। এই ভদ্রতা না বোঝার কারণে অনেকের চাকুরি চলে যেতে পারে। চাকুরিতে প্রবেশের সময় এটি একটি যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়। একজন ভদ্র ও সামাজিক মানুষ হিসেবে আপনাকে সিগারেট খাওয়ার নিয়ম ও ভদ্রতা সম্পর্কে জানতে হবে। কথায় বলে ব্যবহার বংশের পরিচয়। আসুন আজ সিগারেট খাওয়ার নিয়ম| ধুমপানের ভদ্রতা! সম্পর্কে জানি।

আপনি আরো পড়তে পারেন…… ধূমপানের উপকারিতা কী? …. ধূমপান ছাড়ার খাবার ১০০% কার্যকর

ধূমপানের ভদ্রতা কী?

যে নিয়ম মেনে সিগারেট খেলে বা ধুমপান করলে কেউ অভদ্র বলে না তাকে ধুমপানের ভদ্রতা বলে।

উইকিপেডিয়া

সিগারেট খাওয়ার নিয়ম কী?

কোথায় কিভাবে সিগারেট খেলে ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয় না তা শেখার নাম সিগারেট খাওয়ার নিয়ম।

ব্রিটানিকা.কম

ভদ্রভাবে সিগারেট খাওয়ার নিয়মগুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করছি

ধূমপান করার আগে অনুমতি নিন

অচেনা কোন স্থানে যদি লোকজন থাকে তাহলে সেখানে ধুমপান করার আগে অবশ্যই বিনয়ের সাথে অনুমতি নিবেন। চা পানের সময় চার দোকানে ধুমপান করা যাবে কি না সে বিষয়ে অনুমতি অবশ্যই নিবেন। রেস্টুরেন্ট, দােকান, মার্কেট ইত্যাদি স্থানে ধুমপানের আগে অনুমতি নিবেন। কোন আত্মীয়ের বাড়িতে গেলেও ধুমপানের আগে অনুমতি নেয়া ভদ্রতা প্রকাশ করে। এটি আপনার বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। এতে করে আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবেনা। এটা ধুমপানের ভদ্রতা গুলোর মধ্যে অন্যতম।

দূরে গিয়ে ধূমপান করুন

দূরে গিয়ে ধূমপান করুন সিগারেট খাওয়ার নিয়ম

যারা ধূমপান করেন না এমন মানুষদের পাশে বসে সিগারেট খাবেন না।আড্ডায় বসে সিগারেটের নেশা উঠলে ডাড্ডা ছেড়ে দূরে গিয়ে ধূমপান করুন।কিন্তু সবাই যদি ধূমপান করে তাহলে কথা নাই শুধু অনুমতি নিয়ে সিগারেট ধরিয়ে ফেলুন। যতটা সম্ভব মানুষের ভিড়ে ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।আত্মীয়ের বাড়ির ভেতর ধূমপান না করে বাইরে গিয়ে সিগারেট খেয়ে ফিরে আসতে পারেন।  অধূমপায়ীদের কাছে এই ব্যাপারগুলো ভদ্রতার পরিচায়ক তারা সহজে এমন ভদ্র ব্যবহার ভোলেন না। নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করতে গিয়ে অন্যকারো সামনে ধূমপান করবেন না আপনার এই আচরণ অন্যের কাছে একই সাথে বিরক্তিকর ও হাস্যকর মনে হতে পারে।

যত্রতত্র যারতার সামনে ধূমপান করবেন না

ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকার ছবি সিগারেট খাওয়ার নিয়ম

“ধূমপান নিষিদ্ধ” লেখা আছে এমন স্থানে ধূমপান করবেন না। বাসে উঠে কোনভাবেই ধূমপান করবেন না কারণ বাসের সব যাত্রী আপনাকে অসামাজিক মনে করবে। স্কুল, হাসপাতাল, জনসভা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে ধূমপান করবেন না।অফিস থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ধূমপান শেষ করুন। আপনি শিক্ষক হলে অবশ্যই ছাত্রদের চলাচল আছে এমন স্থানে ধূমপান করবেন না। গণ্যমান্য ব্যক্তির সামনে ধূমপান করবেন না। নিজের বস ধূমপান না করলে তার সামনে ধূমপান করবেন না। শশুরবাড়ির কেউ ধূমপান না করলে সেখানে বা আশেপাশে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।

সিগারেটের ছাই যেখানে সেখানে ফেলবেন না

ধূমপান করার সময় সিগারেটের ছাই ও পশ্চাৎভাগ যেখানে সেখানে ফেলবেন না। অ্যাসট্রে,ডাস্টবিন বা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। তেমন কোন স্থান না থাকলে সিগারেটের প্যাকেট থেকে বাঁকি সিগেরেটগুলো বের করে পকেটে রাখুন এর পর খালি প্যাকেট টি অ্যাসট্রে হিসেবে ব্যবহার করুন।

জ্বলন্ত সিগারেট সাবধানে ছুড়ে মারুন

জ্বলন্ত সিগারেট সাবধানে ছুড়ে মারুন সিগারেট খাওয়ার নিয়ম

জ্বলন্ত সিগারেটের পশ্চাত অংশ জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেবেন না। হয়তো ওই জ্বলন্ত সিগারেট কারো মাথার ওপর পড়তে পারে। আপনার ছুড়ে মারা সিগারেট দাহ্য কোন বস্তুর উপর পরলে বিরাট অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। জ্বলন্ত সিগারেটের পশ্চাত অংশ ছুড়ে মারার আগে নিশ্চিত হোন যে এটি কোথায় পরবে। সিগারেট খাওয়া শেষ করে ছুড়ে মারার আগে ভালো করে সিগারেটটা নিভিয়ে নিবেন। অ্যাস্ট্রেতে রাখার আগেও সিগারেটের আগুন টিপে মেরে ফেলুন।

বেডরুমে ধূমপান করবেন না

বেডরুমে ধুমপান করবেন না সিগারেট খাওয়ার নিয়ম

আপনি যে ঘরে সবসময় সময় কাটান ও ঘুমান এমন ঘরে ভুলেও ধূমপান করবেন না। সিগারেটের ধোয়া সবসময় সাধারণ বাতাস অপেক্ষা গাঢ় তাই এটি বেডরুমে অনেকক্ষণ ঘুরবে এতে ধোঁয়ার নিকোটিন ঘরের আসবাব পত্র, কাপর, দেয়ল ইত্যাদিতে লেগে থাকবে। ধূমপান না করে আপনার স্ত্রী ও সন্তান বেডরুমে লেগে থাকা নিকোটিন গ্রহণ করবে প্রশ্বাসের সাথে ফলে তারা আপনার সমান ক্ষতির শিকার হবে। অন্যের বেডরুমেও ধূমপান করবেন না।

শিশুদের সামনে ধূমপান করবেন না

শিশুরা সবসময় অনুকরণপ্রিয় হয় তাদের সামনে যা করবেন তারা সেটাই করার চেষ্টা করে। শিশুর সামনে ধূমপান করলে তারা ছোট থেকেই ধূমপানের সাথে পরিচিত হয়। অনেকে ভাবে বাবা সিগারেট খায় আমিও বড় হলে খাবো। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সবার আজন্ম আগ্রহ থাকে। বেশিরভাগ ধূমপায়ী বাবার সন্তান ধূমপায়ী হয়।যতটা সম্ভব নিজ বাড়িতে বা অন্যকারো বাড়িতে গিয়ে ঘরে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।

শিশুদের সিগারেট কিনতে পাঠাবেন না

অনেকেই নিজের কোমলমতি বাচ্চাদের দোকানে পাঠায় সিগারেট কিনে আনতে। এটা একটি লজ্জাজনক ও গর্হিত কাজ। শিশুরা সিগারেট কিনে আনার সময় কৌতুহলী হয় ভাবে এটা বাবা খায় কিন্তু আমি খেতে পারি না কেন? এই কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে এরা ভবিষ্যতে ১ বার সিগারেট টেস্ট করে এরপর একসময় চেইন স্মোকার হয়।

ধূমপানের পর মুখ পরিষ্কার রাখুন

সিগারেট খাওয়ার পর মুখে খুব গন্ধ হয় এই গন্ধ সিগারেটভেদে অনেক্ষণ মুখে থাকে। মুখের ভেতর ইনফেকশন থাকলে গন্ধটা মারাত্মক বিদ্ঘুটে লাগে। যারা ধূমপান করেন না তাদের কাছে এটা বমি উদ্রেককর মনে হয়। অনেকে ভয়ে বা সম্মান করতে গিয়ে এমন গন্ধ চুপকরে সহ্য করে। তাই সিগারেট খাওয়ার পর যতটা সম্ভব মুখ পরিষ্কার করবেন কুলি করে বা হালকা ব্রাশ করে। এতে সিগারেটের গন্ধ ও মুখের ভেতর থাকা নিকোটিন দূর হয় ফলে নিকোটিন মুখের ও গলার ক্ষতি করতে পারেনা। পেটে কম প্রবেশ করে। হজমে সমস্যা কম হয়। মুখে লবঙ্গ বা দারুচিনি দিয়ে রাখলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

সিগারেটের ধোঁয়া সতর্কতার সাথে ছাড়ুন

সিগারেটের ধোঁয়া সতর্কতার সাথে ছাড়ুন সিগারেট খাওয়ার নিয়ম

ধূমপানের ধোঁয়া সামনে বসা কারো মুখে হুস করে ত্যাগ করবেন না। মুখের ভেতরে জমে থাকা ধোঁয়া অন্যদিকে মুখ ফিরে ছেড়ে দিন। এতে করে অন্যজনকে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এবং আপনি বিরক্তির কারণ হবেন না। কথা বলার ঠিক আগ মুহূর্তে ধোঁয়া ভেতরে নিবেন না। এটা দেখতে খুব খারাপ লাগে যে, আপনি কথা বলছেন আর আপানার মুখ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

সিগারেট নেভাতে বললে দ্রুত নিভিয়ে ফেলুন

কেউ যদি আপনাকে সিগারেটটা নেভাতে বলে তাহলে কোন কথা চিন্তা না করে যতটা দ্রুত সম্ভব সিগারেট নিভিয়ে ফেলুন।সিগারেট খেতে নিষেধ করলে নিজের গায়ের জোর বা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অভদ্রভাবে গালিগালাজ করবেন না।এটা চুড়ান্ত রকমের বোকামি ও বেয়াদবির লক্ষণ। সিগারেট নেভাতে না পারলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করুন।

লাইটার ধার নিলে ফেরত দিতে ভুলবেন না

ভদ্রভাবে অন্যের কাছে লাইটার ধার চাইবেন। না বলে কারো লাইটার দিয়ে সিগারেট জ্বালাবেন না।এটা এক ধরণের অভদ্রতা।কারো কাছে লাইটার কিংবা ম্যাচ বক্স নিলে সেটা ফেরত দিয়ে দেবেন, কারণ আপনি ফেরত দিলে আপনিও পরবর্তীতে পাবেন যদি আপনার কাছে কেউ ধার নেয়। এটা ধূমপানের ভদ্রতা।

ধুমপানের আগে কক্ষ পর্যবেক্ষণ করুন

কোন বদ্ধ রুমে সিগারেট খাওয়ার আগে অবশ্যই ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা আছে কিনা দেখে নিবেন অথবা এক্সস্ট ফ্যান আছে কিনা সেটাও দেখে তারপর খাবেন।বায়ু নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকলে ঐ বদ্ধ ঘরে ধূমপান করবেন না।

কৌশলে জিজ্ঞেস করুন আপনি ধূমপান করেন

কাউকে সরাসরি বলবেন ভাই আপনি কি সিগারেট খান? এটা অভদ্রতা। ঐ ব্যক্তি সিগারেট না খেলে বা কোন গুরুজনের সাথে থাকলে বিব্রতকর অবস্থায় পরবেন। আপনি কৌশলে বলুন ভাই আপনার কাছে লাইটার থাকলে আমাকে দিতে পারেন। তখন ঐ ব্যক্তি ভদ্রভাবে বলবে আমি সিগারেট খাই না। আর ব্যক্তিটি ধূমপায়ী হলে সিগারেট অফার করবে বা লাইটার দিয়ে দেবে।এটা সিগারেট খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে বেশ মজার নিয়ম।

সিগারেট সাথে রাখুন চাইবেন না

আপনি ধূমপায়ী হলে দূরে কোথাও যাবার আগে সিগারেট কিনে নিয়ে যাবেন। দেখা গেল এমন একটি জায়গায় গেলেন যেখানে আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের সিগারেট নেই। তখন মাথা চুলকে হাত কচলে চিনেন না জানেন না এমন লোকের কাছে হাত পেতে সিগারেট ভিক্ষা করলে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পরবেন। আরো খারাপ অবস্থা হবে যদি লোকটি আপনার অনুরোধ অভদ্রভাবে ফিরিয়ে দেয়। অন্যের কাছে বিপদে পড়ে একবারের চেয়ে দুইবার সিগারেট ধার নিবেন না। বারবার একজনের কাছে সিগারেট চেয়ে তাকে বিব্রত না করাটাই ভদ্রতার পরিচায়ক।সিগারেট খাওয়ার নিয়ম।

গন্ধহীন কাজের পরিবেশ বজায় রাখুন

অফিসে সিগারেট খাবার পর হাত ধুয়ে নিবেন মুখের গন্ধ দূর করার জন্য কুলি করবেন বা ব্রাশ করবেন এবং মিন্ট চকলেট খেতে পারেন। কারণ আপনি নিশ্চয় চাইবেন নিজের কাজের পরিবেশটি সিগারেটের বাজে ভরে থাকুক। আপনার জামা কাপড় থেকে সিগারেটের গন্ধ আসলে ভালোমানের পারফিউম স্প্রে করুন।

তথ্যসূত্র: wikihow.com

ট্যাগ: সিগারেট খাওয়ার নিয়ম, সিগারেট খাওয়ার নিয়ম, সিগারেট খাওয়ার নিয়ম, সিগারেট খাওয়ার নিয়ম, সিগারেট খাওয়ার নিয়ম, সিগারেট খাওয়ার নিয়ম, সিগারেট খাওয়ার নিয়ম সিগারেট খাওয়ার নিয়ম সিগারেট খাওয়ার নিয়ম

আপনি আরও পড়ুন… রুবেলা রোগ কী?….টিনিয়াসিস রোগ কী? ফিতাকৃমি যে রোগ ছড়ায়! ….. এলার্জিক রাইনাইটিস কী?ঘনঘন হাঁচি আসে ও ঠাণ্ডা লাগে কেন? …. মৃগীরোগ বা এপিলেপ্সি কী? ….. একলাম্পসিয়া কী?….. ম্যালেরিয়া জ্বর কী? …. কান পাকা রোগ! লক্ষণ ও প্রতিকার!সোরিয়াসিস রোগ কী?শিশুর ফুসফুসের রোগ …. কিডনি রোগ এর কারণ ও প্রতিরোধ!

Please Click On Just One Add To Help Us

মহাশয়, জ্ঞান বিতরণের মত মহৎ কাজে অংশ নিন।ওয়েবসাইট টি পরিচালনার খরচ হিসেবে আপনি কিছু অনুদান দিতে পারেন, স্পন্সর করতে পারেন, এড দিতে পারেন, নিজে না পারলে চ্যারিটি ফান্ডের বা দাতাদের জানাতে পারেন। অনুদান পাঠাতে পারেন এই নম্বরে ০১৭২৩১৬৫৪০৪ বিকাশ,নগদ,রকেট।

এই ওয়েবসাইট আমার নিজের খরচায় চালাই। এড থেকে ডোমেইন খরচই উঠেনা। আমি একা প্রচুর সময় দেই। শিক্ষক হিসেবে আমার জ্ঞান দানের ইচ্ছা থেকেই এই প্রচেষ্টা। আপনি লিখতে পারেন এই ব্লগে। এগিয়ে নিন বাংলায় ভালো কিছু শেখার প্রচেষ্টা।